Ajker Patrika

৭ দফা দাবিতে বড়পুকুরিয়া খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের বিক্ষোভ, মানববন্ধন

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
গতকাল বেলা ১১টায় সাত দফা দাবিতে পাতিগ্রাম মোড়ে বিক্ষোভ করেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল বেলা ১১টায় সাত দফা দাবিতে পাতিগ্রাম মোড়ে বিক্ষোভ করেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘মানুষের জীবনের চেয়ে মূল্যবান কিছু নয়, উন্নয়নের নামে ধ্বংস নয়, টেকসই সমাধান চাই’—এই স্লোগান সামনে রেখে ক্ষতিপূরণসহ ৭ দফা দাবিতে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পাতিগ্রাম ও পাঁচঘরিয়া গ্রামবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ‘বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ক্ষতিগ্রস্তদের ভূমি ও বসতবাড়ি রক্ষা কমিটি’র উদ্যোগে স্থানীয় পাতিগ্রাম মোড়ে বিক্ষোভ করেন তারা। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের বাসিন্দারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বড়পুকুরিয়া বাজার প্রদক্ষিণ করেন। পরে সেখানে সড়কের দুপাশে বিভিন্ন দাবি সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন হাতে দাঁড়িয়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তাঁরা।

ক্ষতিগ্রস্তদের সাত দফা দাবি হলো: খনি থেকে কয়লা তোলার সময় সৃষ্ট অতিরিক্ত কম্পনের কারণে ভূমিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়ির বিষয়ে খনি কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে খনি এলাকার বাইপাস রাস্তাটি মেরামত করতে হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রতিটি পরিবার থেকে একজনকে স্থায়ী চাকরি দিতে হবে, যা পূর্বের সমঝোতা চুক্তিতে উল্লেখ ছিল।

পূর্বের অধিগ্রহণ করা মসজিদগুলোর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাইরে যেসব গ্রামে নতুন করে পানির সংকট দেখা দিয়েছে, সেখানে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে।

ঘরবাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনায় সৃষ্ট ফাটল দ্রুত পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, খনি এলাকায় বসবাসকারী মানুষ সব সময় আতঙ্কে থাকেন। রাতে কম্পনের কারণে শান্তিতে ঘুমাতে পারেন না এবং প্রতি মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেন। তাঁরা আরও বলেন, এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেও কোনো প্রতিকার মিলছে না। যদি খনি কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবিগুলো বাস্তবায়নে পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ভবিষ্যতে খনি ঘেরাওয়ের মতো বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু তালেব ফরাজী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো সার্ভে করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে। বিদেশি এবং বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এই দল প্রতি মাসে সার্ভে করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট জমা দেয়। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে ১৩টি গ্রামের সার্ভে কাজ শেষ হয়েছে এবং রিপোর্ট জমা দেওয়া হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত