জাহিদ হাসান, যশোর

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন, সেই ফুল বেচাকেনা, বীজ সংরক্ষণই হয় না এখানে। অথচ মার্কেটটির সামনের সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মাঠ থেকে ফুল নিয়ে শত শত কৃষক বিক্রি করতে যান সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে।
ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী-পানিসারা এলাকায় বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এই এলাকায় উৎপাদিত ফুল, বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে সাড়ে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হিমাগারসহ আধুনিক ফুল মার্কেট নির্মাণ করে সরকার। ১ একর জমিতে এই বিপণনকেন্দ্র নির্মাণের পর ২০২২ সালে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু মার্কেট নিয়ে ফুলচাষিদের কোনো আগ্রহ না থাকায় তিন বছর ধরে অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, যে ভবন ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের পদচারণে মুখর থাকার কথা, সেই ভবনের সামনে ফুলের পরিবর্তে ধান শুকাচ্ছে এলাকাবাসী। পড়ে রয়েছে ফুল বেচাকেনার শেড।
ফুলচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশির দশক থেকেই গদখালী ও পানিসারা—এই দুই ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে ফুল উৎপাদিত হয়ে আসছে। ধীরে ধীরে ফুলের রাজধানী হিসেবে এই এলাকা পরিচিতি লাভ করে। কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের গা ঘেঁষে গড়ে ওঠা বাজারে বিক্রি করে আসছেন। তাঁদের এই ফুল সংরক্ষণ ও বিপণনের জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা ছিল না।
কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ফুল বিপণন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। মার্কেট নির্মাণের পর জমির মালিকানা নিয়ে আইনি জটিলতা ও আয়-ব্যয় ব্যবস্থাপনা নীতিমালা না থাকায় জেলা প্রশাসনের মার্কেটটি বুঝে নিতে এবং উদ্বোধন করতে দেরি হয়।
বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র ব্যবহার না করার কারণ হিসেবে চাষিরা জানান, কেন্দ্রটি নির্মাণে স্থান নির্বাচনে ভুল করা হয়েছে। এটি নির্মাণ করা হয় পানিসারা ইউনিয়নে। গদখালী বাজার থেকে এর দূরত্ব সাড়ে ৩ কিলোমিটার। আবার গদখালী বাজারের পাশে মহাসড়ক থাকায় সহজেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল বাজারজাত করা যায়। এ ছাড়া গদখালীতেই বেশি ফুলের চাষ হয়। ফলে চাষিরা অনেক দূরের ওই বিপণনকেন্দ্রে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। কেন্দ্রটি গদখালীতে নির্মাণ করা হলে কৃষকেরা উপকৃত হতেন।
নূর নবী নামের এক ফুলচাষি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। গদখালী থেকে এটি অনেক দূরে। ফলে গদখালীর ফুলচাষিরা ওখানে যেতে চান না। বাজার থেকে সহজে বিভিন্ন পরিবহনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল পাঠানো যায়। তাই দীর্ঘদিন ধরে ফুল মার্কেট পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া ফুলে বীজ সংরক্ষণ করতে না পারায় স্থানীয় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের এখন চড়া মূল্যে যশোর ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলার আলুর হিমাগারে ফুলের বীজ সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। তা-ও আবার অনেক সময় হিমাগারে জায়গা পাওয়া যায় না।
একই অবস্থা গদখালী বাজারের পাশে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফুল বিপণনকেন্দ্র (অ্যাসেম্বল সেন্টার)। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সেখানে যান না চাষিরা। বছরের পর বছর পড়ে রয়েছে বিপণনকেন্দ্রটি।

যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পানিসারায় অবস্থিত বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্রটির জমির মালিকানা নিয়ে প্রথমে ঝামেলা ছিল, পরে তা সমাধান হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ী গদখালী বাজারটি তাঁদের আয়ত্তে রেখে মোটা অঙ্কের বাণিজ্যের জন্য ওই মার্কেট চালু করতে দিচ্ছেন না। আমরা প্রশাসনের কাছে মার্কেটটি দ্রুত চালুর দাবি জানাই।’
এদিকে যশোর শহরের চাঁচড়া এলাকায় ৮০ শতক জমির ওপর ১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক মাছের পোনা বিক্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। দোতলা এ বিক্রয়কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৎস্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পোনা বিক্রয়কেন্দ্রটির নিচতলার ১১ হাজার বর্গফুট জায়গায় কার্পজাতীয় মাছের পোনা বিক্রির জন্য ৩২০ বর্গফুটের ৫১টি সিস্টার্ন (হাউস) নির্মাণ করা হয়। সিস্টার্নে পানি শাওয়ারিং ও অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। আর দেশি প্রজাতির ছোট মাছের পোনা বিক্রির জন্য দোতলায় ৭ হাজার ৯০০ বর্গফুট জায়গা রয়েছে। সেখানে ৭০ জন ব্যবসায়ী বড় হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে পোনা বিক্রি করতে পারবেন। মাছের গাড়ি সরাসরি দোতলায় নেওয়ার জন্য র্যাম্প পদ্ধতির সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য স্বয়ংক্রিয় জেনারেটরও স্থাপন করা আছে। কিন্তু আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও প্রকৃত পোনা বিক্রেতারা এ কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে আগ্রহ দেখাননি।

কারণ হিসেবে মাছচাষিরা জানান, চাঁচড়া বাবলাতলায় সড়কের ওপর পাতিলে মাছের পোনা রেখে বিক্রি করতে কোনো খরচ নেই। কিন্তু পোনা বিক্রয়কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে অফেরতযোগ্য ২৫ হাজার টাকা জামানাত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে আরও ১ হাজার টাকা খরচ হবে। তাই তাঁরা ওই কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী হননি।
যশোর জেলা হ্যাচারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান গোলদার বলেন, হ্যাচারিদের মতামত উপেক্ষা করে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। চাঁচড়া বাবলাতলায় নির্মাণ করার দাবি জানালেও সরকারের তৎকালীন মৎস্য কর্মকর্তা চাঁচড়ায় নির্মাণ করেন। সেখানে পর্যাপ্ত জায়গা নেই, পানির সমস্যা। তাই হ্যাচারিমালিকেরা দেড় কিলোমিটার দূরে চাঁচড়ায় যেতে আগ্রহ দেখান না।
সরকারের তিনটি প্রকল্প অব্যবহৃত পড়ে থাকার বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট ফুল ও মাছচাষিদের মতামতের ভিত্তিতে সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন, সেই ফুল বেচাকেনা, বীজ সংরক্ষণই হয় না এখানে। অথচ মার্কেটটির সামনের সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মাঠ থেকে ফুল নিয়ে শত শত কৃষক বিক্রি করতে যান সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে।
ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী-পানিসারা এলাকায় বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এই এলাকায় উৎপাদিত ফুল, বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে সাড়ে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হিমাগারসহ আধুনিক ফুল মার্কেট নির্মাণ করে সরকার। ১ একর জমিতে এই বিপণনকেন্দ্র নির্মাণের পর ২০২২ সালে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু মার্কেট নিয়ে ফুলচাষিদের কোনো আগ্রহ না থাকায় তিন বছর ধরে অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, যে ভবন ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের পদচারণে মুখর থাকার কথা, সেই ভবনের সামনে ফুলের পরিবর্তে ধান শুকাচ্ছে এলাকাবাসী। পড়ে রয়েছে ফুল বেচাকেনার শেড।
ফুলচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশির দশক থেকেই গদখালী ও পানিসারা—এই দুই ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে ফুল উৎপাদিত হয়ে আসছে। ধীরে ধীরে ফুলের রাজধানী হিসেবে এই এলাকা পরিচিতি লাভ করে। কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের গা ঘেঁষে গড়ে ওঠা বাজারে বিক্রি করে আসছেন। তাঁদের এই ফুল সংরক্ষণ ও বিপণনের জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা ছিল না।
কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ফুল বিপণন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। মার্কেট নির্মাণের পর জমির মালিকানা নিয়ে আইনি জটিলতা ও আয়-ব্যয় ব্যবস্থাপনা নীতিমালা না থাকায় জেলা প্রশাসনের মার্কেটটি বুঝে নিতে এবং উদ্বোধন করতে দেরি হয়।
বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র ব্যবহার না করার কারণ হিসেবে চাষিরা জানান, কেন্দ্রটি নির্মাণে স্থান নির্বাচনে ভুল করা হয়েছে। এটি নির্মাণ করা হয় পানিসারা ইউনিয়নে। গদখালী বাজার থেকে এর দূরত্ব সাড়ে ৩ কিলোমিটার। আবার গদখালী বাজারের পাশে মহাসড়ক থাকায় সহজেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল বাজারজাত করা যায়। এ ছাড়া গদখালীতেই বেশি ফুলের চাষ হয়। ফলে চাষিরা অনেক দূরের ওই বিপণনকেন্দ্রে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। কেন্দ্রটি গদখালীতে নির্মাণ করা হলে কৃষকেরা উপকৃত হতেন।
নূর নবী নামের এক ফুলচাষি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। গদখালী থেকে এটি অনেক দূরে। ফলে গদখালীর ফুলচাষিরা ওখানে যেতে চান না। বাজার থেকে সহজে বিভিন্ন পরিবহনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল পাঠানো যায়। তাই দীর্ঘদিন ধরে ফুল মার্কেট পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া ফুলে বীজ সংরক্ষণ করতে না পারায় স্থানীয় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের এখন চড়া মূল্যে যশোর ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলার আলুর হিমাগারে ফুলের বীজ সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। তা-ও আবার অনেক সময় হিমাগারে জায়গা পাওয়া যায় না।
একই অবস্থা গদখালী বাজারের পাশে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফুল বিপণনকেন্দ্র (অ্যাসেম্বল সেন্টার)। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সেখানে যান না চাষিরা। বছরের পর বছর পড়ে রয়েছে বিপণনকেন্দ্রটি।

যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পানিসারায় অবস্থিত বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্রটির জমির মালিকানা নিয়ে প্রথমে ঝামেলা ছিল, পরে তা সমাধান হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ী গদখালী বাজারটি তাঁদের আয়ত্তে রেখে মোটা অঙ্কের বাণিজ্যের জন্য ওই মার্কেট চালু করতে দিচ্ছেন না। আমরা প্রশাসনের কাছে মার্কেটটি দ্রুত চালুর দাবি জানাই।’
এদিকে যশোর শহরের চাঁচড়া এলাকায় ৮০ শতক জমির ওপর ১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক মাছের পোনা বিক্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। দোতলা এ বিক্রয়কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৎস্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পোনা বিক্রয়কেন্দ্রটির নিচতলার ১১ হাজার বর্গফুট জায়গায় কার্পজাতীয় মাছের পোনা বিক্রির জন্য ৩২০ বর্গফুটের ৫১টি সিস্টার্ন (হাউস) নির্মাণ করা হয়। সিস্টার্নে পানি শাওয়ারিং ও অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। আর দেশি প্রজাতির ছোট মাছের পোনা বিক্রির জন্য দোতলায় ৭ হাজার ৯০০ বর্গফুট জায়গা রয়েছে। সেখানে ৭০ জন ব্যবসায়ী বড় হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে পোনা বিক্রি করতে পারবেন। মাছের গাড়ি সরাসরি দোতলায় নেওয়ার জন্য র্যাম্প পদ্ধতির সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য স্বয়ংক্রিয় জেনারেটরও স্থাপন করা আছে। কিন্তু আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও প্রকৃত পোনা বিক্রেতারা এ কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে আগ্রহ দেখাননি।

কারণ হিসেবে মাছচাষিরা জানান, চাঁচড়া বাবলাতলায় সড়কের ওপর পাতিলে মাছের পোনা রেখে বিক্রি করতে কোনো খরচ নেই। কিন্তু পোনা বিক্রয়কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে অফেরতযোগ্য ২৫ হাজার টাকা জামানাত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে আরও ১ হাজার টাকা খরচ হবে। তাই তাঁরা ওই কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী হননি।
যশোর জেলা হ্যাচারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান গোলদার বলেন, হ্যাচারিদের মতামত উপেক্ষা করে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। চাঁচড়া বাবলাতলায় নির্মাণ করার দাবি জানালেও সরকারের তৎকালীন মৎস্য কর্মকর্তা চাঁচড়ায় নির্মাণ করেন। সেখানে পর্যাপ্ত জায়গা নেই, পানির সমস্যা। তাই হ্যাচারিমালিকেরা দেড় কিলোমিটার দূরে চাঁচড়ায় যেতে আগ্রহ দেখান না।
সরকারের তিনটি প্রকল্প অব্যবহৃত পড়ে থাকার বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট ফুল ও মাছচাষিদের মতামতের ভিত্তিতে সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জাহিদ হাসান, যশোর

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন, সেই ফুল বেচাকেনা, বীজ সংরক্ষণই হয় না এখানে। অথচ মার্কেটটির সামনের সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মাঠ থেকে ফুল নিয়ে শত শত কৃষক বিক্রি করতে যান সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে।
ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী-পানিসারা এলাকায় বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এই এলাকায় উৎপাদিত ফুল, বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে সাড়ে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হিমাগারসহ আধুনিক ফুল মার্কেট নির্মাণ করে সরকার। ১ একর জমিতে এই বিপণনকেন্দ্র নির্মাণের পর ২০২২ সালে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু মার্কেট নিয়ে ফুলচাষিদের কোনো আগ্রহ না থাকায় তিন বছর ধরে অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, যে ভবন ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের পদচারণে মুখর থাকার কথা, সেই ভবনের সামনে ফুলের পরিবর্তে ধান শুকাচ্ছে এলাকাবাসী। পড়ে রয়েছে ফুল বেচাকেনার শেড।
ফুলচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশির দশক থেকেই গদখালী ও পানিসারা—এই দুই ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে ফুল উৎপাদিত হয়ে আসছে। ধীরে ধীরে ফুলের রাজধানী হিসেবে এই এলাকা পরিচিতি লাভ করে। কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের গা ঘেঁষে গড়ে ওঠা বাজারে বিক্রি করে আসছেন। তাঁদের এই ফুল সংরক্ষণ ও বিপণনের জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা ছিল না।
কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ফুল বিপণন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। মার্কেট নির্মাণের পর জমির মালিকানা নিয়ে আইনি জটিলতা ও আয়-ব্যয় ব্যবস্থাপনা নীতিমালা না থাকায় জেলা প্রশাসনের মার্কেটটি বুঝে নিতে এবং উদ্বোধন করতে দেরি হয়।
বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র ব্যবহার না করার কারণ হিসেবে চাষিরা জানান, কেন্দ্রটি নির্মাণে স্থান নির্বাচনে ভুল করা হয়েছে। এটি নির্মাণ করা হয় পানিসারা ইউনিয়নে। গদখালী বাজার থেকে এর দূরত্ব সাড়ে ৩ কিলোমিটার। আবার গদখালী বাজারের পাশে মহাসড়ক থাকায় সহজেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল বাজারজাত করা যায়। এ ছাড়া গদখালীতেই বেশি ফুলের চাষ হয়। ফলে চাষিরা অনেক দূরের ওই বিপণনকেন্দ্রে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। কেন্দ্রটি গদখালীতে নির্মাণ করা হলে কৃষকেরা উপকৃত হতেন।
নূর নবী নামের এক ফুলচাষি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। গদখালী থেকে এটি অনেক দূরে। ফলে গদখালীর ফুলচাষিরা ওখানে যেতে চান না। বাজার থেকে সহজে বিভিন্ন পরিবহনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল পাঠানো যায়। তাই দীর্ঘদিন ধরে ফুল মার্কেট পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া ফুলে বীজ সংরক্ষণ করতে না পারায় স্থানীয় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের এখন চড়া মূল্যে যশোর ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলার আলুর হিমাগারে ফুলের বীজ সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। তা-ও আবার অনেক সময় হিমাগারে জায়গা পাওয়া যায় না।
একই অবস্থা গদখালী বাজারের পাশে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফুল বিপণনকেন্দ্র (অ্যাসেম্বল সেন্টার)। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সেখানে যান না চাষিরা। বছরের পর বছর পড়ে রয়েছে বিপণনকেন্দ্রটি।

যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পানিসারায় অবস্থিত বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্রটির জমির মালিকানা নিয়ে প্রথমে ঝামেলা ছিল, পরে তা সমাধান হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ী গদখালী বাজারটি তাঁদের আয়ত্তে রেখে মোটা অঙ্কের বাণিজ্যের জন্য ওই মার্কেট চালু করতে দিচ্ছেন না। আমরা প্রশাসনের কাছে মার্কেটটি দ্রুত চালুর দাবি জানাই।’
এদিকে যশোর শহরের চাঁচড়া এলাকায় ৮০ শতক জমির ওপর ১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক মাছের পোনা বিক্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। দোতলা এ বিক্রয়কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৎস্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পোনা বিক্রয়কেন্দ্রটির নিচতলার ১১ হাজার বর্গফুট জায়গায় কার্পজাতীয় মাছের পোনা বিক্রির জন্য ৩২০ বর্গফুটের ৫১টি সিস্টার্ন (হাউস) নির্মাণ করা হয়। সিস্টার্নে পানি শাওয়ারিং ও অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। আর দেশি প্রজাতির ছোট মাছের পোনা বিক্রির জন্য দোতলায় ৭ হাজার ৯০০ বর্গফুট জায়গা রয়েছে। সেখানে ৭০ জন ব্যবসায়ী বড় হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে পোনা বিক্রি করতে পারবেন। মাছের গাড়ি সরাসরি দোতলায় নেওয়ার জন্য র্যাম্প পদ্ধতির সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য স্বয়ংক্রিয় জেনারেটরও স্থাপন করা আছে। কিন্তু আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও প্রকৃত পোনা বিক্রেতারা এ কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে আগ্রহ দেখাননি।

কারণ হিসেবে মাছচাষিরা জানান, চাঁচড়া বাবলাতলায় সড়কের ওপর পাতিলে মাছের পোনা রেখে বিক্রি করতে কোনো খরচ নেই। কিন্তু পোনা বিক্রয়কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে অফেরতযোগ্য ২৫ হাজার টাকা জামানাত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে আরও ১ হাজার টাকা খরচ হবে। তাই তাঁরা ওই কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী হননি।
যশোর জেলা হ্যাচারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান গোলদার বলেন, হ্যাচারিদের মতামত উপেক্ষা করে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। চাঁচড়া বাবলাতলায় নির্মাণ করার দাবি জানালেও সরকারের তৎকালীন মৎস্য কর্মকর্তা চাঁচড়ায় নির্মাণ করেন। সেখানে পর্যাপ্ত জায়গা নেই, পানির সমস্যা। তাই হ্যাচারিমালিকেরা দেড় কিলোমিটার দূরে চাঁচড়ায় যেতে আগ্রহ দেখান না।
সরকারের তিনটি প্রকল্প অব্যবহৃত পড়ে থাকার বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট ফুল ও মাছচাষিদের মতামতের ভিত্তিতে সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন, সেই ফুল বেচাকেনা, বীজ সংরক্ষণই হয় না এখানে। অথচ মার্কেটটির সামনের সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মাঠ থেকে ফুল নিয়ে শত শত কৃষক বিক্রি করতে যান সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে।
ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী-পানিসারা এলাকায় বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এই এলাকায় উৎপাদিত ফুল, বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে সাড়ে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হিমাগারসহ আধুনিক ফুল মার্কেট নির্মাণ করে সরকার। ১ একর জমিতে এই বিপণনকেন্দ্র নির্মাণের পর ২০২২ সালে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু মার্কেট নিয়ে ফুলচাষিদের কোনো আগ্রহ না থাকায় তিন বছর ধরে অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, যে ভবন ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের পদচারণে মুখর থাকার কথা, সেই ভবনের সামনে ফুলের পরিবর্তে ধান শুকাচ্ছে এলাকাবাসী। পড়ে রয়েছে ফুল বেচাকেনার শেড।
ফুলচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশির দশক থেকেই গদখালী ও পানিসারা—এই দুই ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে ফুল উৎপাদিত হয়ে আসছে। ধীরে ধীরে ফুলের রাজধানী হিসেবে এই এলাকা পরিচিতি লাভ করে। কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের গা ঘেঁষে গড়ে ওঠা বাজারে বিক্রি করে আসছেন। তাঁদের এই ফুল সংরক্ষণ ও বিপণনের জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা ছিল না।
কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ফুল বিপণন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। মার্কেট নির্মাণের পর জমির মালিকানা নিয়ে আইনি জটিলতা ও আয়-ব্যয় ব্যবস্থাপনা নীতিমালা না থাকায় জেলা প্রশাসনের মার্কেটটি বুঝে নিতে এবং উদ্বোধন করতে দেরি হয়।
বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র ব্যবহার না করার কারণ হিসেবে চাষিরা জানান, কেন্দ্রটি নির্মাণে স্থান নির্বাচনে ভুল করা হয়েছে। এটি নির্মাণ করা হয় পানিসারা ইউনিয়নে। গদখালী বাজার থেকে এর দূরত্ব সাড়ে ৩ কিলোমিটার। আবার গদখালী বাজারের পাশে মহাসড়ক থাকায় সহজেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল বাজারজাত করা যায়। এ ছাড়া গদখালীতেই বেশি ফুলের চাষ হয়। ফলে চাষিরা অনেক দূরের ওই বিপণনকেন্দ্রে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। কেন্দ্রটি গদখালীতে নির্মাণ করা হলে কৃষকেরা উপকৃত হতেন।
নূর নবী নামের এক ফুলচাষি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। গদখালী থেকে এটি অনেক দূরে। ফলে গদখালীর ফুলচাষিরা ওখানে যেতে চান না। বাজার থেকে সহজে বিভিন্ন পরিবহনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল পাঠানো যায়। তাই দীর্ঘদিন ধরে ফুল মার্কেট পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া ফুলে বীজ সংরক্ষণ করতে না পারায় স্থানীয় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের এখন চড়া মূল্যে যশোর ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলার আলুর হিমাগারে ফুলের বীজ সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। তা-ও আবার অনেক সময় হিমাগারে জায়গা পাওয়া যায় না।
একই অবস্থা গদখালী বাজারের পাশে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফুল বিপণনকেন্দ্র (অ্যাসেম্বল সেন্টার)। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সেখানে যান না চাষিরা। বছরের পর বছর পড়ে রয়েছে বিপণনকেন্দ্রটি।

যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পানিসারায় অবস্থিত বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্রটির জমির মালিকানা নিয়ে প্রথমে ঝামেলা ছিল, পরে তা সমাধান হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ী গদখালী বাজারটি তাঁদের আয়ত্তে রেখে মোটা অঙ্কের বাণিজ্যের জন্য ওই মার্কেট চালু করতে দিচ্ছেন না। আমরা প্রশাসনের কাছে মার্কেটটি দ্রুত চালুর দাবি জানাই।’
এদিকে যশোর শহরের চাঁচড়া এলাকায় ৮০ শতক জমির ওপর ১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক মাছের পোনা বিক্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। দোতলা এ বিক্রয়কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৎস্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পোনা বিক্রয়কেন্দ্রটির নিচতলার ১১ হাজার বর্গফুট জায়গায় কার্পজাতীয় মাছের পোনা বিক্রির জন্য ৩২০ বর্গফুটের ৫১টি সিস্টার্ন (হাউস) নির্মাণ করা হয়। সিস্টার্নে পানি শাওয়ারিং ও অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। আর দেশি প্রজাতির ছোট মাছের পোনা বিক্রির জন্য দোতলায় ৭ হাজার ৯০০ বর্গফুট জায়গা রয়েছে। সেখানে ৭০ জন ব্যবসায়ী বড় হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে পোনা বিক্রি করতে পারবেন। মাছের গাড়ি সরাসরি দোতলায় নেওয়ার জন্য র্যাম্প পদ্ধতির সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য স্বয়ংক্রিয় জেনারেটরও স্থাপন করা আছে। কিন্তু আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও প্রকৃত পোনা বিক্রেতারা এ কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে আগ্রহ দেখাননি।

কারণ হিসেবে মাছচাষিরা জানান, চাঁচড়া বাবলাতলায় সড়কের ওপর পাতিলে মাছের পোনা রেখে বিক্রি করতে কোনো খরচ নেই। কিন্তু পোনা বিক্রয়কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে অফেরতযোগ্য ২৫ হাজার টাকা জামানাত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে আরও ১ হাজার টাকা খরচ হবে। তাই তাঁরা ওই কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী হননি।
যশোর জেলা হ্যাচারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান গোলদার বলেন, হ্যাচারিদের মতামত উপেক্ষা করে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। চাঁচড়া বাবলাতলায় নির্মাণ করার দাবি জানালেও সরকারের তৎকালীন মৎস্য কর্মকর্তা চাঁচড়ায় নির্মাণ করেন। সেখানে পর্যাপ্ত জায়গা নেই, পানির সমস্যা। তাই হ্যাচারিমালিকেরা দেড় কিলোমিটার দূরে চাঁচড়ায় যেতে আগ্রহ দেখান না।
সরকারের তিনটি প্রকল্প অব্যবহৃত পড়ে থাকার বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট ফুল ও মাছচাষিদের মতামতের ভিত্তিতে সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

কুমিল্লার দেবিদ্বারে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বদিউল আলম বদু (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে রাতে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে গ্রেপ্তার এবং পরদিন সকালে বিএনপি নেতা পরিচয়ে ছেড়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
২ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লার সেনানিবাসের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত ময়নামতি কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সেনাদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও স্মরণানুষ্ঠান হয়েছে। আজ শনিবার সকালে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা এই স্মরণানুষ্ঠানে উপস্থিত হন।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বর্ণাঢ্য র্যালি হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলা শহরে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আয়োজনে র্যালি ও সমাবেশ হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ছাত্র সংসদের নাম বাকসু রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে। কেননা বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ বাকসু নামে প্রতিষ্ঠিত ১৯৫২ সালে। তাই বাকসু রক্ষার দাবি জানিয়েছেন বিএম কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
৪ ঘণ্টা আগেদেবিদ্বার (কুমিল্লা) সংবাদদাতা

কুমিল্লার দেবিদ্বারে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বদিউল আলম বদু (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে রাতে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে গ্রেপ্তার এবং পরদিন সকালে বিএনপি নেতা পরিচয়ে ছেড়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দেবিদ্বারের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পাঁচ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজন দেবিদ্বার পৌর এলাকার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ি গ্রামের বদিউল আলম বদু।
শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে আটক চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হলেও বদিউল আলম বদুকে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের তদবিরে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে। সকাল থেকে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ভিপি মহিউদ্দিন সরকার মাহফুজের নেতৃত্বে বিএনপির ১০-১৫ জন নেতা-কর্মী বদুকে ছাড়ানোর দাবিতে থানায় অবস্থান নেন।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, বদিউল আলম বদু অতীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে মিছিল-সমাবেশেও তাঁকে দেখা যায়, যার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রয়েছে। তাঁর ছেলে জামির হোসেন পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি এবং গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা আব্দুর রাজ্জাক রুবেল হত্যা মামলার ৫৩ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি। সাম্প্রতিক সময়ে বদু নিজেকে বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ভিপি মহিউদ্দিন সরকার মাহফুজ বলেন, ‘বদিউল আলম বদু দেবিদ্বার পৌর বিএনপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক। আগে তিনি পৌর বিএনপির সহসভাপতিও ছিলেন। সে আগে আওয়ামী লীগ করতেন কি না, তা আমাদের জানা নেই।’
তিনি আরও বলেন, গত জানুয়ারিতে প্রকাশ্যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ওঠেনি। তবে তাঁর ছেলে যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত, সেটা সত্য।

ঘটনার বিষয়ে জানতে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াছিনের সঙ্গে দেখা করার এবং ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। থানার অন্য কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। থানা সূত্রে জানা যায়, ওসির নির্দেশেই বদিউল আলম বদুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
দেবিদ্বার-ব্রাহ্মণপাড়া সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মো. শাহীন বলেন, ‘পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় তদন্ত কর্মকর্তা তাঁকে ছেড়ে দিতে পারেন। অভিযোগ থাকলে আবারও গ্রেপ্তার করা হবে। এতে বড় কোনো সমস্যা নেই।’

কুমিল্লার দেবিদ্বারে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বদিউল আলম বদু (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে রাতে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে গ্রেপ্তার এবং পরদিন সকালে বিএনপি নেতা পরিচয়ে ছেড়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দেবিদ্বারের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পাঁচ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজন দেবিদ্বার পৌর এলাকার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ি গ্রামের বদিউল আলম বদু।
শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে আটক চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হলেও বদিউল আলম বদুকে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের তদবিরে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে। সকাল থেকে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ভিপি মহিউদ্দিন সরকার মাহফুজের নেতৃত্বে বিএনপির ১০-১৫ জন নেতা-কর্মী বদুকে ছাড়ানোর দাবিতে থানায় অবস্থান নেন।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, বদিউল আলম বদু অতীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে মিছিল-সমাবেশেও তাঁকে দেখা যায়, যার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রয়েছে। তাঁর ছেলে জামির হোসেন পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি এবং গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা আব্দুর রাজ্জাক রুবেল হত্যা মামলার ৫৩ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি। সাম্প্রতিক সময়ে বদু নিজেকে বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ভিপি মহিউদ্দিন সরকার মাহফুজ বলেন, ‘বদিউল আলম বদু দেবিদ্বার পৌর বিএনপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক। আগে তিনি পৌর বিএনপির সহসভাপতিও ছিলেন। সে আগে আওয়ামী লীগ করতেন কি না, তা আমাদের জানা নেই।’
তিনি আরও বলেন, গত জানুয়ারিতে প্রকাশ্যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ওঠেনি। তবে তাঁর ছেলে যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত, সেটা সত্য।

ঘটনার বিষয়ে জানতে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াছিনের সঙ্গে দেখা করার এবং ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। থানার অন্য কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। থানা সূত্রে জানা যায়, ওসির নির্দেশেই বদিউল আলম বদুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
দেবিদ্বার-ব্রাহ্মণপাড়া সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মো. শাহীন বলেন, ‘পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় তদন্ত কর্মকর্তা তাঁকে ছেড়ে দিতে পারেন। অভিযোগ থাকলে আবারও গ্রেপ্তার করা হবে। এতে বড় কোনো সমস্যা নেই।’

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন,
০৫ এপ্রিল ২০২৫
কুমিল্লার সেনানিবাসের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত ময়নামতি কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সেনাদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও স্মরণানুষ্ঠান হয়েছে। আজ শনিবার সকালে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা এই স্মরণানুষ্ঠানে উপস্থিত হন।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বর্ণাঢ্য র্যালি হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলা শহরে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আয়োজনে র্যালি ও সমাবেশ হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ছাত্র সংসদের নাম বাকসু রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে। কেননা বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ বাকসু নামে প্রতিষ্ঠিত ১৯৫২ সালে। তাই বাকসু রক্ষার দাবি জানিয়েছেন বিএম কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
৪ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার সেনানিবাসের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত ময়নামতি কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সেনাদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও স্মরণানুষ্ঠান হয়েছে। আজ শনিবার সকালে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা এই
স্মরণানুষ্ঠানে উপস্থিত হন। ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রির বাংলাদেশ কান্ট্রি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আব্দুর রহিম সবুজ আজ রাত পৌনে ১০টায় স্মরণানুষ্ঠানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পাশেই প্রায় চার একর বিস্তৃত জায়গাজুড়ে গড়ে উঠেছে এই সমাধি ক্ষেত্র। সবুজ ঘাসে মোড়া জমিন, সুসজ্জিত গাছপালা,
আর সমাধিফলকের সযত্ন রক্ষণাবেক্ষণ—সব মিলিয়ে এটি দর্শনার্থীর মনে এক গভীর ছাপ ফেলে। ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে ১৯৪১ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সেনাদের সমাধি রয়েছে। এখানে সমাহিত সেনাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাজ্যের ৩৫৭, কানাডার ১২, অস্ট্রেলিয়ার ১২, নিউজিল্যান্ডের চার, অবিভক্ত ভারতের ১৭১, রোডেশিয়ার তিন, পূর্ব আফ্রিকার ৫৬ ও পশ্চিম আফ্রিকার ৮৬ জন। প্রথমে সমাহিত সেনাসংখ্যা ছিল ৭৩৭, কিন্তু জাপানের ২৪ সেনার দেহাবশেষ স্বদেশে ফেরানোর পর বর্তমানে এই মাটিতে শুয়ে আছে ৭১৩ সেনা।
অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাইকমিশনারসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মেহেদী হাসান চৌধুরী পিএসসি, কমান্ডার ১০১ পদাতিক ব্রিগেড।
আজকের স্মরণানুষ্ঠানে উপস্থিত কূটনীতিকদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারা কুক, পাকিস্তানের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর সাইয়েদ আহমেদ মারুফ, ভারতের ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার এম এস সাবরওয়াল, অস্ট্রেলিয়ার কূটনীতিক নার্দিয়া সিম্পসন, কানাডার প্রতিনিধি মার্কাস ডেভিস, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্টোনিও আলেসান্দ্রো, স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিস্টিয়াগা, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি মাইকেল মিলার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি মেগান বোল্ডিন, ডেনমার্কের প্রতিনিধি অ্যান্ডারস বি. কার্লসন এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের স্টিফেন ফোর্বস। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি কমান্ডার, ১০১ পদাতিক ব্রিগেড; অধিনায়ক, ৬ ক্যাভালরি; অধিনায়ক, ৩৩ মিলিটারি পুলিশসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের পরিবার ও বংশধররা। সব মিলিয়ে মোট ১৮৪ জন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আজ সকাল ১০টায় এই স্মরণানুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, স্মরণ সংগীত পরিবেশনা, দুই মিনিট নীরবতা পালন, পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং প্রার্থনা ও স্মৃতিচারণের মাধ্যমে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে অনুষ্ঠান শেষ হয়। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুমিল্লা জোনের কর্মকর্তারা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ও সহায়তা নিশ্চিত করেন।

কুমিল্লার সেনানিবাসের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত ময়নামতি কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সেনাদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও স্মরণানুষ্ঠান হয়েছে। আজ শনিবার সকালে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা এই
স্মরণানুষ্ঠানে উপস্থিত হন। ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রির বাংলাদেশ কান্ট্রি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আব্দুর রহিম সবুজ আজ রাত পৌনে ১০টায় স্মরণানুষ্ঠানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পাশেই প্রায় চার একর বিস্তৃত জায়গাজুড়ে গড়ে উঠেছে এই সমাধি ক্ষেত্র। সবুজ ঘাসে মোড়া জমিন, সুসজ্জিত গাছপালা,
আর সমাধিফলকের সযত্ন রক্ষণাবেক্ষণ—সব মিলিয়ে এটি দর্শনার্থীর মনে এক গভীর ছাপ ফেলে। ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে ১৯৪১ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সেনাদের সমাধি রয়েছে। এখানে সমাহিত সেনাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাজ্যের ৩৫৭, কানাডার ১২, অস্ট্রেলিয়ার ১২, নিউজিল্যান্ডের চার, অবিভক্ত ভারতের ১৭১, রোডেশিয়ার তিন, পূর্ব আফ্রিকার ৫৬ ও পশ্চিম আফ্রিকার ৮৬ জন। প্রথমে সমাহিত সেনাসংখ্যা ছিল ৭৩৭, কিন্তু জাপানের ২৪ সেনার দেহাবশেষ স্বদেশে ফেরানোর পর বর্তমানে এই মাটিতে শুয়ে আছে ৭১৩ সেনা।
অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাইকমিশনারসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মেহেদী হাসান চৌধুরী পিএসসি, কমান্ডার ১০১ পদাতিক ব্রিগেড।
আজকের স্মরণানুষ্ঠানে উপস্থিত কূটনীতিকদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারা কুক, পাকিস্তানের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর সাইয়েদ আহমেদ মারুফ, ভারতের ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার এম এস সাবরওয়াল, অস্ট্রেলিয়ার কূটনীতিক নার্দিয়া সিম্পসন, কানাডার প্রতিনিধি মার্কাস ডেভিস, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্টোনিও আলেসান্দ্রো, স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিস্টিয়াগা, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি মাইকেল মিলার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি মেগান বোল্ডিন, ডেনমার্কের প্রতিনিধি অ্যান্ডারস বি. কার্লসন এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের স্টিফেন ফোর্বস। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি কমান্ডার, ১০১ পদাতিক ব্রিগেড; অধিনায়ক, ৬ ক্যাভালরি; অধিনায়ক, ৩৩ মিলিটারি পুলিশসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের পরিবার ও বংশধররা। সব মিলিয়ে মোট ১৮৪ জন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আজ সকাল ১০টায় এই স্মরণানুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, স্মরণ সংগীত পরিবেশনা, দুই মিনিট নীরবতা পালন, পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং প্রার্থনা ও স্মৃতিচারণের মাধ্যমে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে অনুষ্ঠান শেষ হয়। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুমিল্লা জোনের কর্মকর্তারা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ও সহায়তা নিশ্চিত করেন।

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন,
০৫ এপ্রিল ২০২৫
কুমিল্লার দেবিদ্বারে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বদিউল আলম বদু (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে রাতে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে গ্রেপ্তার এবং পরদিন সকালে বিএনপি নেতা পরিচয়ে ছেড়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বর্ণাঢ্য র্যালি হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলা শহরে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আয়োজনে র্যালি ও সমাবেশ হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ছাত্র সংসদের নাম বাকসু রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে। কেননা বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ বাকসু নামে প্রতিষ্ঠিত ১৯৫২ সালে। তাই বাকসু রক্ষার দাবি জানিয়েছেন বিএম কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
৪ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বর্ণাঢ্য র্যালি হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলা শহরে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আয়োজনে র্যালি ও সমাবেশ হয়। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর তারাকান্দা) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও তারাকান্দা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন তালুকদারের নেতৃত্বে এ র্যালিটি শহর প্রদক্ষিণ করে।
এ আগে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালামের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঈশ্বরগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু, ফুলপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান, তারাকান্দা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুস সালাম তালুকদার, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম কামাল, উত্তর জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি হযরত আহমেদ সাকিব, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক সুজা উদ্দিন সুজা প্রমুখ।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বর্ণাঢ্য র্যালি হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলা শহরে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আয়োজনে র্যালি ও সমাবেশ হয়। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর তারাকান্দা) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও তারাকান্দা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন তালুকদারের নেতৃত্বে এ র্যালিটি শহর প্রদক্ষিণ করে।
এ আগে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালামের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঈশ্বরগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু, ফুলপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান, তারাকান্দা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুস সালাম তালুকদার, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম কামাল, উত্তর জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি হযরত আহমেদ সাকিব, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক সুজা উদ্দিন সুজা প্রমুখ।

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন,
০৫ এপ্রিল ২০২৫
কুমিল্লার দেবিদ্বারে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বদিউল আলম বদু (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে রাতে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে গ্রেপ্তার এবং পরদিন সকালে বিএনপি নেতা পরিচয়ে ছেড়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
২ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লার সেনানিবাসের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত ময়নামতি কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সেনাদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও স্মরণানুষ্ঠান হয়েছে। আজ শনিবার সকালে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা এই স্মরণানুষ্ঠানে উপস্থিত হন।
৩ ঘণ্টা আগে
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ছাত্র সংসদের নাম বাকসু রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে। কেননা বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ বাকসু নামে প্রতিষ্ঠিত ১৯৫২ সালে। তাই বাকসু রক্ষার দাবি জানিয়েছেন বিএম কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ছাত্র সংসদের নাম বাকসু রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে। কেননা বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ বাকসু নামে প্রতিষ্ঠিত ১৯৫২ সালে। তাই বাকসু রক্ষার দাবি জানিয়েছেন বিএম কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা। শনিবার সংবাদ সম্মেলন ও অধ্যক্ষের সঙ্গে সভা করেছেন বাকসুর সাবেক ছাত্রনেতারা।
সভায় বাকসুর নাম কেবল বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের উল্লেখ করে তা বজায় রাখার জন্য ববি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ‘বাকসু’ নাম বিএম কলেজের ঐতিহ্য উল্লেখ করেছেন বাকসুর সাবেক জিএস আলী আজগর ফকির।
আলী আজগর ফকির বলেন, ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ছাত্র সংসদ দক্ষিণ বাংলার গণ-আন্দোলনের অন্যতম পথপ্রদর্শক ছিল। বরিশাল বিভাগ ঘোষণা, পদ্মা সেতু নির্মাণের দাবি, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ বহু গণমুখী আন্দোলনের সূচনা হয়েছে বাকসুর হাত ধরে।
আলী আজগর ফকির আরও বলেন, বাকসু নামটি এখন শুধু একটি সংগঠনের নাম নয়, এটি একটি ঐতিহাসিক পরিচয়, রাজনৈতিক ধারা ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার। অথচ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ছাত্র সংসদের জন্য একই নাম প্রস্তাব করে বিভ্রান্তি ও উত্তেজনার সৃষ্টি করছে।
আলী আজগর ফকির উদাহরণ টেনে বলেন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সংক্ষিপ্ত নাম জাকসু, আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জকসু রাখা হয়েছে, যাতে কোনো বিভ্রান্তি না থাকে। একইভাবে ব্রজমোহন কলেজের ‘বাকসু’ নামের স্বাতন্ত্র্য রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়েরও আলাদা নাম নির্ধারণ করা উচিত।
আলী আজগর ফকির আইনি দিক তুলে ধরে বলেন, কোনো নাম যদি দীর্ঘকাল ধরে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থেকে সমাজে স্বীকৃতি পায়, তবে তা প্রথাগত অধিকারের আওতাভুক্ত হয়। ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক স্বীকৃতি ও দীর্ঘদিনের ব্যবহার—এই চারটি মানদণ্ডে ‘বাকসু’ নামের আইনি ও নৈতিক অধিকার বিএম কলেজের।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাকসুর সাবেক এজিএস মনজুরুল হক জিসান, আবু জফর বাদল, সাবেক ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিল্টন, সাবেক ম্যাগাজিন সম্পাদক নাজমুল হাসান ছগির প্রমুখ।
সাবেক বাকসু নেতা ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ববির ছাত্র সংসদে বাকসু ব্যবহার হলে কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ববির খসড়া গঠনতন্ত্রে বাংলায় ‘বাকসু’ শব্দ ব্যবহার করা হয়নি। তাঁরা উল্লেখ করেছেন, বরিশাল ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। তবে আলোচনা করলে যে কেউ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, ‘বাকসু নিয়ে টানাটানিতে ববি ও বিএম কলেজ’ শিরোনামে গত ২৬ অক্টোবর আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ছাত্র সংসদের নাম বাকসু রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে। কেননা বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ বাকসু নামে প্রতিষ্ঠিত ১৯৫২ সালে। তাই বাকসু রক্ষার দাবি জানিয়েছেন বিএম কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা। শনিবার সংবাদ সম্মেলন ও অধ্যক্ষের সঙ্গে সভা করেছেন বাকসুর সাবেক ছাত্রনেতারা।
সভায় বাকসুর নাম কেবল বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের উল্লেখ করে তা বজায় রাখার জন্য ববি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ‘বাকসু’ নাম বিএম কলেজের ঐতিহ্য উল্লেখ করেছেন বাকসুর সাবেক জিএস আলী আজগর ফকির।
আলী আজগর ফকির বলেন, ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ছাত্র সংসদ দক্ষিণ বাংলার গণ-আন্দোলনের অন্যতম পথপ্রদর্শক ছিল। বরিশাল বিভাগ ঘোষণা, পদ্মা সেতু নির্মাণের দাবি, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ বহু গণমুখী আন্দোলনের সূচনা হয়েছে বাকসুর হাত ধরে।
আলী আজগর ফকির আরও বলেন, বাকসু নামটি এখন শুধু একটি সংগঠনের নাম নয়, এটি একটি ঐতিহাসিক পরিচয়, রাজনৈতিক ধারা ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার। অথচ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ছাত্র সংসদের জন্য একই নাম প্রস্তাব করে বিভ্রান্তি ও উত্তেজনার সৃষ্টি করছে।
আলী আজগর ফকির উদাহরণ টেনে বলেন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সংক্ষিপ্ত নাম জাকসু, আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জকসু রাখা হয়েছে, যাতে কোনো বিভ্রান্তি না থাকে। একইভাবে ব্রজমোহন কলেজের ‘বাকসু’ নামের স্বাতন্ত্র্য রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়েরও আলাদা নাম নির্ধারণ করা উচিত।
আলী আজগর ফকির আইনি দিক তুলে ধরে বলেন, কোনো নাম যদি দীর্ঘকাল ধরে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থেকে সমাজে স্বীকৃতি পায়, তবে তা প্রথাগত অধিকারের আওতাভুক্ত হয়। ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক স্বীকৃতি ও দীর্ঘদিনের ব্যবহার—এই চারটি মানদণ্ডে ‘বাকসু’ নামের আইনি ও নৈতিক অধিকার বিএম কলেজের।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাকসুর সাবেক এজিএস মনজুরুল হক জিসান, আবু জফর বাদল, সাবেক ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিল্টন, সাবেক ম্যাগাজিন সম্পাদক নাজমুল হাসান ছগির প্রমুখ।
সাবেক বাকসু নেতা ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ববির ছাত্র সংসদে বাকসু ব্যবহার হলে কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ববির খসড়া গঠনতন্ত্রে বাংলায় ‘বাকসু’ শব্দ ব্যবহার করা হয়নি। তাঁরা উল্লেখ করেছেন, বরিশাল ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। তবে আলোচনা করলে যে কেউ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, ‘বাকসু নিয়ে টানাটানিতে ববি ও বিএম কলেজ’ শিরোনামে গত ২৬ অক্টোবর আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন,
০৫ এপ্রিল ২০২৫
কুমিল্লার দেবিদ্বারে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বদিউল আলম বদু (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে রাতে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে গ্রেপ্তার এবং পরদিন সকালে বিএনপি নেতা পরিচয়ে ছেড়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
২ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লার সেনানিবাসের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত ময়নামতি কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সেনাদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও স্মরণানুষ্ঠান হয়েছে। আজ শনিবার সকালে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা এই স্মরণানুষ্ঠানে উপস্থিত হন।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বর্ণাঢ্য র্যালি হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলা শহরে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আয়োজনে র্যালি ও সমাবেশ হয়।
৪ ঘণ্টা আগে