রুবায়েত হোসেন, খুবি
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়াসহ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ক্যাফেটেরিয়ার খাবার। হল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের দোকানগুলি থেকে প্রতিটি খাবারের দামই বেশি। কিন্তু দাম অনুযায়ী ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের মান আশানুরূপ নয় বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের দাম বেশি থাকায় আবাসিক হল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ইসলামনগর রোডের (হল রোড) দোকানগুলো থেকে খাবার সংগ্রহ করার চেষ্টা করেন তাঁরা। তবে দুপুরে ক্লাস বিরতিতে হলে গিয়ে খাবার খেয়ে আসা একটু কষ্টকর তাই ক্যাফেটেরিয়া থেকে বেশি দামে খাবার খেতে হয় অনেক সময়ই। কিন্তু দাম অনুযায়ী খাবারের মান এবং পরিমাণ নিয়ে সন্তুষ্ট নন তাঁরা।
ক্যাফেটেরিয়ায় খেতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে বলেন, এমনিতেই মেসে থাকতে হয় বলে, খরচ বেশি হয়। ক্যাম্পাসে এসে অপেক্ষাকৃত কম দামে খাব, কিন্তু সেখানেও দাম অনেক বেশি। এদিকে খাবারের দাম বাড়লেও মান আগের তুলনায় কমেছে। ফলে অনেক সময় না খেয়েই ক্লাস করতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাফেটেরিয়ায় শুধু খাবারের সমস্যা না, রয়েছে কর্মচারীর সংকটও। ক্যাফেটেরিয়ায় পরোটার নাম শাহি পরোটা দিয়ে দাম রাখা হয় ১০ টাকা, ডাল ১০ টাকা। এগুলোর দাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোয় ৫ টাকা। খিচুড়ি হলে ২০ টাকা হলেও ক্যাফেটেরিয়ায় ২৫ টাকা। ক্যাফেটেরিয়ায় মাছ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, যা হলে ৩৫ টাকা। ছোট মাছ ৪০ টাকা, যা হলে ৩০ টাকা, ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তা ১৫ টাকা কিন্তু হলে ৫ টাকা। বেশির ভাগ খাবারের দাম ক্যাফেটেরিয়ায় ৫ থেকে ১৫ টাকা বেশি।
বিরিয়ানি খেতে পরিশোধ করতে হয় ৮০ টাকা যা ইসলামনগর রোডে ৭০ টাকা এবং আবাসিক হলে ৬০ টাকা, বারবিকিউ এবং গ্রিলের আট ভাগের এক ভাগ ৭০ টাকা, যেটি হল রোডে ৫৫-৬০ টাকা। প্রতিটি খাবারে হল অথবা হল রোডের দামের চেয়ে এভাবে বেশি দিয়ে খাবার কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া সব সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার না পাওয়ার কথাও জানান তাঁরা।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী এস এম ফাতিমা আক্তার বলেন, ‘ঠান্ডা পরোটাতো সব সময়ই দেয়, কিন্তু কয়েক দিন আগে বাসি সবজি আর গন্ধযুক্ত পরোটা দিয়েছিল। খাবারের দামও অনেক বেশি। যেমন অন্যান্য জায়গায় ৫ টাকায় শিঙাড়া পাওয়া গেলেও এখানে ৬ টাকা। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে তাদের আচরণে সব সময় বিরক্তির ভাব। তারা একে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া নয় বরং হোটেল হিসেবেই চালাচ্ছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘নতুন ক্যাফেটেরিয়ার খাবার প্রথম দিকে কিছুটা ভালো হলেও পরবর্তীতে এর মান কমতে থাকে। যেহেতু এটি ভার্সিটির ক্যাফে সেহেতু খাবারের মান এবং দাম দুটোর দিকেই নজর দেওয়া উচিত। কিন্তু বাইরে থেকে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কাজে বা ঘুরতে আসেন তাদের একটা বড় অংশ ক্যাফেটেরিয়ায় খায় বলে তাদের ভালো বেচাকেনা হয়ে যায়।’
ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা করছে নিউ আজমিরী গ্রীল এন্ড বি. বি. কিউ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। জানতে চাইলে ক্যাফেটেরিয়ার ম্যানেজার মাসুম বলেন, ‘আমরা চাইলেই খাবারের দাম বাড়াতে পারি না বা নিজেদের মতো করে ঠিক করতে পারি না। ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের দপ্তরকে জানিয়েই সব খাবারের দাম নির্ধারণ করা হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের কোনো রকম ভর্তুকি দেওয়া হয় না। এখানে বিদ্যুৎ বিল থেকে শুরু করে সব খরচ আমাদের বহন করতে হয় এবং সব ধরনের লাভ-লসও আমাদের।’
এ ব্যাপারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রবিষয়ক পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রকিবুল হাসান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে প্রায়ই তদারকি করা হয়, প্রতিদিন করা সম্ভব হয় না। তাই শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যা আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব। তারা যে মূল্য নির্ধারণ করেছে তা কখনোই হলরোড বা বাইরের দোকানগুলোর চেয়ে বেশি হবে না। তাই দামের ব্যাপারে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাফেটেরিয়াতে অভিযোগ বক্স স্থাপন করা হবে। শিক্ষার্থীরা যেন সেখানে খাবারের ছবি বা প্রমাণসহ অভিযোগর ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে জমা দেয়। আমরা তাদের অভিযোগ বিবেচনায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়াসহ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ক্যাফেটেরিয়ার খাবার। হল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের দোকানগুলি থেকে প্রতিটি খাবারের দামই বেশি। কিন্তু দাম অনুযায়ী ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের মান আশানুরূপ নয় বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের দাম বেশি থাকায় আবাসিক হল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ইসলামনগর রোডের (হল রোড) দোকানগুলো থেকে খাবার সংগ্রহ করার চেষ্টা করেন তাঁরা। তবে দুপুরে ক্লাস বিরতিতে হলে গিয়ে খাবার খেয়ে আসা একটু কষ্টকর তাই ক্যাফেটেরিয়া থেকে বেশি দামে খাবার খেতে হয় অনেক সময়ই। কিন্তু দাম অনুযায়ী খাবারের মান এবং পরিমাণ নিয়ে সন্তুষ্ট নন তাঁরা।
ক্যাফেটেরিয়ায় খেতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে বলেন, এমনিতেই মেসে থাকতে হয় বলে, খরচ বেশি হয়। ক্যাম্পাসে এসে অপেক্ষাকৃত কম দামে খাব, কিন্তু সেখানেও দাম অনেক বেশি। এদিকে খাবারের দাম বাড়লেও মান আগের তুলনায় কমেছে। ফলে অনেক সময় না খেয়েই ক্লাস করতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাফেটেরিয়ায় শুধু খাবারের সমস্যা না, রয়েছে কর্মচারীর সংকটও। ক্যাফেটেরিয়ায় পরোটার নাম শাহি পরোটা দিয়ে দাম রাখা হয় ১০ টাকা, ডাল ১০ টাকা। এগুলোর দাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোয় ৫ টাকা। খিচুড়ি হলে ২০ টাকা হলেও ক্যাফেটেরিয়ায় ২৫ টাকা। ক্যাফেটেরিয়ায় মাছ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, যা হলে ৩৫ টাকা। ছোট মাছ ৪০ টাকা, যা হলে ৩০ টাকা, ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তা ১৫ টাকা কিন্তু হলে ৫ টাকা। বেশির ভাগ খাবারের দাম ক্যাফেটেরিয়ায় ৫ থেকে ১৫ টাকা বেশি।
বিরিয়ানি খেতে পরিশোধ করতে হয় ৮০ টাকা যা ইসলামনগর রোডে ৭০ টাকা এবং আবাসিক হলে ৬০ টাকা, বারবিকিউ এবং গ্রিলের আট ভাগের এক ভাগ ৭০ টাকা, যেটি হল রোডে ৫৫-৬০ টাকা। প্রতিটি খাবারে হল অথবা হল রোডের দামের চেয়ে এভাবে বেশি দিয়ে খাবার কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া সব সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার না পাওয়ার কথাও জানান তাঁরা।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী এস এম ফাতিমা আক্তার বলেন, ‘ঠান্ডা পরোটাতো সব সময়ই দেয়, কিন্তু কয়েক দিন আগে বাসি সবজি আর গন্ধযুক্ত পরোটা দিয়েছিল। খাবারের দামও অনেক বেশি। যেমন অন্যান্য জায়গায় ৫ টাকায় শিঙাড়া পাওয়া গেলেও এখানে ৬ টাকা। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে তাদের আচরণে সব সময় বিরক্তির ভাব। তারা একে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া নয় বরং হোটেল হিসেবেই চালাচ্ছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘নতুন ক্যাফেটেরিয়ার খাবার প্রথম দিকে কিছুটা ভালো হলেও পরবর্তীতে এর মান কমতে থাকে। যেহেতু এটি ভার্সিটির ক্যাফে সেহেতু খাবারের মান এবং দাম দুটোর দিকেই নজর দেওয়া উচিত। কিন্তু বাইরে থেকে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কাজে বা ঘুরতে আসেন তাদের একটা বড় অংশ ক্যাফেটেরিয়ায় খায় বলে তাদের ভালো বেচাকেনা হয়ে যায়।’
ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা করছে নিউ আজমিরী গ্রীল এন্ড বি. বি. কিউ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। জানতে চাইলে ক্যাফেটেরিয়ার ম্যানেজার মাসুম বলেন, ‘আমরা চাইলেই খাবারের দাম বাড়াতে পারি না বা নিজেদের মতো করে ঠিক করতে পারি না। ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের দপ্তরকে জানিয়েই সব খাবারের দাম নির্ধারণ করা হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের কোনো রকম ভর্তুকি দেওয়া হয় না। এখানে বিদ্যুৎ বিল থেকে শুরু করে সব খরচ আমাদের বহন করতে হয় এবং সব ধরনের লাভ-লসও আমাদের।’
এ ব্যাপারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রবিষয়ক পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রকিবুল হাসান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে প্রায়ই তদারকি করা হয়, প্রতিদিন করা সম্ভব হয় না। তাই শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যা আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব। তারা যে মূল্য নির্ধারণ করেছে তা কখনোই হলরোড বা বাইরের দোকানগুলোর চেয়ে বেশি হবে না। তাই দামের ব্যাপারে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাফেটেরিয়াতে অভিযোগ বক্স স্থাপন করা হবে। শিক্ষার্থীরা যেন সেখানে খাবারের ছবি বা প্রমাণসহ অভিযোগর ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে জমা দেয়। আমরা তাদের অভিযোগ বিবেচনায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে