জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের শর্তহীন মুক্তিসহ তিন দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এই মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি বেলাল হোসেন তিন দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো–শামসুজ্জামান শামসের শর্তহীন মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করা।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে জাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি জহির ফয়সাল বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসের দিনে যখন একজন দিনমজুর বলল-আমার স্বাধীনতা দরকার, আমার ভাত, মাছ আর মাংসের স্বাধীনতা লাগব। আর এই সত্য কথাটি নিয়ে যখন সাংবাদিক রিপোর্ট করে তখন তাঁকে রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এটিই প্রমাণ করে যে এদেশে শুধু ভাত, মাছের স্বাধীনতা নয়। এদেশে কথা বলারও স্বাধীনতা নেই। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসেও যদি আমরা স্বাধীনতা না পাই, তবে কবে স্বাধীনতা পাব।’
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সহসাধারণ সম্পাদক তাপসী দে প্রাপ্তি বলেন, ‘সাদা পোশাকে গ্রেপ্তার হওয়ার রাজনীতি এদেশে প্রথম নয়। গণমাধ্যমে সত্য কথা বলার কারণে, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করার কারণে বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের হেনস্তা হতে হয়েছে; ওই সূত্রে সাংবাদিক শামস এখন কারাগারে। যুগের পর যুগ ধরে এদেশে সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতন স্বাভাবিক ঘটনায় রূপ নিয়েছে। সাগর-রুনি হত্যার বিচার আজও পেলাম না আমরা। এদেশে বসবাসে জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই, আমরা কেউ স্বাধীন অনুভব করছি না।’
জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক রাকিব আহমেদ বলেন, ‘সাংবাদিক শামসের গ্রেপ্তার হওয়ার মতো ঘটনা অতীতেও এদেশে ঘটেছে। আমরা এসব ঘটনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করেছি বিভিন্ন সময়। সংবাদকর্মীরা যদি নির্বিঘ্নে কাজ করতে না পারে, তাহলে গণতন্ত্র তার মতে করে চলতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই সেখানে গণতন্ত্র ঠিক থাকে কীভাবে। শামসের আটক করার বিষয়টি অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং ন্যক্কারজনক হয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করা উচিত। সাংবাদিকদের বিভিন্ন বিষয় সমাধানের জন্য প্রেস কাউন্সিল রয়েছে, সেটিকে কার্যকর করা দরকার।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘সরকারের দায়িত্ব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা নয়, তাদের দায়িত্ব মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সরকার আজ রাষ্ট্রকেই অস্বীকার করছে।’
ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনিছা পারভীন জলি বলেন, ‘প্রথমেই সাংবাদিক শামসের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। জাহাঙ্গীরনগরের সাবেক ছাত্র হিসেবে তাঁর মুক্তি চাই না। তিনি একজন একনিষ্ঠ সাংবাদিক এ জন্যই তাঁর মুক্তি চাই। করিমুন নেসা তাঁর প্রথম সন্তানকে হারিয়েছে রাষ্ট্রের কাজে, আরেক ছেলে দেশের মানুষের কথা বলত সেও এখন কারাগারে। এই যদি হয় দেশের স্বাধীনতা তাহলে দেশ কীভাবে চলবে।’
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আল সেলিম বলেন, ‘গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ হলো অন্যের মতামতে শ্রদ্ধা করা। কিন্তু আমরা দেখছি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অথচ, তা বলার অধিকার নেই। শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে মূলত অন্যদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে একসঙ্গে রুখে দিতে হবে।’
সাংবাদিক সমিতির সভাপতি বেলাল হোসেন বলেন, ‘গত দুই দিনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যে তামাশা লক্ষ্য করছি তা নিতান্তই ফ্যাসিবাদী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। সেই একই মানসিকতা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বানাতে ক্ষমতা কাঠামোকে উৎসাহিত করেছে। যেটি এখন সাংবাদিকতার যম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এর ফলশ্রুতিতেই আজ শামস ভাই কারাগারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের এ ধরনের নিয়মিত আটকের ঘটনা আমাদের আতঙ্কিত করেছে। এসব নিপীড়ন, হয়রানির ঘটনা তরুণদের সাংবাদিকতা পেশা হিসেবে বেছে নিতে আতঙ্কের পাহাড় হিসেবে কাজ করছে। এতে বাড়ছে শেলফ সেন্সরশিপ। কমছে সাংবাদিকতায় সাহসীদের পদচারণা। এভাবেই পরিকল্পিত তৈরি হচ্ছে সাহসের দুর্ভিক্ষ।’
সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলকামা আজাদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায়, জাবিসাস সদস্য নাছির উদ্দিন শিকদার, মেহেদী মামুন ও ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক সোহেল রানা।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার মণ্ডল, সহকারী অধ্যাপক মৃধা মো. শিবলী নোমান, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচীসহ প্রমুখ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের শর্তহীন মুক্তিসহ তিন দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এই মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি বেলাল হোসেন তিন দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো–শামসুজ্জামান শামসের শর্তহীন মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করা।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে জাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি জহির ফয়সাল বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসের দিনে যখন একজন দিনমজুর বলল-আমার স্বাধীনতা দরকার, আমার ভাত, মাছ আর মাংসের স্বাধীনতা লাগব। আর এই সত্য কথাটি নিয়ে যখন সাংবাদিক রিপোর্ট করে তখন তাঁকে রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এটিই প্রমাণ করে যে এদেশে শুধু ভাত, মাছের স্বাধীনতা নয়। এদেশে কথা বলারও স্বাধীনতা নেই। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসেও যদি আমরা স্বাধীনতা না পাই, তবে কবে স্বাধীনতা পাব।’
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সহসাধারণ সম্পাদক তাপসী দে প্রাপ্তি বলেন, ‘সাদা পোশাকে গ্রেপ্তার হওয়ার রাজনীতি এদেশে প্রথম নয়। গণমাধ্যমে সত্য কথা বলার কারণে, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করার কারণে বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের হেনস্তা হতে হয়েছে; ওই সূত্রে সাংবাদিক শামস এখন কারাগারে। যুগের পর যুগ ধরে এদেশে সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতন স্বাভাবিক ঘটনায় রূপ নিয়েছে। সাগর-রুনি হত্যার বিচার আজও পেলাম না আমরা। এদেশে বসবাসে জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই, আমরা কেউ স্বাধীন অনুভব করছি না।’
জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক রাকিব আহমেদ বলেন, ‘সাংবাদিক শামসের গ্রেপ্তার হওয়ার মতো ঘটনা অতীতেও এদেশে ঘটেছে। আমরা এসব ঘটনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করেছি বিভিন্ন সময়। সংবাদকর্মীরা যদি নির্বিঘ্নে কাজ করতে না পারে, তাহলে গণতন্ত্র তার মতে করে চলতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই সেখানে গণতন্ত্র ঠিক থাকে কীভাবে। শামসের আটক করার বিষয়টি অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং ন্যক্কারজনক হয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করা উচিত। সাংবাদিকদের বিভিন্ন বিষয় সমাধানের জন্য প্রেস কাউন্সিল রয়েছে, সেটিকে কার্যকর করা দরকার।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘সরকারের দায়িত্ব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা নয়, তাদের দায়িত্ব মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সরকার আজ রাষ্ট্রকেই অস্বীকার করছে।’
ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনিছা পারভীন জলি বলেন, ‘প্রথমেই সাংবাদিক শামসের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। জাহাঙ্গীরনগরের সাবেক ছাত্র হিসেবে তাঁর মুক্তি চাই না। তিনি একজন একনিষ্ঠ সাংবাদিক এ জন্যই তাঁর মুক্তি চাই। করিমুন নেসা তাঁর প্রথম সন্তানকে হারিয়েছে রাষ্ট্রের কাজে, আরেক ছেলে দেশের মানুষের কথা বলত সেও এখন কারাগারে। এই যদি হয় দেশের স্বাধীনতা তাহলে দেশ কীভাবে চলবে।’
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আল সেলিম বলেন, ‘গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ হলো অন্যের মতামতে শ্রদ্ধা করা। কিন্তু আমরা দেখছি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অথচ, তা বলার অধিকার নেই। শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে মূলত অন্যদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে একসঙ্গে রুখে দিতে হবে।’
সাংবাদিক সমিতির সভাপতি বেলাল হোসেন বলেন, ‘গত দুই দিনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যে তামাশা লক্ষ্য করছি তা নিতান্তই ফ্যাসিবাদী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। সেই একই মানসিকতা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বানাতে ক্ষমতা কাঠামোকে উৎসাহিত করেছে। যেটি এখন সাংবাদিকতার যম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এর ফলশ্রুতিতেই আজ শামস ভাই কারাগারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের এ ধরনের নিয়মিত আটকের ঘটনা আমাদের আতঙ্কিত করেছে। এসব নিপীড়ন, হয়রানির ঘটনা তরুণদের সাংবাদিকতা পেশা হিসেবে বেছে নিতে আতঙ্কের পাহাড় হিসেবে কাজ করছে। এতে বাড়ছে শেলফ সেন্সরশিপ। কমছে সাংবাদিকতায় সাহসীদের পদচারণা। এভাবেই পরিকল্পিত তৈরি হচ্ছে সাহসের দুর্ভিক্ষ।’
সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলকামা আজাদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায়, জাবিসাস সদস্য নাছির উদ্দিন শিকদার, মেহেদী মামুন ও ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক সোহেল রানা।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার মণ্ডল, সহকারী অধ্যাপক মৃধা মো. শিবলী নোমান, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচীসহ প্রমুখ।
গোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৮ মিনিট আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
১২ মিনিট আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৩২ মিনিট আগেইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
১ ঘণ্টা আগে