Ajker Patrika

চাঁদার জন্য ১৬ গাড়ি ভাঙচুর: এবার সেই যুবদল নেতা বহিষ্কার

ফরিদপুর প্রতিনিধি
জেলা যুবদলের সহসভাপতি গ্রেপ্তার মাসুদুর রহমান লিমন। ছবি: সংগৃহীত
জেলা যুবদলের সহসভাপতি গ্রেপ্তার মাসুদুর রহমান লিমন। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদা না পেয়ে ১৬টি গাড়ি (থ্রি-হুইলার) ভাঙচুরের ঘটনায় ফরিদপুরে জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান লিমনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা সংগঠনের সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।

এর আগে সকালে শহরের ওয়্যারলেসপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে ফরিদপুর জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান লিমনকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতিমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।

আরও উল্লেখ করা হয়, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের তাঁদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রাজিব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে কোনো চিঠি আসেনি, তবে যুবদলের কেন্দ্রীয় ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেখেছি।

এ ছাড়া কেন্দ্র আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি, তারা জাতীয় পত্রিকায় দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, এই ঘটনা ওই নেতার ব্যক্তিগত বিষয়, দলীয় কোনো হস্তক্ষেপ নেই। আর ব্যক্তির দায়ভার দল নেবে না।’

তথ্যমতে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুরের ব্যস্ততম ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে শিবরামপুর, ধুলদী ও কানাইপুরগামী থ্রি-হুইলার মাহিন্দ্রা স্ট্যান্ডে এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে যাত্রী পরিবহনের জন্য অপেক্ষমাণ ১৬টি মাহিন্দ্রা গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় কয়েকজন চালককে আহত করা হয়। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চাঁদা না দেওয়ায় ফরিদপুর জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান লিমনের নির্দেশে এ হামলা চালানোর কথা জানান মাহিন্দ্রা মালিক সমিতির নেতারা।

আবুল কালাম আজাদ নামের মালিক সমিতির এক নেতা বলেন, ‘আমাদের সমিতির আন্ডারে (তত্ত্বাবধানে) এই স্ট্যান্ড চলে, বাকিগুলো অন্যরা নিয়ন্ত্রণ করে। ৫ আগস্টের পর থেকে যুবদল নেতা লিমনের নেতৃত্বে আমাদের স্ট্যান্ড দখল করার চেষ্টা চলে এবং গাড়ির ট্রিপপ্রতি টাকা দাবি করে।

কয়েকবার লিমন নিজেই এসে টাকা দাবি করে হুমকি দিয়ে যায়। একপর্যায়ে আমাদের স্ট্যান্ডের পাশেই আরেকটি অস্থায়ী স্ট্যান্ড করে সুবিধা নিয়ে সালথার মাহিন্দ্রা চলাচলের সুযোগ করে দিয়েছে লিমন। প্রতি ট্রিপ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে কালেকশন করে তার সহযোগী শাহিন হাওলাদারসহ কয়েকজন। এতে বাধা দেওয়ায় আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় তার বাহিনী।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর ভাঙ্গার রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্সসংলগ্ন একটি ঘর দখলে নেন এই যুবদল নেতা। তাঁর আগে ওই ঘরটি জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম মো. নাছিরের দখলে ছিল। বর্তমানে ওই টিনের চালার ঘরটি নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয় বানিয়েছেন। এখানে বসেই ওই এলাকার পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করছেন। এ ছাড়া নিজেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ওই কার্যালয়ে একটি ব্যানারও টানিয়ে রেখেছেন এ যুবদল নেতা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে জনপ্রশাসন বিষয়ক কমিটি থেকে বাদ

ঘরে সদ্য বিবাহিত বিক্রয় প্রতিনিধির লাশ, চিরকুটে লেখা ‘জীবন খুবই কঠিন’

নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করেও মুখে দুর্গন্ধের কারণ, পরিত্রাণের উপায়

২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর হাইস্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নয়: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

বঙ্গবন্ধু জেন–জিদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা, হাসিনা সবচেয়ে অজনপ্রিয়: জরিপ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত