আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহ

শিক্ষাবর্ষের আড়াই মাস সময় হয়ে গেলেও পায়নি ঝিনাইদহের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বহু শিক্ষার্থীই সিলেবাসের সব কটি বই পায়নি। যেখানে বহুদিন পর আজ মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিক ও প্রাক প্রাথমিকে পুরো দমে শুরু হয়েছে। অথচ বহু শিক্ষার্থীর হাতে আছে দু-একটি বই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমন চিত্র জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলগুলোতে ৩ য়,৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ সংকট রয়েছে। তবে ১ম ও ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সিলেবাসের সব নতুন বই পেয়েছে।
শহরের স্কুলগুলোতে সংকট কিছুটা কম। গ্রামের স্কুলে সমস্যা প্রকট। বিভিন্ন স্কুল ঘুরে জানা যায়,৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুটি করে নতুন বই পেয়েছে। আর ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পেয়েছে মাত্র একটি। অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী এর মধ্যে পুরোনো বই জোগাড় করতে পেরেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় প্রাথমিকে ১ হাজার ৪৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে শিক্ষার্থী ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৪৫ জন। এর মধ্যে ১ম ও ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সব বিষয়ে নতুন বই পেয়েছে। কিন্তু ৩য় শ্রেণির ৪৩ হাজার ৮৪৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪ হাজার ৬১৫ শিক্ষার্থী দুটি করে নতুন বই পেয়েছে। আর ৪র্থ শ্রেণির ৪১ হাজার ৯২৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ হাজার ৯৭২ জন পেয়েছে নতুন দুটি করে বই। ৫ম শ্রেণির ৩৫ হাজার ৭৬২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৫ হাজার ৯৭০ জন শিক্ষার্থী পেয়েছে মাত্র একটি করে নতুন বই। সেটি বাংলা।
জানা গেছে,৩ য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরোনো বই সংগ্রহ করে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের ছয়টি বই জোগাড় করতে পেরেছে মাত্র ৩০ ভাগ শিক্ষার্থী। প্রথম দিকে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে চাহিদার তুলনায় অল্পসংখ্যক বই আসায় শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুটি করে বিভিন্ন বিষয়ের বই ভাগ করে দেন।
যদিও শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের দাবি,৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা চারটি করেই নতুন বই পেয়েছে। আর ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তিনটি বিষয়ের নতুন বই পায়নি। আর জেলায় মোট বইয়ের চাহিদা ছিল ১০ লাখ ৮ হাজার ৫৩১ টি, বিপরীতে পাওয়া গেছে ৬ লাখ ৫৫ হাজার বই।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী লামিয়া রহমান বলে, ‘আমি স্কুল থেকে গিয়ে বাড়িতে বাংলা ছাড়া অন্য কোনো বই পড়তে পারি না। স্কুলে ম্যাডামেরা পড়ালেও বাড়িতে গিয়ে পড়তে না পারায় ইংরেজি, গণিতসহ অন্যান্য বিষয় ভালো মনে থাকে না।’
করোতিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল বলে, ‘স্কুল থেকে একটি বই দিয়েছেন স্যারেরা। তাই বাড়িতে অন্য বিষয় পড়তে পারি না। শুধু স্কুলে এসে সহপাঠীদের বই নিয়ে পড়তে হয়। বন্ধুরা অনেক সময় বই দিতে চায় না।’
৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী অনন্যা বিশ্বাস বলে, ‘নতুন ক্লাসে উঠেছি। নতুন বই পড়ব। কিন্তু এখন পুরোনো ছেঁড়া, দাগানো বই পড়তে ভালো লাগে না।’
বই না পাওয়ায় চিন্তিত অভিভাবকেরাও। সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবক নাদিরা খাতুন বৃষ্টি বলেন, ‘আমার মেয়ে সম্প্রতি দুইটা বই পেয়েছে। তারা বই না পাওয়ায় বাসায় ঠিকমতো পড়াতে পারি না। কারণ তারা লিখবে ও পড়বে। কিন্তু যদি পড়তেই না পারে তাহলে লিখবে কী করে!’
আরেক অভিভাবক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বছরের প্রথম দিনে বই দেওয়ার কথা। কিন্তু আজও পূর্ণ বই পেল না তারা। তাহলে বছরের প্রথম দিনে বই দেওয়ার কথা বলে ছাত্রছাত্রীদের আশ্বাস দেওয়ার কী দরকার?’
করোনার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এমনিতেই শিশুদের লেখাপড়ায় অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এখন আবার তারা বই পাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে প্রাথমিকের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এমন মন্তব্য করেন লাউদিয়া এলাকার অভিভাবক নাসিমা খাতুন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মী রানী পোদ্দার বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিকের তিনটি শ্রেণি রয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা নতুন বই না পাওয়ায় লেখাপড়ার তো অবশ্যই ক্ষতি হচ্ছে। আমরাও ঠিকমতো পাঠদান করতে পারি না। তাদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। প্রায় প্রতিদিনই তারা বলতেই থাকে, বই দিবেন কবে, বই দিবেন কবে।’
বছরের শুরুর দিনে নতুন বই দেওয়ার কথা থাকলেও হাতে বই না আসেনি জানিয়ে লাউদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পর্শিয়া খানম বলেন, ‘কিছু পুরোনো বই ম্যানেজ করে পাঠদান চালাচ্ছি। পুরোনো বই এর আগে বেশ কয়েক বছর দরকার পড়েনি। আবার গ্রামের স্কুলের শিক্ষার্থীরা বই ঠিকমতো রাখেনি। তাই পুরোনো বইও সব ম্যানেজ করা যায়নি।’
বই সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দু-একটি করে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান করোতি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাবের হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীর তুলনায় ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে যে বই পেয়েছিলাম তা অনেক কম। তাই সবগুলো বই দুটি করে ভাগ ভাগ করে শিক্ষার্থীদের দিয়েছি।’
এতদিনেও বই না আসার বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সব শিক্ষার্থীকে বই দেওয়া হয়েছে। দু-একটি বিষয়ে বই দিতে পারিনি।’ তবে স্কুল খুলে যাওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হয়নি বলে মনে করেন তিনি।
কবে নাগাদ এ সংকট দূর হবে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন, ‘অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি, প্রিন্টিং কার্যক্রমের দায়িত্বরতদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে প্রাথমিকে বই ছাপানোতে কিছু সমস্যা হয়েছে। অতি দ্রুতই বই পেয়ে যাব এবং শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’

শিক্ষাবর্ষের আড়াই মাস সময় হয়ে গেলেও পায়নি ঝিনাইদহের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বহু শিক্ষার্থীই সিলেবাসের সব কটি বই পায়নি। যেখানে বহুদিন পর আজ মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিক ও প্রাক প্রাথমিকে পুরো দমে শুরু হয়েছে। অথচ বহু শিক্ষার্থীর হাতে আছে দু-একটি বই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমন চিত্র জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলগুলোতে ৩ য়,৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ সংকট রয়েছে। তবে ১ম ও ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সিলেবাসের সব নতুন বই পেয়েছে।
শহরের স্কুলগুলোতে সংকট কিছুটা কম। গ্রামের স্কুলে সমস্যা প্রকট। বিভিন্ন স্কুল ঘুরে জানা যায়,৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুটি করে নতুন বই পেয়েছে। আর ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পেয়েছে মাত্র একটি। অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী এর মধ্যে পুরোনো বই জোগাড় করতে পেরেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় প্রাথমিকে ১ হাজার ৪৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে শিক্ষার্থী ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৪৫ জন। এর মধ্যে ১ম ও ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সব বিষয়ে নতুন বই পেয়েছে। কিন্তু ৩য় শ্রেণির ৪৩ হাজার ৮৪৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪ হাজার ৬১৫ শিক্ষার্থী দুটি করে নতুন বই পেয়েছে। আর ৪র্থ শ্রেণির ৪১ হাজার ৯২৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ হাজার ৯৭২ জন পেয়েছে নতুন দুটি করে বই। ৫ম শ্রেণির ৩৫ হাজার ৭৬২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৫ হাজার ৯৭০ জন শিক্ষার্থী পেয়েছে মাত্র একটি করে নতুন বই। সেটি বাংলা।
জানা গেছে,৩ য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরোনো বই সংগ্রহ করে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের ছয়টি বই জোগাড় করতে পেরেছে মাত্র ৩০ ভাগ শিক্ষার্থী। প্রথম দিকে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে চাহিদার তুলনায় অল্পসংখ্যক বই আসায় শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুটি করে বিভিন্ন বিষয়ের বই ভাগ করে দেন।
যদিও শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের দাবি,৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা চারটি করেই নতুন বই পেয়েছে। আর ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তিনটি বিষয়ের নতুন বই পায়নি। আর জেলায় মোট বইয়ের চাহিদা ছিল ১০ লাখ ৮ হাজার ৫৩১ টি, বিপরীতে পাওয়া গেছে ৬ লাখ ৫৫ হাজার বই।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী লামিয়া রহমান বলে, ‘আমি স্কুল থেকে গিয়ে বাড়িতে বাংলা ছাড়া অন্য কোনো বই পড়তে পারি না। স্কুলে ম্যাডামেরা পড়ালেও বাড়িতে গিয়ে পড়তে না পারায় ইংরেজি, গণিতসহ অন্যান্য বিষয় ভালো মনে থাকে না।’
করোতিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল বলে, ‘স্কুল থেকে একটি বই দিয়েছেন স্যারেরা। তাই বাড়িতে অন্য বিষয় পড়তে পারি না। শুধু স্কুলে এসে সহপাঠীদের বই নিয়ে পড়তে হয়। বন্ধুরা অনেক সময় বই দিতে চায় না।’
৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী অনন্যা বিশ্বাস বলে, ‘নতুন ক্লাসে উঠেছি। নতুন বই পড়ব। কিন্তু এখন পুরোনো ছেঁড়া, দাগানো বই পড়তে ভালো লাগে না।’
বই না পাওয়ায় চিন্তিত অভিভাবকেরাও। সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবক নাদিরা খাতুন বৃষ্টি বলেন, ‘আমার মেয়ে সম্প্রতি দুইটা বই পেয়েছে। তারা বই না পাওয়ায় বাসায় ঠিকমতো পড়াতে পারি না। কারণ তারা লিখবে ও পড়বে। কিন্তু যদি পড়তেই না পারে তাহলে লিখবে কী করে!’
আরেক অভিভাবক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বছরের প্রথম দিনে বই দেওয়ার কথা। কিন্তু আজও পূর্ণ বই পেল না তারা। তাহলে বছরের প্রথম দিনে বই দেওয়ার কথা বলে ছাত্রছাত্রীদের আশ্বাস দেওয়ার কী দরকার?’
করোনার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এমনিতেই শিশুদের লেখাপড়ায় অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এখন আবার তারা বই পাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে প্রাথমিকের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এমন মন্তব্য করেন লাউদিয়া এলাকার অভিভাবক নাসিমা খাতুন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মী রানী পোদ্দার বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিকের তিনটি শ্রেণি রয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা নতুন বই না পাওয়ায় লেখাপড়ার তো অবশ্যই ক্ষতি হচ্ছে। আমরাও ঠিকমতো পাঠদান করতে পারি না। তাদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। প্রায় প্রতিদিনই তারা বলতেই থাকে, বই দিবেন কবে, বই দিবেন কবে।’
বছরের শুরুর দিনে নতুন বই দেওয়ার কথা থাকলেও হাতে বই না আসেনি জানিয়ে লাউদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পর্শিয়া খানম বলেন, ‘কিছু পুরোনো বই ম্যানেজ করে পাঠদান চালাচ্ছি। পুরোনো বই এর আগে বেশ কয়েক বছর দরকার পড়েনি। আবার গ্রামের স্কুলের শিক্ষার্থীরা বই ঠিকমতো রাখেনি। তাই পুরোনো বইও সব ম্যানেজ করা যায়নি।’
বই সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দু-একটি করে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান করোতি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাবের হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীর তুলনায় ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে যে বই পেয়েছিলাম তা অনেক কম। তাই সবগুলো বই দুটি করে ভাগ ভাগ করে শিক্ষার্থীদের দিয়েছি।’
এতদিনেও বই না আসার বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সব শিক্ষার্থীকে বই দেওয়া হয়েছে। দু-একটি বিষয়ে বই দিতে পারিনি।’ তবে স্কুল খুলে যাওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হয়নি বলে মনে করেন তিনি।
কবে নাগাদ এ সংকট দূর হবে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন, ‘অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি, প্রিন্টিং কার্যক্রমের দায়িত্বরতদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে প্রাথমিকে বই ছাপানোতে কিছু সমস্যা হয়েছে। অতি দ্রুতই বই পেয়ে যাব এবং শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’

গতকাল শনিবার বিকেলে বঙ্গোপসাগরে টহলের সময় নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা শহীদ মহিবুল্লাহ’ একটি মাছ ধরার ট্রলার ভাসতে দেখে উদ্ধারে নামে। কুতুবদিয়া দ্বীপের লাইট হাউস থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে গভীর সমুদ্রে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়। ট্রলারে থাকা জেলেরা নৌবাহিনীর জাহাজ দেখতে পেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আলো ও হাত...
৩৫ মিনিট আগে
নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার দুর্গম পদ্মার চরাঞ্চল—চর জাজিরা, চর লালপুর এবং চর দিয়ার বাহাদুরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ সাঁড়াশি অভিযানে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযানে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের টঙ্গীতে উড়ালসেতুর নিচে অজ্ঞাতনামা (৩০) এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল ৯টার দিকে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উড়ালসেতুর টঙ্গী স্টেশন রোড অংশের নিচে মরদেহটির সন্ধান মেলে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে আগুন লাগার কোনো চিহ্ন না থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ‘ঘর পোড়ানোর’ মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে অন্য স্থানের আগুনের চিত্র দেখিয়ে এই মামলা করা হয় বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী।
২ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার প্রতিনিধি

বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে বিকল হয়ে ভাসতে থাকা একটি ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী। আজ রোববার সকালে নৌবাহিনীর এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল শনিবার বিকেলে বঙ্গোপসাগরে টহলের সময় নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা শহীদ মহিবুল্লাহ’ একটি মাছ ধরার ট্রলার ভাসতে দেখে উদ্ধারে নামে। কুতুবদিয়া দ্বীপের লাইট হাউস থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে গভীর সমুদ্রে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়। ট্রলারে থাকা জেলেরা নৌবাহিনীর জাহাজ দেখতে পেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আলো ও হাত দিয়ে সংকেত প্রদর্শন করেন। এ সময় নৌবাহিনীর জাহাজটি সংকেত দেখে বিপদগ্রস্ত জেলে ও ট্রলারের কাছে ছুটে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে নৌবাহিনীর সদস্যরা ট্রলারসহ জেলেদের উদ্ধার করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উদ্ধারের পরপরই জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ, খাবার ও বিশুদ্ধ পানি দেওয়া হয়। পরে জেলেদের ও ট্রলারটি নিরাপদে তীরে এনে পরিবার ও মালিকপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জেলেরা জানিয়েছেন, ৬ নভেম্বর থেকে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে মাঝসমুদ্রে ভাসতে থাকে।

বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে বিকল হয়ে ভাসতে থাকা একটি ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী। আজ রোববার সকালে নৌবাহিনীর এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল শনিবার বিকেলে বঙ্গোপসাগরে টহলের সময় নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা শহীদ মহিবুল্লাহ’ একটি মাছ ধরার ট্রলার ভাসতে দেখে উদ্ধারে নামে। কুতুবদিয়া দ্বীপের লাইট হাউস থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে গভীর সমুদ্রে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়। ট্রলারে থাকা জেলেরা নৌবাহিনীর জাহাজ দেখতে পেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আলো ও হাত দিয়ে সংকেত প্রদর্শন করেন। এ সময় নৌবাহিনীর জাহাজটি সংকেত দেখে বিপদগ্রস্ত জেলে ও ট্রলারের কাছে ছুটে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে নৌবাহিনীর সদস্যরা ট্রলারসহ জেলেদের উদ্ধার করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উদ্ধারের পরপরই জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ, খাবার ও বিশুদ্ধ পানি দেওয়া হয়। পরে জেলেদের ও ট্রলারটি নিরাপদে তীরে এনে পরিবার ও মালিকপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জেলেরা জানিয়েছেন, ৬ নভেম্বর থেকে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে মাঝসমুদ্রে ভাসতে থাকে।

শহরের স্কুলগুলোতে সংকট কিছুটা কম। গ্রামের স্কুলে সমস্যা প্রকট। বিভিন্ন স্কুল ঘুরে জানা যায়,৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুটি করে নতুন বই পেয়েছে। আর ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পেয়েছে মাত্র একটি। অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী এর মধ্যে পুরোনো বই জোগাড় করতে পেরেছে।
১৫ মার্চ ২০২২
নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার দুর্গম পদ্মার চরাঞ্চল—চর জাজিরা, চর লালপুর এবং চর দিয়ার বাহাদুরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ সাঁড়াশি অভিযানে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযানে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের টঙ্গীতে উড়ালসেতুর নিচে অজ্ঞাতনামা (৩০) এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল ৯টার দিকে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উড়ালসেতুর টঙ্গী স্টেশন রোড অংশের নিচে মরদেহটির সন্ধান মেলে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে আগুন লাগার কোনো চিহ্ন না থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ‘ঘর পোড়ানোর’ মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে অন্য স্থানের আগুনের চিত্র দেখিয়ে এই মামলা করা হয় বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী।
২ ঘণ্টা আগেনাটোর প্রতিনিধি

নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার দুর্গম পদ্মার চরাঞ্চল—চর জাজিরা, চর লালপুর এবং চর দিয়ার বাহাদুরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ সাঁড়াশি অভিযানে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযানে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
শনিবার দিবাগত রাত থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ, র্যাব, ডিবি এবং এপিবিএনের চার শতাধিক সদস্য যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করেন।
আটক ২০ জনের মধ্যে দুজন হ্যাকার, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং ছয়টি ওয়ারেন্টের আসামি রয়েছেন। এ ছাড়াও আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হত্যা মামলার আসামি এবং দুজন চিহ্নিত মাদক কারবারি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানান, চর দিয়ার বাহাদুরপুরের বালুমহালের ছাউনি থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র (দেশীয় তৈরি ওয়ান-শুটারগান ও একটি রিভলবার) উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়াও উদ্ধার হওয়া দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ছয়টি বড় ড্যাগার, ২২টি হাঁসুয়া, চারটি চাকু ও ছোরা, দুটি চাপাতি।

অভিযানস্থল থেকে একটি টিউবওয়েল এবং অনেকগুলো বালু বিক্রির রসিদ জব্দ করা হয়।
নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, লালপুর উপজেলার চরাঞ্চলে এবং পদ্মা নদীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পুলিশের এই বিশেষ অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার দুর্গম পদ্মার চরাঞ্চল—চর জাজিরা, চর লালপুর এবং চর দিয়ার বাহাদুরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ সাঁড়াশি অভিযানে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযানে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
শনিবার দিবাগত রাত থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ, র্যাব, ডিবি এবং এপিবিএনের চার শতাধিক সদস্য যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করেন।
আটক ২০ জনের মধ্যে দুজন হ্যাকার, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং ছয়টি ওয়ারেন্টের আসামি রয়েছেন। এ ছাড়াও আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হত্যা মামলার আসামি এবং দুজন চিহ্নিত মাদক কারবারি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানান, চর দিয়ার বাহাদুরপুরের বালুমহালের ছাউনি থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র (দেশীয় তৈরি ওয়ান-শুটারগান ও একটি রিভলবার) উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়াও উদ্ধার হওয়া দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ছয়টি বড় ড্যাগার, ২২টি হাঁসুয়া, চারটি চাকু ও ছোরা, দুটি চাপাতি।

অভিযানস্থল থেকে একটি টিউবওয়েল এবং অনেকগুলো বালু বিক্রির রসিদ জব্দ করা হয়।
নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, লালপুর উপজেলার চরাঞ্চলে এবং পদ্মা নদীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পুলিশের এই বিশেষ অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

শহরের স্কুলগুলোতে সংকট কিছুটা কম। গ্রামের স্কুলে সমস্যা প্রকট। বিভিন্ন স্কুল ঘুরে জানা যায়,৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুটি করে নতুন বই পেয়েছে। আর ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পেয়েছে মাত্র একটি। অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী এর মধ্যে পুরোনো বই জোগাড় করতে পেরেছে।
১৫ মার্চ ২০২২
গতকাল শনিবার বিকেলে বঙ্গোপসাগরে টহলের সময় নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা শহীদ মহিবুল্লাহ’ একটি মাছ ধরার ট্রলার ভাসতে দেখে উদ্ধারে নামে। কুতুবদিয়া দ্বীপের লাইট হাউস থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে গভীর সমুদ্রে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়। ট্রলারে থাকা জেলেরা নৌবাহিনীর জাহাজ দেখতে পেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আলো ও হাত...
৩৫ মিনিট আগে
গাজীপুরের টঙ্গীতে উড়ালসেতুর নিচে অজ্ঞাতনামা (৩০) এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল ৯টার দিকে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উড়ালসেতুর টঙ্গী স্টেশন রোড অংশের নিচে মরদেহটির সন্ধান মেলে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে আগুন লাগার কোনো চিহ্ন না থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ‘ঘর পোড়ানোর’ মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে অন্য স্থানের আগুনের চিত্র দেখিয়ে এই মামলা করা হয় বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী।
২ ঘণ্টা আগেটঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের টঙ্গীতে উড়ালসেতুর নিচে অজ্ঞাতনামা (৩০) এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল ৯টার দিকে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উড়ালসেতুর টঙ্গী স্টেশন রোড অংশের নিচে মরদেহটির সন্ধান মেলে।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রোববার সকালে স্থানীয় লোকজন বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর ৬৮ নম্বর পিলারের পাশে ওই যুবকের মরদেহটি দেখতে পায়। পুলিশকে খবর পাঠালে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এই যুবককে দুর্বৃত্তরা অন্য কোথাও হত্যা করে মরদেহটি সেতুর নিচে ফেলে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
টঙ্গী পশ্চিম থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদের ভাষ্য, যুবকের পরিচয় শনাক্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যদের খবর পাঠানো হয়েছে। আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

গাজীপুরের টঙ্গীতে উড়ালসেতুর নিচে অজ্ঞাতনামা (৩০) এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল ৯টার দিকে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উড়ালসেতুর টঙ্গী স্টেশন রোড অংশের নিচে মরদেহটির সন্ধান মেলে।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রোববার সকালে স্থানীয় লোকজন বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর ৬৮ নম্বর পিলারের পাশে ওই যুবকের মরদেহটি দেখতে পায়। পুলিশকে খবর পাঠালে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এই যুবককে দুর্বৃত্তরা অন্য কোথাও হত্যা করে মরদেহটি সেতুর নিচে ফেলে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
টঙ্গী পশ্চিম থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদের ভাষ্য, যুবকের পরিচয় শনাক্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যদের খবর পাঠানো হয়েছে। আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

শহরের স্কুলগুলোতে সংকট কিছুটা কম। গ্রামের স্কুলে সমস্যা প্রকট। বিভিন্ন স্কুল ঘুরে জানা যায়,৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুটি করে নতুন বই পেয়েছে। আর ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পেয়েছে মাত্র একটি। অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী এর মধ্যে পুরোনো বই জোগাড় করতে পেরেছে।
১৫ মার্চ ২০২২
গতকাল শনিবার বিকেলে বঙ্গোপসাগরে টহলের সময় নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা শহীদ মহিবুল্লাহ’ একটি মাছ ধরার ট্রলার ভাসতে দেখে উদ্ধারে নামে। কুতুবদিয়া দ্বীপের লাইট হাউস থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে গভীর সমুদ্রে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়। ট্রলারে থাকা জেলেরা নৌবাহিনীর জাহাজ দেখতে পেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আলো ও হাত...
৩৫ মিনিট আগে
নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার দুর্গম পদ্মার চরাঞ্চল—চর জাজিরা, চর লালপুর এবং চর দিয়ার বাহাদুরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ সাঁড়াশি অভিযানে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযানে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে আগুন লাগার কোনো চিহ্ন না থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ‘ঘর পোড়ানোর’ মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে অন্য স্থানের আগুনের চিত্র দেখিয়ে এই মামলা করা হয় বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী।
২ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে আগুন লাগার কোনো চিহ্ন না থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ‘ঘর পোড়ানোর’ মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে অন্য স্থানের আগুনের চিত্র দেখিয়ে এই মামলা করা হয় বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী। মিথ্যা মামলায় আসামি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিনের পরিবার। এই মিথ্যা মামলা থেকে প্রতিবেশীকে বাঁচাতে শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা যায়, গত ১১ আগস্ট নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে ঘর পোড়ানোর অভিযোগ এনে একটি মামলা করা হয় হাতিয়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মজিবুল হকের স্ত্রী শিরীন আকতার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিনসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা কাজী ইমরান হোসেন ঘটনাস্থলে না গিয়ে শুধু বাদীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাটি সত্য বলে প্রতিবেদন দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শনিবার বিকেলে দুই শতাধিক লোক নিঝুম দ্বীপ হরিণ বাজারে মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বাজারের ব্যবসায়ী, মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।
বক্তারা দৃঢ়ভাবে বলেন, বাজারের পাশে বাদীর বাড়ি এবং এই ঘরটি বাজার থেকে দেখা যায়। এই ঘরে আগুন দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। ব্যবসায়ী বেলালের সঙ্গে বাদীর জমি নিয়ে পুরোনো বিরোধ রয়েছে। সে কারণে অন্য জায়গার ছবি দেখিয়ে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।
তাঁরা মামলার পূর্ণ তদন্ত এবং ব্যবসায়ী বেলালসহ সব আসামির অব্যাহতি দাবি করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী শিরীন আক্তার জানান, ছয় মাস আগে রাতে তাঁদের ঘরের দক্ষিণ পাশের রান্নাঘরের বেড়ায় আগুন লেগেছিল। প্রতিবেশীরা এসে তা নিভিয়ে ফেলায় তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে কে আগুন লাগিয়েছে তা তিনি দেখেননি। পরে কেন তিনি আগুনে ঘর পোড়ানোর মামলা দিলেন, সেই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লাকী আকতার নিশ্চিত করেছেন, ঘর পোড়ানোর মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে করা হয়েছে এবং এখানে আগুন লাগার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
লাকী আকতার আরও জানান, ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিন স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে নুরবানু থেকে জমিটি ১৪ লাখ টাকায় ক্রয় করেন। এরপর নুরবানুর ছেলে আরও ৮ লাখ টাকা নিয়েও ব্যবসায়ীকে হয়রানি করে আসছেন এবং এ পর্যন্ত চারটি মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। এই বিরোধ নিয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠক হলেও নুরবানুর ছেলে উপস্থিত হননি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কাজী ইমরান হোসেন বলেন, ‘মামলার বাদী ঘরে আগুন দেওয়ার ভিডিও ও ছবি এনে দিয়েছেন। তাতে আমার কাছে ঘটনাটি সত্য বলে মনে হয়েছে। সে মোতাবেক আমি প্রতিবেদন দিয়েছি। আমার সঙ্গে আসামিরা দেখা করেছে। তারা ঘটনাটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে। আমি তাদেরকে পুনঃ তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করতে বলেছি।’

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে আগুন লাগার কোনো চিহ্ন না থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ‘ঘর পোড়ানোর’ মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে অন্য স্থানের আগুনের চিত্র দেখিয়ে এই মামলা করা হয় বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী। মিথ্যা মামলায় আসামি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিনের পরিবার। এই মিথ্যা মামলা থেকে প্রতিবেশীকে বাঁচাতে শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা যায়, গত ১১ আগস্ট নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে ঘর পোড়ানোর অভিযোগ এনে একটি মামলা করা হয় হাতিয়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মজিবুল হকের স্ত্রী শিরীন আকতার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিনসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা কাজী ইমরান হোসেন ঘটনাস্থলে না গিয়ে শুধু বাদীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাটি সত্য বলে প্রতিবেদন দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শনিবার বিকেলে দুই শতাধিক লোক নিঝুম দ্বীপ হরিণ বাজারে মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বাজারের ব্যবসায়ী, মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।
বক্তারা দৃঢ়ভাবে বলেন, বাজারের পাশে বাদীর বাড়ি এবং এই ঘরটি বাজার থেকে দেখা যায়। এই ঘরে আগুন দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। ব্যবসায়ী বেলালের সঙ্গে বাদীর জমি নিয়ে পুরোনো বিরোধ রয়েছে। সে কারণে অন্য জায়গার ছবি দেখিয়ে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।
তাঁরা মামলার পূর্ণ তদন্ত এবং ব্যবসায়ী বেলালসহ সব আসামির অব্যাহতি দাবি করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী শিরীন আক্তার জানান, ছয় মাস আগে রাতে তাঁদের ঘরের দক্ষিণ পাশের রান্নাঘরের বেড়ায় আগুন লেগেছিল। প্রতিবেশীরা এসে তা নিভিয়ে ফেলায় তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে কে আগুন লাগিয়েছে তা তিনি দেখেননি। পরে কেন তিনি আগুনে ঘর পোড়ানোর মামলা দিলেন, সেই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লাকী আকতার নিশ্চিত করেছেন, ঘর পোড়ানোর মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে করা হয়েছে এবং এখানে আগুন লাগার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
লাকী আকতার আরও জানান, ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিন স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে নুরবানু থেকে জমিটি ১৪ লাখ টাকায় ক্রয় করেন। এরপর নুরবানুর ছেলে আরও ৮ লাখ টাকা নিয়েও ব্যবসায়ীকে হয়রানি করে আসছেন এবং এ পর্যন্ত চারটি মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। এই বিরোধ নিয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠক হলেও নুরবানুর ছেলে উপস্থিত হননি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কাজী ইমরান হোসেন বলেন, ‘মামলার বাদী ঘরে আগুন দেওয়ার ভিডিও ও ছবি এনে দিয়েছেন। তাতে আমার কাছে ঘটনাটি সত্য বলে মনে হয়েছে। সে মোতাবেক আমি প্রতিবেদন দিয়েছি। আমার সঙ্গে আসামিরা দেখা করেছে। তারা ঘটনাটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে। আমি তাদেরকে পুনঃ তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করতে বলেছি।’

শহরের স্কুলগুলোতে সংকট কিছুটা কম। গ্রামের স্কুলে সমস্যা প্রকট। বিভিন্ন স্কুল ঘুরে জানা যায়,৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুটি করে নতুন বই পেয়েছে। আর ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পেয়েছে মাত্র একটি। অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী এর মধ্যে পুরোনো বই জোগাড় করতে পেরেছে।
১৫ মার্চ ২০২২
গতকাল শনিবার বিকেলে বঙ্গোপসাগরে টহলের সময় নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা শহীদ মহিবুল্লাহ’ একটি মাছ ধরার ট্রলার ভাসতে দেখে উদ্ধারে নামে। কুতুবদিয়া দ্বীপের লাইট হাউস থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে গভীর সমুদ্রে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়। ট্রলারে থাকা জেলেরা নৌবাহিনীর জাহাজ দেখতে পেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আলো ও হাত...
৩৫ মিনিট আগে
নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার দুর্গম পদ্মার চরাঞ্চল—চর জাজিরা, চর লালপুর এবং চর দিয়ার বাহাদুরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ সাঁড়াশি অভিযানে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযানে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের টঙ্গীতে উড়ালসেতুর নিচে অজ্ঞাতনামা (৩০) এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল ৯টার দিকে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উড়ালসেতুর টঙ্গী স্টেশন রোড অংশের নিচে মরদেহটির সন্ধান মেলে।
১ ঘণ্টা আগে