নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার মোস্তফা আসিফের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রধান মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব এ আদেশ দেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মামলার বাদী তাঁর মামলা প্রত্যাহারের জন্য থানায় আবেদন করেন। পরে বাদীর আবেদন আদালতে পাঠানো হয়। এ দিকে আসামিপক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে এক হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে ওই ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মোস্তফা আসিফকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। যৌন হয়রানি ও হেনস্তার শিকার ছাত্রী এ বিষয়ে প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেন এবং পরে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
এ দিকে মোস্তফা আসিফের মুক্তির দাবিতে বুধবার মধ্যরাতে শাহবাগ থানায় অন্তত আট ঘণ্টা অবস্থান নেন একদল ব্যক্তি। অবস্থানকালে তাঁদের কেউ কেউ নিজেদের ‘তৌহিদি জনতা’ হিসেবে পরিচয় দেন। তাদের একজন শের মোহাম্মদ সাঈদ সেন্ট্রাল ফর শরিয়া স্টাডিজের পরিচালক পরিচয় দিয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, তারাবির নামাজের পর তারা এই ব্যক্তির গ্রেপ্তারের খবর জানতে পারেন। এরপর মধ্যরাতে তারা শাহবাগ থানায় এসে উপস্থিত হন। তার ভাষ্য, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় থানা হাজতে বন্দী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী অর্ণবের সঙ্গে কথা বলেন ও তাঁকে আশ্বস্ত করেন তারা।
এ বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য জানতে রাতে শাহবাগ থানায় কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় সকালে আদালতে পাঠাবে পুলিশ। তিনি জামিন পাবেন কি না, সেটি আদালতের ওপর নির্ভর করছে।’
বৃহস্পতিবার সকালে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ মনসুর বলেন, ‘মোস্তফা আসিফকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর মুক্তির দাবিতে একদল ব্যক্তি বুধবার রাত থেকে থানায় ছিলেন।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘ছেলেটি পোশাক নিয়ে হেনস্তা করলে মেয়েটি প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন এবং পরে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেন। পরে তাঁকে (অর্ণব) প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসা হলে, হেনস্তা করার বিষয়টি সেও স্বীকার করে। পরে তাঁকে শাহবাগ থানায় পাঠানো হয় এবং গ্রন্থাগারকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়।’
হেনস্তার শিকার ওই ছাত্রীর ফেসবুক পোস্টটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে। পোস্টের সঙ্গে হেনস্তাকারীর ছবিও জুড়ে দিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। তাতেই তাঁকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
ফেসবুক পোস্টে ওই ছাত্রী লেখেন, ‘এই লোকটা আজকে আমাকে শাহবাগ থেকে আসার পথে হ্যারাস করেছে। সে আমাকে হুট করে রাস্তায় দাঁড় করায় দিয়ে বলতেছে আমার ড্রেস ঠিক নাই, আমি পর্দা করি নাই, ইত্যাদি ইত্যাদি এবং তার আচরণ খুবই অ্যাগ্রেসিভ ছিল। পরবর্তীতে তাকে আমি জিজ্ঞাসা করি আপনি কোন হলে থাকেন কোন ডিপার্টমেন্টে পড়েন। সে বলে সে এই ক্যাম্পাসের কেউ না। আমি সালওয়ার কামিজ পরে ঠিকমতো ওড়না পরে ছিলাম। সে আমাকে বলে আমার নাকি ওড়না সরে গেছে। পরে আমি তাকে বললাম এইটা তো আপনার দেখার বিষয় না, আর আপনার তাকানোও জাস্টিফাইড না। এরপর আমি প্রক্টরকে কল দিতে চাইলে সে দৌড় দিয়ে চলে যায়।’
রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার মোস্তফা আসিফের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রধান মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব এ আদেশ দেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মামলার বাদী তাঁর মামলা প্রত্যাহারের জন্য থানায় আবেদন করেন। পরে বাদীর আবেদন আদালতে পাঠানো হয়। এ দিকে আসামিপক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে এক হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে ওই ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মোস্তফা আসিফকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। যৌন হয়রানি ও হেনস্তার শিকার ছাত্রী এ বিষয়ে প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেন এবং পরে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
এ দিকে মোস্তফা আসিফের মুক্তির দাবিতে বুধবার মধ্যরাতে শাহবাগ থানায় অন্তত আট ঘণ্টা অবস্থান নেন একদল ব্যক্তি। অবস্থানকালে তাঁদের কেউ কেউ নিজেদের ‘তৌহিদি জনতা’ হিসেবে পরিচয় দেন। তাদের একজন শের মোহাম্মদ সাঈদ সেন্ট্রাল ফর শরিয়া স্টাডিজের পরিচালক পরিচয় দিয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, তারাবির নামাজের পর তারা এই ব্যক্তির গ্রেপ্তারের খবর জানতে পারেন। এরপর মধ্যরাতে তারা শাহবাগ থানায় এসে উপস্থিত হন। তার ভাষ্য, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় থানা হাজতে বন্দী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী অর্ণবের সঙ্গে কথা বলেন ও তাঁকে আশ্বস্ত করেন তারা।
এ বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য জানতে রাতে শাহবাগ থানায় কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় সকালে আদালতে পাঠাবে পুলিশ। তিনি জামিন পাবেন কি না, সেটি আদালতের ওপর নির্ভর করছে।’
বৃহস্পতিবার সকালে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ মনসুর বলেন, ‘মোস্তফা আসিফকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর মুক্তির দাবিতে একদল ব্যক্তি বুধবার রাত থেকে থানায় ছিলেন।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘ছেলেটি পোশাক নিয়ে হেনস্তা করলে মেয়েটি প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন এবং পরে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেন। পরে তাঁকে (অর্ণব) প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসা হলে, হেনস্তা করার বিষয়টি সেও স্বীকার করে। পরে তাঁকে শাহবাগ থানায় পাঠানো হয় এবং গ্রন্থাগারকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়।’
হেনস্তার শিকার ওই ছাত্রীর ফেসবুক পোস্টটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে। পোস্টের সঙ্গে হেনস্তাকারীর ছবিও জুড়ে দিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। তাতেই তাঁকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
ফেসবুক পোস্টে ওই ছাত্রী লেখেন, ‘এই লোকটা আজকে আমাকে শাহবাগ থেকে আসার পথে হ্যারাস করেছে। সে আমাকে হুট করে রাস্তায় দাঁড় করায় দিয়ে বলতেছে আমার ড্রেস ঠিক নাই, আমি পর্দা করি নাই, ইত্যাদি ইত্যাদি এবং তার আচরণ খুবই অ্যাগ্রেসিভ ছিল। পরবর্তীতে তাকে আমি জিজ্ঞাসা করি আপনি কোন হলে থাকেন কোন ডিপার্টমেন্টে পড়েন। সে বলে সে এই ক্যাম্পাসের কেউ না। আমি সালওয়ার কামিজ পরে ঠিকমতো ওড়না পরে ছিলাম। সে আমাকে বলে আমার নাকি ওড়না সরে গেছে। পরে আমি তাকে বললাম এইটা তো আপনার দেখার বিষয় না, আর আপনার তাকানোও জাস্টিফাইড না। এরপর আমি প্রক্টরকে কল দিতে চাইলে সে দৌড় দিয়ে চলে যায়।’
শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীর রায়পুরায় শোকসভা করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
২১ মিনিট আগেদগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ওই ভবনের বাসাভাড়া নিয়ে থাকা গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামের সবুজ শেখ (৪২), দুই ছেলে রবিউল শেখ (১৯), রমজান শেখ (১৩), দুই মেয়ে তাসনিয়া (৬) তাসফিয়া (২) ও বোন ঝুমুর বেগম (৩৮) এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরনাজিমউদ্দিন গ্রামের আব্বাস উদ্দীন (৩৯)।
৩০ মিনিট আগেভোলাগঞ্জের পর জাফলংয়েও লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত দুই দিন উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে। পরে সেগুলো জাফলং জিরো পয়েন্টে প্রতিস্থাপন করা হয়।
৩৫ মিনিট আগেসিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটপাটের পর সেগুলো ভোলাগঞ্জ ও ধোপাগুল এলাকায় ক্রাশার মেশিনে ভাঙার জন্য স্তূপ করে রাখা হয়। পরে যখন অভিযান শুরু হয়, তখন সেগুলো ওই ব্যবসায়ীরা বালু ও মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলেন। আজ শুক্রবার সেখানে অভিযান চালিয়ে পথরগুলো উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে