Ajker Patrika

আফগানিস্তানের বাগরাম ঘাঁটি ফেরত চান ট্রাম্প, লক্ষ্য চীনের পারমাণবিক স্থাপনা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯: ১৩
২০০২ সালে বাগরাম বিমানঘাঁটিতে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি। ছবি: এএফপি
২০০২ সালে বাগরাম বিমানঘাঁটিতে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লন্ডনে বলেছেন, ‘আমরা ওই ঘাঁটিটা ফের চাই।’ তিনি জোর দিয়েছেন যে বাগরাম ঘাঁটির অবস্থান কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং বলেছেন, ‘এটি চীনের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির স্থানের কাছ থেকে মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্বে।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, লন্ডন সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। বিস্তৃত এই বিমানঘাঁটিটি ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে আল-কায়েদার হামলার পর আফগানিস্তানে টানা দুই দশকের যুদ্ধে মার্কিন সেনাদের প্রধান ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল।

ট্রাম্প আগেও পানামা খাল থেকে গ্রিনল্যান্ড পর্যন্ত নানা ভূখণ্ড ও স্থাপনা অধিগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। বাগরামের প্রতিও তিনি বহু বছর ধরে আগ্রহ দেখিয়ে আসছেন। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, কোনো না কোনোভাবে তালেবানের সম্মতিতে যুক্তরাষ্ট্র হয়তো আবার ঘাঁটিটি দখল করতে পারে। তবে এই সমঝোতার ধরন কী হবে, তা পরিষ্কার নয়। এ রকম হলে তা হবে বড় ধরনের মোড় পরিবর্তন, কারণ তালেবানই একসময় যুক্তরাষ্ট্রকে দেশ থেকে বের করে দিয়ে মার্কিন-সমর্থিত সরকারকে উৎখাত করেছিল।

কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ঘাঁটি আবার দখল করতে গেলে বড় ধরনের সামরিক প্রস্তুতি লাগবে। তাঁদের মতে, অন্তত ১০ হাজার সেনা ও উন্নত বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দরকার। এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমি কোনো উপায় দেখছি না যে, এটা বাস্তবে কীভাবে সম্ভব হবে।’

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঘাঁটিটি সুরক্ষিত রাখতে ইসলামিক স্টেট, আল-কায়েদাসহ বিভিন্ন রকম জঙ্গি হুমকি মোকাবিলা করতে হবে। পাশাপাশি ইরান থেকে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র হুমকিও থাকতে পারে।

এক সাবেক শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার মনে হয় ওখানে থাকার কোনো বিশেষ সামরিক সুবিধা নেই। ঝুঁকিগুলো সুবিধার চেয়ে বেশি।’

ট্রাম্প আগে অভিযোগ করেছিলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ঘাঁটিটি ছেড়ে দিয়েছেন, যদিও ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি তাঁর নিজের তালেবান চুক্তিতে সব আন্তর্জাতিক বাহিনী প্রত্যাহারের কথা বলা ছিল।

অন্যদিকে অতীতের কিছু কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জারি আছে—কাবুলে আমেরিকান নাগরিকদের মুক্তিসংক্রান্ত আলাপচারিতায় অংশ নিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের বিশেষ জিম্মি দূত অ্যাডাম বোয়লার ও সাবেক বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ। তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকিও ওই আলোচনায় ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার পতনের আগের দিন ড. ইউনূসের সঙ্গে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হয়: নাহিদ

শেষ ওভারে নবির ছক্কাবৃষ্টি, বাংলাদেশের সমীকরণ কী দাঁড়াল

কুমিল্লায় ৪ মাজারে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, পুলিশ-সেনাবাহিনী মোতায়েন

দিয়াবাড়ির কাশবনে নারীর অর্ধগলিত লাশ, মৃত্যু ১০-১২ দিন আগে: পুলিশ

সেনা আশ্রয় ছেড়ে ভাড়া বাড়িতে নেপালের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত