খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) সাবেক মেয়র, সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক পুলিশ কমিশনারসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় গুমের অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ভুক্তভোগী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক এবং খুলনা জেলা শাখার সদস্যসচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি এই অভিযোগ করেন। আজ মঙ্গলবার প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম আজকের পত্রিকাকে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাপ্পির করা অভিযোগে খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দীন জুয়েল, এস এম কামাল হোসেন, বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, আব্দুস সালাম মূর্শেদী, শেখ হেলাল উদ্দিন, যুবলীগ নেতা ও শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সোহেল, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আক্তারুজ্জামান বাবু, রশীদুজ্জামান মোড়ল, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, খুলনা মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাজালাল সুজনসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে বাদী সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের শুরুতে তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করেন এবং খুলনায় আন্দোলন করেন। ৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। পরদিন তিনি মেসবাহ উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে পূর্বঘোষিত সড়ক ও রেল অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিতে সোনাডাঙ্গা থানা এলাকা থেকে নতুন রাস্তার মোড়ের দিকে ইজিবাইকে যাত্রা শুরু করেন। সোনাডাঙ্গা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সামনে পৌঁছানোর পর ১০-২৫ জনের একটি দল ইজিবাইক থামিয়ে তাঁকে জোরপূর্বক নামিয়ে নেয়। মুখোশধারী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশ সদস্যরা দেশি অস্ত্র প্রদর্শন করে তাঁকে চোখ, মুখ, হাত ও পা বেঁধে একটি প্রাইভেট কারে তুলে অকথ্য গালি ও শারীরিক নির্যাতন চালায়। পরে তাঁকে অন্ধকার একটি কক্ষে আটকে রেখে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ দেওয়া হয়। রাজি না হওয়ায় নির্যাতন আরও বাড়ানো হয়।
সাজিদুল ইসলাম বলেন, ‘১২ ঘণ্টার বেশি সময় চোখ ও হাত বাঁধা অবস্থায় আমাকে আটকে রাখা হয়। পানি চাইলে গালিগালাজ করা হয়। পরে আড়ংঘাটা বাইপাস মোড়ের সামনে একটি ফাঁকা বাগানে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। সেখান থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে।’
জানতে চাইলে অভিযোগকারী সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, ‘শেখ হাসিনার শাসনামলে জুলাই অভ্যুত্থান দমনের জন্য আমাকে গুম ও নির্যাতন করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। ভবিষ্যতে কেউ যাতে ন্যায্য দাবিতে রাজপথে নামলে আর গুম না হয়, তার নিশ্চয়তা চাই।’
সাজিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ঘটনার সময় অনেকেই ছিল, যাদের চেহারা মুখোশ বা মাস্কে ঢাকা ছিল। কেউ কেউ সরাসরি না থাকলেও গুমের ঘটনার পেছনে সহযোগী ভূমিকা পালন করেছে বলেও আমার ধারণা। আমি তদন্ত সংস্থার কাছে অনুরোধ করব, দোষীদের খুঁজে বের করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) সাবেক মেয়র, সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক পুলিশ কমিশনারসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় গুমের অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ভুক্তভোগী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক এবং খুলনা জেলা শাখার সদস্যসচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি এই অভিযোগ করেন। আজ মঙ্গলবার প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম আজকের পত্রিকাকে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাপ্পির করা অভিযোগে খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দীন জুয়েল, এস এম কামাল হোসেন, বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, আব্দুস সালাম মূর্শেদী, শেখ হেলাল উদ্দিন, যুবলীগ নেতা ও শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সোহেল, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আক্তারুজ্জামান বাবু, রশীদুজ্জামান মোড়ল, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, খুলনা মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাজালাল সুজনসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে বাদী সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের শুরুতে তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করেন এবং খুলনায় আন্দোলন করেন। ৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। পরদিন তিনি মেসবাহ উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে পূর্বঘোষিত সড়ক ও রেল অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিতে সোনাডাঙ্গা থানা এলাকা থেকে নতুন রাস্তার মোড়ের দিকে ইজিবাইকে যাত্রা শুরু করেন। সোনাডাঙ্গা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সামনে পৌঁছানোর পর ১০-২৫ জনের একটি দল ইজিবাইক থামিয়ে তাঁকে জোরপূর্বক নামিয়ে নেয়। মুখোশধারী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশ সদস্যরা দেশি অস্ত্র প্রদর্শন করে তাঁকে চোখ, মুখ, হাত ও পা বেঁধে একটি প্রাইভেট কারে তুলে অকথ্য গালি ও শারীরিক নির্যাতন চালায়। পরে তাঁকে অন্ধকার একটি কক্ষে আটকে রেখে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ দেওয়া হয়। রাজি না হওয়ায় নির্যাতন আরও বাড়ানো হয়।
সাজিদুল ইসলাম বলেন, ‘১২ ঘণ্টার বেশি সময় চোখ ও হাত বাঁধা অবস্থায় আমাকে আটকে রাখা হয়। পানি চাইলে গালিগালাজ করা হয়। পরে আড়ংঘাটা বাইপাস মোড়ের সামনে একটি ফাঁকা বাগানে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। সেখান থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে।’
জানতে চাইলে অভিযোগকারী সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, ‘শেখ হাসিনার শাসনামলে জুলাই অভ্যুত্থান দমনের জন্য আমাকে গুম ও নির্যাতন করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। ভবিষ্যতে কেউ যাতে ন্যায্য দাবিতে রাজপথে নামলে আর গুম না হয়, তার নিশ্চয়তা চাই।’
সাজিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ঘটনার সময় অনেকেই ছিল, যাদের চেহারা মুখোশ বা মাস্কে ঢাকা ছিল। কেউ কেউ সরাসরি না থাকলেও গুমের ঘটনার পেছনে সহযোগী ভূমিকা পালন করেছে বলেও আমার ধারণা। আমি তদন্ত সংস্থার কাছে অনুরোধ করব, দোষীদের খুঁজে বের করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’
সাতক্ষীরার একমাত্র ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস প্রায় সাত বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে। এতে করে নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করা শ্রমিকদের অনেকে এখন বেকার জীবন কাটাচ্ছেন। তবে কর্তৃপক্ষ দাবি, কারখানার বিশাল প্রাঙ্গণে বেসরকারি সহযোগিতায় একাধিক...
২৪ মিনিট আগেসড়কের মধ্যে থেকে বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ না করেই প্রশস্ত করা হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়ক। সড়কটি ৬ দশমিক ২ মিটার থেকে উন্নীত করা হচ্ছে ১০ দশমিক ৩ মিটারে। এ অবস্থায় ৪৮১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক প্রশস্তকরণের সুফল নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনার ঝুঁকি বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২৮ মিনিট আগেকর্মচারীরা বাতিলের দাবি জানালেও সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার। এই অধ্যাদেশ সংশোধন করে যেসব ধারায় অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে, সেখানে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অধ্যাদেশ সংশোধন করে সেখানে কোন কোন বিষয় যুক্ত করা হবে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তা চূড়ান্ত করবে...
৪১ মিনিট আগেউত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা পঞ্চগড়ে নদী থেকে প্রতিদিন উত্তোলন করা হচ্ছে হাজার হাজার টন বালু। এই বালু এখন আর সীমাবদ্ধ নেই জেলার অভ্যন্তরে বা পাশের কোনো উপজেলায়। তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে; বিশেষত ঢাকা, গাজীপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাটের নির্মাণ প্রকল্পগুলোতে।
১ ঘণ্টা আগে