ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে গ্রেপ্তার রিকশাচালক আজিজুর রহমানের বৃদ্ধ মা-বাবা ও ছোট ভাই সবাই প্রতিবন্ধী।
আজিজুর রহমানের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়শাল গ্রামে। ওই গ্রামের মধ্যপাড়ার আতিয়ার মণ্ডলের বড় ছেলে তিনি। গ্রামে তাঁর পরিবারের তিন সদস্যের মধ্যে বৃদ্ধ মা-বাবা ও এক ভাই রয়েছেন। তাঁরা সবাই শারীরিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তিন বছর আগে গ্রাম ছেড়ে জীবিকার সন্ধানে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় যান আজিজুর রহমান।
আজ রোববার আজিজুরের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশে জঙ্গলে ঢাকা একটি জরাজীর্ণ টিন ও পাটকাঠির ছাপড়া ঘরের মধ্যে বসবাস করেন আজিজুরের মা-বাবা। বৃদ্ধ বাবা আতিয়ার রহমান ও মা নুরি বেগম শারীরিক প্রতিবন্ধী। ছোট ভাই ইঞ্জিল বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। আজিজুরের গ্রেপ্তারের খবর শুনে তাঁদের চোখেমুখে অনিশ্চয়তার চিন্তার ছাপ দেখা যায়। ছেলেকে মারধর আর গ্রেপ্তারের ভিডিও মোবাইল ফোনে দেখার পর থেকে অঝোরে কাঁদছিলেন মা।
এলাকাবাসী ও আজিজুরের স্বজনেরা জানান, স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির গণ্ডি না পেরোতেই আজিজুরকে সংসারের হাল ধরতে হয়। কখনো রাজমিস্ত্রির সহকারী, আবার কখনো অন্যের জমিতে কাজ করে বাবার সংসার চালাতেন। তিন বছর আগে জীবিকার সন্ধানে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় যান আজিজুর। সেখানে রিকশা চালিয়ে যা উপার্জন হতো, তা দিয়েই চলত তাঁদের সংসার। পাশাপাশি গ্রামের বাড়িতে টাকা পাঠাতেন। সেই টাকা দিয়েই অসুস্থ মা-বাবা ও ভাই কোনোমতে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছিলেন। কিন্তু আজিজুর গ্রেপ্তার হওয়ার পর পরিবারের চুলায় আগুন জ্বলছে না। না খেয়ে দিন কাটছে তিনজনের। বৃদ্ধ মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে যা খাবার পাচ্ছেন, তা খেয়ে পার হচ্ছে দিন।
স্বজনেরা বলছেন, আজিজুর কখনোই কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। আজিজুর দ্রুত মুক্তি না পেলে তাঁর মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের না খেয়ে দিন পার করতে হবে।
আজিজুর রহমানের মা নুরি বেগম বলেন, ‘ছেলের পাঠানো টাকা দিয়ে কোনোমতে সংসার চালে। ভাঙাচোরা ঘরে থাকতে কষ্ট হয়। তার ওপর আমরা তিনজনই অসুস্থ। ছেলে টাকা না পাঠালে না খেয়ে মরতে হবে। আজিজুর কোনো দিন রাজনীতি করেনি। ছোটবেলা থেকেই কর্মঠ ছিল। কেন যে ৩২ নম্বরে ফুল দিতে গেল ছেলেটা। মোবাইলে মারধরের ভিডিও দেখে কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে। রাতে ঘুম হচ্ছে না। ছেলের ওপর হামলা হচ্ছে—এমন ভিডিও দেখে কোনো মা কি সহ্য করতে পারে? আজিজুরকে মুক্তির জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।’
আজিজুরকে মারধর ও গ্রেপ্তারের ভিডিও দেখে কাঁদতে কাঁদতে আজিজুরের বাড়িতে এসেছেন তাঁর খালা সিকারুন বেগম। বোনের ছেলের সঙ্গে এমন ঘটনায় খাওয়াদাওয়া বন্ধ হয়েছে তাঁরও। তিনিও দ্রুত আজিজুরের মুক্তি চান।
গ্রামের বাসিন্দা হামিদুর রহমান বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে আজিজুর শান্ত প্রকৃতির। কারও সঙ্গে ঝামেলা বা রাজনীতি করা এসব তার অপছন্দ ছিল। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাকে মিশতেও দেখিনি। কিন্তু মোবাইলে দেখলাম সে ফুল নিয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে জনতার হাতে মারধরের শিকার হয়েছে। পরে তাকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময়ের একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে আজিজুরকে কারাগারে পাঠানো হয়। আমরা গ্রামবাসী তার মুক্তি চাই। সে মুক্তি না পেলে তার পরিবার না খেয়ে মরবে।’
পাশের এলাকার হযরত আলী বিশ্বাস বলেন, একজন অন্যজনকে ভালোবাসতেই পারেন। এ জন্য তিনি ওই দল করেন বা করতে হবে—এমনটা নয়। ভালোবাসতে দল করা লাগে না। আজিজুরের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে গ্রেপ্তার রিকশাচালক আজিজুর রহমানের বৃদ্ধ মা-বাবা ও ছোট ভাই সবাই প্রতিবন্ধী।
আজিজুর রহমানের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়শাল গ্রামে। ওই গ্রামের মধ্যপাড়ার আতিয়ার মণ্ডলের বড় ছেলে তিনি। গ্রামে তাঁর পরিবারের তিন সদস্যের মধ্যে বৃদ্ধ মা-বাবা ও এক ভাই রয়েছেন। তাঁরা সবাই শারীরিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তিন বছর আগে গ্রাম ছেড়ে জীবিকার সন্ধানে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় যান আজিজুর রহমান।
আজ রোববার আজিজুরের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশে জঙ্গলে ঢাকা একটি জরাজীর্ণ টিন ও পাটকাঠির ছাপড়া ঘরের মধ্যে বসবাস করেন আজিজুরের মা-বাবা। বৃদ্ধ বাবা আতিয়ার রহমান ও মা নুরি বেগম শারীরিক প্রতিবন্ধী। ছোট ভাই ইঞ্জিল বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। আজিজুরের গ্রেপ্তারের খবর শুনে তাঁদের চোখেমুখে অনিশ্চয়তার চিন্তার ছাপ দেখা যায়। ছেলেকে মারধর আর গ্রেপ্তারের ভিডিও মোবাইল ফোনে দেখার পর থেকে অঝোরে কাঁদছিলেন মা।
এলাকাবাসী ও আজিজুরের স্বজনেরা জানান, স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির গণ্ডি না পেরোতেই আজিজুরকে সংসারের হাল ধরতে হয়। কখনো রাজমিস্ত্রির সহকারী, আবার কখনো অন্যের জমিতে কাজ করে বাবার সংসার চালাতেন। তিন বছর আগে জীবিকার সন্ধানে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় যান আজিজুর। সেখানে রিকশা চালিয়ে যা উপার্জন হতো, তা দিয়েই চলত তাঁদের সংসার। পাশাপাশি গ্রামের বাড়িতে টাকা পাঠাতেন। সেই টাকা দিয়েই অসুস্থ মা-বাবা ও ভাই কোনোমতে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছিলেন। কিন্তু আজিজুর গ্রেপ্তার হওয়ার পর পরিবারের চুলায় আগুন জ্বলছে না। না খেয়ে দিন কাটছে তিনজনের। বৃদ্ধ মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে যা খাবার পাচ্ছেন, তা খেয়ে পার হচ্ছে দিন।
স্বজনেরা বলছেন, আজিজুর কখনোই কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। আজিজুর দ্রুত মুক্তি না পেলে তাঁর মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের না খেয়ে দিন পার করতে হবে।
আজিজুর রহমানের মা নুরি বেগম বলেন, ‘ছেলের পাঠানো টাকা দিয়ে কোনোমতে সংসার চালে। ভাঙাচোরা ঘরে থাকতে কষ্ট হয়। তার ওপর আমরা তিনজনই অসুস্থ। ছেলে টাকা না পাঠালে না খেয়ে মরতে হবে। আজিজুর কোনো দিন রাজনীতি করেনি। ছোটবেলা থেকেই কর্মঠ ছিল। কেন যে ৩২ নম্বরে ফুল দিতে গেল ছেলেটা। মোবাইলে মারধরের ভিডিও দেখে কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে। রাতে ঘুম হচ্ছে না। ছেলের ওপর হামলা হচ্ছে—এমন ভিডিও দেখে কোনো মা কি সহ্য করতে পারে? আজিজুরকে মুক্তির জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।’
আজিজুরকে মারধর ও গ্রেপ্তারের ভিডিও দেখে কাঁদতে কাঁদতে আজিজুরের বাড়িতে এসেছেন তাঁর খালা সিকারুন বেগম। বোনের ছেলের সঙ্গে এমন ঘটনায় খাওয়াদাওয়া বন্ধ হয়েছে তাঁরও। তিনিও দ্রুত আজিজুরের মুক্তি চান।
গ্রামের বাসিন্দা হামিদুর রহমান বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে আজিজুর শান্ত প্রকৃতির। কারও সঙ্গে ঝামেলা বা রাজনীতি করা এসব তার অপছন্দ ছিল। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাকে মিশতেও দেখিনি। কিন্তু মোবাইলে দেখলাম সে ফুল নিয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে জনতার হাতে মারধরের শিকার হয়েছে। পরে তাকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময়ের একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে আজিজুরকে কারাগারে পাঠানো হয়। আমরা গ্রামবাসী তার মুক্তি চাই। সে মুক্তি না পেলে তার পরিবার না খেয়ে মরবে।’
পাশের এলাকার হযরত আলী বিশ্বাস বলেন, একজন অন্যজনকে ভালোবাসতেই পারেন। এ জন্য তিনি ওই দল করেন বা করতে হবে—এমনটা নয়। ভালোবাসতে দল করা লাগে না। আজিজুরের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের অর্থ পাচারে এজেন্ট হিসেবে কাজ করা আরামিট পিএলসির এজিএম উৎপল পাল ও জাবেদের দেশের সম্পদ দেখাশোনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরামিট থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেডের এজিএম আব্দুল আজিজকে তিন মামলায় গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখিয়েছেন আদালত।
৫ মিনিট আগেচাঁদপুরে ‘অর্পণ’ নামের একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর ওই কেন্দ্রে থাকা রোগীদের পাঠানো হয়েছে পরিবারের জিম্মায়। রোগীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে খাবারে অনিয়ম, অমানবিক আচরণ ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল তারা।
৯ মিনিট আগেটিকটক করতে গিয়ে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের উত্তর পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১১ মিনিট আগেসাইপ্রাসে যাওয়ার ১৩ দিনের মাথায় সাততলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে হাফিজুর রহমান (৪৫) নামে এক বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। হাসপাতালে ছয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গত মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান।
২৬ মিনিট আগে