Ajker Patrika

কুয়েট হলের ৩৪ লাখ টাকা তোলা হলো প্রভোস্টের ‘পারিবারিক প্রয়োজনে’

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) রোকেয়া হলের ৩৪ লাখ টাকা এক দিনে ব্যাংক থেকে তুলে হল প্রভোস্ট তাঁর পারিবারিক কাজে ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ খবর জানাজানি হওয়ার পর আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই টাকা হলে ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কুয়েটের সাতটি হলের মধ্যে রোকেয়া হলটি ছাত্রীদের। এই হলের প্রভোস্ট হলেন অধ্যাপক মো. আশরাফুল আলম। আর এই ৩৪ লাখ টাকা হলের সংস্কারকাজে ব্যয় করার কথা ছিল বলে জানা গেছে।

হল প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভোস্টের যৌথ স্বাক্ষরে টাকা উঠলেও সহকারী হল প্রভোস্ট তাসমি আক্তারের দাবি, তিনি চেকে স্বাক্ষর করে চলে যান। সেখানে অ্যামাউন্ট বসিয়ে ৩৪ লাখ টাকা উঠিয়েছেন প্রভোস্ট।

জনতা ব্যাংকের কুয়েট করপোরেট শাখার স্টেটমেন্টে দেখা যায়, গত ২৯ জুলাই এ টাকা ওঠানো হয়। এ বিষয়ে ব্যাংক ম্যানেজার আব্দুল হামিদ বলেন, ১০ লাখ টাকার ওপরে কেউ তুললে সেটি শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকে রিপোর্ট করতে হয়। এ ক্ষেত্রেও সেটিই করা হয়েছে। তা ছাড়া হিসাবধারী বা যাঁর বা যাঁদের স্বাক্ষরে টাকা ওঠানোর কথা, তাঁর বা তাঁদের স্বাক্ষরে চেক এলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা দিতে বাধ্য।

জানতে চাইলে কুয়েটের রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. আশরাফুল আলম বলেন, পারিবারিক কারণে টাকাটা ওঠানো হয়েছিল। পরে সেটি জমা দেওয়ার জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে কয়েক কিস্তিতে জমা দেওয়া হবে। পারিবারিক কাজে এভাবে হলের টাকা ওঠানোর সুযোগ আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি লোনের জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। লোন পেলেই টাকাটা সমন্বয় করা হবে।

এদিকে কুয়েটের একটি সূত্র জানায়, হল প্রভোস্ট আশরাফুলের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট হিসেবে তিনি দায়িত্ব পান। এর পরপরই তিনি তাঁর এক আত্মীয়কে হলে চাকরি দেন। এ ছাড়া অর্থের বিনিময়ে প্লাম্বার পদে একজন, লাইব্রেরিয়ান পদে দুজন, ঝাড়ুদার পদে একজন এবং সুইপার পদে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল আলম বলেন, তিনি চেষ্টা করছেন স্বচ্ছতার ভিত্তিতে দায়িত্ব পালনের।

জানতে চাইলে কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী বলেন, ‘হলের টাকা কীভাবে উত্তোলন হলো, সেটি হল প্রভোস্ট এবং যাঁরা এর সঙ্গে দায়িত্বে নিয়োজিত, তাঁরাই ভালো জানেন। আমার কাছে অভিযোগ এলে সেটি নিয়ে কী করা যায়, তখন দেখা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফেল করায় বকা খেয়ে বাড়ি ছাড়ে বাংলাদেশি কিশোরী, ভারতে ৩ মাসে ২০০ লোকের ধর্ষণ

‘বিচারপতি খায়রুলকে হাতকড়া পরানো মানে পুরো বিচার বিভাগকে হাতকড়া পরানো’

রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আটক

কোথাও ঘুরতে ইচ্ছা করলে আমাকে জানাবে—ছাত্রীকে খুবি অধ্যাপক

আগামী সপ্তাহের মধ্যে ৫ ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু: গভর্নর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত