সিসিটিভি ফুটেজের দৃশ্য
খুলনা প্রতিনিধি
খুলনায় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ওহেদ-উজ-জামান বুলুর লাশ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা আগে তাঁকে এক নারীর সঙ্গে রূপসা সেতুতে দেখা গেছে। দুজনের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে বুলুকে সেতু থেকে নিচে লাফ দিতে দেখা যায়। ভিডিও ফুটেজের বরাত দিয়ে আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য দিয়েছে কোস্ট গার্ডের একটি সূত্র।
গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে খুলনার রূপসা সেতুর ২ নম্বর পিলারের বেসমেন্ট থেকে বুলুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে চোখের জলে শ্রদ্ধা জানিয়ে ওহেদ-উজ-জামান বুলুকে শেষ বিদায় জানান সাংবাদিকেরা। স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনেরা তাঁর মৃত্যুকে ‘অস্বাভাবিক’ বলছেন, কেউ কেউ ‘আত্মহত্যার প্ররোচনা’ আখ্যা দিয়েছেন। রহস্যজনক এ মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে খুলনার সাংবাদিক সমাজ।
পরিবার, পুলিশ, এলাকাবাসী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ঢাকায় থাকা ছোট ভাই আনিসুজ্জামান দুলুর সঙ্গে গত শনিবার রাতে সাংবাদিক বুলুর শেষ কথা হয়। তখন বুলু বলেছিলেন, ভালোই আছেন। পরদিন অর্থাৎ রোববার নগরীর বাগমারা আদর্শপল্লিতে শ্বশুরবাড়িতে নাশতা করে সাড়ে ৯টার দিকে বের হন বুলু। এরপর তাঁর সঙ্গে কারও যোগাযোগ হয়নি।
রূপসা সেতুতে থাকা ভিডিও ফুটেজের বরাত দিয়ে কোস্ট গার্ডের সূত্র জানায়, রোববার দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার দিকে রূপসা সেতুর ওপর ঘোরাঘুরি করছিলেন সাংবাদিক বুলু। এ সময় তাঁর সঙ্গে এক নারী ছিলেন। তাঁদের দুজনকে ঝগড়া করতে দেখা গেছে। একপর্যায়ে বুলু সেতু থেকে নিচে লাফ দেন। ওই নারী তখন চিৎকার-চেঁচামেচি করে লোক ডাকেন। ওই নারীকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বুলুর মামা নাজমুল ইউসুফ, ছোট ভাই দুলু, দুই শ্যালক মনিরুজ্জামান বাবু ও জুবায়েরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পারিবারিক অশান্তির কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বুলু। পারিবারিক কলহের কারণে তাঁর প্রথম স্ত্রী এলিজা পারভীন গত ১১ মে সকালে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। এখনো তাঁর খোঁজ মেলেনি।
তাঁরা আরও জানান, বছরখানেক আগে তানিয়া সুলতানা নামের ডুমুরিয়ার এক নারীকে বিয়ে করেন বুলু। তাঁর কাছ থেকে তিনি ১ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিরোধ হয়। পরে নগরীর শিববাড়ী মোড়ের বাড়ি বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকা পান বুলু। তখন দ্বিতীয় স্ত্রী লোকজন নিয়ে এসে বুলুকে মারধর করেন। পরে মোটা অঙ্কের টাকা এবং ৭ লাখ টাকার চেক দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
বুলুর শ্যালক জুবায়ের আজকের পত্রিকাকে বলেন, কিছুদিন ধরে বুলুর মোবাইল ফোনে কল আসত। তখন কল রিসিভ করে বাইরে গিয়ে কথা বলতেন তিনি। তখন বুলুর শরীর কাঁপত।
জানতে চাইলে খুলনা নৌ পুলিশের সুপার (এসপি) মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘সাংবাদিক বুলুর মৃত্যুর ঘটনায় আজ সোমবার একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। এই মৃত্যু আমরা আপাতত রহস্যজনক হিসেবে দেখছি। আমরা রূপসা সেতু এবং এর আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করছি। এ ছাড়া উদ্ধার করা বুলুর মোবাইল ফোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পর রহস্য উন্মোচন করা হবে।’
খুলনা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এনামুল হক বলেন, সাংবাদিক বুলুর মৃত্যুর ঘটনা প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা প্রচারিত হলেও এটি স্বাভাবিক কোনো মৃত্যু নয়। এ মৃত্যুর পেছনে রহস্যজনক কোনো ঘটনা রয়েছে। রূপসা ব্রিজের সিসি ক্যামেরা ও বুলুর মোবাইল ফোন পরীক্ষা করা হলে এই রহস্য উন্মোচিত হবে।
এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে আজ সোমবার দুপুরে সাংবাদিক বুলুর মরদেহ খুলনা প্রেসক্লাবে আনা হয়। সেখানে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শেষ শ্রদ্ধা জানায় খুলনা প্রেসক্লাব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন, প্রেসক্লাব মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি, টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন সংগঠন।
জানাজার আগে বুলুর ছোট ভাই আনিসুজ্জামান দুলু বলেন, ‘সাংবাদিক বুলুর মৃত্যু স্বাভাবিক হিসেবে আমরা দেখছি না।’ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বুলু দৈনিক বঙ্গবাণী পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। তিনি অধুনালুপ্ত দৈনিক আজকের কাগজ, চ্যানেল ওয়ান, ইউএনবি, দৈনিক প্রবাহ পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। তিনি খুলনা প্রেসক্লাব ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) ও বিএফইউজে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন।
খুলনায় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ওহেদ-উজ-জামান বুলুর লাশ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা আগে তাঁকে এক নারীর সঙ্গে রূপসা সেতুতে দেখা গেছে। দুজনের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে বুলুকে সেতু থেকে নিচে লাফ দিতে দেখা যায়। ভিডিও ফুটেজের বরাত দিয়ে আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য দিয়েছে কোস্ট গার্ডের একটি সূত্র।
গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে খুলনার রূপসা সেতুর ২ নম্বর পিলারের বেসমেন্ট থেকে বুলুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে চোখের জলে শ্রদ্ধা জানিয়ে ওহেদ-উজ-জামান বুলুকে শেষ বিদায় জানান সাংবাদিকেরা। স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনেরা তাঁর মৃত্যুকে ‘অস্বাভাবিক’ বলছেন, কেউ কেউ ‘আত্মহত্যার প্ররোচনা’ আখ্যা দিয়েছেন। রহস্যজনক এ মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে খুলনার সাংবাদিক সমাজ।
পরিবার, পুলিশ, এলাকাবাসী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ঢাকায় থাকা ছোট ভাই আনিসুজ্জামান দুলুর সঙ্গে গত শনিবার রাতে সাংবাদিক বুলুর শেষ কথা হয়। তখন বুলু বলেছিলেন, ভালোই আছেন। পরদিন অর্থাৎ রোববার নগরীর বাগমারা আদর্শপল্লিতে শ্বশুরবাড়িতে নাশতা করে সাড়ে ৯টার দিকে বের হন বুলু। এরপর তাঁর সঙ্গে কারও যোগাযোগ হয়নি।
রূপসা সেতুতে থাকা ভিডিও ফুটেজের বরাত দিয়ে কোস্ট গার্ডের সূত্র জানায়, রোববার দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার দিকে রূপসা সেতুর ওপর ঘোরাঘুরি করছিলেন সাংবাদিক বুলু। এ সময় তাঁর সঙ্গে এক নারী ছিলেন। তাঁদের দুজনকে ঝগড়া করতে দেখা গেছে। একপর্যায়ে বুলু সেতু থেকে নিচে লাফ দেন। ওই নারী তখন চিৎকার-চেঁচামেচি করে লোক ডাকেন। ওই নারীকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বুলুর মামা নাজমুল ইউসুফ, ছোট ভাই দুলু, দুই শ্যালক মনিরুজ্জামান বাবু ও জুবায়েরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পারিবারিক অশান্তির কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বুলু। পারিবারিক কলহের কারণে তাঁর প্রথম স্ত্রী এলিজা পারভীন গত ১১ মে সকালে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। এখনো তাঁর খোঁজ মেলেনি।
তাঁরা আরও জানান, বছরখানেক আগে তানিয়া সুলতানা নামের ডুমুরিয়ার এক নারীকে বিয়ে করেন বুলু। তাঁর কাছ থেকে তিনি ১ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিরোধ হয়। পরে নগরীর শিববাড়ী মোড়ের বাড়ি বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকা পান বুলু। তখন দ্বিতীয় স্ত্রী লোকজন নিয়ে এসে বুলুকে মারধর করেন। পরে মোটা অঙ্কের টাকা এবং ৭ লাখ টাকার চেক দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
বুলুর শ্যালক জুবায়ের আজকের পত্রিকাকে বলেন, কিছুদিন ধরে বুলুর মোবাইল ফোনে কল আসত। তখন কল রিসিভ করে বাইরে গিয়ে কথা বলতেন তিনি। তখন বুলুর শরীর কাঁপত।
জানতে চাইলে খুলনা নৌ পুলিশের সুপার (এসপি) মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘সাংবাদিক বুলুর মৃত্যুর ঘটনায় আজ সোমবার একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। এই মৃত্যু আমরা আপাতত রহস্যজনক হিসেবে দেখছি। আমরা রূপসা সেতু এবং এর আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করছি। এ ছাড়া উদ্ধার করা বুলুর মোবাইল ফোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পর রহস্য উন্মোচন করা হবে।’
খুলনা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এনামুল হক বলেন, সাংবাদিক বুলুর মৃত্যুর ঘটনা প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা প্রচারিত হলেও এটি স্বাভাবিক কোনো মৃত্যু নয়। এ মৃত্যুর পেছনে রহস্যজনক কোনো ঘটনা রয়েছে। রূপসা ব্রিজের সিসি ক্যামেরা ও বুলুর মোবাইল ফোন পরীক্ষা করা হলে এই রহস্য উন্মোচিত হবে।
এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে আজ সোমবার দুপুরে সাংবাদিক বুলুর মরদেহ খুলনা প্রেসক্লাবে আনা হয়। সেখানে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শেষ শ্রদ্ধা জানায় খুলনা প্রেসক্লাব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন, প্রেসক্লাব মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি, টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন সংগঠন।
জানাজার আগে বুলুর ছোট ভাই আনিসুজ্জামান দুলু বলেন, ‘সাংবাদিক বুলুর মৃত্যু স্বাভাবিক হিসেবে আমরা দেখছি না।’ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বুলু দৈনিক বঙ্গবাণী পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। তিনি অধুনালুপ্ত দৈনিক আজকের কাগজ, চ্যানেল ওয়ান, ইউএনবি, দৈনিক প্রবাহ পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। তিনি খুলনা প্রেসক্লাব ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) ও বিএফইউজে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন।
মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনসে কর্মরত এসআই (সশস্ত্র) আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ডিউটিরত অবস্থায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান।
৬ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক বিএনপি নেতার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের সাতজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলা সদরের পুষ্টকামুরী সওদাগরপাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগেবিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন বলেছেন, ‘একটি-দুটি দল নির্বাচন ভন্ডুল করার জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। দেশের জনগণ জেগে উঠেছে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না দিয়ে কেউ পালাতে পারবে না।’
৩৯ মিনিট আগেফরিদপুরে বিএনপির অন্তঃকোন্দল গড়িয়েছে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও। আজ সোমবার জেলা বিএনপির দুটিসহ মহানগরের ব্যানারে পৃথক সমাবেশ ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে। তবে তিনটি শোভাযাত্রাতেই জনসমাগম হয়েছে।
৪৪ মিনিট আগে