হিরামন মণ্ডল সাগর, বটিয়াঘাটা
প্রকৃতিতে শুরু হয়েছে শীতের আগমন। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও শীতের শুরুতে শীতপ্রধান দেশ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খাল-বিল ও জলাশয়ে আসতে শুরু করেছে।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, অতিথি পাখি শিকার নিষিদ্ধ হলেও এই সময়ে শিকারে নেমেছে একদল পাখি শিকারি। প্রশাসনকে টাকা ও পাখি দিয়ে নির্বিঘ্নে তারা পাখি শিকার করে চলেছে। রাত যত গভীর হয়, ততই পাখি শিকারিদের বাঁশির কোলাহলে ঘুম হারাম হয়ে যায় এলাকাবাসীর। কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না এই শিকারিদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, দাকোপ এলাকায় বেশির ভাগ পাখি ধরা হয়। অসাধু শিকারিরা রাতে ধান খেতে বসে পাখির ডাকের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বাঁশি বাজায়। উড়ন্ত পাখি বিভ্রান্ত হয়ে আকাশ থেকে নিচে নেমে শিকারির ফাঁদে আটকে যায়। শিকারিরা নাইলনের সুতা দিয়ে ছোট-বড় ফাঁদ তৈরি করে পাখির চলার পথে পেতে রাখে। রাতের বেলায় পাখিরা যখন উড়ে বেড়ায় তখন ওই ফাঁদে শত শত পাখি আটকে যায়। আবার পাখির চোখে আলো ফেলে, কেঁচো দিয়ে বড়শি পেতে, কোচ মেরে ও কারেন্ট জাল পেতেও পাখি শিকার করে থাকে অসাধু শিকারিরা। এ ছাড়া পাখি শিকারিরা ধানখেতে গিয়ে পাখির কণ্ঠ নকল করে। পরে সেই ডাক মোবাইলে ধারণ করে রিংটোনের মাধ্যমে সেই পাখির ডাক বাজায়। একপর্যায়ে ওই ডাকের শব্দ শুনে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি তাদের কাছেই ঘোরাঘুরি করতে থাকে। তখন শিকারিরা বিভিন্ন কলাকৌশলের মাধ্যমে ওই পাখিদের শিকার করে। শিকারিরা রাতে অবাধে পাখি শিকার করে ভোরের আগেই তা বিক্রি করে থাকে। উপজেলার হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় সেই পাখি বিক্রি করে।
এলাকারবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন এসব ব্যাপার দেখেও না দেখার ভান করে থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পাখি শিকারি বলেন, 'আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে টাকা ও পাখি দিয়ে প্রতি রাতেই পাখি শিকার করে থাকি। আপনারা যদি পত্রিকায় লেখালেখি করেন, তাহলে আপনাদের পাখি ও টাকা দিয়ে সন্তুষ্ট করব। দয়া করে আমাদের বিরুদ্ধে কিছু লিখবেন না। এবার অমরা পাখি শিকারের ধরনটা কিছুটা পরিবর্তন করেছি।'
এ বিষয়ে জনৈক পাখি শিকারি শাহীন ও বিজয় বলেন, 'পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু পাখি শিকার করাটা খুবই মজা ও আনন্দের। আমরা পাখি শিকার করি ঠিকই, কিন্তু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য নয়। রান্না করে খেতে ভালো লাগে। তাই মাঝেমধ্যে পাখি শিকার করি।'
পাখি বিশেষজ্ঞরা বলেন, 'অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে এই অতিথি পাখিরা আমাদের দেশে আশ্রয় আর নিরাপত্তার জন্য আসে। এদের ধরা ও শিকার করা দণ্ডনীয় অপরাধ।'
উপজেলার সদর মাইলমারা এলাকার পাখি সংরক্ষণ পরিষদ ও পাখি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য অলকেশ সরকার বলেন, 'পাখি শিকারিদের ধরতে আমরা প্রতি রাতে ধানখেতে পাহারা দিই। দীর্ঘ তিন বছর ধরে আমরা পাখি সংরক্ষণসহ অবাধে পাখি শিকার রোধে কাজ করে চলেছি। থানার পুলিশের সহযোগিতায় আমরা আমাদের এই কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছি। সরকারি সহযোগিতা পেলে নিজেদের সংগঠনটি আরও শক্তিশালীভাবে গড়ে তুলতে পারতাম।'
এ বিষয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মমিনুর রহমান বলেন, 'অতিথি পাখি আমাদের দেশের একটি সম্পদ। এদের রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের সবার দায়িত্ব। এদের শনাক্ত করতে পারলে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আর এসব পাখি শিকারির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
খুলনা জেলা বন সংরক্ষক কর্মকর্তা মিহির কুমার দে আজকের পত্রিকা কে বলেন, বন্যা প্রাণী সংরক্ষণ নিরাপত্তা ২০১২ আইন ৩৮ (১) ধারা মোতাবেক অতিথি পাখি শিকার বা ধরা দণ্ডনীয় অপরাধ। সে ক্ষেত্রে পাখি শিকারির বিরুদ্ধে এক বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানাসহ উভয়ে দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। ইতিমধ্যে পাখি শিকার বন্ধ করতে শিকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন জারি করে মাঠ পর্যায়ে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রকৃতিতে শুরু হয়েছে শীতের আগমন। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও শীতের শুরুতে শীতপ্রধান দেশ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খাল-বিল ও জলাশয়ে আসতে শুরু করেছে।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, অতিথি পাখি শিকার নিষিদ্ধ হলেও এই সময়ে শিকারে নেমেছে একদল পাখি শিকারি। প্রশাসনকে টাকা ও পাখি দিয়ে নির্বিঘ্নে তারা পাখি শিকার করে চলেছে। রাত যত গভীর হয়, ততই পাখি শিকারিদের বাঁশির কোলাহলে ঘুম হারাম হয়ে যায় এলাকাবাসীর। কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না এই শিকারিদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, দাকোপ এলাকায় বেশির ভাগ পাখি ধরা হয়। অসাধু শিকারিরা রাতে ধান খেতে বসে পাখির ডাকের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বাঁশি বাজায়। উড়ন্ত পাখি বিভ্রান্ত হয়ে আকাশ থেকে নিচে নেমে শিকারির ফাঁদে আটকে যায়। শিকারিরা নাইলনের সুতা দিয়ে ছোট-বড় ফাঁদ তৈরি করে পাখির চলার পথে পেতে রাখে। রাতের বেলায় পাখিরা যখন উড়ে বেড়ায় তখন ওই ফাঁদে শত শত পাখি আটকে যায়। আবার পাখির চোখে আলো ফেলে, কেঁচো দিয়ে বড়শি পেতে, কোচ মেরে ও কারেন্ট জাল পেতেও পাখি শিকার করে থাকে অসাধু শিকারিরা। এ ছাড়া পাখি শিকারিরা ধানখেতে গিয়ে পাখির কণ্ঠ নকল করে। পরে সেই ডাক মোবাইলে ধারণ করে রিংটোনের মাধ্যমে সেই পাখির ডাক বাজায়। একপর্যায়ে ওই ডাকের শব্দ শুনে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি তাদের কাছেই ঘোরাঘুরি করতে থাকে। তখন শিকারিরা বিভিন্ন কলাকৌশলের মাধ্যমে ওই পাখিদের শিকার করে। শিকারিরা রাতে অবাধে পাখি শিকার করে ভোরের আগেই তা বিক্রি করে থাকে। উপজেলার হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় সেই পাখি বিক্রি করে।
এলাকারবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন এসব ব্যাপার দেখেও না দেখার ভান করে থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পাখি শিকারি বলেন, 'আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে টাকা ও পাখি দিয়ে প্রতি রাতেই পাখি শিকার করে থাকি। আপনারা যদি পত্রিকায় লেখালেখি করেন, তাহলে আপনাদের পাখি ও টাকা দিয়ে সন্তুষ্ট করব। দয়া করে আমাদের বিরুদ্ধে কিছু লিখবেন না। এবার অমরা পাখি শিকারের ধরনটা কিছুটা পরিবর্তন করেছি।'
এ বিষয়ে জনৈক পাখি শিকারি শাহীন ও বিজয় বলেন, 'পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু পাখি শিকার করাটা খুবই মজা ও আনন্দের। আমরা পাখি শিকার করি ঠিকই, কিন্তু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য নয়। রান্না করে খেতে ভালো লাগে। তাই মাঝেমধ্যে পাখি শিকার করি।'
পাখি বিশেষজ্ঞরা বলেন, 'অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে এই অতিথি পাখিরা আমাদের দেশে আশ্রয় আর নিরাপত্তার জন্য আসে। এদের ধরা ও শিকার করা দণ্ডনীয় অপরাধ।'
উপজেলার সদর মাইলমারা এলাকার পাখি সংরক্ষণ পরিষদ ও পাখি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য অলকেশ সরকার বলেন, 'পাখি শিকারিদের ধরতে আমরা প্রতি রাতে ধানখেতে পাহারা দিই। দীর্ঘ তিন বছর ধরে আমরা পাখি সংরক্ষণসহ অবাধে পাখি শিকার রোধে কাজ করে চলেছি। থানার পুলিশের সহযোগিতায় আমরা আমাদের এই কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছি। সরকারি সহযোগিতা পেলে নিজেদের সংগঠনটি আরও শক্তিশালীভাবে গড়ে তুলতে পারতাম।'
এ বিষয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মমিনুর রহমান বলেন, 'অতিথি পাখি আমাদের দেশের একটি সম্পদ। এদের রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের সবার দায়িত্ব। এদের শনাক্ত করতে পারলে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আর এসব পাখি শিকারির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
খুলনা জেলা বন সংরক্ষক কর্মকর্তা মিহির কুমার দে আজকের পত্রিকা কে বলেন, বন্যা প্রাণী সংরক্ষণ নিরাপত্তা ২০১২ আইন ৩৮ (১) ধারা মোতাবেক অতিথি পাখি শিকার বা ধরা দণ্ডনীয় অপরাধ। সে ক্ষেত্রে পাখি শিকারির বিরুদ্ধে এক বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানাসহ উভয়ে দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। ইতিমধ্যে পাখি শিকার বন্ধ করতে শিকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন জারি করে মাঠ পর্যায়ে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি গোলাম মোস্তফা হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ...
২ মিনিট আগেকক্সবাজারের টেকনাফে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১টি পিস্তল, ৪টি গ্রেনেড, ৩টি মর্টার শেল, ১০টি রাইফেলের গুলি উদ্ধার করেছে বিজিবি
৩ মিনিট আগেদিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ছাতইল ইউনিয়নের চালান দীঘিরপাড় নামক সীমান্ত এলাকা দিয়ে চারজনকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
১৮ মিনিট আগেপ্রধান উপদেষ্টা বা তাঁর কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করালে আগামীকাল মঙ্গলবার যমুনা ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই ঘোষণা দেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে
২৩ মিনিট আগে