নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
ঢাকার সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ সেই তরুণের পরিচয় পাওয়া গেছে। আজকের পত্রিকার অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল রোববার রাতে স্বজনেরা তাঁর খোঁজ পান। এরপর হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা তরুণের সম্পর্কে জানতে পারেন।
এর আগে ছেলের খোঁজ না পেয়ে ওই তরুণের বাবা নিজের ছেলে মনে করে অন্য একজনের লাশ দাফন করেন। মৃত হিসেবে দাফনের পর ছেলেকে জীবিত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তিনি আনন্দে কান্না করে দেন। তবে ছেলের উপযুক্ত চিকিৎসা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
চিকিৎসাধীন তরুণের নাম রিফাত হোসেন (১৯)। তাঁর বাবার নাম লুৎফর রহমান। বাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মৈশাবান ইউনিয়নের পারানির পাড়া গ্রামে। তিনি মা-বাবার সঙ্গে আশুলিয়া থানার পলাশবাড়ি এলাকায় থাকেন ও স্থানীয় সিঞ্জুরিয়া দারুল ইসলাম ফাজিল মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেন।
রিফাতের পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, রিফাত আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হিসেবে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন। পরীক্ষার জন্য তিনি মাদ্রাসার হোস্টেলে থাকতেন। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়ায় তিনি বাসায় চলে যান। গত ৫ আগস্ট সকালে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেননি। ওই দিন কয়েকবার মোবাইল ফোনে পরিবারের সঙ্গে তাঁর কথা হলেও বিকেল ৫টার পর থেকে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ওই দিন বাসার অদূরে আশুলিয়া থানার পাশে বাইপালে গোলাগুলির খবর পেয়ে স্বজনেরা বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজাখুঁজি করেন। এনাম মেডিকেলেও খোঁজ নেওয়া হয়। কিন্তু কোনো হাসপাতালেই রিফাতের খোঁজ মেলে না।
রিফাতের বাবা লুৎফর রহমান বলেন, ‘রিফাতকে না পেয়ে এক প্রতিবেশীর তথ্য অনুযায়ী পরের দিন (৬ আগস্ট) আশুলিয়া থানার সামনে যাই। সেখানে একটি পোড়া লেগুনার ভেতরে দুটি পোড়া লাশ দেখতে পাই। দাঁত উঁচা একটি লাশ দেখে ওই লাশটি আমার ছেলের বলে শনাক্ত করি। কারণ আমার ছেলেরও দাঁত উঁচা। এরপর সেই লাশ গ্রামের বাড়ি নিয়ে গিয়ে দাফন করে আশুলিয়ায় চলে আসি। গতকাল রোববার রাতে ওর এক বন্ধু আজকের পত্রিকার সংবাদের সঙ্গে ছাপা হওয়া ছবি দেখে চিনতে পেরে আমাকে মোবাইল ফোনে কল করেন। এরপর এনাম মেডিকেলে গিয়ে আমার ছেলেকে জীবিত অবস্থায় দেখতে পাই।’
লুৎফর রহমান বলেন, ‘ছেলেকে জীবিত পেলেও আমরা তাঁকে নিয়ে শঙ্কিত। হাসপাতালের পক্ষ থেকে টাকা ছাড়া সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত তাঁর মাথার ভেতরে গুলি বের করতে পারেননি। যা বের করা ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য আমার ছেলেকে ঢাকার কোনো হাসপাতালে বা দেশের বাইরে নিয়ে যাব সে সামর্থ্য আমার নাই। আবার গুলি বের না করলেও সে সুস্থ হবে না।’
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন লোক ছেলেটিকে আমাদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। তাঁর মাথার পেছন দিক দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে তাঁকে নিউরো আইসিওতে ভর্তি করে হাসপাতালের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।’
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো আইসিও বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট আরিফ হাসান তানভীর বলেন, ‘ছেলেটির মাথার পেছন দিক থেকে গুলি ঢুকে মাথার মাঝ বরাবর মস্তিষ্কের মধ্যে আটকে রয়েছে। গুলিটি বের করা বেশ ঝুঁকির কাজ। অস্ত্রোপচারের সময় টেবিলেই তাঁর মৃত্যু হতে পারে। তাই গুলি বের করার চেষ্টা না করে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ইনফেকশন না হলে ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।’
ঢাকার সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ সেই তরুণের পরিচয় পাওয়া গেছে। আজকের পত্রিকার অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল রোববার রাতে স্বজনেরা তাঁর খোঁজ পান। এরপর হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা তরুণের সম্পর্কে জানতে পারেন।
এর আগে ছেলের খোঁজ না পেয়ে ওই তরুণের বাবা নিজের ছেলে মনে করে অন্য একজনের লাশ দাফন করেন। মৃত হিসেবে দাফনের পর ছেলেকে জীবিত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তিনি আনন্দে কান্না করে দেন। তবে ছেলের উপযুক্ত চিকিৎসা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
চিকিৎসাধীন তরুণের নাম রিফাত হোসেন (১৯)। তাঁর বাবার নাম লুৎফর রহমান। বাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মৈশাবান ইউনিয়নের পারানির পাড়া গ্রামে। তিনি মা-বাবার সঙ্গে আশুলিয়া থানার পলাশবাড়ি এলাকায় থাকেন ও স্থানীয় সিঞ্জুরিয়া দারুল ইসলাম ফাজিল মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেন।
রিফাতের পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, রিফাত আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হিসেবে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন। পরীক্ষার জন্য তিনি মাদ্রাসার হোস্টেলে থাকতেন। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়ায় তিনি বাসায় চলে যান। গত ৫ আগস্ট সকালে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেননি। ওই দিন কয়েকবার মোবাইল ফোনে পরিবারের সঙ্গে তাঁর কথা হলেও বিকেল ৫টার পর থেকে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ওই দিন বাসার অদূরে আশুলিয়া থানার পাশে বাইপালে গোলাগুলির খবর পেয়ে স্বজনেরা বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজাখুঁজি করেন। এনাম মেডিকেলেও খোঁজ নেওয়া হয়। কিন্তু কোনো হাসপাতালেই রিফাতের খোঁজ মেলে না।
রিফাতের বাবা লুৎফর রহমান বলেন, ‘রিফাতকে না পেয়ে এক প্রতিবেশীর তথ্য অনুযায়ী পরের দিন (৬ আগস্ট) আশুলিয়া থানার সামনে যাই। সেখানে একটি পোড়া লেগুনার ভেতরে দুটি পোড়া লাশ দেখতে পাই। দাঁত উঁচা একটি লাশ দেখে ওই লাশটি আমার ছেলের বলে শনাক্ত করি। কারণ আমার ছেলেরও দাঁত উঁচা। এরপর সেই লাশ গ্রামের বাড়ি নিয়ে গিয়ে দাফন করে আশুলিয়ায় চলে আসি। গতকাল রোববার রাতে ওর এক বন্ধু আজকের পত্রিকার সংবাদের সঙ্গে ছাপা হওয়া ছবি দেখে চিনতে পেরে আমাকে মোবাইল ফোনে কল করেন। এরপর এনাম মেডিকেলে গিয়ে আমার ছেলেকে জীবিত অবস্থায় দেখতে পাই।’
লুৎফর রহমান বলেন, ‘ছেলেকে জীবিত পেলেও আমরা তাঁকে নিয়ে শঙ্কিত। হাসপাতালের পক্ষ থেকে টাকা ছাড়া সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত তাঁর মাথার ভেতরে গুলি বের করতে পারেননি। যা বের করা ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য আমার ছেলেকে ঢাকার কোনো হাসপাতালে বা দেশের বাইরে নিয়ে যাব সে সামর্থ্য আমার নাই। আবার গুলি বের না করলেও সে সুস্থ হবে না।’
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন লোক ছেলেটিকে আমাদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। তাঁর মাথার পেছন দিক দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে তাঁকে নিউরো আইসিওতে ভর্তি করে হাসপাতালের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।’
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো আইসিও বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট আরিফ হাসান তানভীর বলেন, ‘ছেলেটির মাথার পেছন দিক থেকে গুলি ঢুকে মাথার মাঝ বরাবর মস্তিষ্কের মধ্যে আটকে রয়েছে। গুলিটি বের করা বেশ ঝুঁকির কাজ। অস্ত্রোপচারের সময় টেবিলেই তাঁর মৃত্যু হতে পারে। তাই গুলি বের করার চেষ্টা না করে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ইনফেকশন না হলে ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দর নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এবার আর দিনের ভোট রাতে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’ আজ সোমবার ময়মনসিংহ অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সিইসি এ কথা বলেন।
১০ মিনিট আগেফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাতের আঁধারে টর্চ জ্বালিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় কুদ্দুস মোল্লা (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন।
৩৩ মিনিট আগেচট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এস এম আলাউদ্দিন শুনানি শেষে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
৩৭ মিনিট আগেগাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৫৪ জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আজ সোমবার সকালে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ..
১ ঘণ্টা আগে