ক্লাবের দুই ভবন প্রকল্প
তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা

সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার্স ক্লাব। রাজধানীর বেইলি রোডে এই ক্লাবের জন্য রাষ্ট্রের ৪২৩ কোটির বেশি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হচ্ছে দুটি অত্যাধুনিক ভবন। একটি ক্লাবের জন্য শত শত কোটি টাকার সরকারি প্রকল্প কীভাবে অনুমোদন হলো, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।
এই প্রকল্পে তিনটি সুইমিংপুল ও আনুষঙ্গিক উপকরণের জন্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা, ১৪৫০ টন এসির জন্য ২৪ কোটি টাকা, বিদেশি ফার্নিচারের (আসবাব) জন্য ৭ কোটি টাকা খরচের হিসাব অনেকেই অস্বাভাবিক মনে করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে ধরনের ফার্নিচার কেনার দরকার, তা দেশে পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে দরপত্রে বিদেশি ফার্নিচারের শর্ত দেওয়া হয়েছে। বড় কথা হলো, সবকিছু আমাদের হাতে না। যাদের জন্য কাজ করা হয়, তাদের চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘অনেক কিছু আছে, যা স্থাপত্য অধিদপ্তরের বিষয়। আমরা কাজ করি; বাস্তবায়ন করি। এটি সরকারি প্রতিষ্ঠান না, এটা সত্য। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, আমরা শুধু কাজ করছি।’
বেসরকারি ক্লাবে ৪২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ: ৪২৩ কোটি ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকার মধ্যে প্রায় ২৬৫ কোটি টাকার বিল দেওয়া হয়েছে। সেখানে ট্রিপল বেসমেন্টসহ ১২ তলা ভবনের জন্য ব্যয় হয়েছে ১৬৪ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, আরেকটি ট্রিপল বেসমেন্টসহ ১২ তলা ভবন নির্মাণে ১৩০ কোটি ৯১ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। দুটি আলাদা ভবনকে যুক্ত করা হচ্ছে একটি কমপ্লেক্স হিসেবে। এ ছাড়া ৯টি লিফটের জন্য ১৯ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ সাবস্টেশনে ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, সিকিউরিটি লাইট ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, সিসিটিভি ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা, সাউন্ড সিস্টেম ও স্টেজ লাইট ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা, সিনেপ্লেক্সে ৩ কোটি টাকা ও ডিজিটাল ডিসপ্লের জন্য ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা খরচ করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পের অর্থ ছাড়াও সারা বছর এ ক্লাবের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করা হয়। বেসরকারি অন্য কোনো ক্লাব এ রকম খরচ পায় না।
প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (নগর বিভাগ) আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অফিসার্স ক্লাব প্রকল্পের সার্বিক দিকে অগ্রগতি ৮০ শতাংশের মতো। পদ্মা কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে এ প্রকল্পটির কাজ চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।’
একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেসরকারি ক্লাবের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে মোটা অঙ্কের টাকা খরচের নজির খুব কম। বড় আকারের এ প্রকল্প যখন হাতে নেওয়া হয়, তখন অনুমোদনের প্রতিটি স্তরেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু বিগত সরকারের প্রভাবশালী দুই আমলার দাপটে কেউ তা আটকাতে পারেনি। সেই দুজন হলেন, সাবেক মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং সাবেক সচিব ও অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন। চেষ্টা করেও এ ব্যাপারে ওই দুই সাবেক কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কারণ ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া আত্মগোপনে। আর মেজবাহ উদ্দিন হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন শ্রমিক মূল ভবন নির্মাণের কাজ করছেন। চলছে লিফট ও এসি স্থাপনের কাজও।
সুইমিংপুল-জ্যাকুজিতে ৩০ কোটি টাকা: অফিসার্স ক্লাবের নতুন প্রকল্পে মোট তিনটি সুইমিংপুল রয়েছে। এসব সুইমিংপুলের জন্য দুভাবে কমবেশি ৩০ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। এর মধ্যে জ্যাকুজি, স্টিম বাথ ও সনার জন্য ৭ কোটি ৯৮ লাখ ২১ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আরেকটি অংশে সুইমিংপুল, চেঞ্জিং রুম, সনা রুম, জ্যাকুজি, স্টিম বাথ, সেলুন, জিমনেশিয়াম, টেবিল টেনিসসহ ৩০ ফুট উচ্চতার স্টিল ভবনের জন্য খরচ করা হচ্ছে ২২ কোটি ৫৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা। তিনটি সুইমিংপুলের মধ্যে একটি পুরুষ, একটি মহিলা ও একটি শিশুদের জন্য। নতুন বহুতল ভবনের ছাদে গড়া হচ্ছে ৮২ ফুট দৈর্ঘ্যের সুইমিংপুল। এটি এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় সুইমিংপুল বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
১৪৫০ টনের এসি কিনতে খরচ ২৪ কোটি: এ প্রকল্পে বহুতল ভবনের জন্য কেনা হচ্ছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি)। ১৪৫০ টনের এ কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের মধ্যে ১ হাজার টন চিলার সিস্টেম এবং ৪৫০ টন ভিআরএফ। এ ভারী এসি চালাতে প্রয়োজন হবে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের। এসব এসি কিনতে সরকারি কোষাগার থেকে গুনতে হচ্ছে ২৪ কোটি টাকা।
৭ কোটি টাকার বিদেশি ফার্নিচার: দেশের ডলার-সংকট মোকাবিলায় যেখানে সরকারি খরচে বিদেশ ভ্রমণসহ নানা বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে, সেখানে ৭ কোটি টাকার বিদেশি ফার্নিচার কিনছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। আর এ জন্য দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে পাশ কাটাতে অভিনব শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। অফিসার্স ক্লাবের অডিটরিয়ামের জন্য কেনা হচ্ছে এসব ফার্নিচার। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ফার্নিচার কেনাকাটার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।
ফার্নিচার কেনাকাটার দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর ও স্থাপত্য বিভাগ থেকে যেভাবে বলা হচ্ছে সেভাবেই ফার্নিচার কেনা হচ্ছে। তাঁরা বলতে পারবেন বিস্তারিত।’
৪ শতাধিক কোটি টাকার এই বিলাসবহুল প্রকল্পের বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. হামিদুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ প্রকল্প আগে থেকেই সরকার অনুমোদন করে রেখেছে। এখন সেটা চলমান। আমরা চাইলেই অর্থছাড় বন্ধ করতে পারি না। তবে অস্বাভাবিক মূল্যে বিদেশি ফার্নিচার ক্রয়সহ অন্যান্য বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’

সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার্স ক্লাব। রাজধানীর বেইলি রোডে এই ক্লাবের জন্য রাষ্ট্রের ৪২৩ কোটির বেশি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হচ্ছে দুটি অত্যাধুনিক ভবন। একটি ক্লাবের জন্য শত শত কোটি টাকার সরকারি প্রকল্প কীভাবে অনুমোদন হলো, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।
এই প্রকল্পে তিনটি সুইমিংপুল ও আনুষঙ্গিক উপকরণের জন্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা, ১৪৫০ টন এসির জন্য ২৪ কোটি টাকা, বিদেশি ফার্নিচারের (আসবাব) জন্য ৭ কোটি টাকা খরচের হিসাব অনেকেই অস্বাভাবিক মনে করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে ধরনের ফার্নিচার কেনার দরকার, তা দেশে পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে দরপত্রে বিদেশি ফার্নিচারের শর্ত দেওয়া হয়েছে। বড় কথা হলো, সবকিছু আমাদের হাতে না। যাদের জন্য কাজ করা হয়, তাদের চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘অনেক কিছু আছে, যা স্থাপত্য অধিদপ্তরের বিষয়। আমরা কাজ করি; বাস্তবায়ন করি। এটি সরকারি প্রতিষ্ঠান না, এটা সত্য। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, আমরা শুধু কাজ করছি।’
বেসরকারি ক্লাবে ৪২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ: ৪২৩ কোটি ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকার মধ্যে প্রায় ২৬৫ কোটি টাকার বিল দেওয়া হয়েছে। সেখানে ট্রিপল বেসমেন্টসহ ১২ তলা ভবনের জন্য ব্যয় হয়েছে ১৬৪ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, আরেকটি ট্রিপল বেসমেন্টসহ ১২ তলা ভবন নির্মাণে ১৩০ কোটি ৯১ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। দুটি আলাদা ভবনকে যুক্ত করা হচ্ছে একটি কমপ্লেক্স হিসেবে। এ ছাড়া ৯টি লিফটের জন্য ১৯ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ সাবস্টেশনে ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, সিকিউরিটি লাইট ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, সিসিটিভি ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা, সাউন্ড সিস্টেম ও স্টেজ লাইট ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা, সিনেপ্লেক্সে ৩ কোটি টাকা ও ডিজিটাল ডিসপ্লের জন্য ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা খরচ করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পের অর্থ ছাড়াও সারা বছর এ ক্লাবের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করা হয়। বেসরকারি অন্য কোনো ক্লাব এ রকম খরচ পায় না।
প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (নগর বিভাগ) আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অফিসার্স ক্লাব প্রকল্পের সার্বিক দিকে অগ্রগতি ৮০ শতাংশের মতো। পদ্মা কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে এ প্রকল্পটির কাজ চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।’
একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেসরকারি ক্লাবের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে মোটা অঙ্কের টাকা খরচের নজির খুব কম। বড় আকারের এ প্রকল্প যখন হাতে নেওয়া হয়, তখন অনুমোদনের প্রতিটি স্তরেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু বিগত সরকারের প্রভাবশালী দুই আমলার দাপটে কেউ তা আটকাতে পারেনি। সেই দুজন হলেন, সাবেক মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং সাবেক সচিব ও অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন। চেষ্টা করেও এ ব্যাপারে ওই দুই সাবেক কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কারণ ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া আত্মগোপনে। আর মেজবাহ উদ্দিন হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন শ্রমিক মূল ভবন নির্মাণের কাজ করছেন। চলছে লিফট ও এসি স্থাপনের কাজও।
সুইমিংপুল-জ্যাকুজিতে ৩০ কোটি টাকা: অফিসার্স ক্লাবের নতুন প্রকল্পে মোট তিনটি সুইমিংপুল রয়েছে। এসব সুইমিংপুলের জন্য দুভাবে কমবেশি ৩০ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। এর মধ্যে জ্যাকুজি, স্টিম বাথ ও সনার জন্য ৭ কোটি ৯৮ লাখ ২১ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আরেকটি অংশে সুইমিংপুল, চেঞ্জিং রুম, সনা রুম, জ্যাকুজি, স্টিম বাথ, সেলুন, জিমনেশিয়াম, টেবিল টেনিসসহ ৩০ ফুট উচ্চতার স্টিল ভবনের জন্য খরচ করা হচ্ছে ২২ কোটি ৫৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা। তিনটি সুইমিংপুলের মধ্যে একটি পুরুষ, একটি মহিলা ও একটি শিশুদের জন্য। নতুন বহুতল ভবনের ছাদে গড়া হচ্ছে ৮২ ফুট দৈর্ঘ্যের সুইমিংপুল। এটি এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় সুইমিংপুল বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
১৪৫০ টনের এসি কিনতে খরচ ২৪ কোটি: এ প্রকল্পে বহুতল ভবনের জন্য কেনা হচ্ছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি)। ১৪৫০ টনের এ কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের মধ্যে ১ হাজার টন চিলার সিস্টেম এবং ৪৫০ টন ভিআরএফ। এ ভারী এসি চালাতে প্রয়োজন হবে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের। এসব এসি কিনতে সরকারি কোষাগার থেকে গুনতে হচ্ছে ২৪ কোটি টাকা।
৭ কোটি টাকার বিদেশি ফার্নিচার: দেশের ডলার-সংকট মোকাবিলায় যেখানে সরকারি খরচে বিদেশ ভ্রমণসহ নানা বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে, সেখানে ৭ কোটি টাকার বিদেশি ফার্নিচার কিনছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। আর এ জন্য দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে পাশ কাটাতে অভিনব শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। অফিসার্স ক্লাবের অডিটরিয়ামের জন্য কেনা হচ্ছে এসব ফার্নিচার। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ফার্নিচার কেনাকাটার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।
ফার্নিচার কেনাকাটার দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর ও স্থাপত্য বিভাগ থেকে যেভাবে বলা হচ্ছে সেভাবেই ফার্নিচার কেনা হচ্ছে। তাঁরা বলতে পারবেন বিস্তারিত।’
৪ শতাধিক কোটি টাকার এই বিলাসবহুল প্রকল্পের বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. হামিদুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ প্রকল্প আগে থেকেই সরকার অনুমোদন করে রেখেছে। এখন সেটা চলমান। আমরা চাইলেই অর্থছাড় বন্ধ করতে পারি না। তবে অস্বাভাবিক মূল্যে বিদেশি ফার্নিচার ক্রয়সহ অন্যান্য বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৩ জন সহকারী শিক্ষকের বেতন হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত এসব সহকারী শিক্ষক ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা পান।
১ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানা এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মো. আকবর (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে থানার মাইজপাড়া এলাকায় ভুক্তভোগী ব্যক্তির বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আকবর ওই এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে।
২৫ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ায় অঙ্ক না পারায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
৪১ মিনিট আগে
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের কম্পাউন্ডে জব্দ করা জাটকা নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা ও ‘হরিলুটের’ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে শত শত মানুষ কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে জব্দ করা জাটকা লুট করে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ঘটনাস্থলে থাকা চারজন আনসার সদস্য।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৩ জন সহকারী শিক্ষকের বেতন হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত এসব সহকারী শিক্ষক ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা পান। এরপর ২০১৮ ও ২০১৯ সাল থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাঁদের প্রথম উচ্চতর গ্রেড প্রদান করেন। দীর্ঘদিন ধরে সেই সুবিধা ভোগ করলেও পূর্বঘোষণা বা লিখিত নির্দেশনা ছাড়াই অক্টোবর মাসের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, চলতি বছরের ২০ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি পরিপত্রের আলোকে মুন্সিগঞ্জ হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর মেহেদী হাসান শরীফ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে জানান, এসব শিক্ষকের উচ্চতর গ্রেড বাতিল হতে পারে। এরপর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস উপজেলা শিক্ষা অফিসকে বেতন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। এই ঘটনায় একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, তাঁদের সঙ্গে এই বিষয়ে কোনো আলোচনা বা লিখিত নোটিশ দেওয়া হয়নি।
সদরের নৈরপুকুরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা হঠাৎ দেখি বেতন বন্ধ। জানতে শিক্ষা অফিসে গেলে বলা হয় জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের নির্দেশ এসেছে। কিন্তু সেই চিঠি কেউ আমাদের দেখাতে পারেনি।’
একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, বেতন বন্ধের বিষয়ে জানতে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে গেলে সেখানে দায়িত্বে থাকা অডিটর অফিসার মেহেদী হাসান শরীফ তাঁদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
শিক্ষকেরা দাবি করেছেন, ওই কর্মকর্তা তাঁদের ‘অকথ্য ভাষায় গালাগাল’ করেন এবং অফিসে প্রবেশের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
শিক্ষকেরা এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, কোনো ভুল থাকলে তা যাচাই করে সংশোধন করা হোক, কিন্তু একযোগে বেতন বন্ধ রাখা অযৌক্তিক ও মানবিকভাবে অন্যায়।
জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিট অফিসার অভিযুক্ত মেহেদী হাসান শরীফ বলেন, ‘শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও গালাগালি করার দাবি মিথ্যা। তাঁরা উল্টো ২০-২৫ জন নিয়ে এসে আমাকে হুমকি দিয়েছেন। তাঁদের বেতন আটকে রাখা হয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিসের চিঠির কারণে।’
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন মিঞা বলেন, ‘জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের লিখিত চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষকদের বেতন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্রেড উন্নীতকরণ সমস্যায় বেতন আটকে গেছে তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। ১০-১৫ দিন লাগবে। এরপর ওই শিক্ষকেরা আগের গ্রেডে নিয়মিত বেতন পাবেন।’

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৩ জন সহকারী শিক্ষকের বেতন হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত এসব সহকারী শিক্ষক ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা পান। এরপর ২০১৮ ও ২০১৯ সাল থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাঁদের প্রথম উচ্চতর গ্রেড প্রদান করেন। দীর্ঘদিন ধরে সেই সুবিধা ভোগ করলেও পূর্বঘোষণা বা লিখিত নির্দেশনা ছাড়াই অক্টোবর মাসের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, চলতি বছরের ২০ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি পরিপত্রের আলোকে মুন্সিগঞ্জ হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর মেহেদী হাসান শরীফ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে জানান, এসব শিক্ষকের উচ্চতর গ্রেড বাতিল হতে পারে। এরপর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস উপজেলা শিক্ষা অফিসকে বেতন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। এই ঘটনায় একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, তাঁদের সঙ্গে এই বিষয়ে কোনো আলোচনা বা লিখিত নোটিশ দেওয়া হয়নি।
সদরের নৈরপুকুরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা হঠাৎ দেখি বেতন বন্ধ। জানতে শিক্ষা অফিসে গেলে বলা হয় জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের নির্দেশ এসেছে। কিন্তু সেই চিঠি কেউ আমাদের দেখাতে পারেনি।’
একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, বেতন বন্ধের বিষয়ে জানতে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে গেলে সেখানে দায়িত্বে থাকা অডিটর অফিসার মেহেদী হাসান শরীফ তাঁদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
শিক্ষকেরা দাবি করেছেন, ওই কর্মকর্তা তাঁদের ‘অকথ্য ভাষায় গালাগাল’ করেন এবং অফিসে প্রবেশের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
শিক্ষকেরা এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, কোনো ভুল থাকলে তা যাচাই করে সংশোধন করা হোক, কিন্তু একযোগে বেতন বন্ধ রাখা অযৌক্তিক ও মানবিকভাবে অন্যায়।
জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিট অফিসার অভিযুক্ত মেহেদী হাসান শরীফ বলেন, ‘শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও গালাগালি করার দাবি মিথ্যা। তাঁরা উল্টো ২০-২৫ জন নিয়ে এসে আমাকে হুমকি দিয়েছেন। তাঁদের বেতন আটকে রাখা হয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিসের চিঠির কারণে।’
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন মিঞা বলেন, ‘জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের লিখিত চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষকদের বেতন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্রেড উন্নীতকরণ সমস্যায় বেতন আটকে গেছে তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। ১০-১৫ দিন লাগবে। এরপর ওই শিক্ষকেরা আগের গ্রেডে নিয়মিত বেতন পাবেন।’

সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার্স ক্লাব। রাজধানীর বেইলি রোডে এই ক্লাবের জন্য রাষ্ট্রের ৪২৩ কোটির বেশি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হচ্ছে দুটি অত্যাধুনিক ভবন। একটি ক্লাবের জন্য শত শত কোটি টাকার সরকারি প্রকল্প কীভাবে অনুমোদন হলো, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানা এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মো. আকবর (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে থানার মাইজপাড়া এলাকায় ভুক্তভোগী ব্যক্তির বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আকবর ওই এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে।
২৫ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ায় অঙ্ক না পারায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
৪১ মিনিট আগে
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের কম্পাউন্ডে জব্দ করা জাটকা নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা ও ‘হরিলুটের’ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে শত শত মানুষ কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে জব্দ করা জাটকা লুট করে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ঘটনাস্থলে থাকা চারজন আনসার সদস্য।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানা এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মো. আকবর (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে থানার মাইজপাড়া এলাকায় ভুক্তভোগী ব্যত্তির বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আকবর ওই এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে।
হালিশহর থানা-পুলিশ জানায়, বাড়ির সামনে আকবরকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। ছুরিকাঘাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে স্বজনেরা তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান।
এই বিষয়ে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক জানান, ছুরিকাহত যুবককে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর চমেক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহত ব্যক্তির স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করার কথাও জানান তিনি।

চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানা এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মো. আকবর (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে থানার মাইজপাড়া এলাকায় ভুক্তভোগী ব্যত্তির বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আকবর ওই এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে।
হালিশহর থানা-পুলিশ জানায়, বাড়ির সামনে আকবরকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। ছুরিকাঘাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে স্বজনেরা তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান।
এই বিষয়ে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক জানান, ছুরিকাহত যুবককে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর চমেক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহত ব্যক্তির স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করার কথাও জানান তিনি।

সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার্স ক্লাব। রাজধানীর বেইলি রোডে এই ক্লাবের জন্য রাষ্ট্রের ৪২৩ কোটির বেশি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হচ্ছে দুটি অত্যাধুনিক ভবন। একটি ক্লাবের জন্য শত শত কোটি টাকার সরকারি প্রকল্প কীভাবে অনুমোদন হলো, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৩ জন সহকারী শিক্ষকের বেতন হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত এসব সহকারী শিক্ষক ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা পান।
১ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ায় অঙ্ক না পারায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
৪১ মিনিট আগে
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের কম্পাউন্ডে জব্দ করা জাটকা নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা ও ‘হরিলুটের’ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে শত শত মানুষ কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে জব্দ করা জাটকা লুট করে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ঘটনাস্থলে থাকা চারজন আনসার সদস্য।
১ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর হাতিয়ায় অঙ্ক না পারায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চরচেঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা যায়, চরচেঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে গণিতের ক্লাস চলাকালে অঙ্ক না পারায় সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম মারধর করেন। এতে এই ছাত্রী শ্রেণিকক্ষেই অচেতন হয়ে পড়ে। সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে ক্লাসে অঙ্ক না পারায় শিক্ষক রেজাউল করিম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করেন। বেত্রাঘাতে তার মেরুদণ্ডে আঘাত পায়। অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনো সে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারে না।’
এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিমান চন্দ্র আশ্চর্য জানান, ‘সে হঠাৎ হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। শরীরের কোনো একটা অংশে মারাত্মক আঘাত পাওয়ায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাতিয়ার বাইরে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, ‘অঙ্ক না পারায় তাকে পিঠে একটি থাপ্পড় দিয়েছি। এই আঘাতের কারণে সে অসুস্থ হওয়ার কথা না। এরপরও সে অসুস্থ হওয়ায় আমরা তাকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি। ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

নোয়াখালীর হাতিয়ায় অঙ্ক না পারায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চরচেঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা যায়, চরচেঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে গণিতের ক্লাস চলাকালে অঙ্ক না পারায় সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম মারধর করেন। এতে এই ছাত্রী শ্রেণিকক্ষেই অচেতন হয়ে পড়ে। সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে ক্লাসে অঙ্ক না পারায় শিক্ষক রেজাউল করিম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করেন। বেত্রাঘাতে তার মেরুদণ্ডে আঘাত পায়। অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনো সে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারে না।’
এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিমান চন্দ্র আশ্চর্য জানান, ‘সে হঠাৎ হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। শরীরের কোনো একটা অংশে মারাত্মক আঘাত পাওয়ায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাতিয়ার বাইরে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, ‘অঙ্ক না পারায় তাকে পিঠে একটি থাপ্পড় দিয়েছি। এই আঘাতের কারণে সে অসুস্থ হওয়ার কথা না। এরপরও সে অসুস্থ হওয়ায় আমরা তাকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি। ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার্স ক্লাব। রাজধানীর বেইলি রোডে এই ক্লাবের জন্য রাষ্ট্রের ৪২৩ কোটির বেশি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হচ্ছে দুটি অত্যাধুনিক ভবন। একটি ক্লাবের জন্য শত শত কোটি টাকার সরকারি প্রকল্প কীভাবে অনুমোদন হলো, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৩ জন সহকারী শিক্ষকের বেতন হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত এসব সহকারী শিক্ষক ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা পান।
১ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানা এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মো. আকবর (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে থানার মাইজপাড়া এলাকায় ভুক্তভোগী ব্যক্তির বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আকবর ওই এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে।
২৫ মিনিট আগে
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের কম্পাউন্ডে জব্দ করা জাটকা নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা ও ‘হরিলুটের’ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে শত শত মানুষ কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে জব্দ করা জাটকা লুট করে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ঘটনাস্থলে থাকা চারজন আনসার সদস্য।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের কম্পাউন্ডে জব্দ করা জাটকা মাছ নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা ও ‘হরিলুটের’ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে শত শত মানুষ কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে জব্দ করা জাটকা লুট করে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ঘটনাস্থলে থাকা চারজন আনসার সদস্য।
জাটকা বিতরণের সময় মৎস্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কার্টন সরিয়ে রেখে অল্প কিছু মাছ বিতরণের অভিযোগ উঠলে হট্টগোল শুরু হয়। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সেখানে চরম বিশৃঙ্খলা চলতে থাকে।
সরেজমিনে গতকাল রাত ৯টার দিকে দেখা যায়, গ্যারেজের পাশে মৎস্য অফিসের কয়েকজন স্টাফকে অন্তত তিনটি জাটকাভর্তি কার্টন ধরে রাখতে দেখা যায়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা একটি কার্টনভর্তি জাটকা লুট করে নিয়ে যায়। লুটের সময় অনেক নারীকে দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
ঘটনাস্থলে থাকা একাধিক নারী অভিযোগ করেন, কর্মকর্তারা প্রতারণা করেছেন। তাঁরা সব মাছ নিজেদের জন্য সরিয়ে রেখে অল্প কিছু অফিসের সামনে রেখে গেট খুলে দেন। এরপর শত শত সাধারণ মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
আমিন হাওলাদার নামের একজন বলেন, মাছ ছিল ১০-১২ কার্টন। কিন্তু একটি কার্টনের মাছ বণ্টন করতে গেট খুলে দিলে হরিলুট চলে। তাদের থামাতে আনসাররা চেষ্টা করেও পারেননি।
নীহারিকা মণ্ডল নামের এক গৃহিণী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘একটা জাটকাও পাইনি। সব লুট হয়েছে। স্যাররা পেছনে কার্টন ভর্তি করে রেখেছে।’ মহসীন মিয়া নামে শেরেবাংলা সড়কের এক যুবক বলেন, ‘কয়েকটি মাদ্রাসার লোকজনকে বস্তা ভরে জাটকা দিয়েছে। কিন্তু গরিবেরা দাঁড়িয়ে থেকেও পায়নি।’
এ বিষয়ে জানতে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. কামরুল হাসানকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি অভিযান পরিচালনা করতে নিষেধ করেছিলাম। তারপরও সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসানের নেতৃত্বে অফিসের সামনেই বাস থামিয়ে অভিযান চালানো হয় এবং বেশ কিছু মাছ উদ্ধার করা হয়।’ তবে কী পরিমাণ মাছ উদ্ধার হয়েছিল, তা তিনি জানাতে পারেননি।
রিপন কান্তি স্বীকার করেন, ‘দুস্থদের মধ্যে বিতরণকালে কিছু মাছ লোকজন লুট করেছে। সেখানে চারজন আনসার ছিল।’ তবে তার স্টাফরা মাছ সরিয়ে ফেলেছেন, এমন অভিযোগ মানতে নারাজ তিনি। তিনি বলেন, ‘যারা বলেছে, তারা গুজব ছড়িয়েছে। আমার স্টাফদের জাটকা নেওয়ার সুযোগ নেই।’

বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের কম্পাউন্ডে জব্দ করা জাটকা মাছ নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা ও ‘হরিলুটের’ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে শত শত মানুষ কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে জব্দ করা জাটকা লুট করে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ঘটনাস্থলে থাকা চারজন আনসার সদস্য।
জাটকা বিতরণের সময় মৎস্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কার্টন সরিয়ে রেখে অল্প কিছু মাছ বিতরণের অভিযোগ উঠলে হট্টগোল শুরু হয়। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সেখানে চরম বিশৃঙ্খলা চলতে থাকে।
সরেজমিনে গতকাল রাত ৯টার দিকে দেখা যায়, গ্যারেজের পাশে মৎস্য অফিসের কয়েকজন স্টাফকে অন্তত তিনটি জাটকাভর্তি কার্টন ধরে রাখতে দেখা যায়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা একটি কার্টনভর্তি জাটকা লুট করে নিয়ে যায়। লুটের সময় অনেক নারীকে দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
ঘটনাস্থলে থাকা একাধিক নারী অভিযোগ করেন, কর্মকর্তারা প্রতারণা করেছেন। তাঁরা সব মাছ নিজেদের জন্য সরিয়ে রেখে অল্প কিছু অফিসের সামনে রেখে গেট খুলে দেন। এরপর শত শত সাধারণ মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
আমিন হাওলাদার নামের একজন বলেন, মাছ ছিল ১০-১২ কার্টন। কিন্তু একটি কার্টনের মাছ বণ্টন করতে গেট খুলে দিলে হরিলুট চলে। তাদের থামাতে আনসাররা চেষ্টা করেও পারেননি।
নীহারিকা মণ্ডল নামের এক গৃহিণী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘একটা জাটকাও পাইনি। সব লুট হয়েছে। স্যাররা পেছনে কার্টন ভর্তি করে রেখেছে।’ মহসীন মিয়া নামে শেরেবাংলা সড়কের এক যুবক বলেন, ‘কয়েকটি মাদ্রাসার লোকজনকে বস্তা ভরে জাটকা দিয়েছে। কিন্তু গরিবেরা দাঁড়িয়ে থেকেও পায়নি।’
এ বিষয়ে জানতে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. কামরুল হাসানকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি অভিযান পরিচালনা করতে নিষেধ করেছিলাম। তারপরও সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসানের নেতৃত্বে অফিসের সামনেই বাস থামিয়ে অভিযান চালানো হয় এবং বেশ কিছু মাছ উদ্ধার করা হয়।’ তবে কী পরিমাণ মাছ উদ্ধার হয়েছিল, তা তিনি জানাতে পারেননি।
রিপন কান্তি স্বীকার করেন, ‘দুস্থদের মধ্যে বিতরণকালে কিছু মাছ লোকজন লুট করেছে। সেখানে চারজন আনসার ছিল।’ তবে তার স্টাফরা মাছ সরিয়ে ফেলেছেন, এমন অভিযোগ মানতে নারাজ তিনি। তিনি বলেন, ‘যারা বলেছে, তারা গুজব ছড়িয়েছে। আমার স্টাফদের জাটকা নেওয়ার সুযোগ নেই।’

সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার্স ক্লাব। রাজধানীর বেইলি রোডে এই ক্লাবের জন্য রাষ্ট্রের ৪২৩ কোটির বেশি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হচ্ছে দুটি অত্যাধুনিক ভবন। একটি ক্লাবের জন্য শত শত কোটি টাকার সরকারি প্রকল্প কীভাবে অনুমোদন হলো, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৩ জন সহকারী শিক্ষকের বেতন হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত এসব সহকারী শিক্ষক ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা পান।
১ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানা এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মো. আকবর (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে থানার মাইজপাড়া এলাকায় ভুক্তভোগী ব্যক্তির বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আকবর ওই এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে।
২৫ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ায় অঙ্ক না পারায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
৪১ মিনিট আগে