পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি

ফেনীর পরশুরাম উপজেলা সমাজসেবা অফিসে পাশাপাশি চেয়ারে বসেন মাহবুবুর রহমান মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী সায়েরা খাতুন। সম্প্রতি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আর্থিক অনিয়মের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। এসবের সঙ্গে একজন অফিস সহায়কসহ এই দম্পতির জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তাঁরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
মাহবুবুর রহমান মোল্লা ইউনিয়ন সমাজকর্মী আর সায়েরা খাতুন কারিগরি প্রশিক্ষক। লোকবল সংকটের অজুহাতে তাঁদের অফিসে একসঙ্গে বসার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া সায়েরা খাতুন নিজেকে আওয়ামী লীগের নেত্রী পরিচয় দিয়েও অনেক সুবিধা আদায় করে নিচ্ছেন। তিনি আগামী কমিটিতে জেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদ পাবেন বলে এই প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেন। তবে এখন তিনি কোনো কমিটিতে নেই। অনিয়মের সঙ্গে অফিস সহায়ক মো. নবী হোসেনও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার অনন্তপুরের বৃদ্ধ কাজল আক্তারকে ফোন দিয়ে ১ হাজার টাকা নিয়ে পরশুরাম উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আসতে বলা হয়। কাজল আক্তার অসুস্থ থাকায় আসতে না পেরে নিকটাত্মীয় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাঈন উদ্দিন মানিককে বিষয়টি জানান। মানিক মোবাইল অ্যাপসের সহযোগিতায় নম্বর যাচাই করে দেখেন ওই নম্বরের মালিক মাহবুবুর রহমান মোল্লা। সেখানে ভেসে ওঠা টাই পরা মোল্লা উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী। পরশুরাম সমাজসেবা অফিসের বিরুদ্ধে প্রতারণার এমন অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসে অনিয়ম, দুর্নীতি, কারসাজি করে ভাতা আত্মসাৎ; টাকার বিনিময়ে নকল কাগজপত্র দিয়ে হতদরিদ্রদের বঞ্চিত করে স্বাবলম্বীদের ভাতাভোগী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা; বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীদের মোবাইল নম্বর পাল্টে নিজেদের নম্বর দিয়ে দিনের পর দিন ভাতা আত্মসাৎসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা সমাজসেবা অফিসে কর্মরত স্বামী-স্ত্রী ও পিয়ন মিলে দীর্ঘদিন ধরে এসব অনিয়ম-দুর্নীতি করে আসছেন বলে অভিযোগ।
ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি বলেন, গত শুক্রবার উপজেলার গুথুমার এক ব্যক্তিকে মোবাইলে ফোন দিয়ে ৫ হাজার টাকা নিয়ে গেলে ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে সমাজসেবা অফিসে যেতে বলা হয়। হতদরিদ্র ভাতাভোগী বিষয়টি স্থানীয় মসজিদের ইমামকে অবহিত করেন। ইমাম সাহেব উপজেলায় কর্মরত একজনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন। সরকারি কর্মচারী ওই নম্বরে কল দিলে জানতে পারেন, তিনি সমাজসেবা অফিসের লোক।
এ বিষয়ে মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. সাখাওয়াত হোসেন রুবেল অভিযোগ করেন, তাঁর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছালেহ আহাম্মদের স্ত্রী আমেনা আক্তার বাক্প্রতিবন্ধী হওয়ায় গত বছরের শুরুতে ভাতার জন্য আবেদন করে তালিকাভুক্ত হন। কিন্তু গত এক বছর তিনি কোনো ভাতা পাননি। এ বিষয়ে জানতে আবেদনকারী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল বেশ কয়েকবার অফিসে মোল্লার কাছে যান। কিন্তু মোল্লা নানা অজুহাত দেখিয়ে আমেনার নাম তালিকাভুক্ত হয়নি বলে জানান।
চলতি মাসে ভাতার জন্য আবেদন শুরু হলে আবার ইউপি সদস্য ওই আমেনা খাতুনের নামে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে গেলে সফটওয়্যার তাঁর আবেদন গ্রহণ করেনি। বিষয়টি ইউপি সদস্য রুবেল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি অনুসন্ধান করে দেখেন, আমেনার নামে এক বছর ধরে ভাতা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। তথ্য যাচাই করে দেখেন, আমেনার নামে ভাতা বরাদ্দ হলেও ভাতা চলে যাচ্ছে অন্য নম্বরে।
ইউপি সদস্য সাখাওয়াত হোসেন রুবেল আরও অভিযোগ করেন, তিনি ১৩টি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। প্রতিটি কার্ডের জন্য মোল্লা ৫০০ টাকা করে সাড়ে ৬ হাজার টাকা তাঁর কাছ থেকে নিয়েছেন।
তিনি এই প্রতিবেদকের কাছে আরও অভিযোগ করেন, গত ৩০ আগস্ট সুবার বাজারের এক ভাতাভোগী ওয়াসিমের কাছে মোবাইলে ফোন দিয়ে স্মার্টকার্ড দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও টাকা দাবি করেন। একইভাবে মির্জানগর ইউনিয়নের ডিএম সাহেবনগর গ্রামের মনির আহাম্মদের কাছে ফোন দিয়ে তথ্য ও টাকা দাবি করা হয়।
উপজেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বয়স্ক ভাতাভোগী ৪,৬৯৪ জন, বিধবা ভাতাভোগী ১,৪৪৭ জন, প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী রয়েছেন ২,০১৯ জন। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী উপবৃত্তি পান ৩২ জন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ভাতাভোগী ৫৩ জন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠী উপবৃত্তি পাচ্ছেন ৩১ জন।
উপজেলার তিনটি ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌরসভার কাউন্সিলররা মৌখিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করেন, ভাতাভোগীদের ভাতা তালিকাভুক্ত হলেও অফিসে মোল্লার নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট ভাতাভোগীর বিভিন্ন কৌশলে নিজেরা ভাতা তুলে আত্মসাৎ করছেন।
মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান ভুট্টো অভিযোগ করেন, নম্বর পাল্টে মোল্লা কৌশলে এসব ভাতা আত্মসাৎ করছেন। ভাতাভোগীদের নম্বর, নাম-ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্য একাধিকবার যাচাই করা হয়। তাই নম্বর ভুল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
উপজেলার চিথলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, মাহবুবুর রহমান মোল্লা তাঁর স্ত্রী সায়েরা খাতুন ও অফিস সহায়ক নবী হোসেনের সহযোগিতায় ভাগাভোগীদের মোবাইল নম্বর পাল্টে তাঁদের ভাতা নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা তিনজন মিলে অফিসে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অফিস সহায়ক মো. নবী হোসেন বলেন, ‘ভাতাভোগীদের সব তথ্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে থাকে। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার সুযোগ থাকে না। অনিয়ম করলে সেটা কর্মকর্তা করতে পারেন। আমি একসময় সমাজসেবা প্রধান কার্যালয়ে ছিলাম। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তকালীন আমি অনেক সহযোগিতা করেছি।’
