এম কে দোলন বিশ্বাস, ইসলামপুর (জামালপুর)
জামালপুরের ইসলামপুরে ৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক সংস্কারের কাজ শেষ হতে না হতেই এর বিভিন্ন অংশ ধসে যাচ্ছে। সড়কে ভাঙন এবং সিসি ব্লক ধসে যাওয়ায় মেরামত কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কেউ বলছেন, নিম্নমানের কাজ করা হয়েছে, যার ফলে সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। ভাঙন ধরেছে সড়কেও। কেউ বলছেন, মোটা অঙ্কের বরাদ্দ হলেও মেরামত কাজে তদারকির অভাব ছিল। ফলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজ করেননি। তবে কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের কিছু অংশ ধসে গেছে। ধসে যাওয়া অংশ দ্রুত ঠিক করা হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের কান্দারচর মোড় থেকে ডেফলা ঘাট-বেনুয়ারচর সড়কের বেনুয়ারচর বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার মেরামতের জন্য ৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় এলজিইডি বিভাগ। এমডিই-এই (জেভি) নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। তবে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীর নাম জানা না গেলেও এর পক্ষে সড়কটি মেরামতে কাজ করেছেন স্থানীয় ঠিকাদার চন্দন গোয়ালা ও তপন বাবু। ২০২৩ সালের মার্চে শুরু হয়ে মেরামত কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হয়েছে। তবে এখনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত বিল দেওয়া হয়নি বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চিনারচর আকন্দবাড়ি এলাকায় সড়কের প্যালাসাইডিংয়ের সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। বৃষ্টির পানি নামতে গিয়ে স্লোপ ড্রেন ভেঙে গেছে। কোথাও কোথাও মাটি সরে যাওয়ায় সড়কের মূল অংশ ভেঙে পড়ছে। এ ছাড়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দের। এতে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
চিনারচর গ্রামের কৃষক আকবর, চতলাপাড়ার সুজন, হোসেন মিয়া, আকন্দপাড়ার আবু শেখসহ অনেকেই বলেন, ‘সড়কটির মেরামতে কাজ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের ‘পৃষ্ঠপোষক’ হিসেবে পরিচিত ঠিকাদার চন্দন গোয়ালা ও তপন বাবু। মেরামত কাজ শেষ হয়েছে কিছুদিন আগে।
কিন্তু এখনই প্যালাসাইডিংয়ের সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। সড়কের মূল অংশেও ধরেছে ভাঙন।’
চরপুটিমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সামছুজ্জামান সরুজ মাস্টার বলেন, ‘হাজার হাজার টন বিভিন্ন কৃষিপণ্য ঢাকাসহ সারা দেশে রপ্তানি করতে ওই সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। সড়কটি ভেঙে গেলে কৃষকেরা তাঁদের কৃষিপণ্য নিয়ে দুর্ভোগের শিকার হবেন।’
সড়কটি মেরামত কাজ তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী এ এস এম সুজা উদ্দৌলা বলেন, ‘পাঁচ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এমডিই-এই (জেভি) নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত জুন মাসে সড়কের কাজ প্রাথমিকভাবে শেষ করেছে। কার্যাদেশ মোতাবেক কাজ করা হয়েছে। কাজের গুণগত মানও ভালো। তবে অতি বৃষ্টির কারণে প্যালাসাইডিংয়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় কিছু সিসি ব্লক ধসে গেছে। কোথাও কোথাও সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সব ঠিক করে দেওয়া হবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত বিলের ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি।’
সড়ক মেরামত কাজের ঠিকাদার চন্দন গোয়ালার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সড়কের প্যালাসাইডিংয়ের সিসি ব্লক ধসে পড়ছে কি না, সেটা আমি জানি না। এ ছাড়া ওই সড়কটির মেরামত কাজ আমরা করেছি কি না, সেটাও আমি বলতে পারছি না। বিষয়টি সহযোগী ঠিকাদার তপন দাদা জানেন।’
এমডিই-এই (জেভি) নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি আপনাদের কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে চন্দন গোয়ালা বলেন, ‘সেটাও আমি জানি না। সবই জানেন তপন দাদা।’
এ বিষয়ে বহুবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কল রিসিভ না করায় ঠিকাদার তপন বাবুর কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সড়কসহ প্যালাসাইডিংয়ের সিসি ব্লক ধসে যাওয়া অংশ ঠিক করা না হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত বিলের ছাড়পত্র দেওয়া হবে না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘সড়ক মেরামতের কাজ নিম্নমানের হয়েছে কি না, সেটা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে।’
জামালপুরের ইসলামপুরে ৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক সংস্কারের কাজ শেষ হতে না হতেই এর বিভিন্ন অংশ ধসে যাচ্ছে। সড়কে ভাঙন এবং সিসি ব্লক ধসে যাওয়ায় মেরামত কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কেউ বলছেন, নিম্নমানের কাজ করা হয়েছে, যার ফলে সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। ভাঙন ধরেছে সড়কেও। কেউ বলছেন, মোটা অঙ্কের বরাদ্দ হলেও মেরামত কাজে তদারকির অভাব ছিল। ফলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজ করেননি। তবে কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের কিছু অংশ ধসে গেছে। ধসে যাওয়া অংশ দ্রুত ঠিক করা হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের কান্দারচর মোড় থেকে ডেফলা ঘাট-বেনুয়ারচর সড়কের বেনুয়ারচর বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার মেরামতের জন্য ৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় এলজিইডি বিভাগ। এমডিই-এই (জেভি) নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। তবে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীর নাম জানা না গেলেও এর পক্ষে সড়কটি মেরামতে কাজ করেছেন স্থানীয় ঠিকাদার চন্দন গোয়ালা ও তপন বাবু। ২০২৩ সালের মার্চে শুরু হয়ে মেরামত কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হয়েছে। তবে এখনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত বিল দেওয়া হয়নি বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চিনারচর আকন্দবাড়ি এলাকায় সড়কের প্যালাসাইডিংয়ের সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। বৃষ্টির পানি নামতে গিয়ে স্লোপ ড্রেন ভেঙে গেছে। কোথাও কোথাও মাটি সরে যাওয়ায় সড়কের মূল অংশ ভেঙে পড়ছে। এ ছাড়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দের। এতে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
চিনারচর গ্রামের কৃষক আকবর, চতলাপাড়ার সুজন, হোসেন মিয়া, আকন্দপাড়ার আবু শেখসহ অনেকেই বলেন, ‘সড়কটির মেরামতে কাজ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের ‘পৃষ্ঠপোষক’ হিসেবে পরিচিত ঠিকাদার চন্দন গোয়ালা ও তপন বাবু। মেরামত কাজ শেষ হয়েছে কিছুদিন আগে।
কিন্তু এখনই প্যালাসাইডিংয়ের সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। সড়কের মূল অংশেও ধরেছে ভাঙন।’
চরপুটিমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সামছুজ্জামান সরুজ মাস্টার বলেন, ‘হাজার হাজার টন বিভিন্ন কৃষিপণ্য ঢাকাসহ সারা দেশে রপ্তানি করতে ওই সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। সড়কটি ভেঙে গেলে কৃষকেরা তাঁদের কৃষিপণ্য নিয়ে দুর্ভোগের শিকার হবেন।’
সড়কটি মেরামত কাজ তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী এ এস এম সুজা উদ্দৌলা বলেন, ‘পাঁচ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এমডিই-এই (জেভি) নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত জুন মাসে সড়কের কাজ প্রাথমিকভাবে শেষ করেছে। কার্যাদেশ মোতাবেক কাজ করা হয়েছে। কাজের গুণগত মানও ভালো। তবে অতি বৃষ্টির কারণে প্যালাসাইডিংয়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় কিছু সিসি ব্লক ধসে গেছে। কোথাও কোথাও সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সব ঠিক করে দেওয়া হবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত বিলের ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি।’
সড়ক মেরামত কাজের ঠিকাদার চন্দন গোয়ালার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সড়কের প্যালাসাইডিংয়ের সিসি ব্লক ধসে পড়ছে কি না, সেটা আমি জানি না। এ ছাড়া ওই সড়কটির মেরামত কাজ আমরা করেছি কি না, সেটাও আমি বলতে পারছি না। বিষয়টি সহযোগী ঠিকাদার তপন দাদা জানেন।’
এমডিই-এই (জেভি) নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি আপনাদের কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে চন্দন গোয়ালা বলেন, ‘সেটাও আমি জানি না। সবই জানেন তপন দাদা।’
এ বিষয়ে বহুবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কল রিসিভ না করায় ঠিকাদার তপন বাবুর কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সড়কসহ প্যালাসাইডিংয়ের সিসি ব্লক ধসে যাওয়া অংশ ঠিক করা না হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত বিলের ছাড়পত্র দেওয়া হবে না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘সড়ক মেরামতের কাজ নিম্নমানের হয়েছে কি না, সেটা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে।’
রংপুরে আলুর দামে ধস নেমে কৃষকেরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন। সরকারি দর ২২ টাকা নির্ধারণ করা হলেও হিমাগার খরচ বাদে কৃষকের হাতে আসছে মাত্র ৫ টাকা। উৎপাদন খরচের তুলনায় এত কম দাম পাওয়ায় চাষিদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
৩ ঘণ্টা আগেঋণের টাকা শোধ না করে এবার উল্টো পাওনাদার ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করছে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম। বিনিয়োগকারী ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে গত মে মাস থেকে এ পর্যন্ত ১৩টি মামলা করেছে গ্রুপটি। সেসব মামলায় ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ১৬ হাজার ২৭০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে তারা।
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মগবাজারের তাকওয়া হাসপাতালের পাশে একটি হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে এ আগুন লাগে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তাঁরা এসে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের ইয়ার্ডগুলোয় প্রায় দেড় যুগ ধরে পড়ে রয়েছে ৩০০টির বেশি মালবাহী ওয়াগন। একদিকে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ওয়াগন কেনা হচ্ছে। অন্যদিকে খোলা আকাশের নিচে রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে এসব পুরোনো ওয়াগন। সান্তাহার, পার্বতীপুর ও সৈয়দপুর ইয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি ওয়াগন পড়ে রয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে