যশোর প্রতিনিধি
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে নৌকায় ভোট না দিলে কেন্দ্রে না যেতে বলেছেন অলোক চক্রবর্ত্তী নামের এক যুবলীগ নেতা। গত ১৯ ডিসেম্বর উপজেলার গৌরীঘোনা ইউনিয়নের সন্ন্যাসগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী পথসভায় তিনি এ বক্তব্য দেন।
ওই পথসভায় যুবলীগ নেতা অলোকের ছবিসংবলিত দুই মিনিট পাঁচ সেকেন্ডের একটি ভিডিও গতকাল বুধবার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অনেকেই সুষ্ঠু ভোট হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সাধারণ ভোটাররা বলছেন, ইউনিয়নে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার নিশ্চয়তা পেলে তাঁরা ভোটকেন্দ্রে যাবেন, নয়তো যাবেন না। অলোক চক্রবর্ত্তী গৌরীঘোনা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক। এই আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৯ ডিসেম্বর সন্ন্যাসগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী পথসভা হয়। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে এই পথসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম হাবিবুর রহমান। এ ছাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন সেখানে। নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে যুবলীগ নেতা অলোক সবাইকে অনুষ্ঠানের ভিডিও করতে নিষেধ করেন।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে অলোক চক্রবর্ত্তীকে বলতে শোনা যায়, ‘বিএনপির ভোট দিতে আসার দরকার নেই। তার পরও যদি কেউ আসে, তাহলে সেটা পরে বোঝা যাবে। যারা আওয়ামী লীগে বিশ্বাস করে, উন্নয়নে বিশ্বাস করে, যারা নৌকায় বিশ্বাস করে, যারা শাহীন চাকলাদারকে নেতা হিসেবে মানে, আর যারা এই ইউনিয়নে হাবিব ভাইকে (ইউপি চেয়ারম্যান) নেতা হিসেবে মানে, তারাই শুধু ভোটের মাঠে যাবে। আমি যেতে নিষেধ করব না। যারা শাহীন চাকলাদারবিরোধী, তাদের ভোটের মাঠে যাওয়ার দরকার নেই। যারা নৌকার পক্ষে ভোট দেবেন, তাঁরাই ভোটের মাঠে যাবেন। তা না হলে যাওয়ার দরকার নেই। কথা কিন্তু ক্লিয়ার।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে অলোক বলেন, ‘অনেকেই আমাদের বক্তব্য ভিডিও করছেন। কেউ ভিডিও করবেন না। আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। হাবিব ভাইয়ের বিরুদ্ধে না, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। দেশে-বিদেশে এর সঙ্গে এলাকাভিত্তিক চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আমাদের বক্তব্য রেকর্ড করে নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে পারে। ওসব করে কিচ্ছু হবে না। এই অঞ্চলের নেতা-কর্মীদের বলি, স্বতন্ত্রদের আশ্রয় দিচ্ছেন, পক্ষ নিচ্ছেন। তাঁদের নাম বলব না। এই গৌরীঘোনা ইউনিয়নে আমরা আওয়ামী লীগ করি। ফলে ওই সমস্ত দালালকে সুযোগ দেব না। ওদের (স্বতন্ত্র) পুলকে যারা ভোটের মাঠে আসবে, তাদের কঁচা (স্থানীয় গাছ) দিয়ে কী করব, তা কিন্তু বলতে পারব না।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে ভিডিও সম্পর্কে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা অলোক চক্রবর্ত্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভিডিওটি আমি দেখেছি। ভিডিওটি এডিট করা। কেশবপুরে যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে, তাতে কাউকে নিষেধ বা জোর করা লাগবে না। সাধারণ ভোটাররা এমনিতেই ভোট দিতে আসবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তুহিন হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কেশবপুরে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, যশোর-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার ছাড়াও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আজিজুল ইসলাম এবং জাতীয় পার্টির জি এম হাসান।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে নৌকায় ভোট না দিলে কেন্দ্রে না যেতে বলেছেন অলোক চক্রবর্ত্তী নামের এক যুবলীগ নেতা। গত ১৯ ডিসেম্বর উপজেলার গৌরীঘোনা ইউনিয়নের সন্ন্যাসগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী পথসভায় তিনি এ বক্তব্য দেন।
ওই পথসভায় যুবলীগ নেতা অলোকের ছবিসংবলিত দুই মিনিট পাঁচ সেকেন্ডের একটি ভিডিও গতকাল বুধবার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অনেকেই সুষ্ঠু ভোট হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সাধারণ ভোটাররা বলছেন, ইউনিয়নে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার নিশ্চয়তা পেলে তাঁরা ভোটকেন্দ্রে যাবেন, নয়তো যাবেন না। অলোক চক্রবর্ত্তী গৌরীঘোনা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক। এই আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৯ ডিসেম্বর সন্ন্যাসগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী পথসভা হয়। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে এই পথসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম হাবিবুর রহমান। এ ছাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন সেখানে। নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে যুবলীগ নেতা অলোক সবাইকে অনুষ্ঠানের ভিডিও করতে নিষেধ করেন।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে অলোক চক্রবর্ত্তীকে বলতে শোনা যায়, ‘বিএনপির ভোট দিতে আসার দরকার নেই। তার পরও যদি কেউ আসে, তাহলে সেটা পরে বোঝা যাবে। যারা আওয়ামী লীগে বিশ্বাস করে, উন্নয়নে বিশ্বাস করে, যারা নৌকায় বিশ্বাস করে, যারা শাহীন চাকলাদারকে নেতা হিসেবে মানে, আর যারা এই ইউনিয়নে হাবিব ভাইকে (ইউপি চেয়ারম্যান) নেতা হিসেবে মানে, তারাই শুধু ভোটের মাঠে যাবে। আমি যেতে নিষেধ করব না। যারা শাহীন চাকলাদারবিরোধী, তাদের ভোটের মাঠে যাওয়ার দরকার নেই। যারা নৌকার পক্ষে ভোট দেবেন, তাঁরাই ভোটের মাঠে যাবেন। তা না হলে যাওয়ার দরকার নেই। কথা কিন্তু ক্লিয়ার।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে অলোক বলেন, ‘অনেকেই আমাদের বক্তব্য ভিডিও করছেন। কেউ ভিডিও করবেন না। আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। হাবিব ভাইয়ের বিরুদ্ধে না, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। দেশে-বিদেশে এর সঙ্গে এলাকাভিত্তিক চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আমাদের বক্তব্য রেকর্ড করে নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে পারে। ওসব করে কিচ্ছু হবে না। এই অঞ্চলের নেতা-কর্মীদের বলি, স্বতন্ত্রদের আশ্রয় দিচ্ছেন, পক্ষ নিচ্ছেন। তাঁদের নাম বলব না। এই গৌরীঘোনা ইউনিয়নে আমরা আওয়ামী লীগ করি। ফলে ওই সমস্ত দালালকে সুযোগ দেব না। ওদের (স্বতন্ত্র) পুলকে যারা ভোটের মাঠে আসবে, তাদের কঁচা (স্থানীয় গাছ) দিয়ে কী করব, তা কিন্তু বলতে পারব না।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে ভিডিও সম্পর্কে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা অলোক চক্রবর্ত্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভিডিওটি আমি দেখেছি। ভিডিওটি এডিট করা। কেশবপুরে যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে, তাতে কাউকে নিষেধ বা জোর করা লাগবে না। সাধারণ ভোটাররা এমনিতেই ভোট দিতে আসবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তুহিন হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কেশবপুরে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, যশোর-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার ছাড়াও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আজিজুল ইসলাম এবং জাতীয় পার্টির জি এম হাসান।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৪ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৫ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৫ ঘণ্টা আগে