কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার কয়রা উপজেলার শাকবাড়ীয়া নদীপারের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম। সুন্দরবন থেকে মাছ শিকার করে চলে তাঁর পরিবার। দীর্ঘ তিন মাসের নিষেধাজ্ঞায় মাছ শিকারে প্রবেশ করতে পারেননি সুন্দরবনে। অর্ধাহারে দিন কাটে তাঁর পরিবারের। ঋণগ্রস্তও হয়ে পড়েন। গত শুক্রবার থেকে সুন্দরবনের দ্বার খুললেও বন বিভাগের দেওয়া নতুন শর্তে কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
কামরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, এত দিন সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় পরিবার নিয়ে অর্ধাহারে তাঁদের দিন কেটেছে। প্রত্যেকের ঋণের বোঝাও বেড়েছে। এখন আবার বন বিভাগ নতুন নির্দেশনা দিয়েছে, নির্ধারিত খালের বাইরে মাছ ও কাঁকড়া ধরা যাবে না। এভাবে চললে বেশি মাছও ধরা যাবে না, ধারদেনাও শোধ করতে পারবেন না তাঁরা।
বন বিভাগের পক্ষ থেকে জেলেদের অনুমতিপত্র নবায়ন করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট খালের নাম উল্লেখসহ বেশ কয়েকটি নতুন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে শুধু জেলে কামরুল নয়, বন বিভাগের নতুন শর্তে অস্বস্তিতে পড়েছেন সুন্দরবন উপকূলের কয়েক হাজার জেলে ও বাওয়ালি।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনে বিষ-দস্যুতা নিয়ন্ত্রণে খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সুন্দরবনের প্রতিটি ফরেস্ট স্টেশনকে জেলেদের অনুমতিপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি নির্দেশ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে হচ্ছে জেলেদের অনুমতিপত্রে মাছ ধরার নির্দিষ্ট খালের নাম লিখে দিতে হবে। অনুমতিপত্রের মেয়াদ অনুযায়ী জেলেরা টানা সাত দিন একই খালে অবস্থান করবেন। অন্য কোথাও মাছ ধরতে যাওয়া যাবে না।
এ ছাড়া সুন্দরবনে অবস্থানকারী জেলেদের তালিকা বনরক্ষীদের ক্যাম্প কর্মকর্তার কাছেও থাকবে। বনরক্ষীরা তালিকা অনুযায়ী প্রতিটি খালে টহল দিয়ে জেলেদের নৌকা যাচাই করে দেখবেন। নির্দেশনা না মানলে জরিমানাসহ অনুমতিপত্র বাতিলের বিষয়টিও রয়েছে ওই নির্দেশনায়।
গতকাল শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, সুন্দরবনের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনে জেলেরা কেউ মাছ ধরার জাল টেনে নৌকায় তুলছেন। কেউবা নৌকার সামনের অংশে বরফ আর প্রয়োজনীয় বাজার রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সুন্দরবন যাত্রার। কেউ অনুমতিপত্র (পাস) না পেয়ে বন বিভাগের কার্যালয়ের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছেন। আবার কেউবা অনুমতিপত্র নিয়ে সুন্দরবনে মাছ ধরার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন। তবে সব জেলের মন খারাপ।
জেলেরা জানান, এবার কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন থেকে অনুমতিপত্র নেওয়া জেলেরা ওই স্টেশনের অধীন সুন্দরবনের বাইরের খালে মাছ ধরতে পারবেন না। জেলেদের অনুমতিপত্রে এবারই প্রথম নির্দিষ্ট করে খালের নাম উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ বিগত বছরগুলোয় অনুমতিপত্র যেখানেরই হোক, অভয়ারণ্য বাদে সুন্দরবনের যেকোনো খালে মাছ শিকার করা যেত। নির্দিষ্ট খালে মাছ ধরার এই নির্দেশনায় জেলেদের মুখ মলিন হয়ে গেছে। পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া নিয়ে তাঁরা শঙ্কায় রয়েছেন।
কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনে নদীতে বেঁধে রাখা নৌকার পাটাতন সংস্কার করছিলেন জেলে আবু মুসা। তিনি বলেন, ‘এই স্টেশন থেকে অনুমতিপত্র নিয়েছেন ৯ শতাধিক জেলে। অথচ এখানে নদী ও খালের সংখ্যা কম। এখন যদি বাইরে কোথাও মাছ না ধরতে দেয়, তাহলে এক জায়গায় একাধিক জেলে মাছ ধরলে মাছ পাবেন না। আমরা বড্ড বিপদে পড়েছি। তবু জীবিকার তাগিদে বনে যাচ্ছি, দেখি কী হয়।’
সুন্দরবনের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা শ্যামা প্রসাদ রায় বলেন, ‘এই স্টেশনের আওতায় ৯৪৩টি নৌকার অনুমতিপত্র রয়েছে। এত দিন সুন্দরবনকেন্দ্রিক একটি মহাজন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জেলেরা এক স্টেশন থেকে পাস নিয়ে অন্য স্টেশনের আওতাধীন বনের নিষিদ্ধ এলাকা অভয়ারণ্যে চলে যেতেন। খাল নির্দিষ্ট করে দেওয়ায় তাঁরা আর এ সুযোগ পাবেন না।’
সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এ জেড এম হাসানুর রহমান বলেন, শুক্রবার থেকে সুন্দরবনে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতিপত্র দেওয়া হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত খুলনা রেঞ্জের ২৬৫টি নৌকায় অনুমতিপত্র নিয়ে ১ হাজার ৭৭৬ জন জেলে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন।
খুলনার কয়রা উপজেলার শাকবাড়ীয়া নদীপারের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম। সুন্দরবন থেকে মাছ শিকার করে চলে তাঁর পরিবার। দীর্ঘ তিন মাসের নিষেধাজ্ঞায় মাছ শিকারে প্রবেশ করতে পারেননি সুন্দরবনে। অর্ধাহারে দিন কাটে তাঁর পরিবারের। ঋণগ্রস্তও হয়ে পড়েন। গত শুক্রবার থেকে সুন্দরবনের দ্বার খুললেও বন বিভাগের দেওয়া নতুন শর্তে কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
কামরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, এত দিন সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় পরিবার নিয়ে অর্ধাহারে তাঁদের দিন কেটেছে। প্রত্যেকের ঋণের বোঝাও বেড়েছে। এখন আবার বন বিভাগ নতুন নির্দেশনা দিয়েছে, নির্ধারিত খালের বাইরে মাছ ও কাঁকড়া ধরা যাবে না। এভাবে চললে বেশি মাছও ধরা যাবে না, ধারদেনাও শোধ করতে পারবেন না তাঁরা।
বন বিভাগের পক্ষ থেকে জেলেদের অনুমতিপত্র নবায়ন করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট খালের নাম উল্লেখসহ বেশ কয়েকটি নতুন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে শুধু জেলে কামরুল নয়, বন বিভাগের নতুন শর্তে অস্বস্তিতে পড়েছেন সুন্দরবন উপকূলের কয়েক হাজার জেলে ও বাওয়ালি।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনে বিষ-দস্যুতা নিয়ন্ত্রণে খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সুন্দরবনের প্রতিটি ফরেস্ট স্টেশনকে জেলেদের অনুমতিপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি নির্দেশ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে হচ্ছে জেলেদের অনুমতিপত্রে মাছ ধরার নির্দিষ্ট খালের নাম লিখে দিতে হবে। অনুমতিপত্রের মেয়াদ অনুযায়ী জেলেরা টানা সাত দিন একই খালে অবস্থান করবেন। অন্য কোথাও মাছ ধরতে যাওয়া যাবে না।
এ ছাড়া সুন্দরবনে অবস্থানকারী জেলেদের তালিকা বনরক্ষীদের ক্যাম্প কর্মকর্তার কাছেও থাকবে। বনরক্ষীরা তালিকা অনুযায়ী প্রতিটি খালে টহল দিয়ে জেলেদের নৌকা যাচাই করে দেখবেন। নির্দেশনা না মানলে জরিমানাসহ অনুমতিপত্র বাতিলের বিষয়টিও রয়েছে ওই নির্দেশনায়।
গতকাল শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, সুন্দরবনের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনে জেলেরা কেউ মাছ ধরার জাল টেনে নৌকায় তুলছেন। কেউবা নৌকার সামনের অংশে বরফ আর প্রয়োজনীয় বাজার রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সুন্দরবন যাত্রার। কেউ অনুমতিপত্র (পাস) না পেয়ে বন বিভাগের কার্যালয়ের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছেন। আবার কেউবা অনুমতিপত্র নিয়ে সুন্দরবনে মাছ ধরার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন। তবে সব জেলের মন খারাপ।
জেলেরা জানান, এবার কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন থেকে অনুমতিপত্র নেওয়া জেলেরা ওই স্টেশনের অধীন সুন্দরবনের বাইরের খালে মাছ ধরতে পারবেন না। জেলেদের অনুমতিপত্রে এবারই প্রথম নির্দিষ্ট করে খালের নাম উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ বিগত বছরগুলোয় অনুমতিপত্র যেখানেরই হোক, অভয়ারণ্য বাদে সুন্দরবনের যেকোনো খালে মাছ শিকার করা যেত। নির্দিষ্ট খালে মাছ ধরার এই নির্দেশনায় জেলেদের মুখ মলিন হয়ে গেছে। পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া নিয়ে তাঁরা শঙ্কায় রয়েছেন।
কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনে নদীতে বেঁধে রাখা নৌকার পাটাতন সংস্কার করছিলেন জেলে আবু মুসা। তিনি বলেন, ‘এই স্টেশন থেকে অনুমতিপত্র নিয়েছেন ৯ শতাধিক জেলে। অথচ এখানে নদী ও খালের সংখ্যা কম। এখন যদি বাইরে কোথাও মাছ না ধরতে দেয়, তাহলে এক জায়গায় একাধিক জেলে মাছ ধরলে মাছ পাবেন না। আমরা বড্ড বিপদে পড়েছি। তবু জীবিকার তাগিদে বনে যাচ্ছি, দেখি কী হয়।’
সুন্দরবনের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা শ্যামা প্রসাদ রায় বলেন, ‘এই স্টেশনের আওতায় ৯৪৩টি নৌকার অনুমতিপত্র রয়েছে। এত দিন সুন্দরবনকেন্দ্রিক একটি মহাজন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জেলেরা এক স্টেশন থেকে পাস নিয়ে অন্য স্টেশনের আওতাধীন বনের নিষিদ্ধ এলাকা অভয়ারণ্যে চলে যেতেন। খাল নির্দিষ্ট করে দেওয়ায় তাঁরা আর এ সুযোগ পাবেন না।’
সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এ জেড এম হাসানুর রহমান বলেন, শুক্রবার থেকে সুন্দরবনে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতিপত্র দেওয়া হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত খুলনা রেঞ্জের ২৬৫টি নৌকায় অনুমতিপত্র নিয়ে ১ হাজার ৭৭৬ জন জেলে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন।
কুমিল্লা নগরীতে ফাঙ্গাসযুক্ত মিষ্টি বিক্রিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ রোববার (২২ জুন) বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নগরীর কান্দিরপাড়, মনোহরপুর ও বাদুরতলা এলাকায় এই অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর কুমিল্লা।
২ মিনিট আগেদুই মাস আগে উদ্বোধন করা নোয়াখালী হাতিয়ায় ফজলুল আজিম মাছের ঘাটের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। আজ রোববার উপজেলা সদরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে নাম পরিবর্তনের এই ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা।
৬ মিনিট আগেমেহরীন আহমেদ বলেন, ‘আমার মা ও বাবা আমাকে নির্যাতন করে। আমি সুন্দর একটা জীবন চাই। জাস্টিস পেতে আদালতে এসেছি।’
৭ মিনিট আগেনাটোরের লালপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উপজেলা সমন্বয় কমিটিতে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের পদ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে সাবেক কৃষক লীগ নেতা মো. হুমায়ুন কবির ও যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে গোপালপুর পৌর জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রান্টু দায়িত্ব
১২ মিনিট আগে