বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

গ্রামবাংলার চিরায়ত উৎসব নবান্নকে ঘিরে এখন গ্রামীণ জনপদে চলছে সাজ সাজ রব। নতুন ধান তুলতে হবে ঘরে। আর সেই ধানের চাল দিয়ে তৈরি ক্ষীর-পায়েস প্রিয়জনদের মুখে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে কৃষক খুঁজে পায় বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজে ফসল আবাদের সার্থকতা।
বন্যার প্রভাবমুক্ত দিনাজপুর জেলার বিরামপুর ও পাশের উপজেলায় আমন ধান কেটে ঘরে তোলা ও নবান্ন উৎসবকে ঘিরে কৃষকের পাশাপাশি গ্রামীণ নারীরাও কর্মচাঞ্চল্যে মুখর হয়ে উঠেছে। কৃষকেরা মাঠ থেকে নতুন ধান কেটে ঘরে তোলার আগে কৃষক বধূদের নিতে হয় নানা প্রস্তুতি। নতুন ধানের চাল থেকে তৈরি ক্ষীর-পায়েস ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য দিয়ে অতিথি আপ্যায়নের মাধ্যমে দিনাজপুর অঞ্চলে পয়লা অগ্রহায়ণ পালিত হয় নবান্ন উৎসব।
এবার বন্যার করাল গ্রাসে বিভিন্ন জেলার আমন ফসল বিনষ্ট হলেও শস্য ভান্ডার খ্যাত দিনাজপুর জেলার বিরামপুর ও পাশের উপজেলায় বন্যার কোনো প্রভাব পড়েনি। এ কারণে এখানে নবান্ন উৎসবের আনন্দ রয়েছে অটুট। নতুন ধান ঘরে তোলা নিয়ে গ্রামের মানুষ এখন কর্মচাঞ্চল্যে মুখর। নতুন ধান আসার আগে নিজেদের বাড়ি-ঘর ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কারের কাজ করে নেন নারীরা। এখনো মাটির দেয়ালে বিভিন্ন রং ও চুন দিয়ে আলপনা এঁকে নারীরা ফুটে তোলেন তাদের শিল্পী মনের ভঙ্গিমা।
কৃষকেরা মাঠ থেকে ধান কেটে আনলে কৃষক বধূরা সেই ধান পানিতে ভিজিয়ে রাখেন। এক রাত পর ভেজানো ধান সিদ্ধ করে শুকানো হয় রোদে। ওই ধান ঢেঁকিতে বা মেশিনে ভানলে বেরিয়ে আসে মুক্ত বরণ চাল। আর সেই নতুন চাল দিয়ে তৈরি ক্ষীর-পায়েস পরিবার পরিজনের মুখে তুলে দিয়ে তৃপ্ত হন গ্রামীণ নারীরা। এরপর প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন ও অতিথি আপ্যায়নের পালা চলে সপ্তাহজুড়ে। নবান্ন উপলক্ষে ভোজ উৎসবে মাংসের জোগান দিতে বিভিন্ন গ্রামে জবাই করা হয় গরু-খাসি। নবান্নের আয়োজনকে সামনে রেখে এখন কর্মচাঞ্চল্যে মুখর প্রতিটি গ্রাম।
পারগানা প্রধান কেরোবিন হেম্রম বলেন, নতুন ধান তুলে আর সেই ধানের চাল দিয়ে তৈরি ক্ষীর-পায়েস প্রিয়জনদের মুখে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে ও কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে নবান্নর নতুন মাত্রা যোগ করে।

আদিবাসী পাড়ার শ্যামলী হাসদা বলেন, আমরা আদিবাসী পাড়ায় বসবাস করি, নতুন ধান পাকলে খেতে গিয়ে আদিবাসী নারী ও পুরুষ দলগতভাবে ধান কাটি। ধান কাটার পর পরিবারের সবাই উৎসবের মাঝে নবান্ন করে থাকি, এ উপলক্ষে বাড়িগুলো নতুন করে রং করি।
বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হুমায়ন কবির বাদশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলায় এবারও পয়লা অগ্রহায়ণ থেকে গ্রামগুলোতে চলবে সপ্তাহব্যাপী নবান্ন উৎসব।

গ্রামবাংলার চিরায়ত উৎসব নবান্নকে ঘিরে এখন গ্রামীণ জনপদে চলছে সাজ সাজ রব। নতুন ধান তুলতে হবে ঘরে। আর সেই ধানের চাল দিয়ে তৈরি ক্ষীর-পায়েস প্রিয়জনদের মুখে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে কৃষক খুঁজে পায় বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজে ফসল আবাদের সার্থকতা।
বন্যার প্রভাবমুক্ত দিনাজপুর জেলার বিরামপুর ও পাশের উপজেলায় আমন ধান কেটে ঘরে তোলা ও নবান্ন উৎসবকে ঘিরে কৃষকের পাশাপাশি গ্রামীণ নারীরাও কর্মচাঞ্চল্যে মুখর হয়ে উঠেছে। কৃষকেরা মাঠ থেকে নতুন ধান কেটে ঘরে তোলার আগে কৃষক বধূদের নিতে হয় নানা প্রস্তুতি। নতুন ধানের চাল থেকে তৈরি ক্ষীর-পায়েস ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য দিয়ে অতিথি আপ্যায়নের মাধ্যমে দিনাজপুর অঞ্চলে পয়লা অগ্রহায়ণ পালিত হয় নবান্ন উৎসব।
এবার বন্যার করাল গ্রাসে বিভিন্ন জেলার আমন ফসল বিনষ্ট হলেও শস্য ভান্ডার খ্যাত দিনাজপুর জেলার বিরামপুর ও পাশের উপজেলায় বন্যার কোনো প্রভাব পড়েনি। এ কারণে এখানে নবান্ন উৎসবের আনন্দ রয়েছে অটুট। নতুন ধান ঘরে তোলা নিয়ে গ্রামের মানুষ এখন কর্মচাঞ্চল্যে মুখর। নতুন ধান আসার আগে নিজেদের বাড়ি-ঘর ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কারের কাজ করে নেন নারীরা। এখনো মাটির দেয়ালে বিভিন্ন রং ও চুন দিয়ে আলপনা এঁকে নারীরা ফুটে তোলেন তাদের শিল্পী মনের ভঙ্গিমা।
কৃষকেরা মাঠ থেকে ধান কেটে আনলে কৃষক বধূরা সেই ধান পানিতে ভিজিয়ে রাখেন। এক রাত পর ভেজানো ধান সিদ্ধ করে শুকানো হয় রোদে। ওই ধান ঢেঁকিতে বা মেশিনে ভানলে বেরিয়ে আসে মুক্ত বরণ চাল। আর সেই নতুন চাল দিয়ে তৈরি ক্ষীর-পায়েস পরিবার পরিজনের মুখে তুলে দিয়ে তৃপ্ত হন গ্রামীণ নারীরা। এরপর প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন ও অতিথি আপ্যায়নের পালা চলে সপ্তাহজুড়ে। নবান্ন উপলক্ষে ভোজ উৎসবে মাংসের জোগান দিতে বিভিন্ন গ্রামে জবাই করা হয় গরু-খাসি। নবান্নের আয়োজনকে সামনে রেখে এখন কর্মচাঞ্চল্যে মুখর প্রতিটি গ্রাম।
পারগানা প্রধান কেরোবিন হেম্রম বলেন, নতুন ধান তুলে আর সেই ধানের চাল দিয়ে তৈরি ক্ষীর-পায়েস প্রিয়জনদের মুখে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে ও কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে নবান্নর নতুন মাত্রা যোগ করে।

আদিবাসী পাড়ার শ্যামলী হাসদা বলেন, আমরা আদিবাসী পাড়ায় বসবাস করি, নতুন ধান পাকলে খেতে গিয়ে আদিবাসী নারী ও পুরুষ দলগতভাবে ধান কাটি। ধান কাটার পর পরিবারের সবাই উৎসবের মাঝে নবান্ন করে থাকি, এ উপলক্ষে বাড়িগুলো নতুন করে রং করি।
বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হুমায়ন কবির বাদশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলায় এবারও পয়লা অগ্রহায়ণ থেকে গ্রামগুলোতে চলবে সপ্তাহব্যাপী নবান্ন উৎসব।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর পার হতে না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় দুই কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের বারান্দা, সিঁড়ি, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল ধরায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিম্নমানের নির্ম
৩৮ মিনিট আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ভারত সীমান্তঘেঁষা গ্রাম ভবানীপুর। স্বাধীনতার অর্ধশতক পেরিয়ে আজও এই জনপদ পিছিয়ে আছে অন্ধকারে। এখানকার কয়েক হাজার মানুষের জীবন যেন দুর্গম যাতায়াতে আটকা—নেই কোনো পাকা সড়ক, নেই স্থায়ী সেতু।
১ ঘণ্টা আগে
যেখানে জীবনের ছোটখাটো প্রতিবন্ধকতাকেও অনেকে ব্যর্থতার অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেন, সেখানে কিছু মানুষ নিঃশব্দে এক মহাকাব্য রচনা করে চলেন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল মিয়া সেই বিরল মানুষদের একজন—অন্ধত্বের বাধা ডিঙিয়ে যিনি দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছেন জীবন সংসারে।
১ ঘণ্টা আগে
তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
৭ ঘণ্টা আগেচিরিরবন্দর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর পার হতে না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় দুই কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের বারান্দা, সিঁড়ি, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল ধরায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকেরা।
চিরিরবন্দর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, উপজেলার ভিয়াইল ইউনিয়নের বানিয়াখাড়ী সরকারি বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে ২০২১-২২ অর্থবছরে দুই কোটি দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।
নিম্নমানের কাজের অভিযোগ এনে স্থানীয় অভিভাবক মোস্তাফিজুর রহমান এবং বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় দুই বছরের মধ্যেই বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। নির্মাণকাজের সময় আমরা মৌখিকভাবে ইঞ্জিনিয়ারকে অভিযোগ করেছিলাম, কিন্তু তিনি আমাদের কথায় কোনো গুরুত্ব দেননি।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুফিয়া খাতুন বলেন, ‘নতুন ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নিচতলার সিঁড়ির বারান্দায় বড় ফাটল ধরেছে। এ ছাড়া শ্রেণিকক্ষের মেঝে ও পিলারের সঙ্গে দেয়ালেও ফাটল দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানোর পর তিনি এসে ছবি তুলে নিয়ে গেছেন।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিনারা খাতুন বলেন, ‘নতুন বিল্ডিংয়ের দুই বছর এখনো হয়নি, তাতেই মেঝেসহ অনেক জায়গায় ফাটল ধরেছে। আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তারা দ্রুত মেরামত করার জন্য আশ্বাস দিয়েছে।’
এ বিষয়ে ঠিকাদার আবেদ আলী মাস্টার বলেন, ‘বিল্ডিং হস্তান্তর করার প্রায় দুই বছর হয়েছে। মেঝেতে শুধু পলেস্তারায় “চিড়” ধরেছে, তেমন কোনো সমস্যা নেই। আমি আমার ম্যানেজারকে পাঠিয়ে দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করব।’
এলজিইডির চিরিরবন্দর উপজেলা প্রকৌশলী মাসুদার রহমান একই সুরে বলেন, ‘বিল্ডিংয়ের মেঝে ও সিঁড়ির কিছু অংশে কেবল পলেস্তারার ওপরে ফাটল বা চিড় ধরেছে। আমি ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত মেরামতের জন্য বলব।’

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর পার হতে না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় দুই কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের বারান্দা, সিঁড়ি, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল ধরায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকেরা।
চিরিরবন্দর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, উপজেলার ভিয়াইল ইউনিয়নের বানিয়াখাড়ী সরকারি বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে ২০২১-২২ অর্থবছরে দুই কোটি দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।
নিম্নমানের কাজের অভিযোগ এনে স্থানীয় অভিভাবক মোস্তাফিজুর রহমান এবং বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় দুই বছরের মধ্যেই বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। নির্মাণকাজের সময় আমরা মৌখিকভাবে ইঞ্জিনিয়ারকে অভিযোগ করেছিলাম, কিন্তু তিনি আমাদের কথায় কোনো গুরুত্ব দেননি।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুফিয়া খাতুন বলেন, ‘নতুন ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নিচতলার সিঁড়ির বারান্দায় বড় ফাটল ধরেছে। এ ছাড়া শ্রেণিকক্ষের মেঝে ও পিলারের সঙ্গে দেয়ালেও ফাটল দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানোর পর তিনি এসে ছবি তুলে নিয়ে গেছেন।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিনারা খাতুন বলেন, ‘নতুন বিল্ডিংয়ের দুই বছর এখনো হয়নি, তাতেই মেঝেসহ অনেক জায়গায় ফাটল ধরেছে। আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তারা দ্রুত মেরামত করার জন্য আশ্বাস দিয়েছে।’
এ বিষয়ে ঠিকাদার আবেদ আলী মাস্টার বলেন, ‘বিল্ডিং হস্তান্তর করার প্রায় দুই বছর হয়েছে। মেঝেতে শুধু পলেস্তারায় “চিড়” ধরেছে, তেমন কোনো সমস্যা নেই। আমি আমার ম্যানেজারকে পাঠিয়ে দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করব।’
এলজিইডির চিরিরবন্দর উপজেলা প্রকৌশলী মাসুদার রহমান একই সুরে বলেন, ‘বিল্ডিংয়ের মেঝে ও সিঁড়ির কিছু অংশে কেবল পলেস্তারার ওপরে ফাটল বা চিড় ধরেছে। আমি ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত মেরামতের জন্য বলব।’

গ্রামবাংলার চিরায়ত উৎসব নবান্নকে ঘিরে এখন গ্রামীণ জনপদে চলছে সাজ সাজ রব। নতুন ধান তুলতে হবে ঘরে। আর সেই ধানের চাল দিয়ে তৈরি ক্ষীর-পায়েস প্রিয়জনদের মুখে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে কৃষক খুঁজে পায় বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজে ফসল আবাদের সার্থকতা।
১১ নভেম্বর ২০২৪
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ভারত সীমান্তঘেঁষা গ্রাম ভবানীপুর। স্বাধীনতার অর্ধশতক পেরিয়ে আজও এই জনপদ পিছিয়ে আছে অন্ধকারে। এখানকার কয়েক হাজার মানুষের জীবন যেন দুর্গম যাতায়াতে আটকা—নেই কোনো পাকা সড়ক, নেই স্থায়ী সেতু।
১ ঘণ্টা আগে
যেখানে জীবনের ছোটখাটো প্রতিবন্ধকতাকেও অনেকে ব্যর্থতার অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেন, সেখানে কিছু মানুষ নিঃশব্দে এক মহাকাব্য রচনা করে চলেন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল মিয়া সেই বিরল মানুষদের একজন—অন্ধত্বের বাধা ডিঙিয়ে যিনি দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছেন জীবন সংসারে।
১ ঘণ্টা আগে
তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
৭ ঘণ্টা আগেদুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ভারত সীমান্তঘেঁষা গ্রাম ভবানীপুর। স্বাধীনতার অর্ধশতক পেরিয়ে আজও এই জনপদ পিছিয়ে আছে অন্ধকারে। এখানকার কয়েক হাজার মানুষের জীবন যেন দুর্গম যাতায়াতে আটকা—নেই কোনো পাকা সড়ক, নেই স্থায়ী সেতু। ভাঙা মাটির রাস্তা আর ঝুঁকিপূর্ণ কাঠ-বাঁশের সাঁকোই তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। দুই চাকার বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেল ছাড়া এই গ্রামে অন্য কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী আনা থেকে শুরু করে গর্ভবতী নারী বা রোগীকে জরুরি মুহূর্তে হাসপাতালে নিতেও চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
গ্রামের একমাত্র সেতুটি ২০১৪ সালের দিকে ভেঙে যাওয়ার পর কাঠ-বাঁশের সেতুই এখন একমাত্র ভরসা। উন্নয়ন যেন এখানকার মানুষের কাছে সোনার হরিণ। কবে মিলবে স্থায়ী সেতু ও পাকা রাস্তা জানেন না কেউই।
স্থানীয় বাসিন্দা সজীব মিয়া বলেন, ‘যুগের পর যুগ কেটে গেলেও আমরা উন্নয়নবঞ্চিত। স্বাধীনতার পর থেকে এ গ্রামে কোনো দিন পাকা রাস্তা বা স্থায়ী সেতু হয়নি। গ্রামের দুটি সেতুর মধ্যে একটি কাঠ-বাঁশের আর অন্যটি পাকা হলেও সেটিও সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে। নিজেদের স্বেচ্ছাশ্রমেই পথ মেরামত করে যাতায়াত করছি।’

আরেক বাসিন্দা সামছু মিয়া জানান, গর্ভবতী নারী বা রোগীকে জরুরি মুহূর্তে হাসপাতালে নিতে নদীপথই ভরসা। কৃষিজাত পণ্যও বাজারে নেওয়া কষ্টসাধ্য।
স্কুলশিক্ষার্থী মুর্শিদা আক্তার বলে, ‘প্রতিদিন কাঁচা রাস্তায় কয়েক কিলোমিটার হাঁটতে হয় স্কুলে যেতে। বর্ষায় কাদা-জলে ভিজে স্কুলে পৌঁছানোই দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। ফলে পড়ালেখায় মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। আমাদের দাবি পাকা রাস্তা ও সেতু নির্মাণ করা হোক।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা আফসানা বলেন, ‘গ্রামটি দেখেছি। মানুষ সত্যিই কষ্টে আছে। ভবানীপুরের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হবে। শিগগিরই যাতে গ্রামের মানুষ যাতায়াত সুবিধা ভোগ করতে পারে, সে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ভারত সীমান্তঘেঁষা গ্রাম ভবানীপুর। স্বাধীনতার অর্ধশতক পেরিয়ে আজও এই জনপদ পিছিয়ে আছে অন্ধকারে। এখানকার কয়েক হাজার মানুষের জীবন যেন দুর্গম যাতায়াতে আটকা—নেই কোনো পাকা সড়ক, নেই স্থায়ী সেতু। ভাঙা মাটির রাস্তা আর ঝুঁকিপূর্ণ কাঠ-বাঁশের সাঁকোই তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। দুই চাকার বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেল ছাড়া এই গ্রামে অন্য কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী আনা থেকে শুরু করে গর্ভবতী নারী বা রোগীকে জরুরি মুহূর্তে হাসপাতালে নিতেও চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
গ্রামের একমাত্র সেতুটি ২০১৪ সালের দিকে ভেঙে যাওয়ার পর কাঠ-বাঁশের সেতুই এখন একমাত্র ভরসা। উন্নয়ন যেন এখানকার মানুষের কাছে সোনার হরিণ। কবে মিলবে স্থায়ী সেতু ও পাকা রাস্তা জানেন না কেউই।
স্থানীয় বাসিন্দা সজীব মিয়া বলেন, ‘যুগের পর যুগ কেটে গেলেও আমরা উন্নয়নবঞ্চিত। স্বাধীনতার পর থেকে এ গ্রামে কোনো দিন পাকা রাস্তা বা স্থায়ী সেতু হয়নি। গ্রামের দুটি সেতুর মধ্যে একটি কাঠ-বাঁশের আর অন্যটি পাকা হলেও সেটিও সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে। নিজেদের স্বেচ্ছাশ্রমেই পথ মেরামত করে যাতায়াত করছি।’

আরেক বাসিন্দা সামছু মিয়া জানান, গর্ভবতী নারী বা রোগীকে জরুরি মুহূর্তে হাসপাতালে নিতে নদীপথই ভরসা। কৃষিজাত পণ্যও বাজারে নেওয়া কষ্টসাধ্য।
স্কুলশিক্ষার্থী মুর্শিদা আক্তার বলে, ‘প্রতিদিন কাঁচা রাস্তায় কয়েক কিলোমিটার হাঁটতে হয় স্কুলে যেতে। বর্ষায় কাদা-জলে ভিজে স্কুলে পৌঁছানোই দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। ফলে পড়ালেখায় মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। আমাদের দাবি পাকা রাস্তা ও সেতু নির্মাণ করা হোক।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা আফসানা বলেন, ‘গ্রামটি দেখেছি। মানুষ সত্যিই কষ্টে আছে। ভবানীপুরের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হবে। শিগগিরই যাতে গ্রামের মানুষ যাতায়াত সুবিধা ভোগ করতে পারে, সে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

গ্রামবাংলার চিরায়ত উৎসব নবান্নকে ঘিরে এখন গ্রামীণ জনপদে চলছে সাজ সাজ রব। নতুন ধান তুলতে হবে ঘরে। আর সেই ধানের চাল দিয়ে তৈরি ক্ষীর-পায়েস প্রিয়জনদের মুখে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে কৃষক খুঁজে পায় বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজে ফসল আবাদের সার্থকতা।
১১ নভেম্বর ২০২৪
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর পার হতে না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় দুই কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের বারান্দা, সিঁড়ি, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল ধরায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিম্নমানের নির্ম
৩৮ মিনিট আগে
যেখানে জীবনের ছোটখাটো প্রতিবন্ধকতাকেও অনেকে ব্যর্থতার অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেন, সেখানে কিছু মানুষ নিঃশব্দে এক মহাকাব্য রচনা করে চলেন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল মিয়া সেই বিরল মানুষদের একজন—অন্ধত্বের বাধা ডিঙিয়ে যিনি দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছেন জীবন সংসারে।
১ ঘণ্টা আগে
তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
৭ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

যেখানে জীবনের ছোটখাটো প্রতিবন্ধকতাকেও অনেকে ব্যর্থতার অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেন, সেখানে কিছু মানুষ নিঃশব্দে এক মহাকাব্য রচনা করে চলেন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল মিয়া সেই বিরল মানুষদের একজন—অন্ধত্বের বাধা ডিঙিয়ে যিনি দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছেন জীবন সংসারে। দুই চোখ দৃষ্টিহীন হলেও, তাঁর কর্মস্পৃহা আর আত্মনির্ভরশীলতার গল্প আজ গোটা এলাকার মানুষের মুখে মুখে।
প্রায় ৩৫ বছর ধরে দৃষ্টিশক্তি হারানো মঙ্গল মিয়ার বয়স বাড়লেও, তাঁর জীবনীশক্তি যেন কমেনি এতটুকু। তাঁর সঙ্গে কথা বলা, পথ চলা বা কাজ করার ধরন দেখলে সহজে বোঝার উপায় নেই যে তিনি জগতের রূপ দেখতে পান না। প্রতিদিনের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই হাতে লাঠি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি। একাই খুলে বসেন তাঁর ছোট্ট মেকানিকের দোকানটি। আর এই দোকানটিই যেন তাঁর কর্মযজ্ঞের মন্দির।
বাইসাইকেল থেকে শুরু করে জরুরি কৃষি যন্ত্রপাতি—পানির পাম্প, শ্যালো মেশিন এবং বিস্ময়করভাবে জটিল পাওয়ার টিলার পর্যন্ত সবকিছুই তিনি মেরামত করেন। এলাকার মানুষ তাঁর এই অন্ধত্বের ওপর দৃষ্টি না রেখে, বরং তাঁর দক্ষতার ওপর চোখ বন্ধ করে নির্ভর করে। আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কৃষকেরা তাঁদের প্রাণের যন্ত্র—শ্যালো বা টিলার বিগড়ে গেলেই ছুটে আসেন মঙ্গল মিয়ার কাছে।
মঙ্গল মিয়ার দক্ষতাকে শুধু ‘মেকানিক’ শব্দটি দিয়ে প্রকাশ করা কঠিন। তাঁর হাত যেন এক জাদুকরের স্পর্শ পেয়েছে। তিনি শুধু হাতের স্পর্শেই নোটের আকার-প্রকৃতি বুঝে নির্ভুলভাবে টাকার পরিমাণ বলে দিতে পারেন। একবার শুনে নেওয়া যেকোনো ফোন নম্বর তিনি মুখস্থ রাখেন নিখুঁতভাবে। স্থানীয়রা তাঁকে শুধু একজন দক্ষ মেকানিক হিসেবে নয়, বরং একজন ‘দৃষ্টিমান হৃদয়’-এর মানুষ হিসেবে দেখেন। বহু দূরদূরান্ত থেকেও মানুষ ছুটে আসে তাঁর কাছে, কারণ তারা জানেন—মঙ্গল মিয়ার হাতে কাজ দিলে নিশ্চিন্ত থাকা যায়।

নিজের দীর্ঘ লড়াইয়ের গল্প বলতে গিয়ে মঙ্গল মিয়া জানান এক আশ্চর্য পথচলার কথা। তিনি বলেন, ‘প্রায় ৩৫ বছর হলো আমি চোখে দেখি না। ছোটবেলায় সাইকেল সারানোর কাজটা শিখেছিলাম। পরে নিজের চেষ্টায় শ্যালো মেশিন ও পাওয়ার টিলার মেরামতের কাজও রপ্ত করি। একটা সময় তো বিদ্যুতের কাজও করতাম।’
এই স্বশিক্ষিত কারিগর একা একাই জীবনের সমস্ত কাজ করে চলেন। মঙ্গল মিয়ার জীবন আমাদের এক চরম সত্যের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়—শারীরিক সীমাবদ্ধতা জীবনের বোঝা নয়, বরং ইচ্ছাশক্তির সামনে তা নতজানু হতে বাধ্য। চুয়াডাঙ্গার এই অদম্য মানুষটি তাঁর হাতের স্পর্শ, কঠোর পরিশ্রম আর অটুট মনোবল দিয়ে কেবল মেশিন নয়, মেরামত করে চলেছেন মানুষের জীবনবোধকেও। মঙ্গল মিয়া প্রমাণ করলেন—ইচ্ছা থাকলে অন্ধত্বও কোনো বাধা নয়, এটি বরং হাজারো মানুষের জন্য এক প্রেরণার উৎস হতে পারে। তিনি চোখে না দেখেও স্বনির্ভরতার যে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন, তা বাংলাদেশের হাজারো সংগ্রামীর পথকে আলোকিত করে তুলবে।

যেখানে জীবনের ছোটখাটো প্রতিবন্ধকতাকেও অনেকে ব্যর্থতার অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেন, সেখানে কিছু মানুষ নিঃশব্দে এক মহাকাব্য রচনা করে চলেন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল মিয়া সেই বিরল মানুষদের একজন—অন্ধত্বের বাধা ডিঙিয়ে যিনি দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছেন জীবন সংসারে। দুই চোখ দৃষ্টিহীন হলেও, তাঁর কর্মস্পৃহা আর আত্মনির্ভরশীলতার গল্প আজ গোটা এলাকার মানুষের মুখে মুখে।
প্রায় ৩৫ বছর ধরে দৃষ্টিশক্তি হারানো মঙ্গল মিয়ার বয়স বাড়লেও, তাঁর জীবনীশক্তি যেন কমেনি এতটুকু। তাঁর সঙ্গে কথা বলা, পথ চলা বা কাজ করার ধরন দেখলে সহজে বোঝার উপায় নেই যে তিনি জগতের রূপ দেখতে পান না। প্রতিদিনের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই হাতে লাঠি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি। একাই খুলে বসেন তাঁর ছোট্ট মেকানিকের দোকানটি। আর এই দোকানটিই যেন তাঁর কর্মযজ্ঞের মন্দির।
বাইসাইকেল থেকে শুরু করে জরুরি কৃষি যন্ত্রপাতি—পানির পাম্প, শ্যালো মেশিন এবং বিস্ময়করভাবে জটিল পাওয়ার টিলার পর্যন্ত সবকিছুই তিনি মেরামত করেন। এলাকার মানুষ তাঁর এই অন্ধত্বের ওপর দৃষ্টি না রেখে, বরং তাঁর দক্ষতার ওপর চোখ বন্ধ করে নির্ভর করে। আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কৃষকেরা তাঁদের প্রাণের যন্ত্র—শ্যালো বা টিলার বিগড়ে গেলেই ছুটে আসেন মঙ্গল মিয়ার কাছে।
মঙ্গল মিয়ার দক্ষতাকে শুধু ‘মেকানিক’ শব্দটি দিয়ে প্রকাশ করা কঠিন। তাঁর হাত যেন এক জাদুকরের স্পর্শ পেয়েছে। তিনি শুধু হাতের স্পর্শেই নোটের আকার-প্রকৃতি বুঝে নির্ভুলভাবে টাকার পরিমাণ বলে দিতে পারেন। একবার শুনে নেওয়া যেকোনো ফোন নম্বর তিনি মুখস্থ রাখেন নিখুঁতভাবে। স্থানীয়রা তাঁকে শুধু একজন দক্ষ মেকানিক হিসেবে নয়, বরং একজন ‘দৃষ্টিমান হৃদয়’-এর মানুষ হিসেবে দেখেন। বহু দূরদূরান্ত থেকেও মানুষ ছুটে আসে তাঁর কাছে, কারণ তারা জানেন—মঙ্গল মিয়ার হাতে কাজ দিলে নিশ্চিন্ত থাকা যায়।

নিজের দীর্ঘ লড়াইয়ের গল্প বলতে গিয়ে মঙ্গল মিয়া জানান এক আশ্চর্য পথচলার কথা। তিনি বলেন, ‘প্রায় ৩৫ বছর হলো আমি চোখে দেখি না। ছোটবেলায় সাইকেল সারানোর কাজটা শিখেছিলাম। পরে নিজের চেষ্টায় শ্যালো মেশিন ও পাওয়ার টিলার মেরামতের কাজও রপ্ত করি। একটা সময় তো বিদ্যুতের কাজও করতাম।’
এই স্বশিক্ষিত কারিগর একা একাই জীবনের সমস্ত কাজ করে চলেন। মঙ্গল মিয়ার জীবন আমাদের এক চরম সত্যের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়—শারীরিক সীমাবদ্ধতা জীবনের বোঝা নয়, বরং ইচ্ছাশক্তির সামনে তা নতজানু হতে বাধ্য। চুয়াডাঙ্গার এই অদম্য মানুষটি তাঁর হাতের স্পর্শ, কঠোর পরিশ্রম আর অটুট মনোবল দিয়ে কেবল মেশিন নয়, মেরামত করে চলেছেন মানুষের জীবনবোধকেও। মঙ্গল মিয়া প্রমাণ করলেন—ইচ্ছা থাকলে অন্ধত্বও কোনো বাধা নয়, এটি বরং হাজারো মানুষের জন্য এক প্রেরণার উৎস হতে পারে। তিনি চোখে না দেখেও স্বনির্ভরতার যে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন, তা বাংলাদেশের হাজারো সংগ্রামীর পথকে আলোকিত করে তুলবে।

গ্রামবাংলার চিরায়ত উৎসব নবান্নকে ঘিরে এখন গ্রামীণ জনপদে চলছে সাজ সাজ রব। নতুন ধান তুলতে হবে ঘরে। আর সেই ধানের চাল দিয়ে তৈরি ক্ষীর-পায়েস প্রিয়জনদের মুখে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে কৃষক খুঁজে পায় বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজে ফসল আবাদের সার্থকতা।
১১ নভেম্বর ২০২৪
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর পার হতে না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় দুই কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের বারান্দা, সিঁড়ি, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল ধরায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিম্নমানের নির্ম
৩৮ মিনিট আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ভারত সীমান্তঘেঁষা গ্রাম ভবানীপুর। স্বাধীনতার অর্ধশতক পেরিয়ে আজও এই জনপদ পিছিয়ে আছে অন্ধকারে। এখানকার কয়েক হাজার মানুষের জীবন যেন দুর্গম যাতায়াতে আটকা—নেই কোনো পাকা সড়ক, নেই স্থায়ী সেতু।
১ ঘণ্টা আগে
তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
৭ ঘণ্টা আগেশিপুল ইসলাম, রংপুর প্রতিনিধি

তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
রংপুরের তারাগঞ্জের কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর গ্রামে রূপলালের বাড়িতে গতকাল সকাল থেকে চলছে ব্যস্ততা। সড়কে রঙিন গেট, উঠানে বাঁশের মাচা, মণ্ডপ, রঙিন কাপড়ের প্যান্ডেল, ধোঁয়া উঠছে রান্নার হাঁড়ি থেকে। বাইরে থেকে দেখলে মনে হয়, আনন্দঘন উৎসব, কিন্তু একটু কাছে গেলে বোঝা যায়—উৎসবের ভেতর পরিবারের সদস্যদের মনে লুকিয়ে রয়েছে রূপলালকে হারানোর গভীর ব্যথা।
রূপলালের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গত ১০ আগস্ট রূপলালের বড় মেয়ে নুপুর রানীর বিয়ের দিন ঠিক করার কথা ছিল মিঠাপুকুর উপজেলার শ্যামপুর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে। এ জন্য ৯ আগস্ট মিঠাপুকুর থেকে নিজের ভ্যান চালিয়ে আত্মীয় রূপলাল দাসের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন ভাগনি জামাই প্রদীপ দাস। তারাগঞ্জ-কাজীরহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে ভ্যান চোর সন্দেহে তাঁদের দুজনকে থামান স্থানীয় কয়েকজন। এরপর সেখানে লোক জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে মব তৈরি করে রূপলাল দাস ও প্রদীপ দাসকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রূপলালের স্ত্রী হত্যা মামলা করলে পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
বাবার মৃত্যুর পর নুপুর রানীর বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। রূপলালকে হারিয়ে পুরো পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়ে। তবে রূপলালের পরিবার জানিয়েছে, মেয়ের বিয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক লাখ, তারাগঞ্জ হাটের ব্যবসায়ীরা ৭১ হাজার, উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ৭৫ হাজার, একটি সংগঠন থেকে এক লাখ টাকা টাকা পেয়েছে তারা। এ ছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন ব্যক্তি রূপলালের ছেলে জয় রবিদাস ও ছোট মেয়ে রুপার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন।
রূপলালের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ঘরের ভেতরে কনে নুপুর রবিদাস বসে আছেন বিয়ের শাড়িতে। মুখে বিয়ের সাজ, কিন্তু চোখ দুটো লাল। পাশে মা ভারতী রানী নীরবে অতিথি আপ্যায়নের প্রস্তুতি সামলাচ্ছেন।

তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
রংপুরের তারাগঞ্জের কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর গ্রামে রূপলালের বাড়িতে গতকাল সকাল থেকে চলছে ব্যস্ততা। সড়কে রঙিন গেট, উঠানে বাঁশের মাচা, মণ্ডপ, রঙিন কাপড়ের প্যান্ডেল, ধোঁয়া উঠছে রান্নার হাঁড়ি থেকে। বাইরে থেকে দেখলে মনে হয়, আনন্দঘন উৎসব, কিন্তু একটু কাছে গেলে বোঝা যায়—উৎসবের ভেতর পরিবারের সদস্যদের মনে লুকিয়ে রয়েছে রূপলালকে হারানোর গভীর ব্যথা।
রূপলালের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গত ১০ আগস্ট রূপলালের বড় মেয়ে নুপুর রানীর বিয়ের দিন ঠিক করার কথা ছিল মিঠাপুকুর উপজেলার শ্যামপুর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে। এ জন্য ৯ আগস্ট মিঠাপুকুর থেকে নিজের ভ্যান চালিয়ে আত্মীয় রূপলাল দাসের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন ভাগনি জামাই প্রদীপ দাস। তারাগঞ্জ-কাজীরহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে ভ্যান চোর সন্দেহে তাঁদের দুজনকে থামান স্থানীয় কয়েকজন। এরপর সেখানে লোক জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে মব তৈরি করে রূপলাল দাস ও প্রদীপ দাসকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রূপলালের স্ত্রী হত্যা মামলা করলে পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
বাবার মৃত্যুর পর নুপুর রানীর বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। রূপলালকে হারিয়ে পুরো পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়ে। তবে রূপলালের পরিবার জানিয়েছে, মেয়ের বিয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক লাখ, তারাগঞ্জ হাটের ব্যবসায়ীরা ৭১ হাজার, উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ৭৫ হাজার, একটি সংগঠন থেকে এক লাখ টাকা টাকা পেয়েছে তারা। এ ছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন ব্যক্তি রূপলালের ছেলে জয় রবিদাস ও ছোট মেয়ে রুপার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন।
রূপলালের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ঘরের ভেতরে কনে নুপুর রবিদাস বসে আছেন বিয়ের শাড়িতে। মুখে বিয়ের সাজ, কিন্তু চোখ দুটো লাল। পাশে মা ভারতী রানী নীরবে অতিথি আপ্যায়নের প্রস্তুতি সামলাচ্ছেন।

গ্রামবাংলার চিরায়ত উৎসব নবান্নকে ঘিরে এখন গ্রামীণ জনপদে চলছে সাজ সাজ রব। নতুন ধান তুলতে হবে ঘরে। আর সেই ধানের চাল দিয়ে তৈরি ক্ষীর-পায়েস প্রিয়জনদের মুখে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে কৃষক খুঁজে পায় বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজে ফসল আবাদের সার্থকতা।
১১ নভেম্বর ২০২৪
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর পার হতে না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় দুই কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের বারান্দা, সিঁড়ি, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল ধরায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিম্নমানের নির্ম
৩৮ মিনিট আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ভারত সীমান্তঘেঁষা গ্রাম ভবানীপুর। স্বাধীনতার অর্ধশতক পেরিয়ে আজও এই জনপদ পিছিয়ে আছে অন্ধকারে। এখানকার কয়েক হাজার মানুষের জীবন যেন দুর্গম যাতায়াতে আটকা—নেই কোনো পাকা সড়ক, নেই স্থায়ী সেতু।
১ ঘণ্টা আগে
যেখানে জীবনের ছোটখাটো প্রতিবন্ধকতাকেও অনেকে ব্যর্থতার অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেন, সেখানে কিছু মানুষ নিঃশব্দে এক মহাকাব্য রচনা করে চলেন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল মিয়া সেই বিরল মানুষদের একজন—অন্ধত্বের বাধা ডিঙিয়ে যিনি দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছেন জীবন সংসারে।
১ ঘণ্টা আগে