Ajker Patrika

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে এল ৪০০ টন আলু

বেনাপোল প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৪, ২১: ০৫
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে এল ৪০০ টন আলু

রমজানে চাহিদা বাড়ায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আবারও ভারত থেকে আলু আমদানি হচ্ছে। গত দুই দিনে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুটি চালানে ৪০০ টন আলু আমদানি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ৮ ট্রাকে দুই ২০০ টন আলু বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এর আগের দিনে বুধবার আরও ৮ ট্রাকে ২০০ টন আলু আমদানি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম। 

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস। আলুর চালান বন্দর থেকে খালাস নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন ট্রান্সমেরিন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। 

ট্রান্সমেরিন লজিস্টিক লিমিটেড সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লা জানান, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার ভারতীয় ১৬টি ট্রাকে ৪০০ টন আলু আমদানি করা হয়েছে। যার প্রতি টন আলুর আমদানি খরচ পড়ছে ১৯৪ মার্কিন ডলার। আলুর চালানটি আগামীকাল রোববার খালাস হবে। 

এ বিষয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজ খান জানান, আমদানি করা ৪০০ টন আলু বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। আমদানিকারক খালাসের অনুমতি চাইলে দ্রুত ছাড়করণের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এর আগে গত বছর ২ ডিসেম্বরে তিন ট্রাকে ৭৪ টন আলু আমদানি হয়। এরপর এটা দ্বিতীয় ও তৃতীয় চালানে আলু আমদানি হলো। 

বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্দরে ভারত থেকে ৪০০ টন আলু আমদানি হয়েছে। আমদানিকারকের পক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে আলুর মান পরীক্ষা শেষে খালাসের অনুমতি দেওয়া হবে।’ 

রমজানে চাহিদা বাড়ায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আবারও ভারত থেকে আলু আমদানি। ছবি: আজকের পত্রিকাএদিকে বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘দেশের বাজারে বর্তমানে আলুর কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে রয়েছে, যা সহনীয় পর্যায়ে। বর্তমানে আলুর চেয়ে পেঁয়াজ, চিনি, গম ও চালের দাম ঊর্ধ্বগতি রয়েছে, এগুলো আমদানির প্রয়োজন। কিন্তু ভারত অংশে কঠিন শর্ত আর নিষেধাজ্ঞায় এসব পণ্য আমদানি করা অনেক দিন ধরে সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে আবারও সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত