আব্দুর রাজ্জাক, (ঘিওর) মানিকগঞ্জ
একটা সময় শোলধারা ছিল মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার একটি সাধারণ গ্রাম। এখন তা পরিচিত ‘বাঙ্গির গ্রাম’ নামে। গ্রীষ্মের মিষ্টি রোদ আর ভেজা মাটির গন্ধ মিলে যে সুস্বাদু ফলের জন্ম দিয়েছে, তা শুধু মানুষের জিভে নয়, গ্রামটির অর্থনীতিতেও ছড়িয়েছে রস।
এই মৌসুমেই শোলধারায় অন্তত ২০০ জন কৃষক-কৃষানি বাঙ্গির চাষ করে পেয়েছেন আশাতীত সাফল্য। কারও কারও মুখে হাসি, কারও মনে ভরসা—এই ফলই তাঁদের জীবিকার পথ খুলে দিয়েছে।
বাঙ্গির সুবাসে ভরে আছে মাঠঘাট
শুক্রবার দুপুরে গ্রামে গিয়ে দেখা গেল বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শুধু বাঙ্গির খেত। উঠান, পতিত জমি, এমনকি রাস্তার ধারে চোখে পড়েছে সবুজ পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা বাঙ্গি। বাঙ্গির ম-ম গন্ধে ভরে আছে বাতাস। নারী-পুরুষ সবাই ব্যস্ত ফল তোলায়। ঝাঁকা বোঝাই করে কেউ নিয়ে যাচ্ছেন হাঁটে, কেউ আবার খেতেই বিক্রি করছেন পাইকারদের কাছে।
পাইকারি বেচাকেনা শুরু হয় ভোর থেকেই। কেউ রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে দরদাম করছেন, কেউ খেত থেকে বেছে নিচ্ছেন পছন্দমতো ফল। আর অনেক কৃষক নিজেরাই বিক্রির জন্য বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ডে, যেখানে বসে মৌসুমি বাঙ্গির হাঁট।
লাভের মুখ দেখছেন কৃষকেরা
কৃষক বাবুল মিয়া জানালেন, চার বিঘা জমিতে বাঙ্গির আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। খেত থেকেই সব বাঙ্গি বিক্রি করে পেয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। সন্তুষ্ট মুখে বললেন, ‘এই ফলেই আমাদের সারা বছরের হাসি।’
বর্গাচাষি ইয়াকুব আলী জানালেন, পেঁয়াজের সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গি লাগিয়েছেন। বোনাস হিসেবে সেই বাঙ্গি থেকে পেয়েছেন বাড়তি আয়—১৮ হাজার টাকা।
কৃষানি আরজিয়া বেগম বলেন, ‘আমাদের খেতের বড় বাঙ্গি তিন থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত হয়। প্রথম দিকে প্রতিটি বিক্রি করেছি ২০০-৩০০ টাকায়। এখনো আরও ২০ হাজার টাকার মতো বাঙ্গি খেতে পড়ে আছে।’
প্রবীণ কৃষক তোমছের মিয়া জানান, তিনি ও তাঁর তিন ছেলে মিলে পাঁচ বিঘা জমিতে বাঙ্গি চাষ করে দেড় লাখ টাকার বাঙ্গি বিক্রি করেছেন। আশা করছেন আরও লাখ টাকা আসবে।
পাইকারদের দৃষ্টিতে শোলধারা
পাইকার আশিক মিয়া প্রতিদিন শোলধারা থেকে বাঙ্গি কিনে মানিকগঞ্জ শহরে বিক্রি করেন। তিনি বলেন, ‘ঝাঁকায় চুক্তি করে বাঙ্গি কিনি। প্রতিটি ঝাঁকার দাম ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। প্রতি ঝাঁকায় গড়ে ১৬–২০টি বাঙ্গি থাকে। লাভও হয়, কৃষকেরাও খুশি।’
বাঙ্গিকে ঘিরে গড়ে ওঠা বাজার
বানিয়াজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস আর আনসারী বিল্টু বলেন, `শোলধারা গ্রামের প্রায় ২০০ পরিবার বাঙ্গি চাষে জড়িত। তাঁদের জীবিকার বড় একটি অংশ এখন এই ফলকে ঘিরে। এই মৌসুমে বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে বসে বাঙ্গির হাঁট।’
সরকারি সহায়তা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন বলেন, ঘিওরের বাঙ্গি সুমিষ্ট ও রসালো হওয়ায় দেশজুড়ে এর সুনাম রয়েছে। এবার ৪ হেক্টর জমিতে বাঙ্গির আবাদ হয়েছে এবং ফলনও ভালো। তিনি বলেন, কৃষকেরা যেন উন্নত জাতের বীজ ও পদ্ধতিতে চাষ করতে পারেন, সে জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। প্রান্তিক কৃষকেরাও সহায়তা পাচ্ছেন।
একটা সময় শোলধারা ছিল মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার একটি সাধারণ গ্রাম। এখন তা পরিচিত ‘বাঙ্গির গ্রাম’ নামে। গ্রীষ্মের মিষ্টি রোদ আর ভেজা মাটির গন্ধ মিলে যে সুস্বাদু ফলের জন্ম দিয়েছে, তা শুধু মানুষের জিভে নয়, গ্রামটির অর্থনীতিতেও ছড়িয়েছে রস।
এই মৌসুমেই শোলধারায় অন্তত ২০০ জন কৃষক-কৃষানি বাঙ্গির চাষ করে পেয়েছেন আশাতীত সাফল্য। কারও কারও মুখে হাসি, কারও মনে ভরসা—এই ফলই তাঁদের জীবিকার পথ খুলে দিয়েছে।
বাঙ্গির সুবাসে ভরে আছে মাঠঘাট
শুক্রবার দুপুরে গ্রামে গিয়ে দেখা গেল বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শুধু বাঙ্গির খেত। উঠান, পতিত জমি, এমনকি রাস্তার ধারে চোখে পড়েছে সবুজ পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা বাঙ্গি। বাঙ্গির ম-ম গন্ধে ভরে আছে বাতাস। নারী-পুরুষ সবাই ব্যস্ত ফল তোলায়। ঝাঁকা বোঝাই করে কেউ নিয়ে যাচ্ছেন হাঁটে, কেউ আবার খেতেই বিক্রি করছেন পাইকারদের কাছে।
পাইকারি বেচাকেনা শুরু হয় ভোর থেকেই। কেউ রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে দরদাম করছেন, কেউ খেত থেকে বেছে নিচ্ছেন পছন্দমতো ফল। আর অনেক কৃষক নিজেরাই বিক্রির জন্য বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ডে, যেখানে বসে মৌসুমি বাঙ্গির হাঁট।
লাভের মুখ দেখছেন কৃষকেরা
কৃষক বাবুল মিয়া জানালেন, চার বিঘা জমিতে বাঙ্গির আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। খেত থেকেই সব বাঙ্গি বিক্রি করে পেয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। সন্তুষ্ট মুখে বললেন, ‘এই ফলেই আমাদের সারা বছরের হাসি।’
বর্গাচাষি ইয়াকুব আলী জানালেন, পেঁয়াজের সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গি লাগিয়েছেন। বোনাস হিসেবে সেই বাঙ্গি থেকে পেয়েছেন বাড়তি আয়—১৮ হাজার টাকা।
কৃষানি আরজিয়া বেগম বলেন, ‘আমাদের খেতের বড় বাঙ্গি তিন থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত হয়। প্রথম দিকে প্রতিটি বিক্রি করেছি ২০০-৩০০ টাকায়। এখনো আরও ২০ হাজার টাকার মতো বাঙ্গি খেতে পড়ে আছে।’
প্রবীণ কৃষক তোমছের মিয়া জানান, তিনি ও তাঁর তিন ছেলে মিলে পাঁচ বিঘা জমিতে বাঙ্গি চাষ করে দেড় লাখ টাকার বাঙ্গি বিক্রি করেছেন। আশা করছেন আরও লাখ টাকা আসবে।
পাইকারদের দৃষ্টিতে শোলধারা
পাইকার আশিক মিয়া প্রতিদিন শোলধারা থেকে বাঙ্গি কিনে মানিকগঞ্জ শহরে বিক্রি করেন। তিনি বলেন, ‘ঝাঁকায় চুক্তি করে বাঙ্গি কিনি। প্রতিটি ঝাঁকার দাম ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। প্রতি ঝাঁকায় গড়ে ১৬–২০টি বাঙ্গি থাকে। লাভও হয়, কৃষকেরাও খুশি।’
বাঙ্গিকে ঘিরে গড়ে ওঠা বাজার
বানিয়াজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস আর আনসারী বিল্টু বলেন, `শোলধারা গ্রামের প্রায় ২০০ পরিবার বাঙ্গি চাষে জড়িত। তাঁদের জীবিকার বড় একটি অংশ এখন এই ফলকে ঘিরে। এই মৌসুমে বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে বসে বাঙ্গির হাঁট।’
সরকারি সহায়তা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন বলেন, ঘিওরের বাঙ্গি সুমিষ্ট ও রসালো হওয়ায় দেশজুড়ে এর সুনাম রয়েছে। এবার ৪ হেক্টর জমিতে বাঙ্গির আবাদ হয়েছে এবং ফলনও ভালো। তিনি বলেন, কৃষকেরা যেন উন্নত জাতের বীজ ও পদ্ধতিতে চাষ করতে পারেন, সে জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। প্রান্তিক কৃষকেরাও সহায়তা পাচ্ছেন।
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর রাজৈরে ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণ ও লুটপাটের ঘটনায় পাঠানকান্দি গ্রামের এক বিএনপি কর্মীর দায়ের করা মামলায় শাজাহান মোল্লা এজাহারভুক্ত আসামি। ঘটনার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
১৩ মিনিট আগেশিবচরের সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর আজগর হাওলাদারকান্দি গ্রামের শাহ আলম ও নাছিমা দম্পতির একমাত্র ছেলে ছিলেন হৃদয়। তিনি স্থানীয় একটি ফার্নিচারের কারখানায় কাজ করতেন। পড়াশোনা শেষ করে সৌদি আরবে থাকা চাচার সহায়তায় বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর।
১৭ মিনিট আগেজুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় দোকান কর্মচারী শহীদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে মামলার আসামির সংখ্যা প্রায় ৫ গুণ বেড়ে ২৩১ জনে দাঁড়িয়েছে।
৩৩ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের সখীপুরে সন্তানদের সামনে স্ত্রী কাকলিকে (৩২) হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া স্বামী মেহেদী হাসানকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়ন (র্যাব-১৪) মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে।
১ ঘণ্টা আগে