খুলনা প্রতিনিধি
এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক। খুলনার রাজনীতিতে একটি আলোচিত নাম। একসময় ছিলেন খুলনার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তবে এখন সে তালিকায় তাঁর নাম নেই। হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ফেরারি ছিলেন। ছিলেন খুলনার প্রভাবশালী ও জাতীয় পার্টির খুলনা মহানগর সভাপতি শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলার আসামি। কখনো বিএনপি, কখনো জাতীয় পার্টি, আবার কখনো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে একাধিকবার জামানত হারিয়েছেন।
সর্বশেষ ২০২৩ সালে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন। এ নির্বাচনে তাঁর জামানত বাতিল হয়। খুলনার আলোচিত মুশফিক ওই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে নিজেকে খুলনার মেয়র হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজেকে মেয়র হিসেবে দাবি করে বলেন, ‘২০২৩ সালে খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে আমি প্রার্থী হই। কিন্তু আমার মনোনয়ন বাতিল করা হলে উচ্চ আদালতের রায়ে প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে নির্বাচন করি। নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক কারচুপি হয়। খুলনা ডিসির কার্যালয়ে থাকা ডিভাইস কারচুপি করে আমাকে পরাজিত করা হয়।’
লিখিত বক্তব্যে শফিকুর রহমান মুশফিক বলেন, ২০২৩ সালের নির্বাচনে আমি বিজয়ী হয়েছি। এই জালিয়াতির নির্বাচনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হই। তার আগে গত ২০ এপ্রিল প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের নিকট আবেদন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হই। ৬ মে উচ্চ আদালত এক আদেশে ২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি করপোরেশনের ‘নির্বাচনের ফলাফল বাতিল’ এবং আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে সংবাদ সম্মেলনে এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক হাইকোর্টের রিট এবং আদেশের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তিনি বলেন, জনতার রায়ের মেয়র হিসেবে ভবিষ্যতে নাগরিক সেবায় অংশ নেব। নগর ভবনেই আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে পরবর্তীকালে দেখা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে একাধিক হত্যা মামলার আসামি হিসেবে স্বীকার করে মুশফিক বলেন, ‘টুটুল হত্যা মামলায় ফাঁসির রায় হয়েছিল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে বাংলার আনাচেকানাচে জিন্দা লাশের মতো ঘুরে বেড়িয়েছি। পরে উচ্চ আদালতে বেকসুর খালাস পাই।’ তিনি মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছেন বলে জানান। তিনি জানান, ১৯৯০ সালে খুলনা আর্ট কলেজের এজিএস এবং পরে জিএস নির্বাচিত হন। এরপরই একটি স্বার্থান্বেষী মহল মিথ্যা মামলা দেয়।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ২০০৮ সালের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-১ আসনে পরাজিত হন। এ ছাড়া ২০১৮ সালে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেয়ে এবং ২০২৩ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচন করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৩ সালের খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত তালকুদার আব্দুল খালেক ৬০.৪১ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের আব্দুল আউয়াল পান ২৩.৪৪ শতাংশ ভোট। এরপর জাতীয় পার্টির (এরশাদ) শফিকুল ইসলাম মধু ৭.০৫ ভোট, এস এম শফিকুর রহমান ৬.৭২ এবং জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন পান ২.৩৮ শতাংশ ভোট। এ নির্বাচনে চতুর্থ স্থান লাভ করে এস এম শফিকুর রহমান জামানত হারান।
২০১৮ সালের নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করে জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক ভোট পেয়েছিলেন মাত্র ১ হাজার ৭২ ভোট। এ নির্বাচনেও তিনি জামানত হারান।
এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক। খুলনার রাজনীতিতে একটি আলোচিত নাম। একসময় ছিলেন খুলনার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তবে এখন সে তালিকায় তাঁর নাম নেই। হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ফেরারি ছিলেন। ছিলেন খুলনার প্রভাবশালী ও জাতীয় পার্টির খুলনা মহানগর সভাপতি শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলার আসামি। কখনো বিএনপি, কখনো জাতীয় পার্টি, আবার কখনো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে একাধিকবার জামানত হারিয়েছেন।
সর্বশেষ ২০২৩ সালে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন। এ নির্বাচনে তাঁর জামানত বাতিল হয়। খুলনার আলোচিত মুশফিক ওই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে নিজেকে খুলনার মেয়র হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজেকে মেয়র হিসেবে দাবি করে বলেন, ‘২০২৩ সালে খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে আমি প্রার্থী হই। কিন্তু আমার মনোনয়ন বাতিল করা হলে উচ্চ আদালতের রায়ে প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে নির্বাচন করি। নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক কারচুপি হয়। খুলনা ডিসির কার্যালয়ে থাকা ডিভাইস কারচুপি করে আমাকে পরাজিত করা হয়।’
লিখিত বক্তব্যে শফিকুর রহমান মুশফিক বলেন, ২০২৩ সালের নির্বাচনে আমি বিজয়ী হয়েছি। এই জালিয়াতির নির্বাচনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হই। তার আগে গত ২০ এপ্রিল প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের নিকট আবেদন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হই। ৬ মে উচ্চ আদালত এক আদেশে ২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি করপোরেশনের ‘নির্বাচনের ফলাফল বাতিল’ এবং আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে সংবাদ সম্মেলনে এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক হাইকোর্টের রিট এবং আদেশের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তিনি বলেন, জনতার রায়ের মেয়র হিসেবে ভবিষ্যতে নাগরিক সেবায় অংশ নেব। নগর ভবনেই আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে পরবর্তীকালে দেখা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে একাধিক হত্যা মামলার আসামি হিসেবে স্বীকার করে মুশফিক বলেন, ‘টুটুল হত্যা মামলায় ফাঁসির রায় হয়েছিল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে বাংলার আনাচেকানাচে জিন্দা লাশের মতো ঘুরে বেড়িয়েছি। পরে উচ্চ আদালতে বেকসুর খালাস পাই।’ তিনি মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছেন বলে জানান। তিনি জানান, ১৯৯০ সালে খুলনা আর্ট কলেজের এজিএস এবং পরে জিএস নির্বাচিত হন। এরপরই একটি স্বার্থান্বেষী মহল মিথ্যা মামলা দেয়।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ২০০৮ সালের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-১ আসনে পরাজিত হন। এ ছাড়া ২০১৮ সালে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেয়ে এবং ২০২৩ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচন করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৩ সালের খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত তালকুদার আব্দুল খালেক ৬০.৪১ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের আব্দুল আউয়াল পান ২৩.৪৪ শতাংশ ভোট। এরপর জাতীয় পার্টির (এরশাদ) শফিকুল ইসলাম মধু ৭.০৫ ভোট, এস এম শফিকুর রহমান ৬.৭২ এবং জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন পান ২.৩৮ শতাংশ ভোট। এ নির্বাচনে চতুর্থ স্থান লাভ করে এস এম শফিকুর রহমান জামানত হারান।
২০১৮ সালের নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করে জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক ভোট পেয়েছিলেন মাত্র ১ হাজার ৭২ ভোট। এ নির্বাচনেও তিনি জামানত হারান।
বাংলাদেশে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে, এটা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। গণতন্ত্রের পথ কেউ যাতে রুদ্ধ করতে না পারে, সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাব, কারও উসকানিতে পা দেওয়া যাবে না। এটা তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত। আমরা নতুন সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে চাই, সহনশীল থাকতে হবে সবাইকে।
২৩ মিনিট আগেপ্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে আমরা আমাদের সরকারের বিবৃতি দিয়েছি। আজ রাতে মিটিং আছে, সেখানে আইসিটি অ্যাক্টের অধ্যাদেশ প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করতেই আজ রাতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি মিটিং।’
৪১ মিনিট আগেকক্সবাজার উপকূলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করায় ১২০ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ১১টি নৌকা, বিপুল অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ করা হয়। গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা শহীদ ফরিদ’ দিয়ে এই অভিযান চালানো হয়। আজ শনিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুরের সালথায় আকিকার মাংস ভাগাভাগি নিয়ে দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব থেকে হিংসা-প্রতিহিংসা ছড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে। আধিপত্য ধরে রাখতে সর্বশেষ এক পক্ষ সহস্রাধিক লোক ভাড়া করে এনে প্রতিপক্ষের অন্তত ৩০টি বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
১ ঘণ্টা আগে