Ajker Patrika

কর্মী সম্মেলনে বিএনপির দুই পক্ষের মারামারি

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্মেলনে দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্মেলনে দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্মেলনে দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়িসহ মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে বাগাট ইউনিয়নের বাগাট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পার্শ্ববর্তী ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক আটকে বিক্ষোভ করে একটি পক্ষ। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে সড়কটিতে।

জানা গেছে, মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন নিয়ে মধুখালী উপজেলা বিএনপির দুই নেতার পক্ষে বিভক্ত। এর এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী কৃষক দলের সহসভাপতি ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। অপর অংশের নেতৃত্ব দেন একই আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতারা তাঁদের সমর্থকদের নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। ওই সময় শামসুদ্দিন মিয়ার সমর্থকেরা বাগাট ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (বহিষ্কৃত) মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আকবর আলী শেখ ঝন্টুর নেতৃত্বে একটি মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে এলে খন্দকার নাসিরুলের সমর্থকেরা তাঁদের বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে শামসুদ্দিন মিয়ার সমর্থকদের তাড়িয়ে দেওয়া হলে তাঁরা সড়ক আটকে মিছিল করেন।

বিএনপি নেতা আকবর আলী শেখ বলেন, ‘আমরা সম্মেলনস্থলে যাওয়ামাত্রই নাসিরের সমর্থক ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শেখ সাইদুর রহমান ঝটুর ভাই খোকন শেখ আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে ৷ এতে আমাদের গ্রুপের অনেকে আহত হয় এবং ছয়জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মধুখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রাকিব হোসেন বলেন, সম্মেলনের শুরুতে একটু ঝামেলা হয়েছিল। মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। তবে তা দ্রুতই মিটে যায় এবং সম্মেলন নির্বিঘ্নে শেষ হয়।

এ বিষয়ে মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম নূরুজ্জামান বলেন, ‘বাগাটে বিএনপির কর্মী সম্মেলনে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। তবে কেউ আহত হয়েছে—এমন খবর পাইনি। কিছু সময়ের জন্য মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে হাতাহাতির খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরে বিএনপির কর্মী সম্মেলন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত