Ajker Patrika

৩৩ বছর পর জাকসুর নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের শপথ

জাবি প্রতিনিধি 
জাবির সিনেট হলে জাকসুর নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের শপথ। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাবির সিনেট হলে জাকসুর নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের শপথ। ছবি: আজকের পত্রিকা

আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে জাকসুর সভাপতি ও উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান।

এ সময় জুলাই আন্দোলনে সাভার এলাকায় নিহত শহীদ আলিফ আহমেদ সিয়াম ও শহীদ শ্রাবণ গাজীর পরিবারের সদস্যরা এবং শহীদ মিজানুর রহমানের স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

শপথ অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন, পবিত্র গীতা, পবিত্র বাইবেল ও পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ করা হয়। এরপর জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনার সময় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করা সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতার স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শপথ শেষে উপাচার্য নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের একটি ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন।

এ সময় জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘এই নির্বাচনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় হয়েছে। নির্বাচনের প্রত্যেকটি ফুটেজ সংরক্ষিত আছে। যদি কেউ নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে চ্যালেঞ্জ করতে চান তাহলে আমরা প্রস্তুত আছি।

‘নির্বাচন উপলক্ষে যে অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছিল, তার প্রত্যেকটির হিসাব আমাদের কাছে আছে। যে কেন্দ্র ৩৮২টি ব্যালট পেপার দরকার ছিল সেখানে “রাউন্ড ফিগার” করার জন্য আমরা ৪০০টি ব্যালট দিয়েছি। অব্যবহৃত ব্যালট পেপারের হিসাব আমাদের কাছে আছে।’

জাবির সিনেট হলে জাকসুর নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের শপথ। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাবির সিনেট হলে জাকসুর নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের শপথ। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৩ বছর জাকসু নির্বাচন না হওয়ার ফলে সিনেটে কোনো শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ছিল না। এই সময়ে সিনেট অধিবেশন ঠিকই হয়েছে, কিন্তু সেখানে শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলার কেউ ছিল না।

‘আমরা নেতা হওয়ার জন্য এই জাকসু বাস্তবায়নের আন্দোলন করিনি। ৩৩ বছর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যে অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছিল, আমরা সেই অধিকারকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য আন্দোলন করেছিলাম। আমরা সেই অধিকার ছিনিয়ে আনতে পেরেছি।

‘আমরা দেখেছি জাকসুকে বানচালের জন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার যাতে ফিরে না পায়, সে জন্য কয়েকটি গোষ্ঠী শেষ সময় পর্যন্ত অপচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। এখন অবধি তাদের সেই চেষ্টার কমতি নেই।

‘আমরা বলতে চাই, শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের বিরুদ্ধে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে এমন আন্দোলন গড়ে তুলব; যা এই বিশ্ববিদ্যালয় কখনো দেখেনি। শিক্ষার্থীদের অধিকারের স্বার্থে অতীতেও যেমন কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় পাইনি, আগামীতেও ভয় পাব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত