রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার পোশাকশ্রমিকেরা। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় পাঁচ শ শিল্পকারখানায় চাকরি করা হাজার হাজার শ্রমিক ভয় নিয়ে আসা-যাওয়া করেন। অনেক সময় তাঁরা কারখানার সামনেই হামলা, মারধর, বেতনের টাকা ছিনিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হন। শ্রমিকদের দাবি, ফটকে মাদকাসক্ত অপরাধীরা বসে থাকে। সুযোগ বুঝে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। বাধ্য হয়ে অনেকে চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে পুলিশের ভাষ্য, শ্রমিকদের নিরাপত্তায় তারা কাজ করে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ডেকো গার্মেন্টস, রিদিশা গার্মেন্টস, ডিবিএল গার্মেন্টস, এক্স সিরামিক, রিদিশা বিস্কুট কারখানা, নিট হরাইজন গার্মেন্টস, ফখরুদ্দিন গার্মেন্টস, চায়না গার্মেন্টস, ঢাকা হ্যামস্, রাতুল গার্মেন্টস, ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার অ্যান্ড এক্সেসরিজ লিমিটেড, আমান গার্মেন্টস, সিজি গার্মেন্টস, মেঘনা গার্মেন্টসসহ উপজেলার বেশির ভাগ পোশাকশ্রমিকের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। অপরাধী চক্রের সদস্যরা বেশির ভাগ মাদকাসক্ত। চিহ্নিত অপরাধী। দলবেঁধে কারখানার ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। বেতনের সময় তাদের উৎপাত বাড়ে। ঘরে ফেরার পথে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করা হয়। অনেক সময় তুলে নিয়ে নির্যাতনের পর অর্থ হাতিয়ে নেয় চক্রটি।
রাতুল গার্মেন্টসের শ্রমিক ফজলুর হক বলেন, ‘গার্মেন্টসে চাকরির কারণে আমাদের বিভিন্ন সময় রাতে বসতবাড়িতে ফিরতে হয়। গত এপ্রিলে কর্মস্থল থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ করে কয়েকজন যুবক-কিশোর পথরোধ করে। প্রথমে আমার কাছে টাকা দাবি করে। কেন টাকা দেব—এমন কথা বলার পরপরই রাস্তার পাশের জঙ্গলে আমাকে তুলে নেয়। শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এরপর ৩ হাজার টাকা দেওয়ার চুক্তিতে ছেড়ে দেয়। পরে অন্য কারখানায় চাকরি নিই।’ ভয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেননি বলে জানান ফয়জুর।
ফখরুদ্দিন গার্মেন্টসের শ্রমিক মিনারা খাতুন বলেন, ‘গত ৯ আগস্ট রাতে কর্মস্থল থেকে এক সহকর্মীর সঙ্গে বাসায় ফিরছিলাম। রাস্তায় কয়েকজন এসে আমাদের পথরোধ করে বিভিন্ন আপত্তিকর কথা বলতে থাকে। একপর্যায়ে ওরা আমাদের বিয়ের কাবিননামা চায়। আমি বারবার বলার পরও আমাদের পরিচয় শুধু সহকর্মী—এটা মানতে চায় না ওরা। বিভিন্নভাবে অপবাদ দিয়ে আমাদের অপমান-অপদস্থ করে। এরপর সঙ্গে থাকা কিছু টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেয়। মানসম্মানের ভয়ে আইনের আশ্রয় নিইনি।’
ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার অ্যান্ড এক্সেসরিজ লিমিটেড কারখানার শ্রমিক সানোয়ার হোসেন বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে কয়েকজন সহকর্মী কারখানার সামনের দোকানে গল্প করছিলাম। হঠাৎ পাঁচজন ছেলে এসে আমাকে টেনেহিঁচড়ে পাশে নিয়ে যায়। এরপর মারধর করে দাবি করে আমার কাছে নাকি তারা টাকা পাবে। আমাকে তুলে নেওয়ার বিষয়টি সঙ্গে থাকা বন্ধুরা আমার স্ত্রীকে জানালে সে আমাকে ফোন করে। ওরা জঙ্গলে নিয়ে মারধর করে বলে, ফোন করে স্ত্রীকে বল টাকা নিয়ে আসতে। এরপর একটি গভীর জঙ্গলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে অনেক নির্যাতন করে। স্ত্রী একজনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে এলেও চাহিদামতো টাকা না দেওয়ায় ছাড়েনি। স্ত্রীর সামনে আমাকে মারধর করে। এরপর স্ত্রী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ এসে জঙ্গল থেকে আমাকে উদ্ধার করে। এরপর ভয়ে ভয়ে কারখানায় যাওয়া-আসা করি।’
ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার অ্যান্ড এক্সেসরিজ লিমিটেড কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র রায় বলেন, ‘কারখানার শ্রমিকদের নিরাপত্তা খুবই জরুরি। চলতি মাসে আমাদের একজন শ্রমিককে তুলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করা হয়। কারখানার মূল ফটকের সামনে একটি দোকান থেকে তাঁকে তুলে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার করে। এখন পর্যন্ত অপরাধীরা আইনের আওতায় আসেনি।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব সময় কাজ করছে পুলিশ। তাঁদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া তাঁদের নিরাপত্তায় পুলিশ অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।
কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার পোশাকশ্রমিকেরা। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় পাঁচ শ শিল্পকারখানায় চাকরি করা হাজার হাজার শ্রমিক ভয় নিয়ে আসা-যাওয়া করেন। অনেক সময় তাঁরা কারখানার সামনেই হামলা, মারধর, বেতনের টাকা ছিনিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হন। শ্রমিকদের দাবি, ফটকে মাদকাসক্ত অপরাধীরা বসে থাকে। সুযোগ বুঝে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। বাধ্য হয়ে অনেকে চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে পুলিশের ভাষ্য, শ্রমিকদের নিরাপত্তায় তারা কাজ করে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ডেকো গার্মেন্টস, রিদিশা গার্মেন্টস, ডিবিএল গার্মেন্টস, এক্স সিরামিক, রিদিশা বিস্কুট কারখানা, নিট হরাইজন গার্মেন্টস, ফখরুদ্দিন গার্মেন্টস, চায়না গার্মেন্টস, ঢাকা হ্যামস্, রাতুল গার্মেন্টস, ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার অ্যান্ড এক্সেসরিজ লিমিটেড, আমান গার্মেন্টস, সিজি গার্মেন্টস, মেঘনা গার্মেন্টসসহ উপজেলার বেশির ভাগ পোশাকশ্রমিকের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। অপরাধী চক্রের সদস্যরা বেশির ভাগ মাদকাসক্ত। চিহ্নিত অপরাধী। দলবেঁধে কারখানার ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। বেতনের সময় তাদের উৎপাত বাড়ে। ঘরে ফেরার পথে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করা হয়। অনেক সময় তুলে নিয়ে নির্যাতনের পর অর্থ হাতিয়ে নেয় চক্রটি।
রাতুল গার্মেন্টসের শ্রমিক ফজলুর হক বলেন, ‘গার্মেন্টসে চাকরির কারণে আমাদের বিভিন্ন সময় রাতে বসতবাড়িতে ফিরতে হয়। গত এপ্রিলে কর্মস্থল থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ করে কয়েকজন যুবক-কিশোর পথরোধ করে। প্রথমে আমার কাছে টাকা দাবি করে। কেন টাকা দেব—এমন কথা বলার পরপরই রাস্তার পাশের জঙ্গলে আমাকে তুলে নেয়। শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এরপর ৩ হাজার টাকা দেওয়ার চুক্তিতে ছেড়ে দেয়। পরে অন্য কারখানায় চাকরি নিই।’ ভয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেননি বলে জানান ফয়জুর।
ফখরুদ্দিন গার্মেন্টসের শ্রমিক মিনারা খাতুন বলেন, ‘গত ৯ আগস্ট রাতে কর্মস্থল থেকে এক সহকর্মীর সঙ্গে বাসায় ফিরছিলাম। রাস্তায় কয়েকজন এসে আমাদের পথরোধ করে বিভিন্ন আপত্তিকর কথা বলতে থাকে। একপর্যায়ে ওরা আমাদের বিয়ের কাবিননামা চায়। আমি বারবার বলার পরও আমাদের পরিচয় শুধু সহকর্মী—এটা মানতে চায় না ওরা। বিভিন্নভাবে অপবাদ দিয়ে আমাদের অপমান-অপদস্থ করে। এরপর সঙ্গে থাকা কিছু টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেয়। মানসম্মানের ভয়ে আইনের আশ্রয় নিইনি।’
ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার অ্যান্ড এক্সেসরিজ লিমিটেড কারখানার শ্রমিক সানোয়ার হোসেন বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে কয়েকজন সহকর্মী কারখানার সামনের দোকানে গল্প করছিলাম। হঠাৎ পাঁচজন ছেলে এসে আমাকে টেনেহিঁচড়ে পাশে নিয়ে যায়। এরপর মারধর করে দাবি করে আমার কাছে নাকি তারা টাকা পাবে। আমাকে তুলে নেওয়ার বিষয়টি সঙ্গে থাকা বন্ধুরা আমার স্ত্রীকে জানালে সে আমাকে ফোন করে। ওরা জঙ্গলে নিয়ে মারধর করে বলে, ফোন করে স্ত্রীকে বল টাকা নিয়ে আসতে। এরপর একটি গভীর জঙ্গলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে অনেক নির্যাতন করে। স্ত্রী একজনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে এলেও চাহিদামতো টাকা না দেওয়ায় ছাড়েনি। স্ত্রীর সামনে আমাকে মারধর করে। এরপর স্ত্রী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ এসে জঙ্গল থেকে আমাকে উদ্ধার করে। এরপর ভয়ে ভয়ে কারখানায় যাওয়া-আসা করি।’
ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার অ্যান্ড এক্সেসরিজ লিমিটেড কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র রায় বলেন, ‘কারখানার শ্রমিকদের নিরাপত্তা খুবই জরুরি। চলতি মাসে আমাদের একজন শ্রমিককে তুলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করা হয়। কারখানার মূল ফটকের সামনে একটি দোকান থেকে তাঁকে তুলে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার করে। এখন পর্যন্ত অপরাধীরা আইনের আওতায় আসেনি।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব সময় কাজ করছে পুলিশ। তাঁদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া তাঁদের নিরাপত্তায় পুলিশ অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।
বর্জ্য, নিষিদ্ধ কারেন্ট, ভেসাল, চায়না দুয়ারি জালে ধুঁকছে কপোতাক্ষ নদ। অথচ, একসময় এই নদে ছিল স্বচ্ছ পানির স্রোতোধারা। ব্যবসায়িক কাজে নদের বুক চিরে সহজে পণ্য আনা-নেওয়া করতেন বণিকেরা। নৌকা ও স্টিমারে নিত্য যাতায়াত ছিল উপকূলের বাসিন্দাদের।
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় ভিডব্লিউবির সুবিধাভোগীদের তালিকায় ব্যাপক অসংগতি পাওয়া গেছে। কার্ডধারীদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন, যাঁরা ধনী বা সচ্ছল পরিবারের। আবার কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যাঁর নামে কার্ড তিনি নিজেই জানেন না।
১ ঘণ্টা আগেছাত্রদলের বরিশাল জেলা ও মহানগর কমিটির মেয়াদ ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও সম্মেলন হয়নি। অনেক নেতাই হয়ে উঠেছেন বেপরোয়া। মানছেন না কেউ কাউকে। এমনকি দলীয় অনেক কর্মসূচি পালন করছেন পৃথকভাবে। দলের একাধিক নেতা জানান, ঘুণে ধরা ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা এখন আর কেউ ছাত্র নেই। তাঁদের কেউ ঠিকাদার, কেউ আইনজীবী হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেদুর্গাপূজায় সারাদেশে প্রশাসনকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে দুর্গাপূজার সার্বিক আয়োজন ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
৫ ঘণ্টা আগে