জামালপুর প্রতিনিধি
পরিত্যক্ত ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা, অতিরিক্ত রোগীর চাপ, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন সংকটে ভুগছে জামালপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। এ অবস্থায় নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনেরা। এদিকে পরিত্যক্ত ভবন এবং অতিরিক্ত রোগীর চাপে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে চিকিৎসক, রোগীসহ সংশ্লিষ্টদের।
স্থানীয়রা বলছেন, জামালপুরের ২৬ লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র আশ্রয়স্থল জামালপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী জেলার রোগীরাও এখানে চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকে।
কিন্তু হাসপাতালটিতে চিকিৎসক ও জনবলসংকট দীর্ঘদিন ধরে। কোনো সমাধান না হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এদিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসকেরা পরিত্যক্ত ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে মোট ৭৩ জন চিকিৎসকের পদ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সেখানে চিকিৎসক আছেন ৪৮ জন। প্রতিনিয়ত রোগীর চাপ বাড়ছে। অন্তর্বিভাগে রোগী ভর্তির সংখ্যাও থাকে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি। এদিকে হাসপাতালটিতে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও কর্মচারী না থাকায় সেসব কোনো কাজে আসছে না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বহির্বিভাগের ভবনটি ১৯৬১ সালে নির্মিত। গণপূর্ত বিভাগ ২০২১ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। এরপরও সেখানে চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। তবে নতুন ভবন চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান সোহান।
রোগীর স্বজন মনিরুল ইসলাম বলেন, সরকারি এই হাসপাতালে চিকিৎসকের সংকট থাকায় রোগীদের সেবা নিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তিনি বলেন, রাতে কোনো চিকিৎসক পাওয়া যায় না। ভর্তি রোগীদের দিনে একবার দেখা হয়।
মাদারগঞ্জের সেলিম মিয়া বলেন, ‘বহির্বিভাগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চিকিৎসকেরা সেবা দিচ্ছেন। এখানে চিকিৎসক এবং রোগীরা আতঙ্কে থাকে। ভবনের পলেস্তারা মাঝেমধ্যে খসে পড়ে রোগীরা আহতও হয়। চিকিৎসকেরা ভয়ের মধ্যে থাকেন। ভবনের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগে। দ্রুত বহির্বিভাগের হাসপাতাল ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করা হোক’
হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাবিনুর নাহার বলেন, ‘আমরা ভালো সেবা দিতে চাইলেও দিতে পারছি না। আমরা জায়গার সংকটের কারণে রোগীদের বিছানা পর্যন্ত দিতে পারছি না।’
বহির্বিভাগের চিকিৎসক শারমিনা আক্তার বলেন, ‘আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে দীর্ঘদিন সেবা দিয়ে আসছি। দুর্ঘটনার ভয় সব সময় থেকে যায়। আমাদের এবং রোগীদের কথা চিন্তা করে ভবনের মেরামত করা দরকার।’
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক মেহেদী হাসান বলেন, ‘হাসপাতালে বেডের সংখ্যা ২৫০টি। কিন্তু শুধু মেডিসিন ওয়ার্ডেই ভর্তি আছে ২২৪ জন। এক রোগীর বিছানায় ৩ জন করে রোগী আছে। রোগীর এত চাপ। নার্স ও চিকিৎসকের সংকটের কারণে সেবা দিতে কষ্ট হচ্ছে।’
হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, ‘সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে রোগীদের আবাসন সংকট। হাসপাতালের বহির্বিভাগের ভবন ১৯৬১ সালে নির্মিত। গণপূর্ত বিভাগ ২০২১ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে নতুন ভবন নির্মাণের কথা জানিয়েছি।’
পরিত্যক্ত ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা, অতিরিক্ত রোগীর চাপ, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন সংকটে ভুগছে জামালপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। এ অবস্থায় নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনেরা। এদিকে পরিত্যক্ত ভবন এবং অতিরিক্ত রোগীর চাপে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে চিকিৎসক, রোগীসহ সংশ্লিষ্টদের।
স্থানীয়রা বলছেন, জামালপুরের ২৬ লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র আশ্রয়স্থল জামালপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী জেলার রোগীরাও এখানে চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকে।
কিন্তু হাসপাতালটিতে চিকিৎসক ও জনবলসংকট দীর্ঘদিন ধরে। কোনো সমাধান না হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এদিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসকেরা পরিত্যক্ত ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে মোট ৭৩ জন চিকিৎসকের পদ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সেখানে চিকিৎসক আছেন ৪৮ জন। প্রতিনিয়ত রোগীর চাপ বাড়ছে। অন্তর্বিভাগে রোগী ভর্তির সংখ্যাও থাকে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি। এদিকে হাসপাতালটিতে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও কর্মচারী না থাকায় সেসব কোনো কাজে আসছে না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বহির্বিভাগের ভবনটি ১৯৬১ সালে নির্মিত। গণপূর্ত বিভাগ ২০২১ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। এরপরও সেখানে চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। তবে নতুন ভবন চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান সোহান।
রোগীর স্বজন মনিরুল ইসলাম বলেন, সরকারি এই হাসপাতালে চিকিৎসকের সংকট থাকায় রোগীদের সেবা নিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তিনি বলেন, রাতে কোনো চিকিৎসক পাওয়া যায় না। ভর্তি রোগীদের দিনে একবার দেখা হয়।
মাদারগঞ্জের সেলিম মিয়া বলেন, ‘বহির্বিভাগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চিকিৎসকেরা সেবা দিচ্ছেন। এখানে চিকিৎসক এবং রোগীরা আতঙ্কে থাকে। ভবনের পলেস্তারা মাঝেমধ্যে খসে পড়ে রোগীরা আহতও হয়। চিকিৎসকেরা ভয়ের মধ্যে থাকেন। ভবনের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগে। দ্রুত বহির্বিভাগের হাসপাতাল ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করা হোক’
হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাবিনুর নাহার বলেন, ‘আমরা ভালো সেবা দিতে চাইলেও দিতে পারছি না। আমরা জায়গার সংকটের কারণে রোগীদের বিছানা পর্যন্ত দিতে পারছি না।’
বহির্বিভাগের চিকিৎসক শারমিনা আক্তার বলেন, ‘আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে দীর্ঘদিন সেবা দিয়ে আসছি। দুর্ঘটনার ভয় সব সময় থেকে যায়। আমাদের এবং রোগীদের কথা চিন্তা করে ভবনের মেরামত করা দরকার।’
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক মেহেদী হাসান বলেন, ‘হাসপাতালে বেডের সংখ্যা ২৫০টি। কিন্তু শুধু মেডিসিন ওয়ার্ডেই ভর্তি আছে ২২৪ জন। এক রোগীর বিছানায় ৩ জন করে রোগী আছে। রোগীর এত চাপ। নার্স ও চিকিৎসকের সংকটের কারণে সেবা দিতে কষ্ট হচ্ছে।’
হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, ‘সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে রোগীদের আবাসন সংকট। হাসপাতালের বহির্বিভাগের ভবন ১৯৬১ সালে নির্মিত। গণপূর্ত বিভাগ ২০২১ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে নতুন ভবন নির্মাণের কথা জানিয়েছি।’
বয়স কম, স্বপ্নও কাঁচা—তবু গলায় মালা, কপালে সিঁদুর। দারিদ্র্য, অনিরাপত্তা আর সামাজিক চাপে বাল্যবিবাহ যেন থামছেই না। কিশোরী থাকতেই হচ্ছে শিশুর মা। বই-খাতা নয়, কোলে এখন শিশু। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গ্রামগঞ্জে এমন দৃশ্য এখনো সাধারণ বিষয়। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি, প্রশাসনের অভিযান...
৩ ঘণ্টা আগেদেশে চার দশকের বেশি সময় ধরে সংক্রামক রোগ অ্যানথ্রাক্সের (তড়কা রোগ) সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে মূলত উত্তরাঞ্চলসহ সব মিলিয়ে ১৬টি জেলায় রোগটির প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। সম্প্রতি উত্তরাঞ্চলের রংপুর ও গাইবান্ধায় গবাদিপশুর মধ্যে রোগটি শনাক্ত হয়েছে। রংপুরে মানবদেহেও কয়েকটি সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেফেনীতে আট বছরের এক শিশুকে গলা টিপে হত্যার দায়ে অপর এক শিশুকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর লালবাগ এলাকায় রাস্তার ওপর সবজি, মাছ, মুরগি ইত্যাদির দোকান বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির অভিযোগে ছয়জনকে সড়ক পরিবহন আইনে ৫ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। এ ছাড়া মিটফোর্ড হাসপাতালে এক নারী রোগীর ব্যাগ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা চুরির অভিযোগে এক নারীকে তিন মাসের সশ্রম...
৪ ঘণ্টা আগে