Ajker Patrika

জাপার প্রার্থীর কাছে পাত্তাই পেলেন না আ. লীগের ২ প্রার্থী 

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২২, ২২: ৩২
জাপার প্রার্থীর কাছে পাত্তাই পেলেন না আ. লীগের ২ প্রার্থী 

দিনাজপুরে পঞ্চম জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা জাতীয় পার্টির সমর্থিত প্রার্থীর কাছে জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী দুই নেতা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন। এতে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও বিনোদন কেন্দ্র স্বপ্নপুরীর স্বত্বাধিকারী মো. দেলোয়ার হোসেন। বিপুল ভোটে পরাজিত হন গত দুই মেয়াদে চেয়ারম্যান পদে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তৈয়ব উদ্দিন চৌধুরী বিপুল। 

আজ সোমবার দুপুরে জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে এই তথ্য জানা যায়।  

জানা যায়, পঞ্চম জেলা পরিষদ নির্বাচনে দিনাজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ১ হাজার ১৬২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তৈয়ব উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ২২৬ ভোট। আর আজিজুল ইমাম চৌধুরী পেয়েছেন মাত্র ৭৮ ভোট। 

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, আজিজুল ইমাম চৌধুরী পার্বতীপুর উপজেলায় কোনো ভোট পাননি। এ ছাড়া বিরামপুরে পেয়েছেন মাত্র ২ ভোট। ঘোড়াঘাট, চিরিরবন্দর ও বোচাগঞ্জ উপজেলায় পেয়েছেন ৩টি করে ভোট। এ ছাড়া বিরল, খানসামা ও হাকিমপুরে পেয়েছেন ৪টি করে এবং ফুলবাড়ী ও নবাবগঞ্জে পেয়েছেন ৫টি করে ভোট। এর বাইরে কাহারোলে বারোটি, সদরে ১৩টি এবং বীরগঞ্জে পেয়েছেন সর্বোচ্চ ২০টি ভোট।

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা তৈয়ব উদ্দিন চৌধুরী বীরগঞ্জে পেয়েছেন মাত্র ২টি ও পার্বতীপুরে পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৫১টি ভোট। তার প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ২২৬টি। 

ফলাফল ঘোষণার পর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করলেও, এর কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁদের কোনো ধারণাই নেই। আমি একটানা ৩৬ বছর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। এই বয়সে আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন। আমি জেলা পরিষদকে জনগণের জন্য সত্যিকারভাবে উন্মুক্ত করতে চাই।’

আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এমন শোচনীয় পরাজয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল বলেন, ‘কালো টাকার কাছে হেরেছে আমাদের প্রার্থী। বিষয়টি নিয়ে ভোটের আগের দিন আমরা সংবাদ সম্মেলনও করেছিলাম।’

জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে দুর্বল নয়, মূলত টাকার কাছে হেরেছি। অন্যদিকে দুজন প্রার্থী নিয়ে একটা ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছিল।’

এর আগে সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ১৩টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলায় জেলা শিশু একাডেমিতে এবং বাকি বারোটি উপজেলায় উপজেলা পরিষদে উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। নির্বাচন উপলক্ষে ভোটকেন্দ্রগুলোতে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ছিল সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোদিজি—বিহারে কোনো বাংলাদেশি নেই, তবে দিল্লিতে আপনার বোন বসে আছেন: ওয়াইসি

অধ্যক্ষকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বের করে দেওয়া হলো কলেজ থেকে

বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বৃষ্টি কবে— জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

পাঁচ দিন পর উদ্ধার বৈষম্যবিরোধী নেতা মামুন, হাসপাতালে ভর্তি

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় পারমাণবিক শক্তির অধিকারী হবে তুরস্ক, চুক্তি স্বাক্ষর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত