Ajker Patrika

আ.লীগ নেতার বালুর ঘাট ভাগাভাগি নিয়ে দুই বিএনপি নেতা বহিষ্কার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০: ২৩
আ.লীগ নেতার বালুর ঘাট ভাগাভাগি নিয়ে দুই বিএনপি নেতা বহিষ্কার

কুষ্টিয়ায় গড়াই নদে আওয়ামী লীগ নেতার ইজারা নেওয়া বালুর ঘাট ভাগাভাগি নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার ঘটনায় ওয়ার্ড বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ওই ওয়ার্ডে বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে বালু ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ সমাবেশ ও অস্ত্রের মহড়ার ঘটনা ঘটেছে। 

এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িঘর ও বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুগিয়া এলাকায় গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার দুই দিন ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই বালুঘাট থেকে সাময়িকভাবে বালু অপসারণ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। 

এদিকে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত খাইরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ৫২ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনুকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। 

জেলা বিএনপির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মহিদুল ইসলামের পরিচালিত জুগিয়া বালুঘাট অবৈধ পন্থায় নিয়ন্ত্রণ ও বালু উত্তোলনে সহায়তা করে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলামকে তার সভাপতি পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রমাণ থাকায় মিজানুর রহমান মজনুকে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ সকল পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হলো। একই সঙ্গে ওয়ার্ড বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিতের নির্দেশনাও দেওয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বালু অপসারণের ইজারাদার মহিদুল ইসলাম পৌর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। ও একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। এক যুগের বেশি সময় ধরে তিনি বালুর ঘাট নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রাজত্ব চালাচ্ছেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলে জুগিয়া বালুর ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে স্থানীয় বিএনপির দুটি পক্ষ। এতে বারখাদা ও জুগিয়া এলাকায় বিএনপির নেতা–কর্মীরা দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এরপর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলামসহ যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে মহিদুলের সমঝোতা হয়। সমঝোতা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের মহিদুল ইসলাম ৪০ ভাগ ও বিএনপি নেতাদের অংশ ৬০ ভাগ অর্থ ভাগাভাগির শর্তে কয়েক দিন আগে বালু অপসারণ শুরু হয়। প্রতিদিন সেখান থেকে প্রায় দেড় শতাধিক ট্রাকে অন্তত ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার বালু বিক্রি হয়। 

এদিকে বালু অপসারণে বিক্রির টাকার ভাগ না পেয়ে স্থানীয় বিএনপির শাহজাহান আলী সাজুর অনুগত ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনুর কর্মীরা এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান দেয়। তাদের দাবি বালুবাহী ট্রাকের কারণে এলাকার প্রায় দুই কিলোমিটার পাকা সড়ক কাঁচা হয়ে গেছে। তারা জেলা প্রশাসনের কাছে বালুঘাট ইজারা বন্ধসহ বালুবাহী ট্রাক বন্ধের দাবি জানান। 

গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জুগিয়া ঘাটে বালু তোলা নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়। বিএনপি নেতা শাহজাহান আলী সাজু এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানালে মহিদুল ও বিএনপির একটি পক্ষের নেতারা ক্ষুব্ধ হয়। এ সময় সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। সাজুর অনুগত ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ও তার অনুগতরা মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, একই ঘটনায় বুধবার বালু ঘাটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মহিদুল, তার ভাই ভাতিজা আর বিএনপির একটি পক্ষ এক হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দেয়। এ সময় বিএনপি নেতা শাহাজাহান ও মিজানুর রহমানসহ এলাকার লোকজন একত্র হয়ে তাদের প্রতিহত করতে পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অস্ত্র হাতে এক যুবককে দৌড়াতে দেখা গেছে। কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। গুলির শব্দও শোনা গেছে। 

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১০ জুন মেসার্স মেহেদী এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মহিদুল ইসলামকে সর্বোচ্চ ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা দরদাতা বিবেচিত করে জুগিয়া ও গোপিনাথপুর মৌজায় গড়াই নদে খনন করা বালুর স্তূপাকার অপসারণের কার্যাদেশ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। কার্যাদেশে আগামী বছরের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বালু অপসারণের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে মহিদুল বালু অপসারণে বিক্রি করে আসছিলেন। 
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকবে এবং যাদের আওয়ামী সংশ্লিষ্টটা রয়েছে তাদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। 

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত দুই দিন ধরে ওই এলাকায় বালিঘাট নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, বিকেলে শহীদ অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সেখানে যান। এ সময় ওয়াশরুমের ভেতরে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে যায়।

পুলিশের ভাষ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট অডিটরিয়ামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে ওই ভবনে মানুষের তেমন চলাচল ছিল না।

এদিকে লাশ উদ্ধারের পর মমতা খাতুন নামে এক নারী ঘটনাস্থলে এসে দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া লাশটি তাঁর বাবার। তিনি জানান, তাঁর বাবা প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর আর তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. এনায়েতুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। লাশটির পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল থেকে খোয়া গেছে ১০ রাউন্ড গুলি

বগুড়া প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।

গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।

বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।

ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তার গান, ভিডিও ভাইরাল

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি: সংগৃহীত
সাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

অভিযুক্ত মো. মহিবুল্লাহ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই, সশস্ত্র)। তিনি বাগেরহাট পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এর আগে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ছিলেন তিনি।

তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ (সদর-দেবহাটা) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত মো. মহিবুল্লাহ গান পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করেন।

সূত্রে জানা গেছে, পথসভাটি ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা মোড়ে ওই পথসভা হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভার মাঝপথে মো. মহিবুল্লাহ এই গান পরিবেশন করেন।

আরও জানা গেছে, পুলিশের ওই এএসআই সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকাকালে আগরদাড়ির একটি মাহফিলে ইসলামি গান পরিবেশন করেছিলেন। তাঁর সংগীতে মুগ্ধ হয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তাঁকে পুরস্কৃত করেন। বাগেরহাটে বদলি হয়ে গেলেও তিনি খোঁজ নিয়ে ওই পথসভায় আসেন।

জানতে চাইলে এএসআই মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি ইসলামি একটি সংগীত পরিবেশন করেছি’ বলেই লাইনটি কেটে দেন। পরে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি স্টেজে উঠে সংগীত পরিবেশন করতে চান। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন।’

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এমন কিছু ঘটে থাকলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা, কৌশলে পালিয়ে রক্ষা

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টাকালে ওই গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পান। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ গতকাল রাতে আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।

মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।’

এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। সন্ধ্যার পর মদ পান করে এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালান।

বাড়ির মালিক বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটের সঙ্গে যা হয়েছে, তা শতভাগ সত্য।’

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক নারী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত