পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর কালুখালীতে চাঁদার টাকা না পেয়ে কলেজ প্রভাষকের শ্বশুরবাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রভাষক ও তাঁর স্ত্রীসহ চারজনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বাস্তখোলা গ্রামে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন পাংশা সরকারি কলেজের (খণ্ডকালীন ইংরেজি) প্রভাষক মো. সাদ্দাম হোসেন (৩০, তাঁর স্ত্রী আলপনা খাতুন (২২), শ্বশুর সৌদিপ্রবাসী মোহাম্মদ আলী (৫৫) ও ফুপু শাশুড়ি বুলু বেগম (৭৫)। আহতদের মধ্যে বুলু বেগম ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যরা পাংশা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সাদ্দাম বোয়ালিয়া ইউনিয়নের শ্যামসুন্দরপুর গ্রামের মো. বাদশা খানের ছেলে।
পাংশা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রভাষক সাদ্দাম বলেন, ‘প্রায় দুই মাস আগে বাস্তখোলা গ্রামের (সাদ্দামের শ্বশুরবাড়ি এলাকা) কালাম ওরফে ড্যাবলান আমার কাছে চাঁদা চায়। তারা বিএনপির রাজনীতি করে বিধায় বিষয়টি বিএনপির কয়েকজন নেতাকে জানাই। তাঁরা আমাদের ডেকে মীমাংসা করে দেন।’
প্রভাষক সাদ্দাম আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন সকালে আমি বাস্তখোলা গ্রামে আমার শ্বশুরবাড়িতে যাই। রাত ৯টার দিকে আমার শ্বশুরের সঙ্গে বসে কথা বলছিলাম। এ সময় ড্যাবলান ঘরের মধ্যে ঢুকে আমাকে বাইরে ডেকে আনে। এ সময় ড্যাবলান ও তাঁর ভাই সম্রাট, চাচা বক্কার মণ্ডল, তাঁর ছেলে দলু মণ্ডলসহ ১০-১২ জন আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করেন। এ সময় চিৎকার শুনে আমার স্ত্রী, শ্বশুর ও ফুপু শাশুড়ি এগিয়ে এলে তাঁদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ড্যাবলান আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিস্তল বের করে গুলি করতে গেলে ধস্তাধস্তিতে গুলি করতে ব্যর্থ হয়। এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তারা সবাই পালিয়ে যায়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
সরেজমিন গেলে ড্যাবলানের চাচা বক্কার মণ্ডল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে প্রভাষক সাদ্দামরা আমাদের মেরেছিল। এখন আমরা ক্ষমতায় তাই আমরা মেরেছি।’ অভিযুক্ত অন্যদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ড্যাবলান ও তাঁর লোকজন এলাকায় প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চাঁদাবাজি করছেন। ভয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে পারে না। স্থানীয়রা আরও জানান, আহতরা কেউই কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত না। তবে হামলাকারীরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
এ বিষয়ে কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মামলা কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। তবে এই ঘটনায় মো. রাজিব মণ্ডল (৩৮),তাঁর বাবা মক্কার মণ্ডল (৬০) ও রফিক মণ্ডলকে (৪৫) আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, কালাম ওরফে ড্যাবলানের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, ডাকাতি ও মারির তিনটি মামলা রয়েছে। তাঁর ভাই সম্রাটের বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক মামলা।
রাজবাড়ীর কালুখালীতে চাঁদার টাকা না পেয়ে কলেজ প্রভাষকের শ্বশুরবাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রভাষক ও তাঁর স্ত্রীসহ চারজনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বাস্তখোলা গ্রামে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন পাংশা সরকারি কলেজের (খণ্ডকালীন ইংরেজি) প্রভাষক মো. সাদ্দাম হোসেন (৩০, তাঁর স্ত্রী আলপনা খাতুন (২২), শ্বশুর সৌদিপ্রবাসী মোহাম্মদ আলী (৫৫) ও ফুপু শাশুড়ি বুলু বেগম (৭৫)। আহতদের মধ্যে বুলু বেগম ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যরা পাংশা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সাদ্দাম বোয়ালিয়া ইউনিয়নের শ্যামসুন্দরপুর গ্রামের মো. বাদশা খানের ছেলে।
পাংশা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রভাষক সাদ্দাম বলেন, ‘প্রায় দুই মাস আগে বাস্তখোলা গ্রামের (সাদ্দামের শ্বশুরবাড়ি এলাকা) কালাম ওরফে ড্যাবলান আমার কাছে চাঁদা চায়। তারা বিএনপির রাজনীতি করে বিধায় বিষয়টি বিএনপির কয়েকজন নেতাকে জানাই। তাঁরা আমাদের ডেকে মীমাংসা করে দেন।’
প্রভাষক সাদ্দাম আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন সকালে আমি বাস্তখোলা গ্রামে আমার শ্বশুরবাড়িতে যাই। রাত ৯টার দিকে আমার শ্বশুরের সঙ্গে বসে কথা বলছিলাম। এ সময় ড্যাবলান ঘরের মধ্যে ঢুকে আমাকে বাইরে ডেকে আনে। এ সময় ড্যাবলান ও তাঁর ভাই সম্রাট, চাচা বক্কার মণ্ডল, তাঁর ছেলে দলু মণ্ডলসহ ১০-১২ জন আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করেন। এ সময় চিৎকার শুনে আমার স্ত্রী, শ্বশুর ও ফুপু শাশুড়ি এগিয়ে এলে তাঁদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ড্যাবলান আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিস্তল বের করে গুলি করতে গেলে ধস্তাধস্তিতে গুলি করতে ব্যর্থ হয়। এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তারা সবাই পালিয়ে যায়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
সরেজমিন গেলে ড্যাবলানের চাচা বক্কার মণ্ডল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে প্রভাষক সাদ্দামরা আমাদের মেরেছিল। এখন আমরা ক্ষমতায় তাই আমরা মেরেছি।’ অভিযুক্ত অন্যদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ড্যাবলান ও তাঁর লোকজন এলাকায় প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চাঁদাবাজি করছেন। ভয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে পারে না। স্থানীয়রা আরও জানান, আহতরা কেউই কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত না। তবে হামলাকারীরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
এ বিষয়ে কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মামলা কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। তবে এই ঘটনায় মো. রাজিব মণ্ডল (৩৮),তাঁর বাবা মক্কার মণ্ডল (৬০) ও রফিক মণ্ডলকে (৪৫) আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, কালাম ওরফে ড্যাবলানের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, ডাকাতি ও মারির তিনটি মামলা রয়েছে। তাঁর ভাই সম্রাটের বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক মামলা।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পলাশী পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক মিজানুর রহমান জ্বর-ব্যথা নিয়ে গিয়েছিলেন পাশের বাসুদেবপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে। সেখানে কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মিতা রাণী দত্ত রোগের কথা শুনেই তাঁকে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাজধানীর জুরাইন-দয়াগঞ্জ সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের সামনের অংশে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ কোথাও কোথাও এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত গভীর। বৃষ্টির পানি জমে সেসব গর্ত পুকুরের রূপ ধারণ করেছে।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। এই নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বিরোধ আরও বেড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকান ও গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত কুখ্যাত ‘সামুরাই’ চাপাতি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র।
৫ ঘণ্টা আগে