Ajker Patrika

লীগ বলয়ের সন্ত্রাসী রাকিবের বিএনপিতে ভেড়ার চেষ্টা

  • একসময় শাহীন চাকলাদার এবং পরে কাজী নাবিলের রাজনীতি করেছেন
  • ‘ভাইপো রাকিব’ নামে পরিচিত এ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ৮টি হত্যাসহ অন্তত ২৫ মামলা আছে
  • গত রোববার রাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এই সন্ত্রাসী, এখন ঢাকায় চিকিৎসাধীন
জাহিদ হাসান, যশোর 
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১১: ৪২
রাকিব হোসেন
রাকিব হোসেন

নাম রাকিব হোসেন। তবে পরিচিত ‘ভাইপো রাকিব’ নামে। গত দেড় দশক যশোর শহরের শংকরপুরে ত্রাস ছিলেন তিনি। ৮টি হত্যা মামলাসহ ২৫ মামলার আসামি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গা ঢাকা দিয়েছিলেন। এখন বিএনপিতে ভেড়ার চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে এলাকার অনেকে আতঙ্কে। এরই মধ্যে গত রোববার রাতে সহযোগীদের গুলিতে আহত হয়েছেন। ফলে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন যশোরের এই সন্ত্রাসী।

রাকিব শংকরপুর সার গোডাউন এলাকার কাজী তৌহিদুল ইসলামের ছেলে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে রাকিব মেজ। ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, অস্ত্র বহন ও হত্যার নানা অভিযোগে আরও ২৫টি মামলা হয় গত দেড় দশকে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি স্থানীয় রেণু পোনার ব্যবসাও করেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিজেদের আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে রাকিব এখন বিএনপিতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। নিজেকে বিএনপির কর্মী বলে পরিচয়ও দিচ্ছেন।

যেভাবে ভাইপো হলেন

রাকিবের স্বজন, স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাকিবের যেখানে বাসা, সেটি দীর্ঘদিন ধরে মাদক বেচাকেনার হট স্পট। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে, তখন রাকিব নবম শ্রেণির ছাত্র। সেই সময় স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফার সঙ্গে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। একই সঙ্গে জড়ান নানা অপরাধে। ২০১০ সালের দিকে স্থানীয় আধিপত্যের জেরে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করেন তিনি। সেই হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি হন। শংকরপুর সার গোডাউন এলাকায় রাকিব নামে একাধিক ব্যক্তি থাকায় ভুক্তভোগীরা বিড়ম্বনায় পড়তেন। পরে স্থানীয়রা রাকিবের নামের শেষে ‘ভাইপো’ যোগ করে দেন।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের সঙ্গে রাজনীতি করতেন রাকিব। সেই সময়ই হয়ে ওঠেন শহরের এক অংশের অপরাধজগতের একক নিয়ন্ত্রক। তবে হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে একসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হন তিনি। তবে শাহীন চাকলাদার এ সময় তাঁকে মুক্ত হতে সাহায্য করেননি। পরে তৎকালীন স্থানীয় সংসদ কাজী নাবিলের ঘনিষ্ঠরা তাঁকে মুক্ত করেন। ফলে ২০২১ সালের পর থেকে নাবিল অনুসারীদের সঙ্গে রাজনীতি করতে থাকেন। এরপর রাকিব নাবিলের অনুসারী শীর্ষ সন্ত্রাসী ও শহর যুবলীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক মেহবুব রহমান ওরফে ম্যানসেলের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। এরপর রেলগেট, শংকরপুর এলাকা নিয়ন্ত্রণে সহযোগী নয়ন, সাব্বির, আরিফদের নিয়ে নিজেই একটি ‘গ্যাং’ গড়ে তোলেন। পুলিশ বলছে, সাবেক পিপি আবু শাহরিয়ার অর্ণব, খুলনার ট্রাকচালক, হেলপার, শংকরপুরের রিপন, জুম্মানসহ ৮টি হত্যা মামলার আসামি রাকিব। একাধিক ভুক্তভোগী জানান, আওয়ামী লীগের নেতারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন রাকিবকে। তবে এর ভুক্তভোগী হয়েছে সাধারণ মানুষ।

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) কাজী বাবুল বলেন, ‘রাকিব যশোরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী। পুলিশের মামলার নথিপত্র জিডিটাল হয় ২০১৭ সালে। ডিজিটাল তালিকা অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, বিস্ফোরক, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টার ২৫টি মামলা রয়েছে। তবে অ্যানালগ মামলার নথি ঘাঁটলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সবচেয়ে হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক মামলা বেশি তাঁর বিরুদ্ধে। সব মামলা বিচারাধীন।’

যেভাবে গুলিবিদ্ধ

পুলিশ ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় প্রতিপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তার-আতঙ্কে অনেক আগে থেকেই নিজ বাড়িতে থাকতেন না রাকিব। এমনকি স্ত্রী-সন্তানও থাকছেন শ্বশুরবাড়িতে। রাকিবের বাবার বাড়িতে পারিবারিক একটা অনুষ্ঠান থাকায় রোববার দুপুরে বাড়িতে আসেন রাকিব। রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে বাসার সামনে দাঁড়ালে ওই এলাকার কাজী জালালের ছেলে তারেক, তারেকের ছেলে তানভীর, পশু হাসপাতাল এলাকার এস্কেন ও এস্কেনের ছেলে ইয়াসিন, আলতুর ছেলে অনিক, ইমনসহ কয়েকজন রাকিবকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়ে। এর মধ্যে রাকিবের বুকে দুটি ও হাতে একটি গুলি লাগে।

গুলিবিদ্ধ রাকিবকে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়া হয়।

রাকিবের বাবা কাজী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গুরুতর অবস্থায় রাকিব ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার শরীরে তিনটি গুলি অপারেশন করে বের করা হয়েছে।’

যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, ঢাকায় পাঠানোর আগে রাকিব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীর নাম জানিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আধিপত্য বিস্তারে পূর্ববিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফকিরহাটে বাসের চাপায় পথচারী শিশু নিহত

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটের ফকিরহাটে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী বাসের চাপায় মো. সামিরুল ইসলাম (১১) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। খুলনা-মোংলা মহাসড়কের কাটাখালী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সামিরুল ইসলাম কুমিল্লার হোমনা এলাকার মো. সাইফুল ইসলামের ছেলে। সে তার বাবার সঙ্গে কাটাখালীতে একটি ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপে কাজ করত। সেই সুবাদে তারা কাটাখালী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সামিরুল ইসলাম বাসা থেকে কাজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। কাটাখালী এলাকায় এসে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ঢাকাগামী সেতু পরিবহন নামের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উত্তম পাল জানান, শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। 

কাটাখালী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর আহম্মেদ বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও সহযোগী পালিয়ে গেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাগরে বিকল ট্রলার নিয়ে ভাসছিলেন ১৩ জেলে, উদ্ধার করল নৌবাহিনী

কক্সবাজার প্রতিনিধি
উদ্ধার করা ১৩ জেলে। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধার করা ১৩ জেলে। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে বিকল হয়ে ভাসতে থাকা একটি ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী। আজ রোববার সকালে নৌবাহিনীর এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল শনিবার বিকেলে বঙ্গোপসাগরে টহলের সময় নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা শহীদ মহিবুল্লাহ’ একটি মাছ ধরার ট্রলার ভাসতে দেখে উদ্ধারে নামে। কুতুবদিয়া দ্বীপের লাইট হাউস থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে গভীর সমুদ্রে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়। ট্রলারে থাকা জেলেরা নৌবাহিনীর জাহাজ দেখতে পেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আলো ও হাত দিয়ে সংকেত প্রদর্শন করেন। এ সময় নৌবাহিনীর জাহাজটি সংকেত দেখে বিপদগ্রস্ত জেলে ও ট্রলারের কাছে ছুটে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে নৌবাহিনীর সদস্যরা ট্রলারসহ জেলেদের উদ্ধার করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উদ্ধারের পরপরই জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ, খাবার ও বিশুদ্ধ পানি দেওয়া হয়। পরে জেলেদের ও ট্রলারটি নিরাপদে তীরে এনে পরিবার ও মালিকপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

জেলেরা জানিয়েছেন, ৬ নভেম্বর থেকে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে মাঝসমুদ্রে ভাসতে থাকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাটোরে পদ্মার চরে বিশেষ অভিযানে আটক ২০, বিপুল দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

নাটোর প্রতিনিধি 
আটক ব্যক্তিদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আটক ব্যক্তিদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার দুর্গম পদ্মার চরাঞ্চল—চর জাজিরা, চর লালপুর এবং চর দিয়ার বাহাদুরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ সাঁড়াশি অভিযানে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযানে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

শনিবার দিবাগত রাত থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ, র‍্যাব, ডিবি এবং এপিবিএনের চার শতাধিক সদস্য যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করেন।

আটক ২০ জনের মধ্যে দুজন হ্যাকার, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং ছয়টি ওয়ারেন্টের আসামি রয়েছেন। এ ছাড়াও আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হত্যা মামলার আসামি এবং দুজন চিহ্নিত মাদক কারবারি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানান, চর দিয়ার বাহাদুরপুরের বালুমহালের ছাউনি থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র (দেশীয় তৈরি ওয়ান-শুটারগান ও একটি রিভলবার) উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়াও উদ্ধার হওয়া দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ছয়টি বড় ড্যাগার, ২২টি হাঁসুয়া, চারটি চাকু ও ছোরা, দুটি চাপাতি।

উদ্ধার করা অস্ত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা
উদ্ধার করা অস্ত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা

অভিযানস্থল থেকে একটি টিউবওয়েল এবং অনেকগুলো বালু বিক্রির রসিদ জব্দ করা হয়।

নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, লালপুর উপজেলার চরাঞ্চলে এবং পদ্মা নদীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পুলিশের এই বিশেষ অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎বিআরটি প্রকল্পের সেতুর নিচে যুবকের মরদেহ

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের টঙ্গীতে উড়ালসেতুর নিচে অজ্ঞাতনামা (৩০) এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ‎রোববার সকাল ৯টার দিকে বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উড়ালসেতুর টঙ্গী স্টেশন রোড অংশের নিচে মরদেহটির সন্ধান মেলে।

‎থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন।

‎স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রোববার সকালে স্থানীয় লোকজন বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর ৬৮ নম্বর পিলারের পাশে ওই যুবকের মরদেহটি দেখতে পায়। পুলিশকে খবর পাঠালে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এই যুবককে দুর্বৃত্তরা অন্য কোথাও হত্যা করে মরদেহটি সেতুর নিচে ফেলে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

‎টঙ্গী পশ্চিম থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদের ভাষ্য, যুবকের পরিচয় শনাক্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যদের খবর পাঠানো হয়েছে। আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত