নিজস্ব প্রতিবেদক ও সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
অনেকটাই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে ঢাকার সাভার ও আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল। আজ শনিবার প্রায় সব পোশাক কারখানাই খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে কয়েকটি কারখানার ভেতরে শ্রমিকেরা হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, টিফিন বিল বৃদ্ধিসহ নানা দাবি জানাতে থাকেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আশপাশের ১৫টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
কয়েক দিন ধরে শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে পুরো শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ সারা দিন কোথায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আশুলিয়ার বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের দুই পাশের বিভিন্ন কারখানার সামনে পুলিশের কড়া নজরদারি দেখা যায়। সড়কে টহল দিচ্ছিলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা।
শিল্প পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল থেকেই শ্রমিকেরা কর্মস্থলে উপস্থিত হতে থাকেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব কারখানার শ্রমিকেরা কাজে যোগদান করেন। কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা ভেতরে ঢোকার পর কাজ না করে তাঁদের হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, টিফিন বিল বৃদ্ধিসহ নানা দাবি জানায়। পরে পরিস্থিতি বুঝে আশপাশের ১৫টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় পুলিশ তিন বহিরাগতকে আটক করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পোশাক কারখানার এক মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতা–কর্মী ঝুটের ব্যবসা দখলে নেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। এ ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক শ্রমিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে তাঁদের অযৌক্তিক দাবি আদায়ের চেষ্টা করেছেন। মূলত এই দুই কারণেই পোশাক কারখানায় অসন্তোষ দেখা দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের তাদের দাবি আদায়ের নামে উচ্ছৃঙ্খল করে তোলার পেছনে কোনো কোনো শ্রমিক সংগঠনের ইন্ধন থাকতে পারে। প্রতিটি কারখানাতেই বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি রয়েছে। কিন্তু তারা প্রকাশ্যে আসে না। যেসব কারখানায় গোলযোগ হয় প্রথমে তা ওই কারখানার ভেতরে কর্মরত বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনে প্রতিনিধিরা সাধারণ শ্রমিকদের ব্যানারে শুরু হয়। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের কারখানায়।’
শ্রমিক সংগঠনের নেতারা অবশ্য ওই মালিকের দাবি অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ‘শ্রমিকেরা বঞ্চনার শিকার হয়েই আন্দোলন করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁদের ইন্ধন দেওয়া হয় না।’
এ বিষয়ে শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১–এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ সকালে কারখানাগুলোতে কাজ শুরু হয় এবং পরিবেশ ছিল শান্তিপূর্ণ। কিন্তু কিছু কারখানায় মালিকদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় শ্রমিকেরা কাজ করেননি। পরে সেগুলো ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।’
মোহাম্মদ সারোয়ার আলম জানান, আজ কারখানার সামনে অবস্থানরত সন্দেহভাজন হিসেবে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
অনেকটাই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে ঢাকার সাভার ও আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল। আজ শনিবার প্রায় সব পোশাক কারখানাই খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে কয়েকটি কারখানার ভেতরে শ্রমিকেরা হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, টিফিন বিল বৃদ্ধিসহ নানা দাবি জানাতে থাকেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আশপাশের ১৫টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
কয়েক দিন ধরে শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে পুরো শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ সারা দিন কোথায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আশুলিয়ার বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের দুই পাশের বিভিন্ন কারখানার সামনে পুলিশের কড়া নজরদারি দেখা যায়। সড়কে টহল দিচ্ছিলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা।
শিল্প পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল থেকেই শ্রমিকেরা কর্মস্থলে উপস্থিত হতে থাকেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব কারখানার শ্রমিকেরা কাজে যোগদান করেন। কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা ভেতরে ঢোকার পর কাজ না করে তাঁদের হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, টিফিন বিল বৃদ্ধিসহ নানা দাবি জানায়। পরে পরিস্থিতি বুঝে আশপাশের ১৫টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় পুলিশ তিন বহিরাগতকে আটক করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পোশাক কারখানার এক মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতা–কর্মী ঝুটের ব্যবসা দখলে নেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। এ ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক শ্রমিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে তাঁদের অযৌক্তিক দাবি আদায়ের চেষ্টা করেছেন। মূলত এই দুই কারণেই পোশাক কারখানায় অসন্তোষ দেখা দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের তাদের দাবি আদায়ের নামে উচ্ছৃঙ্খল করে তোলার পেছনে কোনো কোনো শ্রমিক সংগঠনের ইন্ধন থাকতে পারে। প্রতিটি কারখানাতেই বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি রয়েছে। কিন্তু তারা প্রকাশ্যে আসে না। যেসব কারখানায় গোলযোগ হয় প্রথমে তা ওই কারখানার ভেতরে কর্মরত বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনে প্রতিনিধিরা সাধারণ শ্রমিকদের ব্যানারে শুরু হয়। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের কারখানায়।’
শ্রমিক সংগঠনের নেতারা অবশ্য ওই মালিকের দাবি অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ‘শ্রমিকেরা বঞ্চনার শিকার হয়েই আন্দোলন করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁদের ইন্ধন দেওয়া হয় না।’
এ বিষয়ে শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১–এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ সকালে কারখানাগুলোতে কাজ শুরু হয় এবং পরিবেশ ছিল শান্তিপূর্ণ। কিন্তু কিছু কারখানায় মালিকদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় শ্রমিকেরা কাজ করেননি। পরে সেগুলো ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।’
মোহাম্মদ সারোয়ার আলম জানান, আজ কারখানার সামনে অবস্থানরত সন্দেহভাজন হিসেবে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে