Ajker Patrika

জাল হেবায় অন্যের ৩০ লাখ টাকা মূল্যের জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
জাল হেবায় অন্যের ৩০ লাখ টাকা মূল্যের জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

অন্যের জমি হাতিয়ে নিতে প্রতারক চক্র জাল হেবার (মুসলিম আইনে জমি দান) আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শ্যামনগর উপজেলা সদরের বাদঘাটা মৌজায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় শাহারিয়া বিল্লাহর জাতীয় পরিচয়পত্রে জালিয়াতি করে তারই প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। 

গ্রহীতা ও দাতার বাবার নামের মিল থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পরিচয়পত্রে মাতার নাম পরিবর্তন করে কৌশলে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। 
 
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা মো. আব্দুর রহমান গত ২০ সেপ্টেম্বর জালিয়াত চক্রের হোতা রফিকুলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলায় হেবা নামার গ্রহীতা রাইছা বিবিসহ দলিল লেখক আমজাদ হোসেন এবং তাঁদের দুই সহযোগীকে আসামি করা হয়েছে। ইতি মধ্যে আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পাশাপাশি আগামী ১৪ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছেন। 

ঘটনার শিকার শাহারিয়া বিল্লাহর বাবা মো. আব্দুর রহমান জানান, তার প্রতিবেশী জহুর আলী কারিগরের ছেলে রফিকুল নিজের মা রাইছা বিবিকে তাঁর ছেলে আপন ভাই সাজিয়ে জাল হেবা তৈরি করেছে। ২০১৭ সালের ২৯ মে তারিখে ২৩৪৭ নম্বরের ওই হেবানামা সম্পাদনের পর দীর্ঘদিন তা গোপন রাখা হয়। সম্প্রতি রফিকুল তাঁর লোকজন নিয়ে ওই জমি দখল করার চেষ্টা করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ওই সম্পত্তি আত্মসাতের লক্ষ্যে রফিকুল তাঁর ছেলের জাতীয় পরিচয়পত্রে জালিয়াতির আশ্রয় নেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন। 

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. আব্দুর রহমান অভিযোগ আরও বলেন, আদালতে জালিয়াতির ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ছেলেসহ তাঁকে নানাভাবে ক্ষয়ক্ষতি করার হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্তরা। 

অভিযোগের বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আব্দুর রহমানের সাথে আমার কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এসব নিয়ে সংবাদ করার দরকার নেই, আমরা নিজেরা মিটিয়ে নিব।’ 

দলিল লেখক মো. আমজাদ হোসেন বলেন, আমাদের চোখে ধুলো দিয়ে রফিকুল এমন একটা কাজ আমাদের দিয়ে করিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীরা আদালতে গেলে আমরা ওই জালিয়াতির বিরুদ্ধে সাক্ষী হতে রাজি আছি। 

উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসার মো. ইমরুল হাসান বলেন, হেবানামার শেষাংশে অঙ্গীকার করে সংশ্লিষ্ট দাতা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে। তবে কেউ এমন অপকর্ম করলে দলিল বাতিলসহ তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার সুযোগ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, অনেক ব্যস্ততার ভিড়ে এ ধরনের জালিয়াতি কেউ করে থাকলে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তা চিহ্নিত করা কঠিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অরকার আক্রমণে তরুণী প্রশিক্ষকের মৃত্যু, ভাইরাল ভিডিওটি সম্পর্কে যা জানা গেল

জি এম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা ও মামলা প্রত্যাহার

ভারতকে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

প্লট–ফ্ল্যাট বরাদ্দে সচিব, এমপি, মন্ত্রী, বিচারপতিসহ যাঁদের কোটা বাতিল

জুলাই সনদের বৈধতা নিয়ে আদালতেও প্রশ্ন তোলা যাবে না

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত