আজিজুল হক, শার্শা (যশোর)
করোনার সংক্রমণ রোধে ভারতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ১০০ দিন পূর্ণ হলো। এই সময়ে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বিশেষ ছাড়পত্র নিয়ে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন আটকে পড়া ৭ হাজার ৪১ জন বাংলাদেশি। তাঁদের বেশির ভাগই গিয়েছিলেন চিকিৎসা ভিসায়। গত সোমবার পর্যন্ত দেশে ফেরা এসব যাত্রীর অধিকাংশকেই চিকিৎসার খরচ মিটিয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে প্রায় শূন্য হাতে। কিন্তু সরকারি নির্দেশ মেনে বন্দরেই প্রত্যেককে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে বিভিন্ন হোটেলে। এখানে থাকা–খাওয়ার পেছনে যে খরচ, তা অনেকের পক্ষেই জোগাড় করা অসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অনেক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
তবে কোয়ারেন্টিনের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বলছেন, যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনে খরচ কমাতে হোটেল ভাড়া, যানবাহন খরচ কমানোসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে সরকার গত ২৩ এপ্রিল থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এদিন থেকে ভারতফেরত পাসপোর্টধারী যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ব্যক্তিগত খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের কার্যক্রম শুরু হয়। জায়গার সংকুলান না হওয়ায় ভারতফেরত যাত্রীদের বন্দরের কার্যক্রম শেষে নিজ খরচে বেনাপোল, যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
এদের মধ্যে একেবারে অসহায় যাত্রীদের রাখা হচ্ছে যশোরে গাজীর দরগা নামে একটি মাদ্রাসায়। তবে এ বছর হোটেল ভাড়া, খাওয়া ও পরিবহন খরচ—সব যাত্রীদের বহন করতে হলেও গত বছর ভারতফেরত কোয়ারেন্টিনে থাকা সব যাত্রীর খরচ সরকার বহন করেছিল।
বেনাপোল সিটি আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকা সত্তোরোর্ধ্ব যাত্রী হারান চন্দ্র ধর বলেন, ‘আমার স্ত্রী জটিল রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ায় অনেক কষ্টে তাকে চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাই। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভারতে তার মৃত্যু হয়। স্ত্রীকে চিকিৎসা করাতে জমানো অর্থ সব খরচ হয়ে গেছে। তার মরদেহ দেশে আনার মতো খরচ তাঁর পক্ষে বহন করা কষ্টকর ছিল। অবশেষে ভারতীয় দূতাবাসে আবেদন জানিয়ে স্ত্রীর সৎকার ভারতেই সেরে দেশে ফিরি।’
দেশে ফিরে হারান চন্দ্র ধরকে কোয়ারেন্টিন মানতে আবাসিক হোটেলে থাকতে হচ্ছে ১৪ দিন ধরে। মেয়ে-জামাই যদি খরচ না দিতেন, তাহলে তাঁর কষ্টের শেষ থাকত না বলে জানান এই বৃদ্ধ।
এদিকে চৌধুরী আবাসিক হোটেলে থাকা ভারতফেরত চাঁদপুরের পাসপোর্টধারী যাত্রী মৃত্যুঞ্জয় ও গোপালগঞ্জের কৃপাসিন্দু রায় জানান, তাঁরা দেশের স্বার্থে কোয়ারেন্টিন নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু চিকিৎসা শেষে ভারত থেকে ফিরে হাতে আর খরচ করার মতো টাকা ছিল না।
করোনার সংক্রমণ রোধে ভারতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ১০০ দিন পূর্ণ হলো। এই সময়ে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বিশেষ ছাড়পত্র নিয়ে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন আটকে পড়া ৭ হাজার ৪১ জন বাংলাদেশি। তাঁদের বেশির ভাগই গিয়েছিলেন চিকিৎসা ভিসায়। গত সোমবার পর্যন্ত দেশে ফেরা এসব যাত্রীর অধিকাংশকেই চিকিৎসার খরচ মিটিয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে প্রায় শূন্য হাতে। কিন্তু সরকারি নির্দেশ মেনে বন্দরেই প্রত্যেককে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে বিভিন্ন হোটেলে। এখানে থাকা–খাওয়ার পেছনে যে খরচ, তা অনেকের পক্ষেই জোগাড় করা অসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অনেক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
তবে কোয়ারেন্টিনের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বলছেন, যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনে খরচ কমাতে হোটেল ভাড়া, যানবাহন খরচ কমানোসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে সরকার গত ২৩ এপ্রিল থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এদিন থেকে ভারতফেরত পাসপোর্টধারী যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ব্যক্তিগত খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের কার্যক্রম শুরু হয়। জায়গার সংকুলান না হওয়ায় ভারতফেরত যাত্রীদের বন্দরের কার্যক্রম শেষে নিজ খরচে বেনাপোল, যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
এদের মধ্যে একেবারে অসহায় যাত্রীদের রাখা হচ্ছে যশোরে গাজীর দরগা নামে একটি মাদ্রাসায়। তবে এ বছর হোটেল ভাড়া, খাওয়া ও পরিবহন খরচ—সব যাত্রীদের বহন করতে হলেও গত বছর ভারতফেরত কোয়ারেন্টিনে থাকা সব যাত্রীর খরচ সরকার বহন করেছিল।
বেনাপোল সিটি আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকা সত্তোরোর্ধ্ব যাত্রী হারান চন্দ্র ধর বলেন, ‘আমার স্ত্রী জটিল রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ায় অনেক কষ্টে তাকে চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাই। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভারতে তার মৃত্যু হয়। স্ত্রীকে চিকিৎসা করাতে জমানো অর্থ সব খরচ হয়ে গেছে। তার মরদেহ দেশে আনার মতো খরচ তাঁর পক্ষে বহন করা কষ্টকর ছিল। অবশেষে ভারতীয় দূতাবাসে আবেদন জানিয়ে স্ত্রীর সৎকার ভারতেই সেরে দেশে ফিরি।’
দেশে ফিরে হারান চন্দ্র ধরকে কোয়ারেন্টিন মানতে আবাসিক হোটেলে থাকতে হচ্ছে ১৪ দিন ধরে। মেয়ে-জামাই যদি খরচ না দিতেন, তাহলে তাঁর কষ্টের শেষ থাকত না বলে জানান এই বৃদ্ধ।
এদিকে চৌধুরী আবাসিক হোটেলে থাকা ভারতফেরত চাঁদপুরের পাসপোর্টধারী যাত্রী মৃত্যুঞ্জয় ও গোপালগঞ্জের কৃপাসিন্দু রায় জানান, তাঁরা দেশের স্বার্থে কোয়ারেন্টিন নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু চিকিৎসা শেষে ভারত থেকে ফিরে হাতে আর খরচ করার মতো টাকা ছিল না।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
৩ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৩ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৩ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৪ ঘণ্টা আগে