কারিগরি প্রশিক্ষক সায়েরা খাতুন বলেন, ‘অফিসে জনবল সংকটের কারণে কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলা অফিসে কাজ করছি। কারও কাজ থেকে কোনো টাকাপয়সা নেইনি। ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানরা লোক পাঠালে আমি তো তাঁদের সহযোগিতা করি। কিন্তু কখনো টাকা চাইনি। কিন্তু কেন তারা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন সেটা বুঝতেছি না।’
কাজল আক্তারের কাছে টাকা চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান মোল্লা এই প্রতিবেদককে বলেন, কোনো প্রতারক চক্র তাঁর ছবি ব্যবহার করে তাঁর নামে মোবাইল সিম কিনে লোকজনের কাছে টাকা দাবি করছেন। তিনি কাজল আক্তারের কাছে টাকা দাবি করেননি। একইভাবে ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, তাঁর অফিসে লোকবলের সংকট রয়েছে। তবে মোল্লা, সায়েরা ও অফিস সহায়ক নবীর বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ রয়েছে। বিষয়গুলো তিনি জেলা কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন। তা ছাড়া সতর্ক করার পরও ভাতাভোগীরা মোল্লার সঙ্গে টাকাপয়সা লেনদেন করেন। তিনি জানতে চাইলে অস্বীকার করেন। তারপরও টাকাপয়সা নেওয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগের বিষয়টি তিনি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখবেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেনীর পরশুরাম উপজেলা সমাজসেবা অফিসে পাশাপাশি চেয়ারে বসেন মাহবুবুর রহমান মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী সায়েরা খাতুন। সম্প্রতি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আর্থিক অনিয়মের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। এসবের সঙ্গে একজন অফিস সহায়কসহ এই দম্পতির জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তাঁরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
মাহবুবুর রহমান মোল্লা ইউনিয়ন সমাজকর্মী আর সায়েরা খাতুন কারিগরি প্রশিক্ষক। লোকবল সংকটের অজুহাতে তাঁদের অফিসে একসঙ্গে বসার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া সায়েরা খাতুন নিজেকে আওয়ামী লীগের নেত্রী পরিচয় দিয়েও অনেক সুবিধা আদায় করে নিচ্ছেন। তিনি আগামী কমিটিতে জেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদ পাবেন বলে এই প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেন। তবে এখন তিনি কোনো কমিটিতে নেই। অনিয়মের সঙ্গে অফিস সহায়ক মো. নবী হোসেনও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার অনন্তপুরের বৃদ্ধ কাজল আক্তারকে ফোন দিয়ে ১ হাজার টাকা নিয়ে পরশুরাম উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আসতে বলা হয়। কাজল আক্তার অসুস্থ থাকায় আসতে না পেরে নিকটাত্মীয় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাঈন উদ্দিন মানিককে বিষয়টি জানান। মানিক মোবাইল অ্যাপসের সহযোগিতায় নম্বর যাচাই করে দেখেন ওই নম্বরের মালিক মাহবুবুর রহমান মোল্লা। সেখানে ভেসে ওঠা টাই পরা মোল্লা উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী। পরশুরাম সমাজসেবা অফিসের বিরুদ্ধে প্রতারণার এমন অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসে অনিয়ম, দুর্নীতি, কারসাজি করে ভাতা আত্মসাৎ; টাকার বিনিময়ে নকল কাগজপত্র দিয়ে হতদরিদ্রদের বঞ্চিত করে স্বাবলম্বীদের ভাতাভোগী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা; বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীদের মোবাইল নম্বর পাল্টে নিজেদের নম্বর দিয়ে দিনের পর দিন ভাতা আত্মসাৎসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা সমাজসেবা অফিসে কর্মরত স্বামী-স্ত্রী ও পিয়ন মিলে দীর্ঘদিন ধরে এসব অনিয়ম-দুর্নীতি করে আসছেন বলে অভিযোগ।
ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি বলেন, গত শুক্রবার উপজেলার গুথুমার এক ব্যক্তিকে মোবাইলে ফোন দিয়ে ৫ হাজার টাকা নিয়ে গেলে ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে সমাজসেবা অফিসে যেতে বলা হয়। হতদরিদ্র ভাতাভোগী বিষয়টি স্থানীয় মসজিদের ইমামকে অবহিত করেন। ইমাম সাহেব উপজেলায় কর্মরত একজনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন। সরকারি কর্মচারী ওই নম্বরে কল দিলে জানতে পারেন, তিনি সমাজসেবা অফিসের লোক।
এ বিষয়ে মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. সাখাওয়াত হোসেন রুবেল অভিযোগ করেন, তাঁর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছালেহ আহাম্মদের স্ত্রী আমেনা আক্তার বাক্প্রতিবন্ধী হওয়ায় গত বছরের শুরুতে ভাতার জন্য আবেদন করে তালিকাভুক্ত হন। কিন্তু গত এক বছর তিনি কোনো ভাতা পাননি। এ বিষয়ে জানতে আবেদনকারী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল বেশ কয়েকবার অফিসে মোল্লার কাছে যান। কিন্তু মোল্লা নানা অজুহাত দেখিয়ে আমেনার নাম তালিকাভুক্ত হয়নি বলে জানান।
চলতি মাসে ভাতার জন্য আবেদন শুরু হলে আবার ইউপি সদস্য ওই আমেনা খাতুনের নামে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে গেলে সফটওয়্যার তাঁর আবেদন গ্রহণ করেনি। বিষয়টি ইউপি সদস্য রুবেল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি অনুসন্ধান করে দেখেন, আমেনার নামে এক বছর ধরে ভাতা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। তথ্য যাচাই করে দেখেন, আমেনার নামে ভাতা বরাদ্দ হলেও ভাতা চলে যাচ্ছে অন্য নম্বরে।
ইউপি সদস্য সাখাওয়াত হোসেন রুবেল আরও অভিযোগ করেন, তিনি ১৩টি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। প্রতিটি কার্ডের জন্য মোল্লা ৫০০ টাকা করে সাড়ে ৬ হাজার টাকা তাঁর কাছ থেকে নিয়েছেন।
তিনি এই প্রতিবেদকের কাছে আরও অভিযোগ করেন, গত ৩০ আগস্ট সুবার বাজারের এক ভাতাভোগী ওয়াসিমের কাছে মোবাইলে ফোন দিয়ে স্মার্টকার্ড দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও টাকা দাবি করেন। একইভাবে মির্জানগর ইউনিয়নের ডিএম সাহেবনগর গ্রামের মনির আহাম্মদের কাছে ফোন দিয়ে তথ্য ও টাকা দাবি করা হয়।
উপজেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বয়স্ক ভাতাভোগী ৪,৬৯৪ জন, বিধবা ভাতাভোগী ১,৪৪৭ জন, প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী রয়েছেন ২,০১৯ জন। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী উপবৃত্তি পান ৩২ জন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ভাতাভোগী ৫৩ জন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠী উপবৃত্তি পাচ্ছেন ৩১ জন।
উপজেলার তিনটি ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌরসভার কাউন্সিলররা মৌখিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করেন, ভাতাভোগীদের ভাতা তালিকাভুক্ত হলেও অফিসে মোল্লার নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট ভাতাভোগীর বিভিন্ন কৌশলে নিজেরা ভাতা তুলে আত্মসাৎ করছেন।
মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান ভুট্টো অভিযোগ করেন, নম্বর পাল্টে মোল্লা কৌশলে এসব ভাতা আত্মসাৎ করছেন। ভাতাভোগীদের নম্বর, নাম-ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্য একাধিকবার যাচাই করা হয়। তাই নম্বর ভুল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
উপজেলার চিথলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, মাহবুবুর রহমান মোল্লা তাঁর স্ত্রী সায়েরা খাতুন ও অফিস সহায়ক নবী হোসেনের সহযোগিতায় ভাগাভোগীদের মোবাইল নম্বর পাল্টে তাঁদের ভাতা নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা তিনজন মিলে অফিসে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অফিস সহায়ক মো. নবী হোসেন বলেন, ‘ভাতাভোগীদের সব তথ্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে থাকে। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার সুযোগ থাকে না। অনিয়ম করলে সেটা কর্মকর্তা করতে পারেন। আমি একসময় সমাজসেবা প্রধান কার্যালয়ে ছিলাম। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তকালীন আমি অনেক সহযোগিতা করেছি।’
কারিগরি প্রশিক্ষক সায়েরা খাতুন বলেন, ‘অফিসে জনবল সংকটের কারণে কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলা অফিসে কাজ করছি। কারও কাজ থেকে কোনো টাকাপয়সা নেইনি। ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানরা লোক পাঠালে আমি তো তাঁদের সহযোগিতা করি। কিন্তু কখনো টাকা চাইনি। কিন্তু কেন তারা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন সেটা বুঝতেছি না।’
কাজল আক্তারের কাছে টাকা চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান মোল্লা এই প্রতিবেদককে বলেন, কোনো প্রতারক চক্র তাঁর ছবি ব্যবহার করে তাঁর নামে মোবাইল সিম কিনে লোকজনের কাছে টাকা দাবি করছেন। তিনি কাজল আক্তারের কাছে টাকা দাবি করেননি। একইভাবে ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, তাঁর অফিসে লোকবলের সংকট রয়েছে। তবে মোল্লা, সায়েরা ও অফিস সহায়ক নবীর বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ রয়েছে। বিষয়গুলো তিনি জেলা কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন। তা ছাড়া সতর্ক করার পরও ভাতাভোগীরা মোল্লার সঙ্গে টাকাপয়সা লেনদেন করেন। তিনি জানতে চাইলে অস্বীকার করেন। তারপরও টাকাপয়সা নেওয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগের বিষয়টি তিনি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখবেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনীরাম এলাকার আবাসন ও বাঘ খাওয়ারচর নামক গ্রামে প্রায় আড়াই শ পরিবারের বসবাস। গ্রামটি উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে একটি খাল দ্বারা বিচ্ছিন্ন। নীলকমল ও ধরলা নদীর সংযোগকারী ওই খালের ওপর একটি সেতু নির্মিত হলেও এর সুবিধা ভোগের আগেই তা ভেঙে উল্টে যায়।
৫ ঘণ্টা আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান- বন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রং রুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।
৬ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দিন দিন বাড়ছে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্তের সংখ্যা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বাসিন্দারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৫২৭ জনের অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে। গত ২০১৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত (১২ বছর) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৬৩ জনে। উপজেলা
৬ ঘণ্টা আগে
পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেছেন, পিএইচপি কোরআনের আলো বিশ্বজুড়ে আলো ছড়াচ্ছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে দিনব্যাপী পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
৮ ঘণ্টা আগেআরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনীরাম এলাকার আবাসন ও বাঘ খাওয়ারচর নামক গ্রামে প্রায় আড়াই শ পরিবারের বসবাস। গ্রামটি উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে একটি খাল দ্বারা বিচ্ছিন্ন। নীলকমল ও ধরলা নদীর সংযোগকারী ওই খালের ওপর একটি সেতু নির্মিত হলেও এর সুবিধা ভোগের আগেই তা ভেঙে উল্টে যায়। আট বছর ধরে খালেই উল্টে রয়েছে সেতুটি। তখন থেকে এলাকাবাসীর যাতায়াতের একমাত্র ভরসা প্লাস্টিকের ড্রামের ভেলা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীন উপজেলার পূর্ব ধনীরাম আবাসনগামী রাস্তার খালের ওপর ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৬ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। তৎকালীন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কাজটির তদারকি করেন। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে সেতুটি দেবে উল্টে যায়। পরে বন্যার পানির চাপে সেতুর সংযোগ সড়কও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নিম্নমানের সামগ্রী আর নির্মাণ ত্রুটির কারণে সেতুটি ভেঙে যায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এরপর নির্মাণে অনিয়ম নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক কয়েক দফা ‘তদন্ত’ হলেও প্রতিবেদন প্রকাশ কিংবা প্রতিকার কোনোটিই মেলেনি।
স্থানীয়রা বলছেন, কয়েক দশক দাবি করার পর একটি সেতু পেলেও নির্মাণের মাত্র তিন মাসে সেটি উল্টে যায়। এরপর প্রায় আট বছর পার হলেও নতুন সেতু নির্মাণ কিংবা বিকল্প যোগাযোগব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। সেতুটি খালের মধ্যে এখনো উল্টে রয়েছে। ড্রামের ভেলা আর রশির সাহায্যে খালের পানি পাড়ি দিয়ে কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করছেন স্থানীয়রা। নারী ও শিশুশিক্ষার্থীসহ কয়েক শ পরিবারের হাজারেরও বেশি মানুষ প্রতিনিয়ত যোগাযোগ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে; কিন্তু প্রতিকারে এগিয়ে আসছে না কেউ।
প্রাকৃতিক বন্দিদশায় বসবাসকারী খালের ওপারের লোকজন বলছেন, একটি ব্রিজের অভাবে চরাঞ্চলে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতসহ উপজেলা শহরে যাতায়াত করতে স্থানীয়দের চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বছরের পর বছর এ দুর্দশা চলে আসছে। এই অবস্থার অবসানে ওই খালের ওপর একটি টেকসই সেতু নির্মাণের দাবি জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা কোরবান আলী ও মনোয়ারা বেগম জানান, পূর্ব ধনীরাম আবাসনের শতাধিক পরিবারসহ বাঘ খাওয়ার চরের কয়েক শ পরিবারকে উপজেলা শহর যাতায়াত ও বাজারঘাট করতে ওই খালের ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। ওটাই একমাত্র পথ। বছরের আট মাস খালে পানি থাকে। ড্রামের ওপর কাঠের চ্যালা দিয়ে ভেলা বানিয়ে রশি টেনে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী চলাফেরা করছেন। ঝুঁকি নিয়ে স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীসহ নারী ও রোগীদের ভেলায় করে পারাপার হতে হয়। অনেক সময় ছোট শিক্ষার্থীরা পানিতে পড়ে যায়। এতে তাদের বই-খাতা নষ্ট হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি খোঁজ নেব। ওই এলাকাবাসীর পক্ষে আমার কাছে একটি আবেদন দিলে তাঁদের যোগাযোগ সমস্যা সমাধানে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনীরাম এলাকার আবাসন ও বাঘ খাওয়ারচর নামক গ্রামে প্রায় আড়াই শ পরিবারের বসবাস। গ্রামটি উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে একটি খাল দ্বারা বিচ্ছিন্ন। নীলকমল ও ধরলা নদীর সংযোগকারী ওই খালের ওপর একটি সেতু নির্মিত হলেও এর সুবিধা ভোগের আগেই তা ভেঙে উল্টে যায়। আট বছর ধরে খালেই উল্টে রয়েছে সেতুটি। তখন থেকে এলাকাবাসীর যাতায়াতের একমাত্র ভরসা প্লাস্টিকের ড্রামের ভেলা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীন উপজেলার পূর্ব ধনীরাম আবাসনগামী রাস্তার খালের ওপর ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৬ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। তৎকালীন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কাজটির তদারকি করেন। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে সেতুটি দেবে উল্টে যায়। পরে বন্যার পানির চাপে সেতুর সংযোগ সড়কও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নিম্নমানের সামগ্রী আর নির্মাণ ত্রুটির কারণে সেতুটি ভেঙে যায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এরপর নির্মাণে অনিয়ম নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক কয়েক দফা ‘তদন্ত’ হলেও প্রতিবেদন প্রকাশ কিংবা প্রতিকার কোনোটিই মেলেনি।
স্থানীয়রা বলছেন, কয়েক দশক দাবি করার পর একটি সেতু পেলেও নির্মাণের মাত্র তিন মাসে সেটি উল্টে যায়। এরপর প্রায় আট বছর পার হলেও নতুন সেতু নির্মাণ কিংবা বিকল্প যোগাযোগব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। সেতুটি খালের মধ্যে এখনো উল্টে রয়েছে। ড্রামের ভেলা আর রশির সাহায্যে খালের পানি পাড়ি দিয়ে কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করছেন স্থানীয়রা। নারী ও শিশুশিক্ষার্থীসহ কয়েক শ পরিবারের হাজারেরও বেশি মানুষ প্রতিনিয়ত যোগাযোগ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে; কিন্তু প্রতিকারে এগিয়ে আসছে না কেউ।
প্রাকৃতিক বন্দিদশায় বসবাসকারী খালের ওপারের লোকজন বলছেন, একটি ব্রিজের অভাবে চরাঞ্চলে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতসহ উপজেলা শহরে যাতায়াত করতে স্থানীয়দের চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বছরের পর বছর এ দুর্দশা চলে আসছে। এই অবস্থার অবসানে ওই খালের ওপর একটি টেকসই সেতু নির্মাণের দাবি জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা কোরবান আলী ও মনোয়ারা বেগম জানান, পূর্ব ধনীরাম আবাসনের শতাধিক পরিবারসহ বাঘ খাওয়ার চরের কয়েক শ পরিবারকে উপজেলা শহর যাতায়াত ও বাজারঘাট করতে ওই খালের ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। ওটাই একমাত্র পথ। বছরের আট মাস খালে পানি থাকে। ড্রামের ওপর কাঠের চ্যালা দিয়ে ভেলা বানিয়ে রশি টেনে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী চলাফেরা করছেন। ঝুঁকি নিয়ে স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীসহ নারী ও রোগীদের ভেলায় করে পারাপার হতে হয়। অনেক সময় ছোট শিক্ষার্থীরা পানিতে পড়ে যায়। এতে তাদের বই-খাতা নষ্ট হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি খোঁজ নেব। ওই এলাকাবাসীর পক্ষে আমার কাছে একটি আবেদন দিলে তাঁদের যোগাযোগ সমস্যা সমাধানে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

ফেনীর পরশুরাম উপজেলা সমাজসেবা অফিসে পাশাপাশি চেয়ারে বসেন মাহবুবুর রহমান মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী সায়েরা খাতুন। সম্প্রতি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আর্থিক অনিয়মের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। এসবের সঙ্গে একজন অফিস সহায়কসহ এই দম্পতির জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান- বন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রং রুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।
৬ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দিন দিন বাড়ছে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্তের সংখ্যা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বাসিন্দারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৫২৭ জনের অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে। গত ২০১৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত (১২ বছর) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৬৩ জনে। উপজেলা
৬ ঘণ্টা আগে
পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেছেন, পিএইচপি কোরআনের আলো বিশ্বজুড়ে আলো ছড়াচ্ছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে দিনব্যাপী পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
৮ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান- বন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রং রুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।
চুরি হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম ৪ কারবাইন ও ব্রাজিলের তৈরি টরাস পিস্তল। তবে কোন অস্ত্র কতটি চুরি হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সুরক্ষিত ওই ভল্ট ভেঙে অস্ত্র চুরির ঘটনা জানাজানির পর বিমানবন্দরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ নিয়ে বিমানবন্দর থানার পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে এবং পুলিশ সদর দপ্তরকেও জানানো হয়েছে।
ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভল্ট ভাঙা নিয়ে বিমানবন্দর থানায় একটি জিডি হয়েছে। সেখানে কয়টি অস্ত্রের কথা উল্লেখ আছে, তিনি নিশ্চিত নন।
বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শাহজালাল বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে গত ১৮ অক্টোবর দুপুরে ভয়াবহ আগুন লাগে। প্রায় ১৭ ঘণ্টা ধরে জ্বলা আগুনে পুড়ে যায় আমদানি করা মালপত্রের বড় অংশ। ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, এই আগুনে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১২ হাজার কোটি টাকা। তবে ভয়াবহ ওই আগুনে কিছুটা তাপ লাগলেও প্রায় পুরোই অক্ষত ছিল কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুমের ভল্টে রাখা জিনিসপত্র। আগুন নেভানোর পর বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে ওই স্ট্রং রুম সিলগালা করা হয়।
কর্মকর্তারা জানান, ওই স্ট্রং রুমের ভল্টে মূল্যবান জিনিস, আমদানির কাগজপত্র, শুল্কসংক্রান্ত নথি, গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক দলিল, সোনা, হীরা ও আগ্নেয়াস্ত্র রাখা হয়। কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকা স্ট্রং রুম থেকে পণ্য-নথি বের করতে হলে একাধিক সংস্থার কর্মকর্তার স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়।
বিমানবন্দর নিরাপত্তা বিভাগের একটি সূত্র জানায়, গত ২৪ অক্টোবর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিরাপত্তা বিভাগ, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এবং একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুম পরিদর্শন করেন। তাঁরা স্ট্রং রুমের আগ্নেয়াস্ত্র থাকা ভল্টের লক খোলা অবস্থায় এবং ট্রাংক ভাঙা দেখেন। ওই ভল্টে তাঁরা ২১টি আগ্নেয়াস্ত্র পান। এগুলোর মধ্যে তিনটি অস্ত্রের পেছনে আংশিক পোড়া ছিল, ১৮টি অস্ত্র ছিল বাক্সবন্দী। পরে ওই ভল্ট এবং ট্রাংক মেরামত করে স্ট্রং রুম আবার সিলগালা করা হয়।
এই অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম ৪ কারবাইন রাইফেল ও ব্রাজিলের টরাস কোম্পানির তৈরি সেমি-অটোমেটিক পিস্তল। এম ৪ কারবাইন রাইফেল সাধারণত পুলিশের স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস (সোয়াট) ইউনিট ব্যবহার করে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এম ৪ কারবাইন একটি ৫.৫৬ মিলিমিটার ক্যালিবারের গ্যাসচালিত কারবাইন, যা এম ১৬ এ ২ অ্যাসল্ট রাইফেলের হালকা সংস্করণ। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ভল্টের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। ভল্ট ভাঙার ঘটনায় ২৮ অক্টোবর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মো. জামাল হোসেন বিমানবন্দর থানায় একটি জিডি করেন। ঘটনাস্থল থেকে তালা কাটার সরঞ্জামসহ আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক দল।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের সূত্র জানায়, স্ট্রং রুমের ওই ভল্টে মূলত বাংলাদেশ পুলিশের জন্য এবং বৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের আমদানি করা অস্ত্র সংরক্ষিত ছিল। তবে আগুনে সংশ্লিষ্ট সব নথি পুড়ে যাওয়ায় সেখানে ২১টি নাকি আরও বেশি অস্ত্র ছিল, তা নিশ্চিত করা যাচ্ছিল না। এরপর গত রোববার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, বেবিচক এবং একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা দ্বিতীয় দফায় পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন, ওই ভল্টের লক খোলা এবং ট্রাংকও ভাঙা। মিলিয়ে দেখা যায়, ২১টি থেকে দুই রকমের ৭টি অস্ত্র নেই। নতুন করে অস্ত্র চুরি ঠেকাতে গতকাল সোমবার ওই ভল্টের অবশিষ্ট ১৪টি অস্ত্রসহ অন্যান্য ভল্টে থাকা অস্ত্রগুলো থানায় রাখা হয়েছে।
পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, স্ট্রং রুমে সোনা, হীরাও আছে। সেগুলো বাদ দিয়ে শুধু আগ্নেয়াস্ত্র চুরি রহস্যজনক।
এদিকে ২৪ অক্টোবর প্রথম দফায় ভল্ট ভাঙা পাওয়ার বিষয়ে করা জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক মাইনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। আমদানি কার্গো হাউসের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরা আগুনে পুড়ে গেছে। কোনো ফুটেজ পাওয়া যায়নি। সন্দেহভাজন দু-একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানা যাবে।
আমদানি কার্গো কমপ্লেক্স এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোর স্থলে এখনো নতুন ক্যামেরা স্থাপন করা হয়নি। অচলগুলো করা হয়নি সচল। ফলে ফুটেজ দেখে চোর শনাক্তের সুযোগ কম। ঘটনা তদন্তে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান- বন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রং রুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।
চুরি হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম ৪ কারবাইন ও ব্রাজিলের তৈরি টরাস পিস্তল। তবে কোন অস্ত্র কতটি চুরি হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সুরক্ষিত ওই ভল্ট ভেঙে অস্ত্র চুরির ঘটনা জানাজানির পর বিমানবন্দরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ নিয়ে বিমানবন্দর থানার পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে এবং পুলিশ সদর দপ্তরকেও জানানো হয়েছে।
ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভল্ট ভাঙা নিয়ে বিমানবন্দর থানায় একটি জিডি হয়েছে। সেখানে কয়টি অস্ত্রের কথা উল্লেখ আছে, তিনি নিশ্চিত নন।
বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শাহজালাল বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে গত ১৮ অক্টোবর দুপুরে ভয়াবহ আগুন লাগে। প্রায় ১৭ ঘণ্টা ধরে জ্বলা আগুনে পুড়ে যায় আমদানি করা মালপত্রের বড় অংশ। ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, এই আগুনে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১২ হাজার কোটি টাকা। তবে ভয়াবহ ওই আগুনে কিছুটা তাপ লাগলেও প্রায় পুরোই অক্ষত ছিল কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুমের ভল্টে রাখা জিনিসপত্র। আগুন নেভানোর পর বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে ওই স্ট্রং রুম সিলগালা করা হয়।
কর্মকর্তারা জানান, ওই স্ট্রং রুমের ভল্টে মূল্যবান জিনিস, আমদানির কাগজপত্র, শুল্কসংক্রান্ত নথি, গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক দলিল, সোনা, হীরা ও আগ্নেয়াস্ত্র রাখা হয়। কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকা স্ট্রং রুম থেকে পণ্য-নথি বের করতে হলে একাধিক সংস্থার কর্মকর্তার স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়।
বিমানবন্দর নিরাপত্তা বিভাগের একটি সূত্র জানায়, গত ২৪ অক্টোবর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিরাপত্তা বিভাগ, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এবং একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুম পরিদর্শন করেন। তাঁরা স্ট্রং রুমের আগ্নেয়াস্ত্র থাকা ভল্টের লক খোলা অবস্থায় এবং ট্রাংক ভাঙা দেখেন। ওই ভল্টে তাঁরা ২১টি আগ্নেয়াস্ত্র পান। এগুলোর মধ্যে তিনটি অস্ত্রের পেছনে আংশিক পোড়া ছিল, ১৮টি অস্ত্র ছিল বাক্সবন্দী। পরে ওই ভল্ট এবং ট্রাংক মেরামত করে স্ট্রং রুম আবার সিলগালা করা হয়।
এই অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম ৪ কারবাইন রাইফেল ও ব্রাজিলের টরাস কোম্পানির তৈরি সেমি-অটোমেটিক পিস্তল। এম ৪ কারবাইন রাইফেল সাধারণত পুলিশের স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস (সোয়াট) ইউনিট ব্যবহার করে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এম ৪ কারবাইন একটি ৫.৫৬ মিলিমিটার ক্যালিবারের গ্যাসচালিত কারবাইন, যা এম ১৬ এ ২ অ্যাসল্ট রাইফেলের হালকা সংস্করণ। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ভল্টের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। ভল্ট ভাঙার ঘটনায় ২৮ অক্টোবর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মো. জামাল হোসেন বিমানবন্দর থানায় একটি জিডি করেন। ঘটনাস্থল থেকে তালা কাটার সরঞ্জামসহ আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক দল।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের সূত্র জানায়, স্ট্রং রুমের ওই ভল্টে মূলত বাংলাদেশ পুলিশের জন্য এবং বৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের আমদানি করা অস্ত্র সংরক্ষিত ছিল। তবে আগুনে সংশ্লিষ্ট সব নথি পুড়ে যাওয়ায় সেখানে ২১টি নাকি আরও বেশি অস্ত্র ছিল, তা নিশ্চিত করা যাচ্ছিল না। এরপর গত রোববার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, বেবিচক এবং একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা দ্বিতীয় দফায় পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন, ওই ভল্টের লক খোলা এবং ট্রাংকও ভাঙা। মিলিয়ে দেখা যায়, ২১টি থেকে দুই রকমের ৭টি অস্ত্র নেই। নতুন করে অস্ত্র চুরি ঠেকাতে গতকাল সোমবার ওই ভল্টের অবশিষ্ট ১৪টি অস্ত্রসহ অন্যান্য ভল্টে থাকা অস্ত্রগুলো থানায় রাখা হয়েছে।
পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, স্ট্রং রুমে সোনা, হীরাও আছে। সেগুলো বাদ দিয়ে শুধু আগ্নেয়াস্ত্র চুরি রহস্যজনক।
এদিকে ২৪ অক্টোবর প্রথম দফায় ভল্ট ভাঙা পাওয়ার বিষয়ে করা জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক মাইনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। আমদানি কার্গো হাউসের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরা আগুনে পুড়ে গেছে। কোনো ফুটেজ পাওয়া যায়নি। সন্দেহভাজন দু-একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানা যাবে।
আমদানি কার্গো কমপ্লেক্স এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোর স্থলে এখনো নতুন ক্যামেরা স্থাপন করা হয়নি। অচলগুলো করা হয়নি সচল। ফলে ফুটেজ দেখে চোর শনাক্তের সুযোগ কম। ঘটনা তদন্তে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

ফেনীর পরশুরাম উপজেলা সমাজসেবা অফিসে পাশাপাশি চেয়ারে বসেন মাহবুবুর রহমান মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী সায়েরা খাতুন। সম্প্রতি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আর্থিক অনিয়মের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। এসবের সঙ্গে একজন অফিস সহায়কসহ এই দম্পতির জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনীরাম এলাকার আবাসন ও বাঘ খাওয়ারচর নামক গ্রামে প্রায় আড়াই শ পরিবারের বসবাস। গ্রামটি উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে একটি খাল দ্বারা বিচ্ছিন্ন। নীলকমল ও ধরলা নদীর সংযোগকারী ওই খালের ওপর একটি সেতু নির্মিত হলেও এর সুবিধা ভোগের আগেই তা ভেঙে উল্টে যায়।
৫ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দিন দিন বাড়ছে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্তের সংখ্যা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বাসিন্দারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৫২৭ জনের অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে। গত ২০১৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত (১২ বছর) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৬৩ জনে। উপজেলা
৬ ঘণ্টা আগে
পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেছেন, পিএইচপি কোরআনের আলো বিশ্বজুড়ে আলো ছড়াচ্ছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে দিনব্যাপী পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
৮ ঘণ্টা আগেরাকিবুল ইসলাম (গাংনী) মেহেরপুর

মেহেরপুরের গাংনীতে দিন দিন বাড়ছে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্তের সংখ্যা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বাসিন্দারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৫২৭ জনের অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে। গত ২০১৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত (১২ বছর) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৬৩ জনে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য মতে, আক্রান্তদের অনেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে এবং অনেকে এখনো চিকিৎসা নিচ্ছে। অ্যানথ্রাক্স থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চিকিৎসকেরা সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সূত্র জানায়, অ্যানথ্রাক্স রোগীর সংখ্যা ২০১৩ সালে ১৯৯; ২০১৪ সালে ২০৩; ২০১৫ সালে ১৫৪; ২০১৬ সালে ২৪০; ২০১৭ সালে ২৮১; ২০১৮ সালে ৪০৮; ২০১৯ সালে ৬৬০; ২০২০ সালে ৩৭৮; ২০২১ সালে ৪১৭; ২০২২ সালে ৬৪৪; ২০২৩ সালে ৭৯৩; ২০২৪ সালে ৬৮৬ এবং ২০২৫ সালের প্রথম ১০ মাসে ৫২৭ জন।
সূত্র আরও জানায়, এটা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিদের হিসাব। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অ্যানথ্রাক্সের রোগী রয়েছে, যারা বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়ে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকায় অসুস্থ গবাদিপশু জবাই করে বিক্রয় করা হয়। এ ছাড়া অনেকে আবার গোপনে মাংস ব্যবসায়ীদের কাছে জবাই করে কম দামে বিক্রি করে দেয়। অসুস্থ গবাদিপশুর মাংস খেয়ে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রশাসন আরও কঠোর পদক্ষেপ নিলে কেউ অসুস্থ গবাদিপশু বিক্রি করতে পারত না।
উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের ছমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার স্ত্রী অসুস্থ পশুর মাংস নাড়াচাড়া করেছিল। এরপর তার হাত চুলকাতে থাকে। পরে সেখানে ঘা হয়ে যায়। এ ছাড়া আমার স্ত্রীর ডায়াবেটিস আছে। আমি তাৎক্ষণিক গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। ডাক্তার পরীক্ষা করে বলে, অ্যানথ্রাক্স হয়েছে। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখন আল্লাহর রহমতে অনেকটাই ভালো আছে।’
দেবীপুর গ্রামের ফুলঝুরি খাতুন বলেন, ‘আমি এক মাস আগে অসুস্থ ছাগলের মাংস হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করেছিলাম। পরে আমার শরীরে একটি ছোট্ট ফোড়ার মতো হয় এবং সেখানে চুলকাতে থাকে। পরে সেই জায়গায় ধীরে ধীরে ফুলতে থাকে। তারপর অবস্থা বেগতিক দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানতে পারি, অ্যানথ্রাক্স হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকের কাছে শুনেছি, অসুস্থ গবাদিপশুর মাংস নাড়াচাড়া করলে অ্যানথ্রাক্স হয়। শেষ পর্যন্ত আমারও হয়ে গেল। এর যে কী যন্ত্রণা, তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। তাই সবার এ ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত। আর কেউ আক্রান্ত হলে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া দরকার।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মুত্তালেব আলী বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে এই রোগ বেশি দেখা যায়। পানি জমে থাকা মাঠের ঘাস খেয়ে গবাদিপশু এ রোগে আক্রান্ত হয়। আর এ রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স রোগ কমানোর জন্য টিকা দেওয়া হচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৫০ হাজার ভ্যাকসিন বরাদ্দ রয়েছে। আশা করি আরও পাওয়া যাবে। এই রোগ এপ্রিল থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে হয়ে থাকে।’
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, ‘অসুস্থ গবাদিপশুর মাংস খেলে এবং তার রক্ত লাগলে আক্রান্ত বেশি হয়। তাই অসুস্থ গবাদিপশুর মাংস খেতে সবাইকে নিষেধ করা হচ্ছে। মৃত পশুকে উঁচু স্থানে মাটির ৬ ফুট নিচে পুঁতে রাখারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সবাই সচেতন হলে এই রোগ কমে যাবে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আজিজ বলেন, ‘বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা অ্যানথ্রাক্স রোগীরা আমাদের এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে। চিকিৎসা নিয়ে অনেকে সুস্থ হয়েছে। এখনো অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। মাঠকর্মীদের রোগী শনাক্ত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ সবাইকে অসুস্থ পশুর মাংস না খাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন এই চিকিৎসক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যারা অসুস্থ পশু জবাই করে বিক্রি করে, আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এ জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। অসুস্থ পশুর মাংস বিক্রি না করার জন্য পশুর মালিকদেরও সচেতন হতে হবে।’

মেহেরপুরের গাংনীতে দিন দিন বাড়ছে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্তের সংখ্যা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বাসিন্দারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৫২৭ জনের অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে। গত ২০১৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত (১২ বছর) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৬৩ জনে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য মতে, আক্রান্তদের অনেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে এবং অনেকে এখনো চিকিৎসা নিচ্ছে। অ্যানথ্রাক্স থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চিকিৎসকেরা সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সূত্র জানায়, অ্যানথ্রাক্স রোগীর সংখ্যা ২০১৩ সালে ১৯৯; ২০১৪ সালে ২০৩; ২০১৫ সালে ১৫৪; ২০১৬ সালে ২৪০; ২০১৭ সালে ২৮১; ২০১৮ সালে ৪০৮; ২০১৯ সালে ৬৬০; ২০২০ সালে ৩৭৮; ২০২১ সালে ৪১৭; ২০২২ সালে ৬৪৪; ২০২৩ সালে ৭৯৩; ২০২৪ সালে ৬৮৬ এবং ২০২৫ সালের প্রথম ১০ মাসে ৫২৭ জন।
সূত্র আরও জানায়, এটা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিদের হিসাব। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অ্যানথ্রাক্সের রোগী রয়েছে, যারা বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়ে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকায় অসুস্থ গবাদিপশু জবাই করে বিক্রয় করা হয়। এ ছাড়া অনেকে আবার গোপনে মাংস ব্যবসায়ীদের কাছে জবাই করে কম দামে বিক্রি করে দেয়। অসুস্থ গবাদিপশুর মাংস খেয়ে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রশাসন আরও কঠোর পদক্ষেপ নিলে কেউ অসুস্থ গবাদিপশু বিক্রি করতে পারত না।
উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের ছমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার স্ত্রী অসুস্থ পশুর মাংস নাড়াচাড়া করেছিল। এরপর তার হাত চুলকাতে থাকে। পরে সেখানে ঘা হয়ে যায়। এ ছাড়া আমার স্ত্রীর ডায়াবেটিস আছে। আমি তাৎক্ষণিক গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। ডাক্তার পরীক্ষা করে বলে, অ্যানথ্রাক্স হয়েছে। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখন আল্লাহর রহমতে অনেকটাই ভালো আছে।’
দেবীপুর গ্রামের ফুলঝুরি খাতুন বলেন, ‘আমি এক মাস আগে অসুস্থ ছাগলের মাংস হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করেছিলাম। পরে আমার শরীরে একটি ছোট্ট ফোড়ার মতো হয় এবং সেখানে চুলকাতে থাকে। পরে সেই জায়গায় ধীরে ধীরে ফুলতে থাকে। তারপর অবস্থা বেগতিক দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানতে পারি, অ্যানথ্রাক্স হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকের কাছে শুনেছি, অসুস্থ গবাদিপশুর মাংস নাড়াচাড়া করলে অ্যানথ্রাক্স হয়। শেষ পর্যন্ত আমারও হয়ে গেল। এর যে কী যন্ত্রণা, তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। তাই সবার এ ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত। আর কেউ আক্রান্ত হলে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া দরকার।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মুত্তালেব আলী বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে এই রোগ বেশি দেখা যায়। পানি জমে থাকা মাঠের ঘাস খেয়ে গবাদিপশু এ রোগে আক্রান্ত হয়। আর এ রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স রোগ কমানোর জন্য টিকা দেওয়া হচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৫০ হাজার ভ্যাকসিন বরাদ্দ রয়েছে। আশা করি আরও পাওয়া যাবে। এই রোগ এপ্রিল থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে হয়ে থাকে।’
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, ‘অসুস্থ গবাদিপশুর মাংস খেলে এবং তার রক্ত লাগলে আক্রান্ত বেশি হয়। তাই অসুস্থ গবাদিপশুর মাংস খেতে সবাইকে নিষেধ করা হচ্ছে। মৃত পশুকে উঁচু স্থানে মাটির ৬ ফুট নিচে পুঁতে রাখারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সবাই সচেতন হলে এই রোগ কমে যাবে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আজিজ বলেন, ‘বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা অ্যানথ্রাক্স রোগীরা আমাদের এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে। চিকিৎসা নিয়ে অনেকে সুস্থ হয়েছে। এখনো অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। মাঠকর্মীদের রোগী শনাক্ত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ সবাইকে অসুস্থ পশুর মাংস না খাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন এই চিকিৎসক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যারা অসুস্থ পশু জবাই করে বিক্রি করে, আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এ জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। অসুস্থ পশুর মাংস বিক্রি না করার জন্য পশুর মালিকদেরও সচেতন হতে হবে।’

ফেনীর পরশুরাম উপজেলা সমাজসেবা অফিসে পাশাপাশি চেয়ারে বসেন মাহবুবুর রহমান মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী সায়েরা খাতুন। সম্প্রতি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আর্থিক অনিয়মের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। এসবের সঙ্গে একজন অফিস সহায়কসহ এই দম্পতির জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনীরাম এলাকার আবাসন ও বাঘ খাওয়ারচর নামক গ্রামে প্রায় আড়াই শ পরিবারের বসবাস। গ্রামটি উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে একটি খাল দ্বারা বিচ্ছিন্ন। নীলকমল ও ধরলা নদীর সংযোগকারী ওই খালের ওপর একটি সেতু নির্মিত হলেও এর সুবিধা ভোগের আগেই তা ভেঙে উল্টে যায়।
৫ ঘণ্টা আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান- বন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রং রুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।
৬ ঘণ্টা আগে
পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেছেন, পিএইচপি কোরআনের আলো বিশ্বজুড়ে আলো ছড়াচ্ছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে দিনব্যাপী পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেছেন, পিএইচপি কোরআনের আলো বিশ্বজুড়ে আলো ছড়াচ্ছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে দিনব্যাপী পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি প্রতিযোগীদের হাতে ইয়েস কার্ড, ক্রেস্ট ও উপহার তুলে দেন। এ সময় মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘পিএইচপির আয়োজনে ‘‘পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে’’ প্রতিযোগিতা। বিশ্বজুড়ে কোরআনের আলো ছড়াতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রমজান মাস ধরে আমাদের আয়োজকেরা হাফেজে কোরআনদের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। গত ১৭ বছর ধরে চলে আসা এই অনুষ্ঠান দেশে ধারাবাহিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।’
কোরআনের আলো অনুষ্ঠানকে চলমান রাখার ঘোষণা দিয়ে মোহাম্মদ মহসিন বলেন, পিএইচপি কেয়ামত পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে থাকবে। তিনি বলেন, যারা কুফরি করে এবং মানুষকে সত্যের পথ থেকে ফিরিয়ে রাখে, আল্লাহ তাদের দুনিয়ায় শাস্তি দেবেন এবং আখিরাতে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন—এটিই হচ্ছে মহান আল্লাহর ঘোষণা। প্রত্যেকের জীবনকে পবিত্র কোরআনের আলোয় জীবন গঠন করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির অনুষ্ঠান পরিচালক সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, ‘সারা দেশের হাজার হাজার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বাছাই করে টিভি অনুষ্ঠানের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। সেখান থেকে মাত্র চারজনকে বাছাই করা অনেক কঠিন কাজ। এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে চূড়ান্ত পর্যায়ে আমরা পৌঁছাই।’ অডিশনে উপস্থিত ছিলেন কোরআনের আলো ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মুফতি মোহম্মদ মহিউদ্দিন, অর্থ সচিব হাফেজ মোহাম্মদ জাকারিয়া, ক্বারী মাওলানা জহিরুল ইসলাম, হাফেজ আবদুল্লাহ আল জায়েদ, পিএইচপি পরিবারের মিডিয়া অ্যাডভাইজার দিলশাদ আহমেদসহ পিএইচপি পরিবার ও আয়োজকেরা।

পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেছেন, পিএইচপি কোরআনের আলো বিশ্বজুড়ে আলো ছড়াচ্ছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে দিনব্যাপী পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি প্রতিযোগীদের হাতে ইয়েস কার্ড, ক্রেস্ট ও উপহার তুলে দেন। এ সময় মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘পিএইচপির আয়োজনে ‘‘পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে’’ প্রতিযোগিতা। বিশ্বজুড়ে কোরআনের আলো ছড়াতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রমজান মাস ধরে আমাদের আয়োজকেরা হাফেজে কোরআনদের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। গত ১৭ বছর ধরে চলে আসা এই অনুষ্ঠান দেশে ধারাবাহিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।’
কোরআনের আলো অনুষ্ঠানকে চলমান রাখার ঘোষণা দিয়ে মোহাম্মদ মহসিন বলেন, পিএইচপি কেয়ামত পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে থাকবে। তিনি বলেন, যারা কুফরি করে এবং মানুষকে সত্যের পথ থেকে ফিরিয়ে রাখে, আল্লাহ তাদের দুনিয়ায় শাস্তি দেবেন এবং আখিরাতে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন—এটিই হচ্ছে মহান আল্লাহর ঘোষণা। প্রত্যেকের জীবনকে পবিত্র কোরআনের আলোয় জীবন গঠন করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির অনুষ্ঠান পরিচালক সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, ‘সারা দেশের হাজার হাজার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বাছাই করে টিভি অনুষ্ঠানের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। সেখান থেকে মাত্র চারজনকে বাছাই করা অনেক কঠিন কাজ। এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে চূড়ান্ত পর্যায়ে আমরা পৌঁছাই।’ অডিশনে উপস্থিত ছিলেন কোরআনের আলো ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মুফতি মোহম্মদ মহিউদ্দিন, অর্থ সচিব হাফেজ মোহাম্মদ জাকারিয়া, ক্বারী মাওলানা জহিরুল ইসলাম, হাফেজ আবদুল্লাহ আল জায়েদ, পিএইচপি পরিবারের মিডিয়া অ্যাডভাইজার দিলশাদ আহমেদসহ পিএইচপি পরিবার ও আয়োজকেরা।

ফেনীর পরশুরাম উপজেলা সমাজসেবা অফিসে পাশাপাশি চেয়ারে বসেন মাহবুবুর রহমান মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী সায়েরা খাতুন। সম্প্রতি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আর্থিক অনিয়মের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। এসবের সঙ্গে একজন অফিস সহায়কসহ এই দম্পতির জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনীরাম এলাকার আবাসন ও বাঘ খাওয়ারচর নামক গ্রামে প্রায় আড়াই শ পরিবারের বসবাস। গ্রামটি উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে একটি খাল দ্বারা বিচ্ছিন্ন। নীলকমল ও ধরলা নদীর সংযোগকারী ওই খালের ওপর একটি সেতু নির্মিত হলেও এর সুবিধা ভোগের আগেই তা ভেঙে উল্টে যায়।
৫ ঘণ্টা আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান- বন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রং রুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।
৬ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দিন দিন বাড়ছে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্তের সংখ্যা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বাসিন্দারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৫২৭ জনের অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে। গত ২০১৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত (১২ বছর) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৬৩ জনে। উপজেলা
৬ ঘণ্টা আগে