জাহিদ হাসান, যশোর

লাগামহীনভাবে সাবমারসিবল পাম্প বসিয়ে চলছে ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন। সরবরাহ লাইনে মোটর সংযোগ দিয়ে পানি টেনে নিয়ে ট্যাংকে ‘রিজার্ভ’ (সংরক্ষণ) করছেন বহুতল ভবনের মালিকেরা। সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের এ রকম অনিয়মের কারণে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যশোর পৌরসভার নাগরিকদের বড় একটি অংশ। বছরের পর বছর ধরে এমনটি চললেও এটি বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না পৌর কর্তৃপক্ষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে ভূগর্ভের পানি তোলায় তলদেশে পানির স্তর ক্রমশ অনেক নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে সুপেয় পানির সংকট হতে পারে। পানিতে লবণাক্ততা, আয়রনের আধিক্য, আর্সেনিক দূষণ, ভূমিধসসহ বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও হতে পারে।
পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি নির্দেশিকা আছে। তাতে বলা আছে, পৌরসভা পানি সরবরাহ করলে পৌর পরিষদের অনুমোদন ছাড়া অন্য কোনো উৎস থেকে পানি তোলা যাবে না। তবে নজরদারি না থাকায় গত এক দশকে যশোর পৌরসভার ১১ হাজার বাসাবাড়িতে সাবমারসিবল পাম্প বসানো হয়েছে। পৌর শহরটির আয়তন ১৪ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটার। এ প্রসঙ্গে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক কে এম দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘১৪ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটারের একটি শহরে ১১ হাজার সাবমারসিবল পাম্প পরিমাণে অনেক বেশি। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার এটি একটি বড় কারণ। এত পানি উত্তোলন করা হলে পানির স্তর স্থায়ীভাবে নিচে নেমে যেতে পারে। পুরোপুরিভাবে লবণাক্ততা চলে আসতে পারে। গোপালগঞ্জে এমনটি ঘটেছে।
এই অধ্যাপক বলেন, গোপালগঞ্জের পানি লবণাক্ত হয়ে পড়ায় দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছের অস্তিত্ব আর মিলছে না। এভাবে সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে পানি তুললে শুষ্ক মৌসুমে পানির ঘাটতি আরও বাড়া ছাড়াও ভবিষ্যতে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
যশোর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে পানির গ্রাহক ১৫ হাজার। পৌরসভার পানি সরবরাহ শাখা সূত্র জানায়, প্রতিদিন পানির চাহিদা ২ কোটি ৪৪ লাখ ২০ হাজার লিটার। ওই পরিমাণ পানি উত্তোলনের জন্য ২৯টি পাম্প রয়েছে। চাহিদার বিপরীতে প্রতিদিন পানি তোলা হয় ২ কোটি ১১ লাখ লিটার। অর্থাৎ প্রতিদিন ৩৩ লাখ লিটার পানির ঘাটতি থাকছে। শুষ্ক মৌসুমে ঘাটতি আরও বাড়ে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও বিএডিসির যশোর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে যশোরে পানির স্তর নিচে নেমেছিল ৩১ ফুট। আর ২০২০ ও ২০২১ সালে শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নেমেছিল ২৫ ফুট।
অভিযোগ রয়েছে, ঘাটতির কারণে পানি সরবরাহ হয় কম। দিনের মধ্যে কয়েক দফা পানি সরবরাহ বন্ধ থাকে। এর মধ্যে যেটুকু সময় পানি সরবরাহ হয়; তার বেশির ভাগ বহুতল ভবনের মালিকেরা মোটরের মাধ্যমে টেনে নিয়ে ট্যাংকে ‘রিজার্ভ’ করেন। শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার বাসিন্দা হেলেনা পারভীন বলেন, ‘বাসাবাড়ির লাইনে ঠিকমতো পানি আসছে না। আবার পানি এলেও গতি অনেক ধীর। কল দিয়ে চুইয়ে পানি পড়ে। বিল দিয়েও পানি পাচ্ছি না। পাম্প বসিয়ে অন্যরা আমাদের পানিতে ভাগ বসাচ্ছে। এতে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’
নিয়মবহির্ভূতভাবে সাবমারসিবল পাম্প বসানো বন্ধ এবং এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন; এমন প্রশ্নে যশোর পৌরসভার পানি ও পয়োনিষ্কাশন শাখার সহকারী প্রকৌশলী বি এম কামাল আহমেদ বলেন, পানির মান ও চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত না করা পর্যন্ত সাবমারসিবল বসানো এবং সেটি দিয়ে পানি তোলা বন্ধ করা কঠিন। পানি শোধনের জন্য পৌরসভার তিনটি প্ল্যান্ট আছে। সিটি কলেজ পাড়া, রেলগেট তেঁতুলতলায় ও পালবাড়ি এলাকায় পৌরসভার পাম্পে এই ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এসব প্ল্যান্টে পানি শোধন করে সরবরাহ করাটা অনেক ব্যয়বহুল। শোধনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হলে পানির যে পরিমাণ বিল ধার্য করতে হবে; সেটি অনেকে দিতে সমর্থ হবেন না।

