Ajker Patrika

যশোরে সাপের কামড়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর

­যশোর প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

যশোরে সাপের কামড়ে মোসা. তামান্না (২০) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে সদর উপজেলার ডাঙ্গাবয়রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত তামান্না ওই গ্রামের জুয়েল রানার স্ত্রী।

জুয়েল রানা জানান, তামান্না নিজ ঘরের মেঝেতে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোররাতে একটি বিষাক্ত সাপ তাঁর বাঁ হাতের আঙুলে কামড় দেয়। তীব্র যন্ত্রণার কারণে প্রথমে তাঁকে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নেওয়া হয়। তবে অবস্থার অবনতি ঘটায় সকাল ৯টার দিকে তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৩১ আগস্ট মনিরামপুরের বিজয়রামপুরে দুই শিশুকে সাপের দংশনের ঘটনা ঘটে। এরপর স্বজনেরা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কিন্তু সেখানে সাপের বিষের প্রতিষেধক অ্যান্টিভেনম না থাকায় রোগীদের হাসপাতাল থেকে ফেরত দেওয়া হয়। এরপর পরিবারের লোকজন আহত দুই শিশুকে পাশের পেয়ারাতলা গ্রামে নিয়ে সাপের বিষ নামানোর জন্য ওঝা (কবিরাজ) দিয়ে ঝাড়ফুঁক শুরু করায়। কাজ না হলে পরে চালকিডাঙ্গা গ্রামের আরেক ওঝার কাছে নেওয়া হয়। চালকিডাঙ্গার ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁক দেওয়ার সময় শিশু আজিমের মৃত্যু হয়।

জেলা সিভিল সার্জন সূত্রে জানা গেছে, দিনে দিনে সাপে কামড়ানো রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চলতি বছরেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ৩৭ জন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে এক বছরের বেশি সময় ধরে জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোতে সরকারিভাবে সরবরাহ নেই অ্যান্টিভেনম বা সাপের বিষের প্রতিষেধক। হাসপাতালগুলোতে রোগী এলে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় হাসপাতাল ফান্ডের টাকায় বাইরে থেকে অ্যান্টিভেনম কিনে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত এন্টিভেনাম না থাকায় সাপে দংশনের পর স্থানীয়রা ছুটছেন ওঝার কাছে। এতে সময়ক্ষেপণের কারণে প্রাণ হারাচ্ছে সাপে কাটা রোগী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত