ফরিদপুর প্রতিনিধি
দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ফরিদপুর কার্যালয়ে ত্রাণের ঢেউটিন ও নগদ অর্থ নিতে এসেছিলেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারী উপজেলার কয়েকটি হতদরিদ্র পরিবার। একটি পিকআপে ভোরে রওনা দেন তাঁরা। কিন্তু পথে ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাগুরাগামী বাস ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে নারী-শিশুসহ ১১ জন নিহত, পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন এবং ঢাকায় নেওয়ার পথে একজন নিহত হন। তাঁরা সবাই পিকআপের যাত্রী ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের শহরতলীর কানাইপুরের দিগনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনজন ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং অপর একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামানন্দ পালকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সত্তরকান্দা গ্রামের একই পরিবারের চারজন রয়েছেন। তাঁরা হলেন—রাকিবুল ইসলাম মিলন (৩৮), তাঁর স্ত্রী সুমি বেগম (৩৫) ও দুই শিশু ছেলে রুহান (৮) ও আবু সিনান (৩)।
নিহত অপর ব্যক্তিরা হলেন—একই গ্রামের মর্জিনা বেগম (৭০) ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার চরবকাইল গ্রামের তবিবুর খান (৫৫), বেজিডাঙ্গা গ্রামের জাহানারা বেগম (৫৬), সোনিয়া বেগম (৫৮), নুরারী (২), পিকআপচালক কুসুমদি গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩৫), হিদাডাঙ্গা গ্রামের শুকুরুন নেছা (৮৫), কহিনুর বেগম (৭০) ও সূর্য বেগম (৫৫)।
এ ছাড়া ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত রাকিবুল ইসলামের বৃদ্ধা মা হুরি বেগম (৬০) ও মরিয়ম বেগম নামে আরও একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপরদিকে মুমূর্ষু অবস্থায় বোয়ালমারী উপজেলায় রুপাপাত গ্রামের ইকবাল শেখ নামের এক ব্যক্তিকে ঢামেকে পাঠানো হলে পথে তিনিও মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ছানোয়ার মোল্যা।
এর মধ্যে রাকিবুল ইসলাম মিলন ঢাকায় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তার মাধ্যমে অন্যরা ত্রাণ নেওয়ার জন্য আসেন এবং তিনি ওই পিকআপে পরিবার নিয়ে ঢাকায় রওনা দিয়েছিলেন।
নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ত্রাণের ঢেউটিন ও নগদ অর্থ নেওয়ার জন্য তাঁরা ফরিদপুরে আসছিলেন।
এ বিষয়ে জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা আবু নাছের মোহাম্মদ বাবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা ত্রাণ নিতে আসছিলেন বলে জেনেছি। আমরা প্রতি বছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দিয়ে থাকি। যখন যারা আসে তখনই দেওয়া হয়। এ জন্য নির্দিষ্ট কোনো তারিখ দেওয়া হয় না।’
করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পিকআপ এবং বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় ঢাকায় নেওয়ার পথে আরও একজন মারা গেছে। তবে এখনো তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।
জেলা প্রশাসক বলেন, এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন। নিহতদের নগদ ২০ হাজার ও আহতদের ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। নিহতদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫ লাখ এবং আহতদের ৩ লাখ টাকা দেওয়া হবে।
দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ফরিদপুর কার্যালয়ে ত্রাণের ঢেউটিন ও নগদ অর্থ নিতে এসেছিলেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারী উপজেলার কয়েকটি হতদরিদ্র পরিবার। একটি পিকআপে ভোরে রওনা দেন তাঁরা। কিন্তু পথে ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাগুরাগামী বাস ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে নারী-শিশুসহ ১১ জন নিহত, পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন এবং ঢাকায় নেওয়ার পথে একজন নিহত হন। তাঁরা সবাই পিকআপের যাত্রী ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের শহরতলীর কানাইপুরের দিগনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনজন ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং অপর একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামানন্দ পালকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সত্তরকান্দা গ্রামের একই পরিবারের চারজন রয়েছেন। তাঁরা হলেন—রাকিবুল ইসলাম মিলন (৩৮), তাঁর স্ত্রী সুমি বেগম (৩৫) ও দুই শিশু ছেলে রুহান (৮) ও আবু সিনান (৩)।
নিহত অপর ব্যক্তিরা হলেন—একই গ্রামের মর্জিনা বেগম (৭০) ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার চরবকাইল গ্রামের তবিবুর খান (৫৫), বেজিডাঙ্গা গ্রামের জাহানারা বেগম (৫৬), সোনিয়া বেগম (৫৮), নুরারী (২), পিকআপচালক কুসুমদি গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩৫), হিদাডাঙ্গা গ্রামের শুকুরুন নেছা (৮৫), কহিনুর বেগম (৭০) ও সূর্য বেগম (৫৫)।
এ ছাড়া ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত রাকিবুল ইসলামের বৃদ্ধা মা হুরি বেগম (৬০) ও মরিয়ম বেগম নামে আরও একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপরদিকে মুমূর্ষু অবস্থায় বোয়ালমারী উপজেলায় রুপাপাত গ্রামের ইকবাল শেখ নামের এক ব্যক্তিকে ঢামেকে পাঠানো হলে পথে তিনিও মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ছানোয়ার মোল্যা।
এর মধ্যে রাকিবুল ইসলাম মিলন ঢাকায় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তার মাধ্যমে অন্যরা ত্রাণ নেওয়ার জন্য আসেন এবং তিনি ওই পিকআপে পরিবার নিয়ে ঢাকায় রওনা দিয়েছিলেন।
নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ত্রাণের ঢেউটিন ও নগদ অর্থ নেওয়ার জন্য তাঁরা ফরিদপুরে আসছিলেন।
এ বিষয়ে জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা আবু নাছের মোহাম্মদ বাবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা ত্রাণ নিতে আসছিলেন বলে জেনেছি। আমরা প্রতি বছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দিয়ে থাকি। যখন যারা আসে তখনই দেওয়া হয়। এ জন্য নির্দিষ্ট কোনো তারিখ দেওয়া হয় না।’
করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পিকআপ এবং বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় ঢাকায় নেওয়ার পথে আরও একজন মারা গেছে। তবে এখনো তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।
জেলা প্রশাসক বলেন, এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন। নিহতদের নগদ ২০ হাজার ও আহতদের ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। নিহতদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫ লাখ এবং আহতদের ৩ লাখ টাকা দেওয়া হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শামসুন্নাহারের বসতবাড়ির চারপাশে কাঠ ও বাঁশের বেড়া। একটু জায়গাও নেই বসতবাড়িতে প্রবেশের। বাড়ির পেছন দিয়ে মই বেয়ে দেয়াল পার হয়ে বাইরে যাতায়াত করেন মা ও ছেলে।
৪ মিনিট আগেমহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় নারী, শিশুসহ ১১ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ শুক্রবার ৫৮ বিজিবি সহকারী পরিচালক মুন্সী ইমদাদুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৭ মিনিট আগেজানা গেছে, গত বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের এক রোগীর স্বজনের ব্যাগ থেকে ৪০০ টাকা চুরি হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে সুজন মিয়াকে ধরে ওই রোগীর স্বজন ও উপস্থিত লোকজন কয়েক দফায় মারধর করে। এরপর তাঁকে আবার হাসপাতালের নিচে নামিয়ে টিকিট কাউন্টারের সামনে এনে বাঁশের...
৮ মিনিট আগেঅধ্যাপক শেখ মাজেদুল হক, মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক, পিএইচডি করার জন্য মালয়েশিয়ায় যেতে শিক্ষা ছুটির আবেদন করেছিলেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় তাঁর ছুটি আটকে দেওয়া হয়। সূত্র অনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানের মামলায় তাঁর নাম থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজাহারে তাঁর নাম রয়েছে ৭৩ নম্বর আসামি হিসেবে..
১৩ মিনিট আগে