লাগামহীনভাবে সাবমারসিবল পাম্প বসিয়ে চলছে ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন। সরবরাহ লাইনে মোটর সংযোগ দিয়ে পানি টেনে নিয়ে ট্যাংকে ‘রিজার্ভ’ (সংরক্ষণ) করছেন বহুতল ভবনের মালিকেরা। সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের এ রকম অনিয়মের কারণে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যশোর পৌরসভার নাগরিকদের বড় একটি অংশ। বছরের পর বছর ধরে এমনটি চললেও এটি বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না পৌর কর্তৃপক্ষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে ভূগর্ভের পানি তোলায় তলদেশে পানির স্তর ক্রমশ অনেক নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে সুপেয় পানির সংকট হতে পারে। পানিতে লবণাক্ততা, আয়রনের আধিক্য, আর্সেনিক দূষণ, ভূমিধসসহ বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও হতে পারে।
পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি নির্দেশিকা আছে। তাতে বলা আছে, পৌরসভা পানি সরবরাহ করলে পৌর পরিষদের অনুমোদন ছাড়া অন্য কোনো উৎস থেকে পানি তোলা যাবে না। তবে নজরদারি না থাকায় গত এক দশকে যশোর পৌরসভার ১১ হাজার বাসাবাড়িতে সাবমারসিবল পাম্প বসানো হয়েছে। পৌর শহরটির আয়তন ১৪ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটার। এ প্রসঙ্গে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক কে এম দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘১৪ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটারের একটি শহরে ১১ হাজার সাবমারসিবল পাম্প পরিমাণে অনেক বেশি। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার এটি একটি বড় কারণ। এত পানি উত্তোলন করা হলে পানির স্তর স্থায়ীভাবে নিচে নেমে যেতে পারে। পুরোপুরিভাবে লবণাক্ততা চলে আসতে পারে। গোপালগঞ্জে এমনটি ঘটেছে।
এই অধ্যাপক বলেন, গোপালগঞ্জের পানি লবণাক্ত হয়ে পড়ায় দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছের অস্তিত্ব আর মিলছে না। এভাবে সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে পানি তুললে শুষ্ক মৌসুমে পানির ঘাটতি আরও বাড়া ছাড়াও ভবিষ্যতে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
যশোর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে পানির গ্রাহক ১৫ হাজার। পৌরসভার পানি সরবরাহ শাখা সূত্র জানায়, প্রতিদিন পানির চাহিদা ২ কোটি ৪৪ লাখ ২০ হাজার লিটার। ওই পরিমাণ পানি উত্তোলনের জন্য ২৯টি পাম্প রয়েছে। চাহিদার বিপরীতে প্রতিদিন পানি তোলা হয় ২ কোটি ১১ লাখ লিটার। অর্থাৎ প্রতিদিন ৩৩ লাখ লিটার পানির ঘাটতি থাকছে। শুষ্ক মৌসুমে ঘাটতি আরও বাড়ে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও বিএডিসির যশোর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে যশোরে পানির স্তর নিচে নেমেছিল ৩১ ফুট। আর ২০২০ ও ২০২১ সালে শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নেমেছিল ২৫ ফুট।
অভিযোগ রয়েছে, ঘাটতির কারণে পানি সরবরাহ হয় কম। দিনের মধ্যে কয়েক দফা পানি সরবরাহ বন্ধ থাকে। এর মধ্যে যেটুকু সময় পানি সরবরাহ হয়; তার বেশির ভাগ বহুতল ভবনের মালিকেরা মোটরের মাধ্যমে টেনে নিয়ে ট্যাংকে ‘রিজার্ভ’ করেন। শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার বাসিন্দা হেলেনা পারভীন বলেন, ‘বাসাবাড়ির লাইনে ঠিকমতো পানি আসছে না। আবার পানি এলেও গতি অনেক ধীর। কল দিয়ে চুইয়ে পানি পড়ে। বিল দিয়েও পানি পাচ্ছি না। পাম্প বসিয়ে অন্যরা আমাদের পানিতে ভাগ বসাচ্ছে। এতে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’
নিয়মবহির্ভূতভাবে সাবমারসিবল পাম্প বসানো বন্ধ এবং এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন; এমন প্রশ্নে যশোর পৌরসভার পানি ও পয়োনিষ্কাশন শাখার সহকারী প্রকৌশলী বি এম কামাল আহমেদ বলেন, পানির মান ও চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত না করা পর্যন্ত সাবমারসিবল বসানো এবং সেটি দিয়ে পানি তোলা বন্ধ করা কঠিন। পানি শোধনের জন্য পৌরসভার তিনটি প্ল্যান্ট আছে। সিটি কলেজ পাড়া, রেলগেট তেঁতুলতলায় ও পালবাড়ি এলাকায় পৌরসভার পাম্পে এই ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এসব প্ল্যান্টে পানি শোধন করে সরবরাহ করাটা অনেক ব্যয়বহুল। শোধনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হলে পানির যে পরিমাণ বিল ধার্য করতে হবে; সেটি অনেকে দিতে সমর্থ হবেন না।
জাহিদ হাসান, যশোর

লাগামহীনভাবে সাবমারসিবল পাম্প বসিয়ে চলছে ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন। সরবরাহ লাইনে মোটর সংযোগ দিয়ে পানি টেনে নিয়ে ট্যাংকে ‘রিজার্ভ’ (সংরক্ষণ) করছেন বহুতল ভবনের মালিকেরা। সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের এ রকম অনিয়মের কারণে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যশোর পৌরসভার নাগরিকদের বড় একটি অংশ। বছরের পর বছর ধরে এমনটি চললেও এটি বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না পৌর কর্তৃপক্ষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে ভূগর্ভের পানি তোলায় তলদেশে পানির স্তর ক্রমশ অনেক নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে সুপেয় পানির সংকট হতে পারে। পানিতে লবণাক্ততা, আয়রনের আধিক্য, আর্সেনিক দূষণ, ভূমিধসসহ বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও হতে পারে।
পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি নির্দেশিকা আছে। তাতে বলা আছে, পৌরসভা পানি সরবরাহ করলে পৌর পরিষদের অনুমোদন ছাড়া অন্য কোনো উৎস থেকে পানি তোলা যাবে না। তবে নজরদারি না থাকায় গত এক দশকে যশোর পৌরসভার ১১ হাজার বাসাবাড়িতে সাবমারসিবল পাম্প বসানো হয়েছে। পৌর শহরটির আয়তন ১৪ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটার। এ প্রসঙ্গে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক কে এম দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘১৪ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটারের একটি শহরে ১১ হাজার সাবমারসিবল পাম্প পরিমাণে অনেক বেশি। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার এটি একটি বড় কারণ। এত পানি উত্তোলন করা হলে পানির স্তর স্থায়ীভাবে নিচে নেমে যেতে পারে। পুরোপুরিভাবে লবণাক্ততা চলে আসতে পারে। গোপালগঞ্জে এমনটি ঘটেছে।
এই অধ্যাপক বলেন, গোপালগঞ্জের পানি লবণাক্ত হয়ে পড়ায় দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছের অস্তিত্ব আর মিলছে না। এভাবে সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে পানি তুললে শুষ্ক মৌসুমে পানির ঘাটতি আরও বাড়া ছাড়াও ভবিষ্যতে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
যশোর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে পানির গ্রাহক ১৫ হাজার। পৌরসভার পানি সরবরাহ শাখা সূত্র জানায়, প্রতিদিন পানির চাহিদা ২ কোটি ৪৪ লাখ ২০ হাজার লিটার। ওই পরিমাণ পানি উত্তোলনের জন্য ২৯টি পাম্প রয়েছে। চাহিদার বিপরীতে প্রতিদিন পানি তোলা হয় ২ কোটি ১১ লাখ লিটার। অর্থাৎ প্রতিদিন ৩৩ লাখ লিটার পানির ঘাটতি থাকছে। শুষ্ক মৌসুমে ঘাটতি আরও বাড়ে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও বিএডিসির যশোর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে যশোরে পানির স্তর নিচে নেমেছিল ৩১ ফুট। আর ২০২০ ও ২০২১ সালে শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নেমেছিল ২৫ ফুট।
অভিযোগ রয়েছে, ঘাটতির কারণে পানি সরবরাহ হয় কম। দিনের মধ্যে কয়েক দফা পানি সরবরাহ বন্ধ থাকে। এর মধ্যে যেটুকু সময় পানি সরবরাহ হয়; তার বেশির ভাগ বহুতল ভবনের মালিকেরা মোটরের মাধ্যমে টেনে নিয়ে ট্যাংকে ‘রিজার্ভ’ করেন। শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার বাসিন্দা হেলেনা পারভীন বলেন, ‘বাসাবাড়ির লাইনে ঠিকমতো পানি আসছে না। আবার পানি এলেও গতি অনেক ধীর। কল দিয়ে চুইয়ে পানি পড়ে। বিল দিয়েও পানি পাচ্ছি না। পাম্প বসিয়ে অন্যরা আমাদের পানিতে ভাগ বসাচ্ছে। এতে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’
নিয়মবহির্ভূতভাবে সাবমারসিবল পাম্প বসানো বন্ধ এবং এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন; এমন প্রশ্নে যশোর পৌরসভার পানি ও পয়োনিষ্কাশন শাখার সহকারী প্রকৌশলী বি এম কামাল আহমেদ বলেন, পানির মান ও চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত না করা পর্যন্ত সাবমারসিবল বসানো এবং সেটি দিয়ে পানি তোলা বন্ধ করা কঠিন। পানি শোধনের জন্য পৌরসভার তিনটি প্ল্যান্ট আছে। সিটি কলেজ পাড়া, রেলগেট তেঁতুলতলায় ও পালবাড়ি এলাকায় পৌরসভার পাম্পে এই ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এসব প্ল্যান্টে পানি শোধন করে সরবরাহ করাটা অনেক ব্যয়বহুল। শোধনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হলে পানির যে পরিমাণ বিল ধার্য করতে হবে; সেটি অনেকে দিতে সমর্থ হবেন না।

লাগামহীনভাবে সাবমারসিবল পাম্প বসিয়ে চলছে ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন। সরবরাহ লাইনে মোটর সংযোগ দিয়ে পানি টেনে নিয়ে ট্যাংকে ‘রিজার্ভ’ (সংরক্ষণ) করছেন বহুতল ভবনের মালিকেরা। সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের এ রকম অনিয়মের কারণে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যশোর পৌরসভার নাগরিকদের বড় একটি অংশ। বছরের পর বছর ধরে এমনটি চললেও এটি বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না পৌর কর্তৃপক্ষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে ভূগর্ভের পানি তোলায় তলদেশে পানির স্তর ক্রমশ অনেক নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে সুপেয় পানির সংকট হতে পারে। পানিতে লবণাক্ততা, আয়রনের আধিক্য, আর্সেনিক দূষণ, ভূমিধসসহ বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও হতে পারে।
পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি নির্দেশিকা আছে। তাতে বলা আছে, পৌরসভা পানি সরবরাহ করলে পৌর পরিষদের অনুমোদন ছাড়া অন্য কোনো উৎস থেকে পানি তোলা যাবে না। তবে নজরদারি না থাকায় গত এক দশকে যশোর পৌরসভার ১১ হাজার বাসাবাড়িতে সাবমারসিবল পাম্প বসানো হয়েছে। পৌর শহরটির আয়তন ১৪ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটার। এ প্রসঙ্গে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক কে এম দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘১৪ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটারের একটি শহরে ১১ হাজার সাবমারসিবল পাম্প পরিমাণে অনেক বেশি। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার এটি একটি বড় কারণ। এত পানি উত্তোলন করা হলে পানির স্তর স্থায়ীভাবে নিচে নেমে যেতে পারে। পুরোপুরিভাবে লবণাক্ততা চলে আসতে পারে। গোপালগঞ্জে এমনটি ঘটেছে।
এই অধ্যাপক বলেন, গোপালগঞ্জের পানি লবণাক্ত হয়ে পড়ায় দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছের অস্তিত্ব আর মিলছে না। এভাবে সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে পানি তুললে শুষ্ক মৌসুমে পানির ঘাটতি আরও বাড়া ছাড়াও ভবিষ্যতে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
যশোর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে পানির গ্রাহক ১৫ হাজার। পৌরসভার পানি সরবরাহ শাখা সূত্র জানায়, প্রতিদিন পানির চাহিদা ২ কোটি ৪৪ লাখ ২০ হাজার লিটার। ওই পরিমাণ পানি উত্তোলনের জন্য ২৯টি পাম্প রয়েছে। চাহিদার বিপরীতে প্রতিদিন পানি তোলা হয় ২ কোটি ১১ লাখ লিটার। অর্থাৎ প্রতিদিন ৩৩ লাখ লিটার পানির ঘাটতি থাকছে। শুষ্ক মৌসুমে ঘাটতি আরও বাড়ে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও বিএডিসির যশোর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে যশোরে পানির স্তর নিচে নেমেছিল ৩১ ফুট। আর ২০২০ ও ২০২১ সালে শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নেমেছিল ২৫ ফুট।
অভিযোগ রয়েছে, ঘাটতির কারণে পানি সরবরাহ হয় কম। দিনের মধ্যে কয়েক দফা পানি সরবরাহ বন্ধ থাকে। এর মধ্যে যেটুকু সময় পানি সরবরাহ হয়; তার বেশির ভাগ বহুতল ভবনের মালিকেরা মোটরের মাধ্যমে টেনে নিয়ে ট্যাংকে ‘রিজার্ভ’ করেন। শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার বাসিন্দা হেলেনা পারভীন বলেন, ‘বাসাবাড়ির লাইনে ঠিকমতো পানি আসছে না। আবার পানি এলেও গতি অনেক ধীর। কল দিয়ে চুইয়ে পানি পড়ে। বিল দিয়েও পানি পাচ্ছি না। পাম্প বসিয়ে অন্যরা আমাদের পানিতে ভাগ বসাচ্ছে। এতে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’
নিয়মবহির্ভূতভাবে সাবমারসিবল পাম্প বসানো বন্ধ এবং এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন; এমন প্রশ্নে যশোর পৌরসভার পানি ও পয়োনিষ্কাশন শাখার সহকারী প্রকৌশলী বি এম কামাল আহমেদ বলেন, পানির মান ও চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত না করা পর্যন্ত সাবমারসিবল বসানো এবং সেটি দিয়ে পানি তোলা বন্ধ করা কঠিন। পানি শোধনের জন্য পৌরসভার তিনটি প্ল্যান্ট আছে। সিটি কলেজ পাড়া, রেলগেট তেঁতুলতলায় ও পালবাড়ি এলাকায় পৌরসভার পাম্পে এই ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এসব প্ল্যান্টে পানি শোধন করে সরবরাহ করাটা অনেক ব্যয়বহুল। শোধনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হলে পানির যে পরিমাণ বিল ধার্য করতে হবে; সেটি অনেকে দিতে সমর্থ হবেন না।

খুলনায় ইজিবাইকের মোটরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে সুরাইয়া (২৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার নগরীর বয়রা বাজার শেরের মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগে
মোহনপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোদাচ্ছের হোসেন খান জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর শিয়ালকোলা এলাকায় রিকশাচালক ফজলুর রহমানের গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর তিনি নিজেই রিকশা চালিয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরের কেশরহাট বাজারে আসেন। সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন তাঁকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
১৯ মিনিট আগে
কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াসিনকে চূড়ান্তভাবে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় নগরীর টাউন হল মাঠের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মঞ্চে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন গত ১৭ বছরে রাজনৈতিক মামলা ও নির্যাতনের...
৪১ মিনিট আগে
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার বাড়িতে আগুন দিয়ে দুর্বৃত্তরা দুটি ঘর পুড়িয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার কাজিরহাট থানার ভাসানচর ইউনিয়নের আকন কান্দি গ্রামের আকন বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনায় ইজিবাইকের মোটরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে সুরাইয়া (২৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার নগরীর বয়রা বাজার শেরের মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সুরাইয়া যশোরের অভয়নগর উপজেলার হিতিয়া এলাকার মো. আতিয়ার মোল্লার মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, আজ সকালে অভয়নগর থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন ওই নারী। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে চলন্ত ইজিবাইকের মোটরের সঙ্গে তাঁর ওড়না পেঁচিয়ে যায়। এ সময় ইজিবাইক থেকে ওই নারী নিচে পড়ে গিয়ে গলায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ওই নারীর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজের মর্গে রয়েছে।

খুলনায় ইজিবাইকের মোটরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে সুরাইয়া (২৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার নগরীর বয়রা বাজার শেরের মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সুরাইয়া যশোরের অভয়নগর উপজেলার হিতিয়া এলাকার মো. আতিয়ার মোল্লার মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, আজ সকালে অভয়নগর থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন ওই নারী। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে চলন্ত ইজিবাইকের মোটরের সঙ্গে তাঁর ওড়না পেঁচিয়ে যায়। এ সময় ইজিবাইক থেকে ওই নারী নিচে পড়ে গিয়ে গলায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ওই নারীর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজের মর্গে রয়েছে।

লাগামহীনভাবে সাবমারসিবল পাম্প বসিয়ে চলছে ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন। সরবরাহ লাইনে মোটর সংযোগ দিয়ে পানি টেনে নিয়ে ট্যাংকে ‘রিজার্ভ’ (সংরক্ষণ) করছেন বহুতল ভবনের মালিকেরা। সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের এ রকম অনিয়মের কারণে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যশোর পৌরসভার নাগরিকদের বড় একটি অংশ। বছরের পর বছর ধর
০৪ জানুয়ারি ২০২৫
মোহনপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোদাচ্ছের হোসেন খান জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর শিয়ালকোলা এলাকায় রিকশাচালক ফজলুর রহমানের গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর তিনি নিজেই রিকশা চালিয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরের কেশরহাট বাজারে আসেন। সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন তাঁকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
১৯ মিনিট আগে
কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াসিনকে চূড়ান্তভাবে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় নগরীর টাউন হল মাঠের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মঞ্চে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন গত ১৭ বছরে রাজনৈতিক মামলা ও নির্যাতনের...
৪১ মিনিট আগে
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার বাড়িতে আগুন দিয়ে দুর্বৃত্তরা দুটি ঘর পুড়িয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার কাজিরহাট থানার ভাসানচর ইউনিয়নের আকন কান্দি গ্রামের আকন বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রিকশাচালক ফজলুর রহমানের (৩৫) গলা কেটে দেওয়া হয়েছিল। তারপরও রিকশা চালিয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে তিনি বাজারে আসেন। এরপর হাসপাতালে পাঠানো হলে তিনি মারা যান। শনিবার রাতে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজলুর রহমানের বাড়ি তানোর উপজেলার অমৃতপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম ইবরাহিম আলী। ফজলুর রহমানের ব্যাটারিচালিত রিকশাটি ছিনিয়ে নিতে ছুরি দিয়ে তাঁর গলা কেটে দেওয়া হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তবে মৃত্যুর আগে তিনি কিছু বলে যেতে পারেননি।
মোহনপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোদাচ্ছের হোসেন খান জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর শিয়ালকোলা এলাকায় রিকশাচালক ফজলুর রহমানের গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর তিনি নিজেই রিকশা চালিয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরের কেশরহাট বাজারে আসেন। সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন তাঁকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠান। এরপর রাত ১০টার দিকে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এসআই মোদাচ্ছের হোসেন খান জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত হচ্ছে। এরপর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। স্বজনেরা থানায় আসার পর এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

রিকশাচালক ফজলুর রহমানের (৩৫) গলা কেটে দেওয়া হয়েছিল। তারপরও রিকশা চালিয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে তিনি বাজারে আসেন। এরপর হাসপাতালে পাঠানো হলে তিনি মারা যান। শনিবার রাতে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজলুর রহমানের বাড়ি তানোর উপজেলার অমৃতপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম ইবরাহিম আলী। ফজলুর রহমানের ব্যাটারিচালিত রিকশাটি ছিনিয়ে নিতে ছুরি দিয়ে তাঁর গলা কেটে দেওয়া হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তবে মৃত্যুর আগে তিনি কিছু বলে যেতে পারেননি।
মোহনপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোদাচ্ছের হোসেন খান জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর শিয়ালকোলা এলাকায় রিকশাচালক ফজলুর রহমানের গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর তিনি নিজেই রিকশা চালিয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরের কেশরহাট বাজারে আসেন। সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন তাঁকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠান। এরপর রাত ১০টার দিকে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এসআই মোদাচ্ছের হোসেন খান জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত হচ্ছে। এরপর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। স্বজনেরা থানায় আসার পর এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

লাগামহীনভাবে সাবমারসিবল পাম্প বসিয়ে চলছে ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন। সরবরাহ লাইনে মোটর সংযোগ দিয়ে পানি টেনে নিয়ে ট্যাংকে ‘রিজার্ভ’ (সংরক্ষণ) করছেন বহুতল ভবনের মালিকেরা। সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের এ রকম অনিয়মের কারণে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যশোর পৌরসভার নাগরিকদের বড় একটি অংশ। বছরের পর বছর ধর
০৪ জানুয়ারি ২০২৫
খুলনায় ইজিবাইকের মোটরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে সুরাইয়া (২৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার নগরীর বয়রা বাজার শেরের মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগে
কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াসিনকে চূড়ান্তভাবে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় নগরীর টাউন হল মাঠের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মঞ্চে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন গত ১৭ বছরে রাজনৈতিক মামলা ও নির্যাতনের...
৪১ মিনিট আগে
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার বাড়িতে আগুন দিয়ে দুর্বৃত্তরা দুটি ঘর পুড়িয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার কাজিরহাট থানার ভাসানচর ইউনিয়নের আকন কান্দি গ্রামের আকন বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াসিনকে চূড়ান্তভাবে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় নগরীর টাউন হল মাঠের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মঞ্চে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন গত ১৭ বছরে রাজনৈতিক মামলা ও নির্যাতনের শিকার হওয়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব চৌধুরীর স্ত্রী নাসরিন খানম। তিনি বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপিকে সমর্থন করার কারণে বহু পরিবারের স্বামী, বাবা, ভাই ও সন্তানেরা মামলা, হামলা, কারাবরণ ও হত্যার শিকার হয়েছেন। সেই কঠিন সময়ে এসব পরিবারের পাশে থেকে আইনি সহায়তা, আটক নেতা-কর্মী ও তাঁদের পরিবারের ভরণপোষণ, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা, নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসনসহ সকল মানবিক সহায়তা দিয়েছেন আমিন উর রশিদ ইয়াসিন।
লিখিত বক্তব্যে নাসরিন খানম দাবি করেন, এই সময়ে কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে শত শত মামলা হয়েছে এবং হাজার হাজার নেতা-কর্মী কারাবরণ করেছেন। নিরাপত্তার কারণে নেতা-কর্মীরা নিজ বাড়িতে রাত কাটাতে পারেননি, এমনকি স্বজনদের জানাজা ও সামাজিক অনুষ্ঠানেও অংশ নিতে পারেননি। সেই দুঃসময়ে পরিবারগুলোর অন্যতম ভরসা ছিলেন আমিন উর রশিদ ইয়াসিন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, ৩ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় কুমিল্লা-৬ আসনে আমিন উর রশিদ ইয়াসিনের নামের পরিবর্তে মনিরুল হক চৌধুরীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বক্তারা মনিরুল হক চৌধুরীকে এই অঞ্চলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের কাছে ‘কম পরিচিত’ বলে উল্লেখ করেন। তাঁদের দাবি, গত ১৭ বছরের রাজনৈতিক সংকট ও নির্যাতনের সময়ে মনিরুল হক চৌধুরী এলাকায় নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন না।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে দলের ত্যাগী, জনপ্রিয় ও কর্মীবান্ধব নেতাকে মনোনয়ন না দিলে বিজয় অর্জন কঠিন হয়ে পড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফখরুল ইসলাম মিঠুর স্ত্রী আনা আজিজা আবেগঘন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর নামে ৩২টি মামলা ছিল। প্রতিটি মামলার আইনি সহায়তা, জেলখানায় পিসির খরচ, চিকিৎসা, জামিন, পরিবারের দেখাশোনাসহ সকল কিছুর দায়িত্ব নিয়েছিলেন হাজি ইয়াসিন। বিগত ১৭ বছর তিনি আমার মতো শত শত নির্যাতিত নেতা-কর্মীর অভিভাবক হয়ে বটবৃক্ষের মতো ছায়া দিয়েছিলেন। আমরা তারেক রহমানের প্রতি অনুরোধ জানাই, আমাদের বটবৃক্ষকে যেন উপড়ে না ফেলা হয়।’
এ সময় গত ১৭ বছরে রাজনৈতিক মামলাসহ বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হওয়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের পরিবারের তিন শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য দেন মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী আবিদা সুলতানা প্রমী, বিএনপি নেতা ইকরাম হোসেনের স্ত্রী নাসিমা বেগম, মনির হোসেনের স্ত্রী লাকি আক্তারসহ অন্যরা।

কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াসিনকে চূড়ান্তভাবে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় নগরীর টাউন হল মাঠের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মঞ্চে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন গত ১৭ বছরে রাজনৈতিক মামলা ও নির্যাতনের শিকার হওয়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব চৌধুরীর স্ত্রী নাসরিন খানম। তিনি বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপিকে সমর্থন করার কারণে বহু পরিবারের স্বামী, বাবা, ভাই ও সন্তানেরা মামলা, হামলা, কারাবরণ ও হত্যার শিকার হয়েছেন। সেই কঠিন সময়ে এসব পরিবারের পাশে থেকে আইনি সহায়তা, আটক নেতা-কর্মী ও তাঁদের পরিবারের ভরণপোষণ, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা, নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসনসহ সকল মানবিক সহায়তা দিয়েছেন আমিন উর রশিদ ইয়াসিন।
লিখিত বক্তব্যে নাসরিন খানম দাবি করেন, এই সময়ে কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে শত শত মামলা হয়েছে এবং হাজার হাজার নেতা-কর্মী কারাবরণ করেছেন। নিরাপত্তার কারণে নেতা-কর্মীরা নিজ বাড়িতে রাত কাটাতে পারেননি, এমনকি স্বজনদের জানাজা ও সামাজিক অনুষ্ঠানেও অংশ নিতে পারেননি। সেই দুঃসময়ে পরিবারগুলোর অন্যতম ভরসা ছিলেন আমিন উর রশিদ ইয়াসিন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, ৩ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় কুমিল্লা-৬ আসনে আমিন উর রশিদ ইয়াসিনের নামের পরিবর্তে মনিরুল হক চৌধুরীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বক্তারা মনিরুল হক চৌধুরীকে এই অঞ্চলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের কাছে ‘কম পরিচিত’ বলে উল্লেখ করেন। তাঁদের দাবি, গত ১৭ বছরের রাজনৈতিক সংকট ও নির্যাতনের সময়ে মনিরুল হক চৌধুরী এলাকায় নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন না।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে দলের ত্যাগী, জনপ্রিয় ও কর্মীবান্ধব নেতাকে মনোনয়ন না দিলে বিজয় অর্জন কঠিন হয়ে পড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফখরুল ইসলাম মিঠুর স্ত্রী আনা আজিজা আবেগঘন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর নামে ৩২টি মামলা ছিল। প্রতিটি মামলার আইনি সহায়তা, জেলখানায় পিসির খরচ, চিকিৎসা, জামিন, পরিবারের দেখাশোনাসহ সকল কিছুর দায়িত্ব নিয়েছিলেন হাজি ইয়াসিন। বিগত ১৭ বছর তিনি আমার মতো শত শত নির্যাতিত নেতা-কর্মীর অভিভাবক হয়ে বটবৃক্ষের মতো ছায়া দিয়েছিলেন। আমরা তারেক রহমানের প্রতি অনুরোধ জানাই, আমাদের বটবৃক্ষকে যেন উপড়ে না ফেলা হয়।’
এ সময় গত ১৭ বছরে রাজনৈতিক মামলাসহ বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হওয়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের পরিবারের তিন শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য দেন মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী আবিদা সুলতানা প্রমী, বিএনপি নেতা ইকরাম হোসেনের স্ত্রী নাসিমা বেগম, মনির হোসেনের স্ত্রী লাকি আক্তারসহ অন্যরা।

লাগামহীনভাবে সাবমারসিবল পাম্প বসিয়ে চলছে ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন। সরবরাহ লাইনে মোটর সংযোগ দিয়ে পানি টেনে নিয়ে ট্যাংকে ‘রিজার্ভ’ (সংরক্ষণ) করছেন বহুতল ভবনের মালিকেরা। সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের এ রকম অনিয়মের কারণে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যশোর পৌরসভার নাগরিকদের বড় একটি অংশ। বছরের পর বছর ধর
০৪ জানুয়ারি ২০২৫
খুলনায় ইজিবাইকের মোটরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে সুরাইয়া (২৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার নগরীর বয়রা বাজার শেরের মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগে
মোহনপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোদাচ্ছের হোসেন খান জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর শিয়ালকোলা এলাকায় রিকশাচালক ফজলুর রহমানের গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর তিনি নিজেই রিকশা চালিয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরের কেশরহাট বাজারে আসেন। সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন তাঁকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
১৯ মিনিট আগে
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার বাড়িতে আগুন দিয়ে দুর্বৃত্তরা দুটি ঘর পুড়িয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার কাজিরহাট থানার ভাসানচর ইউনিয়নের আকন কান্দি গ্রামের আকন বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেমুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি

বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার বাড়িতে আগুন দিয়ে দুর্বৃত্তরা দুটি ঘর পুড়িয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার কাজিরহাট থানার ভাসানচর ইউনিয়নের আকন কান্দি গ্রামের আকন বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা আকন কান্দির আব্দুর রহমান ফারুকের কাছারি ও লাকরির ঘর পুড়িয়ে দেয় এবং তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
আব্দুর রহমান ফারুক ভাসানচর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে দুর্বৃত্তরা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ঘর পুড়িয়ে ককটেল নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেন আব্দুর রহমান ফারুক। কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ঘর পুড়ে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করলেও ককটেল বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানান।
আব্দুর রহমান ফারুক বলেন, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কে বা কারা বাড়ির সামনে একটি লাকড়ির ঘরে আগুন দেয়। ওই সময় পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে তাঁর ও বাড়ির লোকজনের ঘুম ভাঙলে আগুন দেখতে পান। পরে মসজিদের মাইকে লোকজন ডেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে লাকড়ির ঘর ও কাছারিঘর পুড়ে গেছে।
আব্দুর রহমান আরও বলেন, শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্তরা বরিশাল-৪ আসনের জামায়াত ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল জব্বারের বিলবোর্ড ও ফেস্টুন পুড়িয়ে দিয়েছিল। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে দুর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ও ঘর পুড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, আগুনে জামায়াত নেতার লাকড়ির ঘর ও কাছারিঘর আংশিক পুড়ে গেছে। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। নাশকতার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার বাড়িতে আগুন দিয়ে দুর্বৃত্তরা দুটি ঘর পুড়িয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার কাজিরহাট থানার ভাসানচর ইউনিয়নের আকন কান্দি গ্রামের আকন বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা আকন কান্দির আব্দুর রহমান ফারুকের কাছারি ও লাকরির ঘর পুড়িয়ে দেয় এবং তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
আব্দুর রহমান ফারুক ভাসানচর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে দুর্বৃত্তরা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ঘর পুড়িয়ে ককটেল নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেন আব্দুর রহমান ফারুক। কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ঘর পুড়ে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করলেও ককটেল বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানান।
আব্দুর রহমান ফারুক বলেন, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কে বা কারা বাড়ির সামনে একটি লাকড়ির ঘরে আগুন দেয়। ওই সময় পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে তাঁর ও বাড়ির লোকজনের ঘুম ভাঙলে আগুন দেখতে পান। পরে মসজিদের মাইকে লোকজন ডেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে লাকড়ির ঘর ও কাছারিঘর পুড়ে গেছে।
আব্দুর রহমান আরও বলেন, শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্তরা বরিশাল-৪ আসনের জামায়াত ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল জব্বারের বিলবোর্ড ও ফেস্টুন পুড়িয়ে দিয়েছিল। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে দুর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ও ঘর পুড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, আগুনে জামায়াত নেতার লাকড়ির ঘর ও কাছারিঘর আংশিক পুড়ে গেছে। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। নাশকতার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লাগামহীনভাবে সাবমারসিবল পাম্প বসিয়ে চলছে ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন। সরবরাহ লাইনে মোটর সংযোগ দিয়ে পানি টেনে নিয়ে ট্যাংকে ‘রিজার্ভ’ (সংরক্ষণ) করছেন বহুতল ভবনের মালিকেরা। সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের এ রকম অনিয়মের কারণে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যশোর পৌরসভার নাগরিকদের বড় একটি অংশ। বছরের পর বছর ধর
০৪ জানুয়ারি ২০২৫
খুলনায় ইজিবাইকের মোটরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে সুরাইয়া (২৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার নগরীর বয়রা বাজার শেরের মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগে
মোহনপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোদাচ্ছের হোসেন খান জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর শিয়ালকোলা এলাকায় রিকশাচালক ফজলুর রহমানের গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর তিনি নিজেই রিকশা চালিয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরের কেশরহাট বাজারে আসেন। সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন তাঁকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
১৯ মিনিট আগে
কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াসিনকে চূড়ান্তভাবে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় নগরীর টাউন হল মাঠের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মঞ্চে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন গত ১৭ বছরে রাজনৈতিক মামলা ও নির্যাতনের...
৪১ মিনিট আগে