জাহিদ হাসান, যশোর
যশোরের দুঃখ হিসেবে খ্যাত ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে আগামীকাল মঙ্গলবার পরিদর্শনে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা। তাঁরা ভবদহ এলাকায় চলমান প্রকল্পগুলো দেখার পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলবেন।
তিন উপদেষ্টার এই পরিদর্শনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সমস্যা সমাধানে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করা ভবদহের নেতারা। তাঁরা বলছেন, বিগত সময়ে এভাবে একসঙ্গে তিন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ ব্যক্তিদের পা পড়েনি ভবদহে। এবার তিন উপদেষ্টার আগমনের মধ্য দিয়ে ভবদহের দুঃখ ঘুচবে—এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় ৪ লক্ষাধিক বাসিন্দার।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল ভবদহে যাচ্ছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তাঁদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবেরাও উপস্থিত থাকবেন।
উপদেষ্টারা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে নওয়াপাড়া সরকারি কলেজের মাঠে অবতরণ করবেন। এরপর সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি টিম এবং স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে ভবদহের বিভিন্ন স্থানে পরিদর্শন করবেন। সেখানে বছরের পর বছর ভোগান্তিতে থাকা মানুষের সঙ্গে তাঁরা কথা বলবেন। ভোগান্তি লাঘবে ভবিষ্যতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণে সেনাবাহিনীর প্রস্তাবিত নকশা অনুযায়ী জায়গা পরিদর্শন ও মতামত নেবেন। এরপর বিকেলে যশোরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় মিলনায়তনে সুধিসমাজ, ভবদহ সংগ্রাম কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে ভবদহ অঞ্চল। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদীতে পলি পড়ে নাব্যতা হারিয়ে গেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নামতে পারে না। বর্ষার জলাবদ্ধতা খেতের ফসল, ঘেরের মাছ সবই কেড়ে নেয়। জলাবদ্ধতায় মগ্ন থাকে শতাধিক গ্রামের ঘরবাড়ি, ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, কৃষিজমি ও মাছের ঘের। তখন এই অঞ্চলের ৪ লক্ষাধিক মানুষের ঠাঁই হয় মহাসড়কের ধারে, স্কুল কিংবা আশ্রয়কেন্দ্রে।
ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে বিগত চার দশকে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও স্থায়ী সমাধান আসেনি। অভিযোগ রয়েছে, বিগত সরকারগুলোর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তারা সিংহভাগ টাকা লুটপাট করেছেন। তাই বছরের পর বছর জলাবদ্ধতায় ভোগা মানুষেরা স্থায়ী সমাধানের জন্য দীর্ঘদিন ধরে টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) চালু ও আমডাঙা খাল সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন।
ভবদহের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেছেন ভবদহ সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ। আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুলিশের হামলায় রক্তও ঝরিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর সরেজমিনে ঘুরে গেছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি সে সময় বলেছিলেন জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভবদহের স্থায়ী সমাধান হবে। সে অনুযায়ী আমডাঙা খাল খননের টেন্ডার শুরু হয়েছে। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, সেচপাম্পের মাধ্যমে পানি সরানো বন্ধ করা এবং সে জায়গায় স্থায়ী সমাধানে টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট চালু। সব মিলিয়ে ত্রাণ, কৃষি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার আগমনে আমরা আশাবাদী।’
বিগত সময়ে বিভিন্ন প্রকল্পের নামে যাঁরা লুটপাট করেছেন, উপদেষ্টাদের কাছে তাঁদের বিচার দাবি করা হবে জানিয়ে ইকবাল কবির বলেন, ‘উপদেষ্টারা ভবদহ এলাকায় সেনাবাহিনীর নকশা অনুযায়ী স্থানগুলো পরিদর্শন করবেন। তারপর তাঁদের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ জানাব।’
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি আহ্বায়ক রণজিত বাওয়ালী বলেন, ‘এর আগে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নির্দেশে কিছুটা পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু হয়েছে। এবার কৃষি ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারাও আসছেন। আমরা কৃষকদের ক্ষতিপূরণ চাইব, কৃষিঋণ মওকুফের দাবি জানাব। একই সঙ্গে পানি সেচের নামে লুটপাটকারীদের বিচার দাবি করব। নতুন করে উপদেষ্টারা আসাতে আমরা আশার আলো দেখছি। তবে আমরা সরকারের কাছে কাজের দ্রুত সফল বাস্তবায়নের দাবি জানাই।’
যশোরের দুঃখ হিসেবে খ্যাত ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে আগামীকাল মঙ্গলবার পরিদর্শনে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা। তাঁরা ভবদহ এলাকায় চলমান প্রকল্পগুলো দেখার পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলবেন।
তিন উপদেষ্টার এই পরিদর্শনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সমস্যা সমাধানে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করা ভবদহের নেতারা। তাঁরা বলছেন, বিগত সময়ে এভাবে একসঙ্গে তিন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ ব্যক্তিদের পা পড়েনি ভবদহে। এবার তিন উপদেষ্টার আগমনের মধ্য দিয়ে ভবদহের দুঃখ ঘুচবে—এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় ৪ লক্ষাধিক বাসিন্দার।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল ভবদহে যাচ্ছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তাঁদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবেরাও উপস্থিত থাকবেন।
উপদেষ্টারা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে নওয়াপাড়া সরকারি কলেজের মাঠে অবতরণ করবেন। এরপর সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি টিম এবং স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে ভবদহের বিভিন্ন স্থানে পরিদর্শন করবেন। সেখানে বছরের পর বছর ভোগান্তিতে থাকা মানুষের সঙ্গে তাঁরা কথা বলবেন। ভোগান্তি লাঘবে ভবিষ্যতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণে সেনাবাহিনীর প্রস্তাবিত নকশা অনুযায়ী জায়গা পরিদর্শন ও মতামত নেবেন। এরপর বিকেলে যশোরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় মিলনায়তনে সুধিসমাজ, ভবদহ সংগ্রাম কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে ভবদহ অঞ্চল। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদীতে পলি পড়ে নাব্যতা হারিয়ে গেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নামতে পারে না। বর্ষার জলাবদ্ধতা খেতের ফসল, ঘেরের মাছ সবই কেড়ে নেয়। জলাবদ্ধতায় মগ্ন থাকে শতাধিক গ্রামের ঘরবাড়ি, ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, কৃষিজমি ও মাছের ঘের। তখন এই অঞ্চলের ৪ লক্ষাধিক মানুষের ঠাঁই হয় মহাসড়কের ধারে, স্কুল কিংবা আশ্রয়কেন্দ্রে।
ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে বিগত চার দশকে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও স্থায়ী সমাধান আসেনি। অভিযোগ রয়েছে, বিগত সরকারগুলোর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তারা সিংহভাগ টাকা লুটপাট করেছেন। তাই বছরের পর বছর জলাবদ্ধতায় ভোগা মানুষেরা স্থায়ী সমাধানের জন্য দীর্ঘদিন ধরে টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) চালু ও আমডাঙা খাল সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন।
ভবদহের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেছেন ভবদহ সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ। আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুলিশের হামলায় রক্তও ঝরিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর সরেজমিনে ঘুরে গেছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি সে সময় বলেছিলেন জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভবদহের স্থায়ী সমাধান হবে। সে অনুযায়ী আমডাঙা খাল খননের টেন্ডার শুরু হয়েছে। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, সেচপাম্পের মাধ্যমে পানি সরানো বন্ধ করা এবং সে জায়গায় স্থায়ী সমাধানে টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট চালু। সব মিলিয়ে ত্রাণ, কৃষি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার আগমনে আমরা আশাবাদী।’
বিগত সময়ে বিভিন্ন প্রকল্পের নামে যাঁরা লুটপাট করেছেন, উপদেষ্টাদের কাছে তাঁদের বিচার দাবি করা হবে জানিয়ে ইকবাল কবির বলেন, ‘উপদেষ্টারা ভবদহ এলাকায় সেনাবাহিনীর নকশা অনুযায়ী স্থানগুলো পরিদর্শন করবেন। তারপর তাঁদের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ জানাব।’
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি আহ্বায়ক রণজিত বাওয়ালী বলেন, ‘এর আগে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নির্দেশে কিছুটা পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু হয়েছে। এবার কৃষি ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারাও আসছেন। আমরা কৃষকদের ক্ষতিপূরণ চাইব, কৃষিঋণ মওকুফের দাবি জানাব। একই সঙ্গে পানি সেচের নামে লুটপাটকারীদের বিচার দাবি করব। নতুন করে উপদেষ্টারা আসাতে আমরা আশার আলো দেখছি। তবে আমরা সরকারের কাছে কাজের দ্রুত সফল বাস্তবায়নের দাবি জানাই।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে