আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহ

চলতি শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় কয়েক দিন ধরে ঝিনাইদহের শত শত নলকূপে পানি উঠছে না। আরও হাজারো নলকূপে পানি উঠছে একেবারে কম। এতে গৃহস্থালির কাজে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। বিপাকে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১০ নদী ও ২টি নদের প্রায় ৮০ শতাংশ গেছে শুকিয়ে চলতি শুষ্ক মৌসুমে। এ ছাড়া ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারে কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে ইরি ধানের মাঠে সেচকাজে ভূগর্ভস্থ পানি তোলায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এতে চাপ পড়ছে অগভীর নলকূপে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নলকূপ স্থাপন করতে আগে ২০ থেকে ৩০ ফুট মাটির নিচে পানির স্তর পাওয়া যেত। কিন্তু এখন পানির স্তর মিলছে না ৩০ থেকে ৩৫ ফুট নিচেও। জেলার ছয় উপজেলায় ৫০ হাজারের বেশি নলকূপে সামান্য পানি উঠছে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা ঝিনাইদহের উপজেলাগুলো হলো শৈলকুপা, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, হরিণাকুণ্ডু ও ঝিনাইদহ সদর। জেলার ভেতর দিয়ে নবগঙ্গা, কুমার, বেগবতি, চিত্রা, কপোতাক্ষ, ইছামতী, কুমার, কালীগঙ্গা, ডাকুয়াসহ বেশ কিছু নদ-নদী প্রবাহিত। এগুলোর প্রায় সবই এখন মৃত। এসব নদ-নদীর বুকে এখন ফসলের চাষ হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলার মধ্যে শৈলকুপাতেই রয়েছে ৩৭ হাজার ৫০০ নলকূপ। যার ভেতরে এই মুহূর্তে বেশির ভাগ নলকূপে পানি উঠছে কম করে। এ ছাড়া পানি না ওঠায় অনেক নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। এ উপজেলায় সরকারি নলকূপ রয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫০০টি।
শৈলকুপার মনোহরপুর, বিজুলিয়া, হিতামপুর, পৌরসভার হাবিবপুর, কবিরপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অনেক নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে কোনো কোনো নলকূপে সামান্য পানি উঠলেও চলতি এপ্রিলে এসে একেবারেই অকেজো হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের আব্দুর রহমান মিল্টন বলেন, এক মাস ধরেই তাঁদের নলকূপে অল্প অল্প পানি উঠছিল। এখন কোনো পানিই উঠছে না।
নলকূপ ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান বলেন, সাধারণত ২০ থেকে ২৪ ফুট মাটির নিচে পানির স্তর পাওয়া যায়। কিন্তু এখন নলকূপ স্থাপন করতে ৩২ থেকে ৪০ ফুট নিচে পানির স্তর মিলছে। তবু পর্যাপ্ত পানি উঠছে না।
জেলার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী নির্ধারিত ডিজাইন মেনে ঝিনাইদহের ছয় উপজেলায় ৩১ হাজার নলকূপ রয়েছে। সেসব নলকূপে পানির কোনো ঘাটতি নেই।
জেলার কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন বলছে, তাদের অনুমতি নিয়ে জেলায় ১৭০টির মতো গভীর এবং ৭ হাজার ৯২১টি অগভীর নলকূপ রয়েছে। তবে তাদের অনুমতি ছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যক্তি উদ্যোগে করা আরও কয়েক হাজার গভীর ও অগভীর নলকূপ রয়েছে।
পানি নিয়ে কাজ করা জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিএডিসি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা বলছেন, প্রায় ৮ মাস বৃষ্টি না হওয়ায় পানির প্রাকৃতিক উৎসগুলো ক্রমেই পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি হালকা বৃষ্টি হলেও তাতে কোনো প্রভাব পড়েনি সেসব প্রাকৃতিক উৎসে। এ ছাড়া অতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে ইরি ধানের জমিতে সেচ দেওয়া এবং গরমের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে জেলার নলকূপগুলোর এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে।
জেলার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মাসুদ আহম্মদ সঞ্জু জানান, ঝিনাইদহ ও এর আশপাশের অঞ্চল চরম ক্ষরাপ্রবণ। জলাশয় এখানে কম। সরকারি নিয়ম হলো এক কিলোমিটারের মধ্যে গভীর নলকূপ করা যাবে না। কিন্তু এই নিয়ম কেউ মানছেন না। পানিপ্রবাহের উৎস নদ-নদী ভরাট করে দখল হয়ে যাচ্ছে। ফলে গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। এখন পানির স্তর স্বাভাবিক রাখতে নদী খনন করতে হবে। গভীর নলকূপ স্থাপনে নিয়ম মানা নিশ্চিতে নজরদারি বাড়াতে হবে।
জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘জেলাজুড়ে কত হাজার বেসরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে নলকূপ রয়েছে, তা আমাদের পরিসংখ্যানে নেই। তবে সরকারিভাবে জেলায় ১৬ হাজার গভীর ও ১৭ হাজার অগভীর নলকূপ রয়েছে। এসব নলকূপে পানির স্বাভাবিক অবস্থা রয়েছে।’ আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ডিজাইনমাফিক নলকূপ স্থাপনের আইন পাসের জন্য বিভিন্ন ফোরামে বা সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে তাঁরা জানিয়েছেন।
ঝিনাইদহ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) সামিউল পারভেজ বলেন, ‘পানি ব্যবহারে আমাদের সচেতন হতে হবে। অপ্রয়োজনে পানি উত্তোলন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিয়ম মেনে পাম্প স্থাপন করলে সমস্যা কিছুটা কমবে।’

চলতি শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় কয়েক দিন ধরে ঝিনাইদহের শত শত নলকূপে পানি উঠছে না। আরও হাজারো নলকূপে পানি উঠছে একেবারে কম। এতে গৃহস্থালির কাজে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। বিপাকে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১০ নদী ও ২টি নদের প্রায় ৮০ শতাংশ গেছে শুকিয়ে চলতি শুষ্ক মৌসুমে। এ ছাড়া ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারে কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে ইরি ধানের মাঠে সেচকাজে ভূগর্ভস্থ পানি তোলায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এতে চাপ পড়ছে অগভীর নলকূপে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নলকূপ স্থাপন করতে আগে ২০ থেকে ৩০ ফুট মাটির নিচে পানির স্তর পাওয়া যেত। কিন্তু এখন পানির স্তর মিলছে না ৩০ থেকে ৩৫ ফুট নিচেও। জেলার ছয় উপজেলায় ৫০ হাজারের বেশি নলকূপে সামান্য পানি উঠছে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা ঝিনাইদহের উপজেলাগুলো হলো শৈলকুপা, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, হরিণাকুণ্ডু ও ঝিনাইদহ সদর। জেলার ভেতর দিয়ে নবগঙ্গা, কুমার, বেগবতি, চিত্রা, কপোতাক্ষ, ইছামতী, কুমার, কালীগঙ্গা, ডাকুয়াসহ বেশ কিছু নদ-নদী প্রবাহিত। এগুলোর প্রায় সবই এখন মৃত। এসব নদ-নদীর বুকে এখন ফসলের চাষ হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলার মধ্যে শৈলকুপাতেই রয়েছে ৩৭ হাজার ৫০০ নলকূপ। যার ভেতরে এই মুহূর্তে বেশির ভাগ নলকূপে পানি উঠছে কম করে। এ ছাড়া পানি না ওঠায় অনেক নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। এ উপজেলায় সরকারি নলকূপ রয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫০০টি।
শৈলকুপার মনোহরপুর, বিজুলিয়া, হিতামপুর, পৌরসভার হাবিবপুর, কবিরপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অনেক নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে কোনো কোনো নলকূপে সামান্য পানি উঠলেও চলতি এপ্রিলে এসে একেবারেই অকেজো হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের আব্দুর রহমান মিল্টন বলেন, এক মাস ধরেই তাঁদের নলকূপে অল্প অল্প পানি উঠছিল। এখন কোনো পানিই উঠছে না।
নলকূপ ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান বলেন, সাধারণত ২০ থেকে ২৪ ফুট মাটির নিচে পানির স্তর পাওয়া যায়। কিন্তু এখন নলকূপ স্থাপন করতে ৩২ থেকে ৪০ ফুট নিচে পানির স্তর মিলছে। তবু পর্যাপ্ত পানি উঠছে না।
জেলার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী নির্ধারিত ডিজাইন মেনে ঝিনাইদহের ছয় উপজেলায় ৩১ হাজার নলকূপ রয়েছে। সেসব নলকূপে পানির কোনো ঘাটতি নেই।
জেলার কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন বলছে, তাদের অনুমতি নিয়ে জেলায় ১৭০টির মতো গভীর এবং ৭ হাজার ৯২১টি অগভীর নলকূপ রয়েছে। তবে তাদের অনুমতি ছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যক্তি উদ্যোগে করা আরও কয়েক হাজার গভীর ও অগভীর নলকূপ রয়েছে।
পানি নিয়ে কাজ করা জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিএডিসি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা বলছেন, প্রায় ৮ মাস বৃষ্টি না হওয়ায় পানির প্রাকৃতিক উৎসগুলো ক্রমেই পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি হালকা বৃষ্টি হলেও তাতে কোনো প্রভাব পড়েনি সেসব প্রাকৃতিক উৎসে। এ ছাড়া অতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে ইরি ধানের জমিতে সেচ দেওয়া এবং গরমের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে জেলার নলকূপগুলোর এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে।
জেলার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মাসুদ আহম্মদ সঞ্জু জানান, ঝিনাইদহ ও এর আশপাশের অঞ্চল চরম ক্ষরাপ্রবণ। জলাশয় এখানে কম। সরকারি নিয়ম হলো এক কিলোমিটারের মধ্যে গভীর নলকূপ করা যাবে না। কিন্তু এই নিয়ম কেউ মানছেন না। পানিপ্রবাহের উৎস নদ-নদী ভরাট করে দখল হয়ে যাচ্ছে। ফলে গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। এখন পানির স্তর স্বাভাবিক রাখতে নদী খনন করতে হবে। গভীর নলকূপ স্থাপনে নিয়ম মানা নিশ্চিতে নজরদারি বাড়াতে হবে।
জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘জেলাজুড়ে কত হাজার বেসরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে নলকূপ রয়েছে, তা আমাদের পরিসংখ্যানে নেই। তবে সরকারিভাবে জেলায় ১৬ হাজার গভীর ও ১৭ হাজার অগভীর নলকূপ রয়েছে। এসব নলকূপে পানির স্বাভাবিক অবস্থা রয়েছে।’ আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ডিজাইনমাফিক নলকূপ স্থাপনের আইন পাসের জন্য বিভিন্ন ফোরামে বা সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে তাঁরা জানিয়েছেন।
ঝিনাইদহ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) সামিউল পারভেজ বলেন, ‘পানি ব্যবহারে আমাদের সচেতন হতে হবে। অপ্রয়োজনে পানি উত্তোলন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিয়ম মেনে পাম্প স্থাপন করলে সমস্যা কিছুটা কমবে।’

চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টি বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরে হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে মোশারফ হোসেন বাবু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই। মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা ডেকেছে।
৫৭০ জন শ্রমিক চাকরিচ্যুত করায় গত ২৯ অক্টোবর থেকে শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাঁরা চাকরি ফেরত চান। নগরের বগুড়া সড়কে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে শ্রমিকেরা শনিবার থেকে অবস্থান নেন। বাম গণতান্ত্রিক জোট ও মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
আজ বিকেলে শ্রমিকেরা বগুড়া সড়ক থেকে মিছিল নিয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে অপসোনিন গ্রুপের প্রধান কারখানার সামনে যান। সেখানে অন্য কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
অপসো স্যালাইন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব মিয়া জানান, কাল বুধবার শ্রম অধিদপ্তরের সভায় সমঝোতা না হলে সব কারখানায় কর্মবিরতি ও মহাসড়ক অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচিতে যাবেন।
বাসদ নেত্রী ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন, আগামীকাল শ্রমিক প্রতিনিধি ও মালিক প্রতিনিধিদের বরিশাল শ্রম অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সভা ডাকা হয়েছে। সভায় সমঝোতা না হলে শ্রমিকেরা কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।
ট্রেড ইউনিয়ন নেতা তুষার বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে মালিকের লোকজন। এ জন্য সতর্ক থাকতে হবে। বুধবার শ্রম অধিদপ্তরে ৫৭০ জন শ্রমিকের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে।’ তিনি শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনিরুজ্জামানকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা চাই না মহাসড়ক অচল করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলতে।’
অপসো স্যালাইন কারখানায় কর্মরত স্টুরিপ্যাক (সিরিঞ্জ ও স্যালাইন সেট প্রস্তুতকারক) শাখার ৫৭০ জন শ্রমিককে গত বুধবার চাকরিচ্যুতির চিঠি দেয় কর্তৃপক্ষ।

চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা ডেকেছে।
৫৭০ জন শ্রমিক চাকরিচ্যুত করায় গত ২৯ অক্টোবর থেকে শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাঁরা চাকরি ফেরত চান। নগরের বগুড়া সড়কে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে শ্রমিকেরা শনিবার থেকে অবস্থান নেন। বাম গণতান্ত্রিক জোট ও মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
আজ বিকেলে শ্রমিকেরা বগুড়া সড়ক থেকে মিছিল নিয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে অপসোনিন গ্রুপের প্রধান কারখানার সামনে যান। সেখানে অন্য কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
অপসো স্যালাইন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব মিয়া জানান, কাল বুধবার শ্রম অধিদপ্তরের সভায় সমঝোতা না হলে সব কারখানায় কর্মবিরতি ও মহাসড়ক অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচিতে যাবেন।
বাসদ নেত্রী ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন, আগামীকাল শ্রমিক প্রতিনিধি ও মালিক প্রতিনিধিদের বরিশাল শ্রম অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সভা ডাকা হয়েছে। সভায় সমঝোতা না হলে শ্রমিকেরা কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।
ট্রেড ইউনিয়ন নেতা তুষার বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে মালিকের লোকজন। এ জন্য সতর্ক থাকতে হবে। বুধবার শ্রম অধিদপ্তরে ৫৭০ জন শ্রমিকের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে।’ তিনি শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনিরুজ্জামানকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা চাই না মহাসড়ক অচল করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলতে।’
অপসো স্যালাইন কারখানায় কর্মরত স্টুরিপ্যাক (সিরিঞ্জ ও স্যালাইন সেট প্রস্তুতকারক) শাখার ৫৭০ জন শ্রমিককে গত বুধবার চাকরিচ্যুতির চিঠি দেয় কর্তৃপক্ষ।

চলতি শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় কয়েক দিন ধরে ঝিনাইদহের শত শত নলকূপে পানি উঠছে না। আরও হাজারো নলকূপে পানি উঠছে একেবারে কম। এতে গৃহস্থালির কাজে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। বিপাকে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষ।
০৬ এপ্রিল ২০২৩
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টি বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরে হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে মোশারফ হোসেন বাবু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই। মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর দুর্নীতির কথা বলতে গিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টা বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরের হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।’
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক রাজনৈতিক সভায় এনসিপি নেতা এসব কথা বলেন।
সভায় জুলাই সনদ নিয়ে সারজিস বলেন, ‘প্রায় ৩০-৪০ বছর আগে একবার গণভোট হয়েছিল। আবার সামনে গণভোট হবে। যে নিয়ম-কানুনগুলোর কারণে শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে একজন স্বৈরাচার হয়ে উঠেছে, সেই নিয়ম-কানুনগুলোর পরিবর্তন দরকার আছে না নাই? এই জুলাই সনদ হলো সেই সনদ, যেখানে লেখা আছে—কোন পরিবর্তনগুলো হলে জনগণের সঙ্গে সরকারের ক্ষমতার একটি ভারসাম্য তৈরি হবে। কোন পরিবর্তনগুলো হলে আগামীতে কোনো সরকার আর স্বৈরাচারের সরকার হয়ে উঠতে পারবে না। কোন পরিবর্তনগুলো হলে আগামীর নেতার পা খালি আকাশে বেরাবেনি, মাটিতেও পড়বে। আমরা যে দলেরই হই না কেন, এই বাংলাদেশের জনগণের আগে, দেশের আগে কিংবা নিজের জীবনের নাগরিক সুবিধার আগে, কিংবা এগুলোর ঊর্ধ্বে কখনো দল হতে পারে না। দেশের চেয়ে কখনো দল বড় হতে পারে না।’
সভায় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এনসিপি নেতা বলেন, এই দেশে ১৮-২০ কোটি মানুষের অধিকারের চেয়ে কখনো একটা দল বড় হতে পারে না। তাই অনুরোধ, আমরা যে দলেরই হই না কেন, গণভোটের দিন ওই জুলাই সনদে আমরা যেন জুলাই সনদের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিই।
সভায় স্থানীয় এনসিপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর দুর্নীতির কথা বলতে গিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টা বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরের হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।’
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক রাজনৈতিক সভায় এনসিপি নেতা এসব কথা বলেন।
সভায় জুলাই সনদ নিয়ে সারজিস বলেন, ‘প্রায় ৩০-৪০ বছর আগে একবার গণভোট হয়েছিল। আবার সামনে গণভোট হবে। যে নিয়ম-কানুনগুলোর কারণে শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে একজন স্বৈরাচার হয়ে উঠেছে, সেই নিয়ম-কানুনগুলোর পরিবর্তন দরকার আছে না নাই? এই জুলাই সনদ হলো সেই সনদ, যেখানে লেখা আছে—কোন পরিবর্তনগুলো হলে জনগণের সঙ্গে সরকারের ক্ষমতার একটি ভারসাম্য তৈরি হবে। কোন পরিবর্তনগুলো হলে আগামীতে কোনো সরকার আর স্বৈরাচারের সরকার হয়ে উঠতে পারবে না। কোন পরিবর্তনগুলো হলে আগামীর নেতার পা খালি আকাশে বেরাবেনি, মাটিতেও পড়বে। আমরা যে দলেরই হই না কেন, এই বাংলাদেশের জনগণের আগে, দেশের আগে কিংবা নিজের জীবনের নাগরিক সুবিধার আগে, কিংবা এগুলোর ঊর্ধ্বে কখনো দল হতে পারে না। দেশের চেয়ে কখনো দল বড় হতে পারে না।’
সভায় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এনসিপি নেতা বলেন, এই দেশে ১৮-২০ কোটি মানুষের অধিকারের চেয়ে কখনো একটা দল বড় হতে পারে না। তাই অনুরোধ, আমরা যে দলেরই হই না কেন, গণভোটের দিন ওই জুলাই সনদে আমরা যেন জুলাই সনদের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিই।
সভায় স্থানীয় এনসিপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।

চলতি শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় কয়েক দিন ধরে ঝিনাইদহের শত শত নলকূপে পানি উঠছে না। আরও হাজারো নলকূপে পানি উঠছে একেবারে কম। এতে গৃহস্থালির কাজে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। বিপাকে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষ।
০৬ এপ্রিল ২০২৩
চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে মোশারফ হোসেন বাবু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই। মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেশ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে মোশারফ হোসেন বাবু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা আহমেদ সারগুলো জব্দ করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান আকন্দ, রাণীশিমুল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সুজাসহ স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা আহমেদ বলেন, অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা সার জব্দ করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিম্মায় রাখা হয়েছে। পরবর্তীকালে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে মোশারফ হোসেন বাবু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা আহমেদ সারগুলো জব্দ করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান আকন্দ, রাণীশিমুল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সুজাসহ স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা আহমেদ বলেন, অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা সার জব্দ করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিম্মায় রাখা হয়েছে। পরবর্তীকালে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চলতি শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় কয়েক দিন ধরে ঝিনাইদহের শত শত নলকূপে পানি উঠছে না। আরও হাজারো নলকূপে পানি উঠছে একেবারে কম। এতে গৃহস্থালির কাজে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। বিপাকে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষ।
০৬ এপ্রিল ২০২৩
চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টি বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরে হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই। মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই। মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি ২০০৯ সাল থেকে নিয়মিতভাবে এই চলচ্চিত্রকারের জন্মবার্ষিকী পালন করে আসছে। এবারের অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত ও গণসংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে প্রদীপ প্রজ্বালন, ঋত্বিক ঘটকের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা এবং তাঁর কালজয়ী ছবি ‘মেঘে ঢাকা তারা’ নিয়ে নির্মিত জীবনীচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর আগে এই চলচ্চিত্রকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহসান কবির লিটন বলেন, ঋত্বিক ঘটকের রাজশাহীতে কাটানো দিনগুলো তাঁর সৃজনী জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। পদ্মা নদী, শহরের পরিবেশ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তাঁর ভাবনা ও চলচ্চিত্রে বারবার প্রতিফলিত হয়েছে।’
মিয়াপাড়ার এ বাড়িতেই ঋত্বিক ঘটকের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহী কলেজে অধ্যয়ন করেন। এখান থেকেই সাহিত্য, নাটক ও চলচ্চিত্রের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহের সূচনা হয়। দেশভাগের পর ১৯৪৭ সালে তাঁর পরিবার ভারতে পাড়ি জমায়।
নিজের নির্মাণ করা চলচ্চিত্রে দেশভাগের বেদনা, মানবিক দৃঢ়তা ও সমাজবাস্তবতাকে কাব্যিক গভীরতায় তুলে ধরেছেন ঋত্বিক ঘটক। তাঁর বিখ্যাত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘সুবর্ণরেখা’ ও ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। শক্তিশালী গল্প ও আবেগঘন উপস্থাপনার জন্য তাঁর চলচ্চিত্র আজও দর্শক ও নির্মাতাদের অনুপ্রেরণার উৎস।
রাজশাহীর বাড়িটির ৩৪ শতাংশ জমি ১৯৮৯ সালে তৎকালীন এরশাদ সরকার রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজকে ইজারা দেয়। এরপর জায়গাটির উত্তরে গড়ে তোলা হয়েছে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের আধুনিক ভবন। এ ভবনের দক্ষিণ অংশে ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতিবিজড়িত পুরোনো বাড়ির ঘরগুলো দাঁড়িয়ে ছিল। বাড়িটি অপসারণ করে সেখানে অন্য স্থাপনা করার চেষ্টা অনেক আগে থেকেই করছিল হোমিও কলেজ কর্তৃপক্ষ।
তবে সাংস্কৃতিক কর্মীদের বাধার মুখে বারবার তা বন্ধ হয়েছে। দাবির মুখে বাড়িটি সংরক্ষণেরও উদ্যোগ নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এর মধ্যেই গত বছর অস্থিতিশীল পরিবেশের মধ্যে ৬ ও ৭ আগস্ট গোপনে বাড়িটি ভেঙে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়। এখন সেখানে ভাঙা বাড়ির ইটগুলো স্তূপাকারে রয়েছে। ঋত্বিকের আর তেমন কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই।

বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই। মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি ২০০৯ সাল থেকে নিয়মিতভাবে এই চলচ্চিত্রকারের জন্মবার্ষিকী পালন করে আসছে। এবারের অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত ও গণসংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে প্রদীপ প্রজ্বালন, ঋত্বিক ঘটকের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা এবং তাঁর কালজয়ী ছবি ‘মেঘে ঢাকা তারা’ নিয়ে নির্মিত জীবনীচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর আগে এই চলচ্চিত্রকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহসান কবির লিটন বলেন, ঋত্বিক ঘটকের রাজশাহীতে কাটানো দিনগুলো তাঁর সৃজনী জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। পদ্মা নদী, শহরের পরিবেশ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তাঁর ভাবনা ও চলচ্চিত্রে বারবার প্রতিফলিত হয়েছে।’
মিয়াপাড়ার এ বাড়িতেই ঋত্বিক ঘটকের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহী কলেজে অধ্যয়ন করেন। এখান থেকেই সাহিত্য, নাটক ও চলচ্চিত্রের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহের সূচনা হয়। দেশভাগের পর ১৯৪৭ সালে তাঁর পরিবার ভারতে পাড়ি জমায়।
নিজের নির্মাণ করা চলচ্চিত্রে দেশভাগের বেদনা, মানবিক দৃঢ়তা ও সমাজবাস্তবতাকে কাব্যিক গভীরতায় তুলে ধরেছেন ঋত্বিক ঘটক। তাঁর বিখ্যাত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘সুবর্ণরেখা’ ও ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। শক্তিশালী গল্প ও আবেগঘন উপস্থাপনার জন্য তাঁর চলচ্চিত্র আজও দর্শক ও নির্মাতাদের অনুপ্রেরণার উৎস।
রাজশাহীর বাড়িটির ৩৪ শতাংশ জমি ১৯৮৯ সালে তৎকালীন এরশাদ সরকার রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজকে ইজারা দেয়। এরপর জায়গাটির উত্তরে গড়ে তোলা হয়েছে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের আধুনিক ভবন। এ ভবনের দক্ষিণ অংশে ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতিবিজড়িত পুরোনো বাড়ির ঘরগুলো দাঁড়িয়ে ছিল। বাড়িটি অপসারণ করে সেখানে অন্য স্থাপনা করার চেষ্টা অনেক আগে থেকেই করছিল হোমিও কলেজ কর্তৃপক্ষ।
তবে সাংস্কৃতিক কর্মীদের বাধার মুখে বারবার তা বন্ধ হয়েছে। দাবির মুখে বাড়িটি সংরক্ষণেরও উদ্যোগ নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এর মধ্যেই গত বছর অস্থিতিশীল পরিবেশের মধ্যে ৬ ও ৭ আগস্ট গোপনে বাড়িটি ভেঙে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়। এখন সেখানে ভাঙা বাড়ির ইটগুলো স্তূপাকারে রয়েছে। ঋত্বিকের আর তেমন কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই।

চলতি শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় কয়েক দিন ধরে ঝিনাইদহের শত শত নলকূপে পানি উঠছে না। আরও হাজারো নলকূপে পানি উঠছে একেবারে কম। এতে গৃহস্থালির কাজে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। বিপাকে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষ।
০৬ এপ্রিল ২০২৩
চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টি বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরে হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে মোশারফ হোসেন বাবু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে