জবি সংবাদদাতা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটির ১৪ জন শিক্ষার্থী অপর সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাঁরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ আগস্ট আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের লড়াকু বীর ইকরামুল হক সাজিদ দীর্ঘ যন্ত্রণাদায়ক অপেক্ষার পর শহীদ হন। আমরা তাঁর মহান আত্মত্যাগকে স্মরণ করছি। একই সঙ্গে স্মরণ করছি আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, তানভিন, ফাহাদসহ সব শহীদকে। যাঁদের তাজা রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি কাঙ্ক্ষিত বিজয়। আমরা সকলের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা এই আত্মত্যাগকে অঙ্কুরে বিনষ্ট হতে দেবেন না।
কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা বুঝতে পারি, শুধু কোটার সংস্কারই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন রাষ্ট্র সংস্কার। দেশে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকারত্বের যে সংকট, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোটা পদ্ধতিতে সামান্যতম সংস্কার চেয়েছিলাম। কিন্তু এই সামান্য চাওয়া পূরণ করতে শত শত জীবন দিতে হলো, হাজারো মানুষ আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করল। হাসিনা রেজিম এই সামান্য চাওয়া দমন করতে গুলি ছুড়ল স্নাইপার ও হেলিকপ্টার থেকে। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিল, কারফিউ জারি করল ও রাস্তায় সেনাবাহিনী নামিয়ে দিল। শেষ পর্যন্ত কোটা আন্দোলন পরিণত হলো ছাত্র-জনতার অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলনে। হয় হাসিনা নয় ছাত্র-জনতা। দেশের মানুষের মধ্যে এক গণ-আকাঙ্ক্ষা তৈরি হলো—এই দুঃশাসন থেকে মুক্তির জন্য। অবশেষে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিশাল আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালায়। আমরা হলাম জুলাই অভ্যুত্থানের সাক্ষী।
সারা দেশে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’–এর নেতৃত্বে যে সংগ্রাম সংগঠিত হলো, তার অংশীদার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। এই সংগ্রামে ১৫ জুলাই আমাদের অনেকেই গুরুতর আহত হয়, ১৬ জুলাই সন্ত্রাসীদের দ্বারা অনিক-ফেরদৌসসহ ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়, ১৯ জুলাই আটক হয় আমাদের সহযোদ্ধা নুর নবী, ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হওয়া সাজিদ সবশেষ শহীদী পরিচয় বরণ করে নেন। গুলিতে অনিকের খাদ্যনালি ছিঁড়েছে, নুর নবীকে ডিবি হেফাজতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, লক্ষ্মীবাজারে শিক্ষার্থীদের ওপর ছোড়া হয়েছে লাইভ বুলেট। আমরা যেন এসব গল্প ভুলে না যাই।
এসব নিপীড়ন প্রতিরোধ করতে যে রক্তক্ষয় হয়েছে, তার যথার্থ মূল্যায়ন হবে আন্দোলনের যে গণ-আকাঙ্ক্ষা তার বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে। গত ১৬ বছরে সৃষ্ট ত্রাসের রাজত্বকে ধূলিসাৎ করে রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে আমূল সংস্কারের মধ্য দিয়ে একমাত্র এর মূল্যায়ন সম্ভব। যে ফ্যাসিস্টের হুকুমে এত প্রাণ ঝরে গেল, তার বিচার নিশ্চিত করার গুরুদায়িত্ব এখনো বাকি। এর মধ্যেই সারা দেশে একটা সূক্ষ্ম অস্থিরতা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা এখনো রাস্তায়, দেশজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা অকার্যকর। দেশ স্থিতিশীল হতে আমাদের আরও ধৈর্য ধরতে হবে। এ সময় এমন কিছু করা উচিত হবে না, যা আমাদের আন্দোলনের স্পিরিটকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
এ রকম সময়ে আমরা লক্ষ করছি, সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অথবা আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও এর ব্যতিক্রম নয়। ৫ আগস্টের পর থেকেই অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে, যার দায় এসে পড়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে এমন অনেক কাজ করা হয়েছে, যার সঙ্গে আন্দোলনকারী ‘সমন্বয়ক‘ হিসেবে পরিচিত অনেকেরই কোনো প্রকারের সম্পৃক্ততা নেই। আমরা এসব কর্মকাণ্ডকে প্রত্যাখ্যান করছি। কিছু ঘটনা আমরা উল্লেখ করছি—
বিজয় অর্জনের পর এখন পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ২৭ জন সমন্বয়কের অধিকাংশের উপস্থিতিতে কোনো প্রকার সভায় বসা সম্ভব হয়নি। যখনই বসার চেষ্টা করা হয়েছে, সেটা নানাভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন মাসুদ রানা ও নূর নবী। অথচ কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ছাড়াই একের পর এক কর্মসূচি আর দাবি এই ব্যানার থেকে উত্থাপন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নূর নবীর স্বেচ্ছাচারিতা অনেক বেশি লক্ষণীয়। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ‘আমি যা বলব তা-ই হবে’ এমন বচনভঙ্গি অনেককেই মনঃক্ষুণ্ন করেছে।
মতবিনিময় সভার নামে ১১ আগস্ট যে ‘মব ট্রায়াল’–এর আয়োজন করা হয়েছে। আমরা তা সমর্থন করি না। ‘গোপন নথি গায়েব করা হচ্ছে’ বলে যেভাবে শিক্ষার্থীদের উসকে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নাসির উদ্দীন আহমদ স্যারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। এরপর যখন আমরা সবাই একমত হই, তিনজন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে শিক্ষকেরা নথিগুলো যাচাই করবে—তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু বকর, নূর নবীর নির্দেশে ভিসি ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। অথচ, আপনাদের মনে আছে, সেই নথিগুলোর মধ্যে নাসির স্যারের ‘জয়েনিং লেটার’ ছিল। যাতে দ্রুত ভিসির স্বাক্ষর প্রয়োজন ছিল। তাহলে, নূর নবী-আবু বকরদের কাছে আমাদের প্রশ্ন, শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে এ রকম হঠকারী পদক্ষেপের উদ্দেশ্য কী?
আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রেজিমের পক্ষ নিয়ে যেই প্রশাসন আমাদের আন্দোলনের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল, সেই প্রশাসনের পদত্যাগ ছিল ছাত্রদের দাবি। তার পরিপ্রেক্ষিতে ভিসি, রেজিস্ট্রারসহ সম্পূর্ণ প্রক্টরিয়াল বডি পদত্যাগ করে। কিন্তু সন্দেহের উদ্রেক হয় তখনই, যখন ট্রেজারারের পদত্যাগের প্রশ্নে এই সমন্বয়কেরা ভিন্ন সুরে কথা বলে। তাঁরা ট্রেজারারকে বহাল তবিয়ত রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট হয়। এমনকি কনফারেন্স রুমে সব ডিপার্টমেন্টের চেয়ারপারসনদের উপস্থিতিতে গুটিকয়েক সমন্বয়ক ট্রেজারারের গুণকীর্তন শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু বকর এবং ১৪ ব্যাচের রিয়াজুল ইসলামের বক্তব্যগুলো লক্ষ্য করলে সবাই বুঝতে পারবেন, তাঁরা বিভিন্ন কৌশলে কতিপয় শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষার্থে নানা ধরনের চাটুকারিতার আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা স্পষ্ট করতে চাই, এই ব্যক্তিদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
সমন্বয়কদের মধ্যে কোনো রকমে আলোচনা ছাড়াই মব ট্রায়ালের মাধ্যমে একটা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে, যার নজির সারা দেশে আর কোনো ইউনিটে নেই। সমন্বয়কদের আবার উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের প্রয়োজন পড়ল কেন? আর কাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে এই উপদেষ্টা পরিষদ? মুন্না, জসীম, শাহিন আলম শানসহ যেসব ব্যক্তি উপদেষ্টা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন, আন্দোলনে তাঁদের ভূমিকা ছিল বিতর্কিত। ১১ জুলাইয়ের কথা মনে আছে তো? সেদিন কুমিল্লায় গুলি ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি হামলা চলে। ওই দিন প্রক্টরিয়াল বডির সামান্য হুমকির মুখে এই ব্যক্তিরাই মিছিল স্থগিতের ঘোষণা দেন। তারপর জুনিয়র শিক্ষার্থীরা তাঁদের নেতৃত্ব অমান্য করে ক্যাম্পাসের গেট ভেঙে মিছিল নিয়ে শাহবাগে যান। ফলে এই সুযোগ সন্ধানী শক্তির উপদেষ্টা পরিষদ আমরা কখনোই সমর্থন করিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও অন্যতম সমন্বয়ক মাসুদ রানার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ ও স্বেচ্ছাচারিতা লক্ষ করা যায়। তাঁকে এমন কথা বলতে শোনা গেছে, ‘জকসু নির্বাচনে আমি ভিপি পদে দাঁড়াব। সমন্বয়কদের মধ্যে যাদের শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে। ওরা থাকলে আমি ভোট পাব? আমি ১০-১২ দিনের মধ্যেই এই সমন্বয়ক কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি দিয়ে ওদের বের করে দেব।’ সমন্বয়কদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই ছাত্রলীগের অনুগতদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন ও নতুন কমিটি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত মাসুদ রানার ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে কি না আমরা সেই প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি।
দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জবির ‘হল উদ্ধার আন্দোলন’ একটা আত্মঘাতী কর্মসূচি বলেই আমরা মনে করি। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার স্থানীয় ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সৃষ্টি হতে পারে, যা মোটেই কাম্য নয়। অথচ নূর নবীর পরিচালনায় সমন্বয়কদের একাংশ, আবু বকর, রিয়াজসহ বিতর্কিত উপদেষ্টা পরিষদ মিলে এই অযৌক্তিক কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। পরবর্তীকালে এর পেছনে কিছু শিক্ষকের দুরভিসন্ধিমূলক আচরণ আমাদের সবার সামনে উন্মোচিত হয়। এ ছাড়া নিয়মবহির্ভূতভাবে রেজিস্ট্রার নিয়োগের বিষয়েও এসব ব্যক্তি ও কিছু শিক্ষকদের দুরভিসন্ধি কারোরই চোখ এড়ায়নি। এসব ঘটনার পরও এই মানুষগুলোর ওপর আস্থা রাখা যায় কীভাবে?
১৫ আগস্ট রাতে ক্যাম্পাসে সমন্বয়ক নূর নবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলেন। ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে একজন ছাত্রলীগ কর্মীকে ক্যাম্পাসে ঢুকিয়েছেন। একই সঙ্গে সেই ছাত্রলীগ কর্মীকেও বেধড়ক পেটানো হয়। আমরা বলতে চাই, এই আচরণের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের গত ১৬ বছরের কর্মকাণ্ডের কোনো পার্থক্য আছে কি? যেখানে সারা দেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহ্বান করা হয়েছে কোনো প্রকারের সহিংসতায় না জড়াতে, সেখানে একজন সমন্বয়কের এমন আচরণ কোনোভাবেই আন্দোলনের স্পিরিটের সঙ্গে যায় না বলে আমরা মনে করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহিন আলম শান বর্তমানে বেশ সক্রিয়ভাবে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছেন। এই শাহিন আলম শান আন্দোলন চলাকালে আমাদের মাঝপথে রেখে চলে গিয়েছিল এবং নূর নবীর আটকের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সে নূর নবীর প্রতি শিবির সন্দেহ পোষণ করে অনাস্থা জানায়। নূর নবী জেল থেকে বেরিয়ে অভিযোগ তুলেছিল, শাহিন আলম শানই ডিবির কাছে আমাদের সব ম্যাসেজ ও তথ্য ফাঁস করেন। শাহিন আলম শান আন্দোলনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল মুহূর্তে আন্দোলন ছেড়ে চলে যান। এমনকি বিজয় অর্জনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে জায়গা না পেয়ে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ’ নামক ভুঁইফোড় প্ল্যাটফর্ম খুলে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে। এত কিছুর পর কী করে শিক্ষার্থীরা তাঁর ওপর আস্থা রাখবে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফরহাদ ভূঁইয়াকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে পুরান ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলে সাধারণ মানুষের মামলা-মোকদ্দমা, জমিসংক্রান্ত বিষয়ে বিচার-সালিস করতে দেখা গেছে। আমরা এ ধরনের অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ড সমর্থন করি না। আমরা মনে করি, দেশ গঠন প্রক্রিয়ায় নতুন প্রশাসনই সব দায়িত্ব নেবে, এগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের এখতিয়ার বহির্ভূত। বরং এসব কর্মকাণ্ডে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
সমন্বয়কদের কোনো প্রকার পরামর্শ ছাড়াই ডিসি অফিসে বসে আবু বকরের মধ্যস্থতায় একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই লিয়াজোঁ কমিটির প্রয়োজনীয়তা কী? ডিসি অফিসে এ রকম লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের নজির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে অন্য কোথাও নেই। গঠনকৃত এই লিয়াজোঁ কমিটির উদ্দেশ্য ও স্বার্থ কী? আমরা মনে করি, এর মাধ্যমে কতিপয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর সুবিধাভোগ ছাড়া ফলপ্রসূ কোনো কর্মকাণ্ড সম্পাদন সম্ভব নয়।
এ ঘটনাগুলো সবাইকে ভালো করে লক্ষ করার অনুরোধ করছি। ৫ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে কোনো কর্মসূচি কি আদৌ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে গ্রহণ করা হয়েছে না কি শুধু কতিপয় গোষ্ঠীর স্বার্থে এবং প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে করা হয়েছে—সেই প্রশ্ন উত্থাপন করতে সবাইকে আহ্বান করছি।
সবশেষে বলতে চাই, মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিজয় প্রশ্নবিদ্ধ হোক, এটা আমরা কখনো চাইনি। ১৬ বছরের ভয়ের সংস্কৃতি ভেঙে সবাই যখন ক্যাম্পাসে স্বাধীনভাবে দাঁড়াতে পারছি, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সংকট দূরীকরণে সম্মিলিতভাবে কাজ করাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। যেসব ঘটনা এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাধা হয়ে এসেছে, তা সবার সামনে আমরা উত্থাপন করছি। বিচার করার দায়িত্ব সবার। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাপর সব বৈষম্যের, নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমরা সর্বদা সোচ্চার ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।
এ বিষয়ে সমন্বয়ক কিশোর সাম্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করা হয়েছে, আমরা মনে করি, এই প্ল্যাটফর্ম এসব সমর্থন করে না। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে প্ল্যাটফর্মটি গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে। তাই আমরা মনে করছি, এই সময়ে এসে এই প্ল্যাটফর্মের আর প্রয়োজনীয়তা থাকছে না। আমরা আসলে কী ঘটেছে, ঘটছে—সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে জবাবদিহির জায়গা থাকে। আর আমরা এই প্ল্যাটফর্মে থাকছি না—এটা ক্লিয়ার। কারণ, এখানে এখন পেশিশক্তির ব্যবহার হচ্ছে। যে পেশিশক্তির বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছিলাম।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটির ১৪ জন শিক্ষার্থী অপর সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাঁরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ আগস্ট আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের লড়াকু বীর ইকরামুল হক সাজিদ দীর্ঘ যন্ত্রণাদায়ক অপেক্ষার পর শহীদ হন। আমরা তাঁর মহান আত্মত্যাগকে স্মরণ করছি। একই সঙ্গে স্মরণ করছি আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, তানভিন, ফাহাদসহ সব শহীদকে। যাঁদের তাজা রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি কাঙ্ক্ষিত বিজয়। আমরা সকলের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা এই আত্মত্যাগকে অঙ্কুরে বিনষ্ট হতে দেবেন না।
কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা বুঝতে পারি, শুধু কোটার সংস্কারই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন রাষ্ট্র সংস্কার। দেশে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকারত্বের যে সংকট, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোটা পদ্ধতিতে সামান্যতম সংস্কার চেয়েছিলাম। কিন্তু এই সামান্য চাওয়া পূরণ করতে শত শত জীবন দিতে হলো, হাজারো মানুষ আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করল। হাসিনা রেজিম এই সামান্য চাওয়া দমন করতে গুলি ছুড়ল স্নাইপার ও হেলিকপ্টার থেকে। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিল, কারফিউ জারি করল ও রাস্তায় সেনাবাহিনী নামিয়ে দিল। শেষ পর্যন্ত কোটা আন্দোলন পরিণত হলো ছাত্র-জনতার অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলনে। হয় হাসিনা নয় ছাত্র-জনতা। দেশের মানুষের মধ্যে এক গণ-আকাঙ্ক্ষা তৈরি হলো—এই দুঃশাসন থেকে মুক্তির জন্য। অবশেষে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিশাল আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালায়। আমরা হলাম জুলাই অভ্যুত্থানের সাক্ষী।
সারা দেশে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’–এর নেতৃত্বে যে সংগ্রাম সংগঠিত হলো, তার অংশীদার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। এই সংগ্রামে ১৫ জুলাই আমাদের অনেকেই গুরুতর আহত হয়, ১৬ জুলাই সন্ত্রাসীদের দ্বারা অনিক-ফেরদৌসসহ ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়, ১৯ জুলাই আটক হয় আমাদের সহযোদ্ধা নুর নবী, ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হওয়া সাজিদ সবশেষ শহীদী পরিচয় বরণ করে নেন। গুলিতে অনিকের খাদ্যনালি ছিঁড়েছে, নুর নবীকে ডিবি হেফাজতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, লক্ষ্মীবাজারে শিক্ষার্থীদের ওপর ছোড়া হয়েছে লাইভ বুলেট। আমরা যেন এসব গল্প ভুলে না যাই।
এসব নিপীড়ন প্রতিরোধ করতে যে রক্তক্ষয় হয়েছে, তার যথার্থ মূল্যায়ন হবে আন্দোলনের যে গণ-আকাঙ্ক্ষা তার বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে। গত ১৬ বছরে সৃষ্ট ত্রাসের রাজত্বকে ধূলিসাৎ করে রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে আমূল সংস্কারের মধ্য দিয়ে একমাত্র এর মূল্যায়ন সম্ভব। যে ফ্যাসিস্টের হুকুমে এত প্রাণ ঝরে গেল, তার বিচার নিশ্চিত করার গুরুদায়িত্ব এখনো বাকি। এর মধ্যেই সারা দেশে একটা সূক্ষ্ম অস্থিরতা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা এখনো রাস্তায়, দেশজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা অকার্যকর। দেশ স্থিতিশীল হতে আমাদের আরও ধৈর্য ধরতে হবে। এ সময় এমন কিছু করা উচিত হবে না, যা আমাদের আন্দোলনের স্পিরিটকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
এ রকম সময়ে আমরা লক্ষ করছি, সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অথবা আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও এর ব্যতিক্রম নয়। ৫ আগস্টের পর থেকেই অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে, যার দায় এসে পড়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে এমন অনেক কাজ করা হয়েছে, যার সঙ্গে আন্দোলনকারী ‘সমন্বয়ক‘ হিসেবে পরিচিত অনেকেরই কোনো প্রকারের সম্পৃক্ততা নেই। আমরা এসব কর্মকাণ্ডকে প্রত্যাখ্যান করছি। কিছু ঘটনা আমরা উল্লেখ করছি—
বিজয় অর্জনের পর এখন পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ২৭ জন সমন্বয়কের অধিকাংশের উপস্থিতিতে কোনো প্রকার সভায় বসা সম্ভব হয়নি। যখনই বসার চেষ্টা করা হয়েছে, সেটা নানাভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন মাসুদ রানা ও নূর নবী। অথচ কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ছাড়াই একের পর এক কর্মসূচি আর দাবি এই ব্যানার থেকে উত্থাপন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নূর নবীর স্বেচ্ছাচারিতা অনেক বেশি লক্ষণীয়। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ‘আমি যা বলব তা-ই হবে’ এমন বচনভঙ্গি অনেককেই মনঃক্ষুণ্ন করেছে।
মতবিনিময় সভার নামে ১১ আগস্ট যে ‘মব ট্রায়াল’–এর আয়োজন করা হয়েছে। আমরা তা সমর্থন করি না। ‘গোপন নথি গায়েব করা হচ্ছে’ বলে যেভাবে শিক্ষার্থীদের উসকে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নাসির উদ্দীন আহমদ স্যারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। এরপর যখন আমরা সবাই একমত হই, তিনজন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে শিক্ষকেরা নথিগুলো যাচাই করবে—তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু বকর, নূর নবীর নির্দেশে ভিসি ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। অথচ, আপনাদের মনে আছে, সেই নথিগুলোর মধ্যে নাসির স্যারের ‘জয়েনিং লেটার’ ছিল। যাতে দ্রুত ভিসির স্বাক্ষর প্রয়োজন ছিল। তাহলে, নূর নবী-আবু বকরদের কাছে আমাদের প্রশ্ন, শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে এ রকম হঠকারী পদক্ষেপের উদ্দেশ্য কী?
আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রেজিমের পক্ষ নিয়ে যেই প্রশাসন আমাদের আন্দোলনের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল, সেই প্রশাসনের পদত্যাগ ছিল ছাত্রদের দাবি। তার পরিপ্রেক্ষিতে ভিসি, রেজিস্ট্রারসহ সম্পূর্ণ প্রক্টরিয়াল বডি পদত্যাগ করে। কিন্তু সন্দেহের উদ্রেক হয় তখনই, যখন ট্রেজারারের পদত্যাগের প্রশ্নে এই সমন্বয়কেরা ভিন্ন সুরে কথা বলে। তাঁরা ট্রেজারারকে বহাল তবিয়ত রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট হয়। এমনকি কনফারেন্স রুমে সব ডিপার্টমেন্টের চেয়ারপারসনদের উপস্থিতিতে গুটিকয়েক সমন্বয়ক ট্রেজারারের গুণকীর্তন শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু বকর এবং ১৪ ব্যাচের রিয়াজুল ইসলামের বক্তব্যগুলো লক্ষ্য করলে সবাই বুঝতে পারবেন, তাঁরা বিভিন্ন কৌশলে কতিপয় শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষার্থে নানা ধরনের চাটুকারিতার আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা স্পষ্ট করতে চাই, এই ব্যক্তিদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
সমন্বয়কদের মধ্যে কোনো রকমে আলোচনা ছাড়াই মব ট্রায়ালের মাধ্যমে একটা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে, যার নজির সারা দেশে আর কোনো ইউনিটে নেই। সমন্বয়কদের আবার উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের প্রয়োজন পড়ল কেন? আর কাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে এই উপদেষ্টা পরিষদ? মুন্না, জসীম, শাহিন আলম শানসহ যেসব ব্যক্তি উপদেষ্টা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন, আন্দোলনে তাঁদের ভূমিকা ছিল বিতর্কিত। ১১ জুলাইয়ের কথা মনে আছে তো? সেদিন কুমিল্লায় গুলি ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি হামলা চলে। ওই দিন প্রক্টরিয়াল বডির সামান্য হুমকির মুখে এই ব্যক্তিরাই মিছিল স্থগিতের ঘোষণা দেন। তারপর জুনিয়র শিক্ষার্থীরা তাঁদের নেতৃত্ব অমান্য করে ক্যাম্পাসের গেট ভেঙে মিছিল নিয়ে শাহবাগে যান। ফলে এই সুযোগ সন্ধানী শক্তির উপদেষ্টা পরিষদ আমরা কখনোই সমর্থন করিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও অন্যতম সমন্বয়ক মাসুদ রানার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ ও স্বেচ্ছাচারিতা লক্ষ করা যায়। তাঁকে এমন কথা বলতে শোনা গেছে, ‘জকসু নির্বাচনে আমি ভিপি পদে দাঁড়াব। সমন্বয়কদের মধ্যে যাদের শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে। ওরা থাকলে আমি ভোট পাব? আমি ১০-১২ দিনের মধ্যেই এই সমন্বয়ক কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি দিয়ে ওদের বের করে দেব।’ সমন্বয়কদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই ছাত্রলীগের অনুগতদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন ও নতুন কমিটি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত মাসুদ রানার ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে কি না আমরা সেই প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি।
দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জবির ‘হল উদ্ধার আন্দোলন’ একটা আত্মঘাতী কর্মসূচি বলেই আমরা মনে করি। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার স্থানীয় ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সৃষ্টি হতে পারে, যা মোটেই কাম্য নয়। অথচ নূর নবীর পরিচালনায় সমন্বয়কদের একাংশ, আবু বকর, রিয়াজসহ বিতর্কিত উপদেষ্টা পরিষদ মিলে এই অযৌক্তিক কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। পরবর্তীকালে এর পেছনে কিছু শিক্ষকের দুরভিসন্ধিমূলক আচরণ আমাদের সবার সামনে উন্মোচিত হয়। এ ছাড়া নিয়মবহির্ভূতভাবে রেজিস্ট্রার নিয়োগের বিষয়েও এসব ব্যক্তি ও কিছু শিক্ষকদের দুরভিসন্ধি কারোরই চোখ এড়ায়নি। এসব ঘটনার পরও এই মানুষগুলোর ওপর আস্থা রাখা যায় কীভাবে?
১৫ আগস্ট রাতে ক্যাম্পাসে সমন্বয়ক নূর নবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলেন। ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে একজন ছাত্রলীগ কর্মীকে ক্যাম্পাসে ঢুকিয়েছেন। একই সঙ্গে সেই ছাত্রলীগ কর্মীকেও বেধড়ক পেটানো হয়। আমরা বলতে চাই, এই আচরণের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের গত ১৬ বছরের কর্মকাণ্ডের কোনো পার্থক্য আছে কি? যেখানে সারা দেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহ্বান করা হয়েছে কোনো প্রকারের সহিংসতায় না জড়াতে, সেখানে একজন সমন্বয়কের এমন আচরণ কোনোভাবেই আন্দোলনের স্পিরিটের সঙ্গে যায় না বলে আমরা মনে করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহিন আলম শান বর্তমানে বেশ সক্রিয়ভাবে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছেন। এই শাহিন আলম শান আন্দোলন চলাকালে আমাদের মাঝপথে রেখে চলে গিয়েছিল এবং নূর নবীর আটকের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সে নূর নবীর প্রতি শিবির সন্দেহ পোষণ করে অনাস্থা জানায়। নূর নবী জেল থেকে বেরিয়ে অভিযোগ তুলেছিল, শাহিন আলম শানই ডিবির কাছে আমাদের সব ম্যাসেজ ও তথ্য ফাঁস করেন। শাহিন আলম শান আন্দোলনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল মুহূর্তে আন্দোলন ছেড়ে চলে যান। এমনকি বিজয় অর্জনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে জায়গা না পেয়ে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ’ নামক ভুঁইফোড় প্ল্যাটফর্ম খুলে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে। এত কিছুর পর কী করে শিক্ষার্থীরা তাঁর ওপর আস্থা রাখবে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফরহাদ ভূঁইয়াকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে পুরান ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলে সাধারণ মানুষের মামলা-মোকদ্দমা, জমিসংক্রান্ত বিষয়ে বিচার-সালিস করতে দেখা গেছে। আমরা এ ধরনের অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ড সমর্থন করি না। আমরা মনে করি, দেশ গঠন প্রক্রিয়ায় নতুন প্রশাসনই সব দায়িত্ব নেবে, এগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের এখতিয়ার বহির্ভূত। বরং এসব কর্মকাণ্ডে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
সমন্বয়কদের কোনো প্রকার পরামর্শ ছাড়াই ডিসি অফিসে বসে আবু বকরের মধ্যস্থতায় একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই লিয়াজোঁ কমিটির প্রয়োজনীয়তা কী? ডিসি অফিসে এ রকম লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের নজির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে অন্য কোথাও নেই। গঠনকৃত এই লিয়াজোঁ কমিটির উদ্দেশ্য ও স্বার্থ কী? আমরা মনে করি, এর মাধ্যমে কতিপয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর সুবিধাভোগ ছাড়া ফলপ্রসূ কোনো কর্মকাণ্ড সম্পাদন সম্ভব নয়।
এ ঘটনাগুলো সবাইকে ভালো করে লক্ষ করার অনুরোধ করছি। ৫ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে কোনো কর্মসূচি কি আদৌ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে গ্রহণ করা হয়েছে না কি শুধু কতিপয় গোষ্ঠীর স্বার্থে এবং প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে করা হয়েছে—সেই প্রশ্ন উত্থাপন করতে সবাইকে আহ্বান করছি।
সবশেষে বলতে চাই, মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিজয় প্রশ্নবিদ্ধ হোক, এটা আমরা কখনো চাইনি। ১৬ বছরের ভয়ের সংস্কৃতি ভেঙে সবাই যখন ক্যাম্পাসে স্বাধীনভাবে দাঁড়াতে পারছি, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সংকট দূরীকরণে সম্মিলিতভাবে কাজ করাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। যেসব ঘটনা এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাধা হয়ে এসেছে, তা সবার সামনে আমরা উত্থাপন করছি। বিচার করার দায়িত্ব সবার। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাপর সব বৈষম্যের, নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমরা সর্বদা সোচ্চার ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।
এ বিষয়ে সমন্বয়ক কিশোর সাম্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করা হয়েছে, আমরা মনে করি, এই প্ল্যাটফর্ম এসব সমর্থন করে না। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে প্ল্যাটফর্মটি গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে। তাই আমরা মনে করছি, এই সময়ে এসে এই প্ল্যাটফর্মের আর প্রয়োজনীয়তা থাকছে না। আমরা আসলে কী ঘটেছে, ঘটছে—সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে জবাবদিহির জায়গা থাকে। আর আমরা এই প্ল্যাটফর্মে থাকছি না—এটা ক্লিয়ার। কারণ, এখানে এখন পেশিশক্তির ব্যবহার হচ্ছে। যে পেশিশক্তির বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছিলাম।

চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
৩৫ মিনিট আগে
বগুড়ায় জহুরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবককে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি গ্রামের জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
পিরোজপুরের নেছারাবাদে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৯) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন।
১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউনুস সিকদারের (৫০) লাশ উদ্ধারের পর থেকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম সবুর মিয়া পলাতক রয়েছেন। উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকার একটি সেতুর নিচ থেকে বুধবার সকাল ৮টার দিকে ইউনুস সিকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
বিএনপি প্রার্থীর খুব কাছাকাছি ছিলেন এক ডজনের বেশি মামলার আসামি সরওয়ার বাবলা (৪৩)। তাঁর গায়ে ছিল সাদা প্যান্ট ও গেঞ্জি। গেঞ্জির পেছনে বড় অক্ষরের ইংরেজি লেখা। বাবলার পিঠের কাছাকাছি একজন সেলফিতে ব্যস্ত, আচমকা পেছন থেকে একটি হাত ওঠে, বাড়ন্ত ওই হাতে ছিল স্বয়ংক্রিয় পিস্তল। কেউ কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঠাস ঠাস আওয়াজ। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বাবলা। মুহূর্তের মধ্যে সটকে পড়ে হামলাকারীরা। সবার মুখে মাস্ক ছিল। সংখ্যায় তাঁরা আটজনের মতো ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাহাবুদ্দিন ও মো. ইসমাইল জানান, গণসংযোগকালে সাত থেকে আটজনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ খুব কাছ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে।
ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাবলাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পিতা আবদুল কাদের ও ভাই মো. আজিজ আহাজারি করে বলেন, ‘এভাবে গুলি করে বাবলাকে মারার ঘটনা নজিরবিহীন। কার কাছে বিচার চাইব?’
ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাহাবুদ্দিন জানান, গণসংযোগের প্রচারণা দলের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। কেউ কোনো কিছু আঁচ করতে পারেনি এ কারণে।
এ ঘটনায় পাশে থাকা বিএনপি প্রার্থী এরশাদের সঙ্গে শান্ত নামের আরও একজন গুলিবিদ্ধ হন। সবাইকে কাছাকাছি এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা বাবলাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুজন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এভারকেয়ার হাসপাতালের এজিএম রাম প্রসাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনজনের মধ্যে সরোয়ার বাবলা মারা গেছেন। অন্য দুজনের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বায়েজিদ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে কাউকে ঘটনাস্থল থেকে কিংবা অন্য কোনো স্থান থেকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘গোলাগুলির ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আহত দুজনের অবস্থা শঙ্কামুক্ত। ঘটনার বিষয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’ যেকোনো মূল্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেয় সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরের বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে মাগরিবের নামাজের পরপর শুরু হওয়া নির্বাচনী গণসংযোগে এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
বিএনপি প্রার্থীর খুব কাছাকাছি ছিলেন এক ডজনের বেশি মামলার আসামি সরওয়ার বাবলা (৪৩)। তাঁর গায়ে ছিল সাদা প্যান্ট ও গেঞ্জি। গেঞ্জির পেছনে বড় অক্ষরের ইংরেজি লেখা। বাবলার পিঠের কাছাকাছি একজন সেলফিতে ব্যস্ত, আচমকা পেছন থেকে একটি হাত ওঠে, বাড়ন্ত ওই হাতে ছিল স্বয়ংক্রিয় পিস্তল। কেউ কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঠাস ঠাস আওয়াজ। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বাবলা। মুহূর্তের মধ্যে সটকে পড়ে হামলাকারীরা। সবার মুখে মাস্ক ছিল। সংখ্যায় তাঁরা আটজনের মতো ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাহাবুদ্দিন ও মো. ইসমাইল জানান, গণসংযোগকালে সাত থেকে আটজনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ খুব কাছ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে।
ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাবলাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পিতা আবদুল কাদের ও ভাই মো. আজিজ আহাজারি করে বলেন, ‘এভাবে গুলি করে বাবলাকে মারার ঘটনা নজিরবিহীন। কার কাছে বিচার চাইব?’
ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাহাবুদ্দিন জানান, গণসংযোগের প্রচারণা দলের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। কেউ কোনো কিছু আঁচ করতে পারেনি এ কারণে।
এ ঘটনায় পাশে থাকা বিএনপি প্রার্থী এরশাদের সঙ্গে শান্ত নামের আরও একজন গুলিবিদ্ধ হন। সবাইকে কাছাকাছি এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা বাবলাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুজন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এভারকেয়ার হাসপাতালের এজিএম রাম প্রসাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনজনের মধ্যে সরোয়ার বাবলা মারা গেছেন। অন্য দুজনের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বায়েজিদ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে কাউকে ঘটনাস্থল থেকে কিংবা অন্য কোনো স্থান থেকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘গোলাগুলির ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আহত দুজনের অবস্থা শঙ্কামুক্ত। ঘটনার বিষয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’ যেকোনো মূল্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেয় সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরের বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে মাগরিবের নামাজের পরপর শুরু হওয়া নির্বাচনী গণসংযোগে এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনা ঘটে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটির ১৪ জন শিক্ষার্থী অপর সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাঁরা।
১৭ আগস্ট ২০২৪
বগুড়ায় জহুরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবককে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি গ্রামের জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
পিরোজপুরের নেছারাবাদে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৯) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন।
১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউনুস সিকদারের (৫০) লাশ উদ্ধারের পর থেকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম সবুর মিয়া পলাতক রয়েছেন। উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকার একটি সেতুর নিচ থেকে বুধবার সকাল ৮টার দিকে ইউনুস সিকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ায় জহুরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবককে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোরে নিহত যুবকের স্ত্রী শামিমা বেগম (২৮) ও বিপুল হোসেন (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিপুল শামিমার মামাতো ভাই।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গতকাল সকালে হাজরাদীঘি গ্রামের একটি ধানখেতে জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত মরদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। নিহত যুবকের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের একাধিক চিহ্ন ছিল। লাশ উদ্ধারের পর নিহত যুবকের স্ত্রী পুলিশকে জানান, গত সোমবার রাত ১১টার দিকে মোবাইল ফোনে কে বা কারা জহুরুলকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাতে জহুরুল আর ফিরে আসেননি। কিন্তু পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তিগত তদন্ত করে নিহত যুবকের স্ত্রী শামিমা ও তাঁর মামাতো ভাই পার্শ্ববর্তী অন্তাহার গ্রামের হামিদুর রহমানের ছেলে বিপুল হোসেনকে সন্দেহ করে। পরে আজ ভোরে নিহত জহুরুলের বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রী শামিমা ও বিপুলকে আটক করে।
থানায় দুজনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করলে বের হয় চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিহত যুবকের স্ত্রী শামিমা পুলিশকে জানান, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী একে অপরের মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন। আর জহুরুল ও বিপুল একে অপরের খালাতো ভাই। জহুরুল ইসলামের বাড়ি কাহালু উপজেলায় হলেও বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর ছোটবেলা থেকেই তিনি মামার বাড়ি হাজরাদীঘি গ্রামে বসবাস করতেন। তিনি পেশায় বেকারি পণ্যসামগ্রী পরিবহনের ভ্যানচালক আর বিপুল পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। জহুরুলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ১৫ বছর আগে। তাঁদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। জহুরুলের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার আগে থেকেই বিপুলের সঙ্গে শামিমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরেও তাঁরা প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিপুল মাঝেমধ্যে শামিমার বাড়িতে আসতেন। শামিমার বাবা বিপুল ও জহুরুলের মামা হওয়ার কারণে গ্রামের লোকজন বিষয়টি সন্দেহের চোখে দেখতেন না। কিন্তু বিপুলের যাতায়াত পছন্দ করতেন না জহুরুল। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে জহুরুলের দাম্পত্যকলহ লেগেই থাকত। শামিমার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বিপুল তাঁকে একটি ছোট মোবাইল ফোন কিনে দেন। সেই ফোনটি শামিমা লুকিয়ে রাখতেন। এভাবে দীর্ঘদিন সম্পর্ক চলার একপর্যায় স্বামীকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য বিপুলের সঙ্গে পরামর্শ করেন শামিমা। দুজনের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার রাতে শামিমা দুধের সঙ্গে কৌশলে তাঁর স্বামীকে ১৫টি ঘুমের বড়ি সেবন করান। কিছুক্ষণ পর অচেতন হয়ে পড়লে রাত ১১টার দিকে বিপুল শামিমার বাড়ি আসেন। এরপর বিপুল কাঁধে করে জহুরুলকে বাড়ি থেকে বের করে গ্রামের একটি মাঠে পরিত্যক্ত বাড়ির কাছে নিয়ে যান। এ সময় সঙ্গে শামিমাও সেখানে যান। এরপর জহুরুলের মাথা পরিত্যক্ত বাড়ির দেয়ালের সঙ্গে কয়েকবার আঘাত করেন। একপর্যায়ে একটি পুরোনো স্যানিটারি প্যানের পরিত্যক্ত ভাঙা অংশ দিয়ে জহুরুলের মাথায় একাধিক আঘাত করে পাশের ধানখেতে ফেলে রেখে দুজন চলে যান।
পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজার রহমান জানান, নিহত জহুরুলের মা-বাবার সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ না থাকায় এ ঘটনায় গ্রেপ্তার শামিমার বাবা শাহিনুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় দুজনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য।

বগুড়ায় জহুরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবককে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোরে নিহত যুবকের স্ত্রী শামিমা বেগম (২৮) ও বিপুল হোসেন (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিপুল শামিমার মামাতো ভাই।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গতকাল সকালে হাজরাদীঘি গ্রামের একটি ধানখেতে জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত মরদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। নিহত যুবকের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের একাধিক চিহ্ন ছিল। লাশ উদ্ধারের পর নিহত যুবকের স্ত্রী পুলিশকে জানান, গত সোমবার রাত ১১টার দিকে মোবাইল ফোনে কে বা কারা জহুরুলকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাতে জহুরুল আর ফিরে আসেননি। কিন্তু পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তিগত তদন্ত করে নিহত যুবকের স্ত্রী শামিমা ও তাঁর মামাতো ভাই পার্শ্ববর্তী অন্তাহার গ্রামের হামিদুর রহমানের ছেলে বিপুল হোসেনকে সন্দেহ করে। পরে আজ ভোরে নিহত জহুরুলের বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রী শামিমা ও বিপুলকে আটক করে।
থানায় দুজনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করলে বের হয় চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিহত যুবকের স্ত্রী শামিমা পুলিশকে জানান, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী একে অপরের মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন। আর জহুরুল ও বিপুল একে অপরের খালাতো ভাই। জহুরুল ইসলামের বাড়ি কাহালু উপজেলায় হলেও বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর ছোটবেলা থেকেই তিনি মামার বাড়ি হাজরাদীঘি গ্রামে বসবাস করতেন। তিনি পেশায় বেকারি পণ্যসামগ্রী পরিবহনের ভ্যানচালক আর বিপুল পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। জহুরুলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ১৫ বছর আগে। তাঁদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। জহুরুলের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার আগে থেকেই বিপুলের সঙ্গে শামিমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরেও তাঁরা প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিপুল মাঝেমধ্যে শামিমার বাড়িতে আসতেন। শামিমার বাবা বিপুল ও জহুরুলের মামা হওয়ার কারণে গ্রামের লোকজন বিষয়টি সন্দেহের চোখে দেখতেন না। কিন্তু বিপুলের যাতায়াত পছন্দ করতেন না জহুরুল। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে জহুরুলের দাম্পত্যকলহ লেগেই থাকত। শামিমার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বিপুল তাঁকে একটি ছোট মোবাইল ফোন কিনে দেন। সেই ফোনটি শামিমা লুকিয়ে রাখতেন। এভাবে দীর্ঘদিন সম্পর্ক চলার একপর্যায় স্বামীকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য বিপুলের সঙ্গে পরামর্শ করেন শামিমা। দুজনের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার রাতে শামিমা দুধের সঙ্গে কৌশলে তাঁর স্বামীকে ১৫টি ঘুমের বড়ি সেবন করান। কিছুক্ষণ পর অচেতন হয়ে পড়লে রাত ১১টার দিকে বিপুল শামিমার বাড়ি আসেন। এরপর বিপুল কাঁধে করে জহুরুলকে বাড়ি থেকে বের করে গ্রামের একটি মাঠে পরিত্যক্ত বাড়ির কাছে নিয়ে যান। এ সময় সঙ্গে শামিমাও সেখানে যান। এরপর জহুরুলের মাথা পরিত্যক্ত বাড়ির দেয়ালের সঙ্গে কয়েকবার আঘাত করেন। একপর্যায়ে একটি পুরোনো স্যানিটারি প্যানের পরিত্যক্ত ভাঙা অংশ দিয়ে জহুরুলের মাথায় একাধিক আঘাত করে পাশের ধানখেতে ফেলে রেখে দুজন চলে যান।
পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজার রহমান জানান, নিহত জহুরুলের মা-বাবার সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ না থাকায় এ ঘটনায় গ্রেপ্তার শামিমার বাবা শাহিনুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় দুজনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটির ১৪ জন শিক্ষার্থী অপর সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাঁরা।
১৭ আগস্ট ২০২৪
চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
৩৫ মিনিট আগে
পিরোজপুরের নেছারাবাদে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৯) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন।
১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউনুস সিকদারের (৫০) লাশ উদ্ধারের পর থেকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম সবুর মিয়া পলাতক রয়েছেন। উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকার একটি সেতুর নিচ থেকে বুধবার সকাল ৮টার দিকে ইউনুস সিকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

পিরোজপুরের নেছারাবাদে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৯) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন নয়ন (২০), অপূর্ব (২০) ও দুর্জয় হালদার (২০)।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রতিবেশী দুর্জয় হালদারের ঘরে মোবাইল চার্জার আনতে গেলে মুখে গামছা বেঁধে নয়ন, অপূর্ব ও দুর্জয় জোরপূর্বক তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ছাড়া আসামিরা বিভিন্ন সময়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
নেছারাবাদ থানার ওসি মো. বনি আমিন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পিরোজপুরের নেছারাবাদে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৯) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন নয়ন (২০), অপূর্ব (২০) ও দুর্জয় হালদার (২০)।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রতিবেশী দুর্জয় হালদারের ঘরে মোবাইল চার্জার আনতে গেলে মুখে গামছা বেঁধে নয়ন, অপূর্ব ও দুর্জয় জোরপূর্বক তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ছাড়া আসামিরা বিভিন্ন সময়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
নেছারাবাদ থানার ওসি মো. বনি আমিন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটির ১৪ জন শিক্ষার্থী অপর সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাঁরা।
১৭ আগস্ট ২০২৪
চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
৩৫ মিনিট আগে
বগুড়ায় জহুরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবককে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি গ্রামের জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউনুস সিকদারের (৫০) লাশ উদ্ধারের পর থেকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম সবুর মিয়া পলাতক রয়েছেন। উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকার একটি সেতুর নিচ থেকে বুধবার সকাল ৮টার দিকে ইউনুস সিকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেটেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউনুস সিকদারের (৫০) লাশ উদ্ধারের পর থেকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম সবুর মিয়া পলাতক রয়েছেন।
উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকার একটি সেতুর নিচ থেকে বুধবার সকাল ৮টার দিকে ইউনুস সিকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়। ইউনুস উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন।
পরিবারের অভিযোগ, ইউনুস গতকাল মঙ্গলবার রাতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম সবুর মিয়ার বাড়িতে আমন্ত্রণে গিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর থেকে সবুর মিয়া পলাতক।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর জানান, সেতুর নিচ থেকে ভাসমান অবস্থায় একজন পুরুষের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ওপরে তুলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গ পাঠিয়েছে।
ওসি জানান, ধারণা করা হচ্ছে, লেনদেনসংক্রান্ত পাওনা টাকা আদায়ের জন্য এই হত্যাকাণ্ড। এ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
টেকনাফ পৌর বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, ইউনুসকে কমিটির কথা বলে সবুর মিয়া আমন্ত্রণ জানান। মঙ্গলবার রাতে যাওয়ার পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ সেতুর নিচে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনার পর সবুর মিয়া পলাতক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রঙ্গিখালী এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, ইউনুস প্রায়ই সবুর মিয়ার বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। সবুর মিয়া, আবছার উদ্দিন, আনোয়ার হোসাইন ওরফে লেটাইয়্যা, মিজানুর রহমান ওরফে বাড়ু মিজানসহ কয়েকজন মিলে এলাকার দোকানে আড্ডাও দিতেন। কয়েক দিন ধরে ইয়াবাসংক্রান্ত পাওয়া টাকার বিরোধের জেরেই তাঁদের মধ্যে প্রকাশ্যে কথা-কাটাকাটির ঘটনা শোনা গেছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে সবুর মিয়ার বাড়িতে ইউনুসকে আটকে ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়। এতে মারা যাওয়ার পর লাশ সেতুর নিচে রেখে বাড়িতে তালা দিয়ে সবুরসহ অভিযুক্তরা পালিয়ে যান।
নিহতের স্ত্রী কোহিনুর আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কোনো প্রকার টাকার লেনদেন নেই। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।’
ওসি জানান, পাওয়া টাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কী লেনদেনের টাকা, জানা যায়নি। যাঁদের নাম বলা হচ্ছে, তাঁদের ধরতে চেষ্টা চলছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউনুস সিকদারের (৫০) লাশ উদ্ধারের পর থেকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম সবুর মিয়া পলাতক রয়েছেন।
উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকার একটি সেতুর নিচ থেকে বুধবার সকাল ৮টার দিকে ইউনুস সিকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়। ইউনুস উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন।
পরিবারের অভিযোগ, ইউনুস গতকাল মঙ্গলবার রাতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম সবুর মিয়ার বাড়িতে আমন্ত্রণে গিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর থেকে সবুর মিয়া পলাতক।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর জানান, সেতুর নিচ থেকে ভাসমান অবস্থায় একজন পুরুষের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ওপরে তুলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গ পাঠিয়েছে।
ওসি জানান, ধারণা করা হচ্ছে, লেনদেনসংক্রান্ত পাওনা টাকা আদায়ের জন্য এই হত্যাকাণ্ড। এ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
টেকনাফ পৌর বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, ইউনুসকে কমিটির কথা বলে সবুর মিয়া আমন্ত্রণ জানান। মঙ্গলবার রাতে যাওয়ার পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ সেতুর নিচে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনার পর সবুর মিয়া পলাতক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রঙ্গিখালী এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, ইউনুস প্রায়ই সবুর মিয়ার বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। সবুর মিয়া, আবছার উদ্দিন, আনোয়ার হোসাইন ওরফে লেটাইয়্যা, মিজানুর রহমান ওরফে বাড়ু মিজানসহ কয়েকজন মিলে এলাকার দোকানে আড্ডাও দিতেন। কয়েক দিন ধরে ইয়াবাসংক্রান্ত পাওয়া টাকার বিরোধের জেরেই তাঁদের মধ্যে প্রকাশ্যে কথা-কাটাকাটির ঘটনা শোনা গেছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে সবুর মিয়ার বাড়িতে ইউনুসকে আটকে ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়। এতে মারা যাওয়ার পর লাশ সেতুর নিচে রেখে বাড়িতে তালা দিয়ে সবুরসহ অভিযুক্তরা পালিয়ে যান।
নিহতের স্ত্রী কোহিনুর আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কোনো প্রকার টাকার লেনদেন নেই। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।’
ওসি জানান, পাওয়া টাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কী লেনদেনের টাকা, জানা যায়নি। যাঁদের নাম বলা হচ্ছে, তাঁদের ধরতে চেষ্টা চলছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটির ১৪ জন শিক্ষার্থী অপর সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাঁরা।
১৭ আগস্ট ২০২৪
চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
৩৫ মিনিট আগে
বগুড়ায় জহুরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবককে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি গ্রামের জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
পিরোজপুরের নেছারাবাদে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৯) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন।
১ ঘণ্টা আগে