নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত নার্সিং কলেজসমূহের বিএসসি ইন নার্সিং (পোস্ট বেসিক) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনায় একটি নার্সিং কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফরিদা খাতুনের মাধ্যমে প্রশ্ন প্রেস থেকে ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৩৮টি কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন প্রণয়ন ও প্রিন্ট প্যাকিংয়ের জন্য পৃথক কমিটি ছিল। গ্রেপ্তার সাবেক অধ্যক্ষ ফরিদা খাতুন প্রেস ও প্যাকিং কমিটির দায়িত্বে ছিলেন। তিনিই হাতে লিখে এই প্রশ্ন ফাঁস করেন। চক্রটি প্রতিটি প্রশ্ন ১৫ হাজার টাকায় শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের প্রক্টরের অভিযোগের ভিত্তিতে অধিভুক্ত নার্সিং কলেজসমূহের বিএসসি ইন নার্সিং ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই আদান প্রদান করার প্রমাণ পাওয়া যায়। ২০ আগস্ট পরীক্ষা শুরুর আগেই শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন থেকে হাতে লেখা প্রশ্নের ছবি উদ্ধার করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১০-এর অভিযানে রাজধানীর মহাখালী, ধানমন্ডি ও আজিমপুর এলাকা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূল হোতা সাবেক অধ্যক্ষ ফরিদা খাতুন, মোছা. মনোয়ারা খাতুন (৫২), মোসা. নার্গিস পারভীন (৪৭), মোছা. কোহিনুর বেগম (৬৫), মো. ইসমাইল হোসেন (৩৮), মো. আরিফুল ইসলামকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে হাতে লেখা প্রশ্নপত্রের কপি এবং প্রশ্নফাঁসে ব্যবহৃত ৯টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে খন্দকার মঈন জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সর্বমোট ৯৮টি নার্সিং কলেজ রয়েছে। যার মধ্যে ৩৮টি কলেজের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা বজায় রাখতে প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সদস্যবিশিষ্ট প্রশ্ন প্রণয়নকারী কমিটি গঠন করা হয়। যারা দুই সেট আলাদা প্রশ্নপত্র প্রস্তুত ও সরবরাহ করে। পরবর্তী সময়ে এই প্রশ্নপত্রগুলোকে যাচাই-বাছাই করার জন্য আলাদা আরেকটি মডারেটর টিম গঠন করা হয়। যাদের কাজ হচ্ছে প্রশ্ন থেকে পরীক্ষার জন্য এক সেট পরিপূর্ণ প্রশ্নপত্র তৈরি করে সেগুলো সিলগালার মাধ্যমে চিকিৎসা অনুষদের ডিনের কাছে জমা দেওয়া। পরে চিকিৎসা অনুষদের ডিন বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রশ্নপত্র সরবরাহের জন্য আরও একটি চার সদস্যের কমিটি গঠন করেন। এই কমিটি নির্বাচিত প্রশ্নপত্রটি প্রিন্টিং ও প্যাকিং এবং পরীক্ষাকেন্দ্রের চাহিদা অনুযায়ী প্রশ্নপত্রগুলো প্রিন্ট করে আলাদা আলাদা প্যাকিং করে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই প্রশ্নপত্রগুলো বিভিন্ন কেন্দ্রে বিতরণ করে থাকে। এই প্রিন্ট ও প্যাকিং কমিটির প্রধান ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ ফরিদা খাতুন।
ফরিদা খাতুন বর্তমানে রাজধানীর মহাখালীর একটি নার্সিং কলেজের কমপ্রেসি নার্সিং ও ফিজিওথেরাপি বিষয়ক কোর্সের প্রশিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রিন্টিং ও প্যাকিংয়ের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। চক্রের অপর সদস্য গ্রেপ্তার নার্গিস ও মনোয়ারা বেগম তাঁর অন্যতম সহযোগী। ২০ আগস্ট অনুষ্ঠিত নার্সিং পরীক্ষার প্রিন্ট ও প্যাকিং কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ফরিদা খাতুন একটি প্রশ্ন সংগ্রহ করেন। পরে তিনি সেগুলো তাঁর সহযোগী নার্গিস ও মনোয়ারা বেগমের কাছে দেন। তাঁরা আবার চক্রের সদস্য ইসমাইলের মাধ্যমে কোহিনূর বেগমের কাছে পাঠান। এ সময় ইসমাঈল কিছু কপি নিজের কাছে রেখে দিয়ে অর্থের বিনিময়ে ঘনিষ্ঠজনদের কাছে সরবরাহ করে। আর কোহিনূর বেগম ও আরিফ প্রশ্নপত্রটি শিক্ষার্থীদের কাছে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সরবরাহ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত নার্সিং কলেজসমূহের বিএসসি ইন নার্সিং (পোস্ট বেসিক) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনায় একটি নার্সিং কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফরিদা খাতুনের মাধ্যমে প্রশ্ন প্রেস থেকে ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৩৮টি কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন প্রণয়ন ও প্রিন্ট প্যাকিংয়ের জন্য পৃথক কমিটি ছিল। গ্রেপ্তার সাবেক অধ্যক্ষ ফরিদা খাতুন প্রেস ও প্যাকিং কমিটির দায়িত্বে ছিলেন। তিনিই হাতে লিখে এই প্রশ্ন ফাঁস করেন। চক্রটি প্রতিটি প্রশ্ন ১৫ হাজার টাকায় শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের প্রক্টরের অভিযোগের ভিত্তিতে অধিভুক্ত নার্সিং কলেজসমূহের বিএসসি ইন নার্সিং ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই আদান প্রদান করার প্রমাণ পাওয়া যায়। ২০ আগস্ট পরীক্ষা শুরুর আগেই শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন থেকে হাতে লেখা প্রশ্নের ছবি উদ্ধার করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১০-এর অভিযানে রাজধানীর মহাখালী, ধানমন্ডি ও আজিমপুর এলাকা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূল হোতা সাবেক অধ্যক্ষ ফরিদা খাতুন, মোছা. মনোয়ারা খাতুন (৫২), মোসা. নার্গিস পারভীন (৪৭), মোছা. কোহিনুর বেগম (৬৫), মো. ইসমাইল হোসেন (৩৮), মো. আরিফুল ইসলামকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে হাতে লেখা প্রশ্নপত্রের কপি এবং প্রশ্নফাঁসে ব্যবহৃত ৯টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে খন্দকার মঈন জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সর্বমোট ৯৮টি নার্সিং কলেজ রয়েছে। যার মধ্যে ৩৮টি কলেজের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা বজায় রাখতে প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সদস্যবিশিষ্ট প্রশ্ন প্রণয়নকারী কমিটি গঠন করা হয়। যারা দুই সেট আলাদা প্রশ্নপত্র প্রস্তুত ও সরবরাহ করে। পরবর্তী সময়ে এই প্রশ্নপত্রগুলোকে যাচাই-বাছাই করার জন্য আলাদা আরেকটি মডারেটর টিম গঠন করা হয়। যাদের কাজ হচ্ছে প্রশ্ন থেকে পরীক্ষার জন্য এক সেট পরিপূর্ণ প্রশ্নপত্র তৈরি করে সেগুলো সিলগালার মাধ্যমে চিকিৎসা অনুষদের ডিনের কাছে জমা দেওয়া। পরে চিকিৎসা অনুষদের ডিন বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রশ্নপত্র সরবরাহের জন্য আরও একটি চার সদস্যের কমিটি গঠন করেন। এই কমিটি নির্বাচিত প্রশ্নপত্রটি প্রিন্টিং ও প্যাকিং এবং পরীক্ষাকেন্দ্রের চাহিদা অনুযায়ী প্রশ্নপত্রগুলো প্রিন্ট করে আলাদা আলাদা প্যাকিং করে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই প্রশ্নপত্রগুলো বিভিন্ন কেন্দ্রে বিতরণ করে থাকে। এই প্রিন্ট ও প্যাকিং কমিটির প্রধান ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ ফরিদা খাতুন।
ফরিদা খাতুন বর্তমানে রাজধানীর মহাখালীর একটি নার্সিং কলেজের কমপ্রেসি নার্সিং ও ফিজিওথেরাপি বিষয়ক কোর্সের প্রশিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রিন্টিং ও প্যাকিংয়ের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। চক্রের অপর সদস্য গ্রেপ্তার নার্গিস ও মনোয়ারা বেগম তাঁর অন্যতম সহযোগী। ২০ আগস্ট অনুষ্ঠিত নার্সিং পরীক্ষার প্রিন্ট ও প্যাকিং কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ফরিদা খাতুন একটি প্রশ্ন সংগ্রহ করেন। পরে তিনি সেগুলো তাঁর সহযোগী নার্গিস ও মনোয়ারা বেগমের কাছে দেন। তাঁরা আবার চক্রের সদস্য ইসমাইলের মাধ্যমে কোহিনূর বেগমের কাছে পাঠান। এ সময় ইসমাঈল কিছু কপি নিজের কাছে রেখে দিয়ে অর্থের বিনিময়ে ঘনিষ্ঠজনদের কাছে সরবরাহ করে। আর কোহিনূর বেগম ও আরিফ প্রশ্নপত্রটি শিক্ষার্থীদের কাছে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সরবরাহ করেন।
আলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ মিনিট আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২২ মিনিট আগেইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে মুদিদোকানির ১ মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৩ টাকা। এই অস্বাভাবিক বিল দেখে হতবাক হন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালম ইউনিয়নের তালম খাসপাড়া গ্রামে।
৩ ঘণ্টা আগে