জবি সংবাদদাতা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটির ১৪ জন শিক্ষার্থী অপর সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাঁরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ আগস্ট আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের লড়াকু বীর ইকরামুল হক সাজিদ দীর্ঘ যন্ত্রণাদায়ক অপেক্ষার পর শহীদ হন। আমরা তাঁর মহান আত্মত্যাগকে স্মরণ করছি। একই সঙ্গে স্মরণ করছি আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, তানভিন, ফাহাদসহ সব শহীদকে। যাঁদের তাজা রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি কাঙ্ক্ষিত বিজয়। আমরা সকলের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা এই আত্মত্যাগকে অঙ্কুরে বিনষ্ট হতে দেবেন না।
কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা বুঝতে পারি, শুধু কোটার সংস্কারই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন রাষ্ট্র সংস্কার। দেশে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকারত্বের যে সংকট, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোটা পদ্ধতিতে সামান্যতম সংস্কার চেয়েছিলাম। কিন্তু এই সামান্য চাওয়া পূরণ করতে শত শত জীবন দিতে হলো, হাজারো মানুষ আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করল। হাসিনা রেজিম এই সামান্য চাওয়া দমন করতে গুলি ছুড়ল স্নাইপার ও হেলিকপ্টার থেকে। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিল, কারফিউ জারি করল ও রাস্তায় সেনাবাহিনী নামিয়ে দিল। শেষ পর্যন্ত কোটা আন্দোলন পরিণত হলো ছাত্র-জনতার অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলনে। হয় হাসিনা নয় ছাত্র-জনতা। দেশের মানুষের মধ্যে এক গণ-আকাঙ্ক্ষা তৈরি হলো—এই দুঃশাসন থেকে মুক্তির জন্য। অবশেষে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিশাল আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালায়। আমরা হলাম জুলাই অভ্যুত্থানের সাক্ষী।
সারা দেশে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’–এর নেতৃত্বে যে সংগ্রাম সংগঠিত হলো, তার অংশীদার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। এই সংগ্রামে ১৫ জুলাই আমাদের অনেকেই গুরুতর আহত হয়, ১৬ জুলাই সন্ত্রাসীদের দ্বারা অনিক-ফেরদৌসসহ ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়, ১৯ জুলাই আটক হয় আমাদের সহযোদ্ধা নুর নবী, ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হওয়া সাজিদ সবশেষ শহীদী পরিচয় বরণ করে নেন। গুলিতে অনিকের খাদ্যনালি ছিঁড়েছে, নুর নবীকে ডিবি হেফাজতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, লক্ষ্মীবাজারে শিক্ষার্থীদের ওপর ছোড়া হয়েছে লাইভ বুলেট। আমরা যেন এসব গল্প ভুলে না যাই।
এসব নিপীড়ন প্রতিরোধ করতে যে রক্তক্ষয় হয়েছে, তার যথার্থ মূল্যায়ন হবে আন্দোলনের যে গণ-আকাঙ্ক্ষা তার বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে। গত ১৬ বছরে সৃষ্ট ত্রাসের রাজত্বকে ধূলিসাৎ করে রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে আমূল সংস্কারের মধ্য দিয়ে একমাত্র এর মূল্যায়ন সম্ভব। যে ফ্যাসিস্টের হুকুমে এত প্রাণ ঝরে গেল, তার বিচার নিশ্চিত করার গুরুদায়িত্ব এখনো বাকি। এর মধ্যেই সারা দেশে একটা সূক্ষ্ম অস্থিরতা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা এখনো রাস্তায়, দেশজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা অকার্যকর। দেশ স্থিতিশীল হতে আমাদের আরও ধৈর্য ধরতে হবে। এ সময় এমন কিছু করা উচিত হবে না, যা আমাদের আন্দোলনের স্পিরিটকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
এ রকম সময়ে আমরা লক্ষ করছি, সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অথবা আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও এর ব্যতিক্রম নয়। ৫ আগস্টের পর থেকেই অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে, যার দায় এসে পড়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে এমন অনেক কাজ করা হয়েছে, যার সঙ্গে আন্দোলনকারী ‘সমন্বয়ক‘ হিসেবে পরিচিত অনেকেরই কোনো প্রকারের সম্পৃক্ততা নেই। আমরা এসব কর্মকাণ্ডকে প্রত্যাখ্যান করছি। কিছু ঘটনা আমরা উল্লেখ করছি—
বিজয় অর্জনের পর এখন পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ২৭ জন সমন্বয়কের অধিকাংশের উপস্থিতিতে কোনো প্রকার সভায় বসা সম্ভব হয়নি। যখনই বসার চেষ্টা করা হয়েছে, সেটা নানাভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন মাসুদ রানা ও নূর নবী। অথচ কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ছাড়াই একের পর এক কর্মসূচি আর দাবি এই ব্যানার থেকে উত্থাপন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নূর নবীর স্বেচ্ছাচারিতা অনেক বেশি লক্ষণীয়। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ‘আমি যা বলব তা-ই হবে’ এমন বচনভঙ্গি অনেককেই মনঃক্ষুণ্ন করেছে।
মতবিনিময় সভার নামে ১১ আগস্ট যে ‘মব ট্রায়াল’–এর আয়োজন করা হয়েছে। আমরা তা সমর্থন করি না। ‘গোপন নথি গায়েব করা হচ্ছে’ বলে যেভাবে শিক্ষার্থীদের উসকে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নাসির উদ্দীন আহমদ স্যারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। এরপর যখন আমরা সবাই একমত হই, তিনজন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে শিক্ষকেরা নথিগুলো যাচাই করবে—তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু বকর, নূর নবীর নির্দেশে ভিসি ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। অথচ, আপনাদের মনে আছে, সেই নথিগুলোর মধ্যে নাসির স্যারের ‘জয়েনিং লেটার’ ছিল। যাতে দ্রুত ভিসির স্বাক্ষর প্রয়োজন ছিল। তাহলে, নূর নবী-আবু বকরদের কাছে আমাদের প্রশ্ন, শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে এ রকম হঠকারী পদক্ষেপের উদ্দেশ্য কী?
আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রেজিমের পক্ষ নিয়ে যেই প্রশাসন আমাদের আন্দোলনের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল, সেই প্রশাসনের পদত্যাগ ছিল ছাত্রদের দাবি। তার পরিপ্রেক্ষিতে ভিসি, রেজিস্ট্রারসহ সম্পূর্ণ প্রক্টরিয়াল বডি পদত্যাগ করে। কিন্তু সন্দেহের উদ্রেক হয় তখনই, যখন ট্রেজারারের পদত্যাগের প্রশ্নে এই সমন্বয়কেরা ভিন্ন সুরে কথা বলে। তাঁরা ট্রেজারারকে বহাল তবিয়ত রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট হয়। এমনকি কনফারেন্স রুমে সব ডিপার্টমেন্টের চেয়ারপারসনদের উপস্থিতিতে গুটিকয়েক সমন্বয়ক ট্রেজারারের গুণকীর্তন শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু বকর এবং ১৪ ব্যাচের রিয়াজুল ইসলামের বক্তব্যগুলো লক্ষ্য করলে সবাই বুঝতে পারবেন, তাঁরা বিভিন্ন কৌশলে কতিপয় শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষার্থে নানা ধরনের চাটুকারিতার আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা স্পষ্ট করতে চাই, এই ব্যক্তিদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
সমন্বয়কদের মধ্যে কোনো রকমে আলোচনা ছাড়াই মব ট্রায়ালের মাধ্যমে একটা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে, যার নজির সারা দেশে আর কোনো ইউনিটে নেই। সমন্বয়কদের আবার উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের প্রয়োজন পড়ল কেন? আর কাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে এই উপদেষ্টা পরিষদ? মুন্না, জসীম, শাহিন আলম শানসহ যেসব ব্যক্তি উপদেষ্টা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন, আন্দোলনে তাঁদের ভূমিকা ছিল বিতর্কিত। ১১ জুলাইয়ের কথা মনে আছে তো? সেদিন কুমিল্লায় গুলি ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি হামলা চলে। ওই দিন প্রক্টরিয়াল বডির সামান্য হুমকির মুখে এই ব্যক্তিরাই মিছিল স্থগিতের ঘোষণা দেন। তারপর জুনিয়র শিক্ষার্থীরা তাঁদের নেতৃত্ব অমান্য করে ক্যাম্পাসের গেট ভেঙে মিছিল নিয়ে শাহবাগে যান। ফলে এই সুযোগ সন্ধানী শক্তির উপদেষ্টা পরিষদ আমরা কখনোই সমর্থন করিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও অন্যতম সমন্বয়ক মাসুদ রানার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ ও স্বেচ্ছাচারিতা লক্ষ করা যায়। তাঁকে এমন কথা বলতে শোনা গেছে, ‘জকসু নির্বাচনে আমি ভিপি পদে দাঁড়াব। সমন্বয়কদের মধ্যে যাদের শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে। ওরা থাকলে আমি ভোট পাব? আমি ১০-১২ দিনের মধ্যেই এই সমন্বয়ক কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি দিয়ে ওদের বের করে দেব।’ সমন্বয়কদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই ছাত্রলীগের অনুগতদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন ও নতুন কমিটি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত মাসুদ রানার ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে কি না আমরা সেই প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি।
দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জবির ‘হল উদ্ধার আন্দোলন’ একটা আত্মঘাতী কর্মসূচি বলেই আমরা মনে করি। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার স্থানীয় ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সৃষ্টি হতে পারে, যা মোটেই কাম্য নয়। অথচ নূর নবীর পরিচালনায় সমন্বয়কদের একাংশ, আবু বকর, রিয়াজসহ বিতর্কিত উপদেষ্টা পরিষদ মিলে এই অযৌক্তিক কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। পরবর্তীকালে এর পেছনে কিছু শিক্ষকের দুরভিসন্ধিমূলক আচরণ আমাদের সবার সামনে উন্মোচিত হয়। এ ছাড়া নিয়মবহির্ভূতভাবে রেজিস্ট্রার নিয়োগের বিষয়েও এসব ব্যক্তি ও কিছু শিক্ষকদের দুরভিসন্ধি কারোরই চোখ এড়ায়নি। এসব ঘটনার পরও এই মানুষগুলোর ওপর আস্থা রাখা যায় কীভাবে?
১৫ আগস্ট রাতে ক্যাম্পাসে সমন্বয়ক নূর নবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলেন। ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে একজন ছাত্রলীগ কর্মীকে ক্যাম্পাসে ঢুকিয়েছেন। একই সঙ্গে সেই ছাত্রলীগ কর্মীকেও বেধড়ক পেটানো হয়। আমরা বলতে চাই, এই আচরণের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের গত ১৬ বছরের কর্মকাণ্ডের কোনো পার্থক্য আছে কি? যেখানে সারা দেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহ্বান করা হয়েছে কোনো প্রকারের সহিংসতায় না জড়াতে, সেখানে একজন সমন্বয়কের এমন আচরণ কোনোভাবেই আন্দোলনের স্পিরিটের সঙ্গে যায় না বলে আমরা মনে করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহিন আলম শান বর্তমানে বেশ সক্রিয়ভাবে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছেন। এই শাহিন আলম শান আন্দোলন চলাকালে আমাদের মাঝপথে রেখে চলে গিয়েছিল এবং নূর নবীর আটকের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সে নূর নবীর প্রতি শিবির সন্দেহ পোষণ করে অনাস্থা জানায়। নূর নবী জেল থেকে বেরিয়ে অভিযোগ তুলেছিল, শাহিন আলম শানই ডিবির কাছে আমাদের সব ম্যাসেজ ও তথ্য ফাঁস করেন। শাহিন আলম শান আন্দোলনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল মুহূর্তে আন্দোলন ছেড়ে চলে যান। এমনকি বিজয় অর্জনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে জায়গা না পেয়ে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ’ নামক ভুঁইফোড় প্ল্যাটফর্ম খুলে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে। এত কিছুর পর কী করে শিক্ষার্থীরা তাঁর ওপর আস্থা রাখবে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফরহাদ ভূঁইয়াকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে পুরান ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলে সাধারণ মানুষের মামলা-মোকদ্দমা, জমিসংক্রান্ত বিষয়ে বিচার-সালিস করতে দেখা গেছে। আমরা এ ধরনের অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ড সমর্থন করি না। আমরা মনে করি, দেশ গঠন প্রক্রিয়ায় নতুন প্রশাসনই সব দায়িত্ব নেবে, এগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের এখতিয়ার বহির্ভূত। বরং এসব কর্মকাণ্ডে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
সমন্বয়কদের কোনো প্রকার পরামর্শ ছাড়াই ডিসি অফিসে বসে আবু বকরের মধ্যস্থতায় একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই লিয়াজোঁ কমিটির প্রয়োজনীয়তা কী? ডিসি অফিসে এ রকম লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের নজির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে অন্য কোথাও নেই। গঠনকৃত এই লিয়াজোঁ কমিটির উদ্দেশ্য ও স্বার্থ কী? আমরা মনে করি, এর মাধ্যমে কতিপয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর সুবিধাভোগ ছাড়া ফলপ্রসূ কোনো কর্মকাণ্ড সম্পাদন সম্ভব নয়।
এ ঘটনাগুলো সবাইকে ভালো করে লক্ষ করার অনুরোধ করছি। ৫ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে কোনো কর্মসূচি কি আদৌ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে গ্রহণ করা হয়েছে না কি শুধু কতিপয় গোষ্ঠীর স্বার্থে এবং প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে করা হয়েছে—সেই প্রশ্ন উত্থাপন করতে সবাইকে আহ্বান করছি।
সবশেষে বলতে চাই, মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিজয় প্রশ্নবিদ্ধ হোক, এটা আমরা কখনো চাইনি। ১৬ বছরের ভয়ের সংস্কৃতি ভেঙে সবাই যখন ক্যাম্পাসে স্বাধীনভাবে দাঁড়াতে পারছি, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সংকট দূরীকরণে সম্মিলিতভাবে কাজ করাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। যেসব ঘটনা এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাধা হয়ে এসেছে, তা সবার সামনে আমরা উত্থাপন করছি। বিচার করার দায়িত্ব সবার। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাপর সব বৈষম্যের, নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমরা সর্বদা সোচ্চার ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।
এ বিষয়ে সমন্বয়ক কিশোর সাম্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করা হয়েছে, আমরা মনে করি, এই প্ল্যাটফর্ম এসব সমর্থন করে না। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে প্ল্যাটফর্মটি গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে। তাই আমরা মনে করছি, এই সময়ে এসে এই প্ল্যাটফর্মের আর প্রয়োজনীয়তা থাকছে না। আমরা আসলে কী ঘটেছে, ঘটছে—সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে জবাবদিহির জায়গা থাকে। আর আমরা এই প্ল্যাটফর্মে থাকছি না—এটা ক্লিয়ার। কারণ, এখানে এখন পেশিশক্তির ব্যবহার হচ্ছে। যে পেশিশক্তির বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছিলাম।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটির ১৪ জন শিক্ষার্থী অপর সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাঁরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ আগস্ট আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের লড়াকু বীর ইকরামুল হক সাজিদ দীর্ঘ যন্ত্রণাদায়ক অপেক্ষার পর শহীদ হন। আমরা তাঁর মহান আত্মত্যাগকে স্মরণ করছি। একই সঙ্গে স্মরণ করছি আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, তানভিন, ফাহাদসহ সব শহীদকে। যাঁদের তাজা রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি কাঙ্ক্ষিত বিজয়। আমরা সকলের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা এই আত্মত্যাগকে অঙ্কুরে বিনষ্ট হতে দেবেন না।
কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা বুঝতে পারি, শুধু কোটার সংস্কারই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন রাষ্ট্র সংস্কার। দেশে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকারত্বের যে সংকট, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোটা পদ্ধতিতে সামান্যতম সংস্কার চেয়েছিলাম। কিন্তু এই সামান্য চাওয়া পূরণ করতে শত শত জীবন দিতে হলো, হাজারো মানুষ আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করল। হাসিনা রেজিম এই সামান্য চাওয়া দমন করতে গুলি ছুড়ল স্নাইপার ও হেলিকপ্টার থেকে। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিল, কারফিউ জারি করল ও রাস্তায় সেনাবাহিনী নামিয়ে দিল। শেষ পর্যন্ত কোটা আন্দোলন পরিণত হলো ছাত্র-জনতার অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলনে। হয় হাসিনা নয় ছাত্র-জনতা। দেশের মানুষের মধ্যে এক গণ-আকাঙ্ক্ষা তৈরি হলো—এই দুঃশাসন থেকে মুক্তির জন্য। অবশেষে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিশাল আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালায়। আমরা হলাম জুলাই অভ্যুত্থানের সাক্ষী।
সারা দেশে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’–এর নেতৃত্বে যে সংগ্রাম সংগঠিত হলো, তার অংশীদার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। এই সংগ্রামে ১৫ জুলাই আমাদের অনেকেই গুরুতর আহত হয়, ১৬ জুলাই সন্ত্রাসীদের দ্বারা অনিক-ফেরদৌসসহ ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়, ১৯ জুলাই আটক হয় আমাদের সহযোদ্ধা নুর নবী, ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হওয়া সাজিদ সবশেষ শহীদী পরিচয় বরণ করে নেন। গুলিতে অনিকের খাদ্যনালি ছিঁড়েছে, নুর নবীকে ডিবি হেফাজতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, লক্ষ্মীবাজারে শিক্ষার্থীদের ওপর ছোড়া হয়েছে লাইভ বুলেট। আমরা যেন এসব গল্প ভুলে না যাই।
এসব নিপীড়ন প্রতিরোধ করতে যে রক্তক্ষয় হয়েছে, তার যথার্থ মূল্যায়ন হবে আন্দোলনের যে গণ-আকাঙ্ক্ষা তার বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে। গত ১৬ বছরে সৃষ্ট ত্রাসের রাজত্বকে ধূলিসাৎ করে রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে আমূল সংস্কারের মধ্য দিয়ে একমাত্র এর মূল্যায়ন সম্ভব। যে ফ্যাসিস্টের হুকুমে এত প্রাণ ঝরে গেল, তার বিচার নিশ্চিত করার গুরুদায়িত্ব এখনো বাকি। এর মধ্যেই সারা দেশে একটা সূক্ষ্ম অস্থিরতা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা এখনো রাস্তায়, দেশজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা অকার্যকর। দেশ স্থিতিশীল হতে আমাদের আরও ধৈর্য ধরতে হবে। এ সময় এমন কিছু করা উচিত হবে না, যা আমাদের আন্দোলনের স্পিরিটকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
এ রকম সময়ে আমরা লক্ষ করছি, সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অথবা আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও এর ব্যতিক্রম নয়। ৫ আগস্টের পর থেকেই অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে, যার দায় এসে পড়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে এমন অনেক কাজ করা হয়েছে, যার সঙ্গে আন্দোলনকারী ‘সমন্বয়ক‘ হিসেবে পরিচিত অনেকেরই কোনো প্রকারের সম্পৃক্ততা নেই। আমরা এসব কর্মকাণ্ডকে প্রত্যাখ্যান করছি। কিছু ঘটনা আমরা উল্লেখ করছি—
বিজয় অর্জনের পর এখন পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ২৭ জন সমন্বয়কের অধিকাংশের উপস্থিতিতে কোনো প্রকার সভায় বসা সম্ভব হয়নি। যখনই বসার চেষ্টা করা হয়েছে, সেটা নানাভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন মাসুদ রানা ও নূর নবী। অথচ কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ছাড়াই একের পর এক কর্মসূচি আর দাবি এই ব্যানার থেকে উত্থাপন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নূর নবীর স্বেচ্ছাচারিতা অনেক বেশি লক্ষণীয়। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ‘আমি যা বলব তা-ই হবে’ এমন বচনভঙ্গি অনেককেই মনঃক্ষুণ্ন করেছে।
মতবিনিময় সভার নামে ১১ আগস্ট যে ‘মব ট্রায়াল’–এর আয়োজন করা হয়েছে। আমরা তা সমর্থন করি না। ‘গোপন নথি গায়েব করা হচ্ছে’ বলে যেভাবে শিক্ষার্থীদের উসকে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নাসির উদ্দীন আহমদ স্যারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। এরপর যখন আমরা সবাই একমত হই, তিনজন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে শিক্ষকেরা নথিগুলো যাচাই করবে—তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু বকর, নূর নবীর নির্দেশে ভিসি ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। অথচ, আপনাদের মনে আছে, সেই নথিগুলোর মধ্যে নাসির স্যারের ‘জয়েনিং লেটার’ ছিল। যাতে দ্রুত ভিসির স্বাক্ষর প্রয়োজন ছিল। তাহলে, নূর নবী-আবু বকরদের কাছে আমাদের প্রশ্ন, শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে এ রকম হঠকারী পদক্ষেপের উদ্দেশ্য কী?
আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রেজিমের পক্ষ নিয়ে যেই প্রশাসন আমাদের আন্দোলনের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল, সেই প্রশাসনের পদত্যাগ ছিল ছাত্রদের দাবি। তার পরিপ্রেক্ষিতে ভিসি, রেজিস্ট্রারসহ সম্পূর্ণ প্রক্টরিয়াল বডি পদত্যাগ করে। কিন্তু সন্দেহের উদ্রেক হয় তখনই, যখন ট্রেজারারের পদত্যাগের প্রশ্নে এই সমন্বয়কেরা ভিন্ন সুরে কথা বলে। তাঁরা ট্রেজারারকে বহাল তবিয়ত রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট হয়। এমনকি কনফারেন্স রুমে সব ডিপার্টমেন্টের চেয়ারপারসনদের উপস্থিতিতে গুটিকয়েক সমন্বয়ক ট্রেজারারের গুণকীর্তন শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু বকর এবং ১৪ ব্যাচের রিয়াজুল ইসলামের বক্তব্যগুলো লক্ষ্য করলে সবাই বুঝতে পারবেন, তাঁরা বিভিন্ন কৌশলে কতিপয় শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষার্থে নানা ধরনের চাটুকারিতার আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা স্পষ্ট করতে চাই, এই ব্যক্তিদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
সমন্বয়কদের মধ্যে কোনো রকমে আলোচনা ছাড়াই মব ট্রায়ালের মাধ্যমে একটা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে, যার নজির সারা দেশে আর কোনো ইউনিটে নেই। সমন্বয়কদের আবার উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের প্রয়োজন পড়ল কেন? আর কাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে এই উপদেষ্টা পরিষদ? মুন্না, জসীম, শাহিন আলম শানসহ যেসব ব্যক্তি উপদেষ্টা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন, আন্দোলনে তাঁদের ভূমিকা ছিল বিতর্কিত। ১১ জুলাইয়ের কথা মনে আছে তো? সেদিন কুমিল্লায় গুলি ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি হামলা চলে। ওই দিন প্রক্টরিয়াল বডির সামান্য হুমকির মুখে এই ব্যক্তিরাই মিছিল স্থগিতের ঘোষণা দেন। তারপর জুনিয়র শিক্ষার্থীরা তাঁদের নেতৃত্ব অমান্য করে ক্যাম্পাসের গেট ভেঙে মিছিল নিয়ে শাহবাগে যান। ফলে এই সুযোগ সন্ধানী শক্তির উপদেষ্টা পরিষদ আমরা কখনোই সমর্থন করিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও অন্যতম সমন্বয়ক মাসুদ রানার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ ও স্বেচ্ছাচারিতা লক্ষ করা যায়। তাঁকে এমন কথা বলতে শোনা গেছে, ‘জকসু নির্বাচনে আমি ভিপি পদে দাঁড়াব। সমন্বয়কদের মধ্যে যাদের শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে। ওরা থাকলে আমি ভোট পাব? আমি ১০-১২ দিনের মধ্যেই এই সমন্বয়ক কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি দিয়ে ওদের বের করে দেব।’ সমন্বয়কদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই ছাত্রলীগের অনুগতদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন ও নতুন কমিটি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত মাসুদ রানার ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে কি না আমরা সেই প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি।
দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জবির ‘হল উদ্ধার আন্দোলন’ একটা আত্মঘাতী কর্মসূচি বলেই আমরা মনে করি। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার স্থানীয় ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সৃষ্টি হতে পারে, যা মোটেই কাম্য নয়। অথচ নূর নবীর পরিচালনায় সমন্বয়কদের একাংশ, আবু বকর, রিয়াজসহ বিতর্কিত উপদেষ্টা পরিষদ মিলে এই অযৌক্তিক কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। পরবর্তীকালে এর পেছনে কিছু শিক্ষকের দুরভিসন্ধিমূলক আচরণ আমাদের সবার সামনে উন্মোচিত হয়। এ ছাড়া নিয়মবহির্ভূতভাবে রেজিস্ট্রার নিয়োগের বিষয়েও এসব ব্যক্তি ও কিছু শিক্ষকদের দুরভিসন্ধি কারোরই চোখ এড়ায়নি। এসব ঘটনার পরও এই মানুষগুলোর ওপর আস্থা রাখা যায় কীভাবে?
১৫ আগস্ট রাতে ক্যাম্পাসে সমন্বয়ক নূর নবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলেন। ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে একজন ছাত্রলীগ কর্মীকে ক্যাম্পাসে ঢুকিয়েছেন। একই সঙ্গে সেই ছাত্রলীগ কর্মীকেও বেধড়ক পেটানো হয়। আমরা বলতে চাই, এই আচরণের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের গত ১৬ বছরের কর্মকাণ্ডের কোনো পার্থক্য আছে কি? যেখানে সারা দেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহ্বান করা হয়েছে কোনো প্রকারের সহিংসতায় না জড়াতে, সেখানে একজন সমন্বয়কের এমন আচরণ কোনোভাবেই আন্দোলনের স্পিরিটের সঙ্গে যায় না বলে আমরা মনে করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহিন আলম শান বর্তমানে বেশ সক্রিয়ভাবে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছেন। এই শাহিন আলম শান আন্দোলন চলাকালে আমাদের মাঝপথে রেখে চলে গিয়েছিল এবং নূর নবীর আটকের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সে নূর নবীর প্রতি শিবির সন্দেহ পোষণ করে অনাস্থা জানায়। নূর নবী জেল থেকে বেরিয়ে অভিযোগ তুলেছিল, শাহিন আলম শানই ডিবির কাছে আমাদের সব ম্যাসেজ ও তথ্য ফাঁস করেন। শাহিন আলম শান আন্দোলনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল মুহূর্তে আন্দোলন ছেড়ে চলে যান। এমনকি বিজয় অর্জনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে জায়গা না পেয়ে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ’ নামক ভুঁইফোড় প্ল্যাটফর্ম খুলে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে। এত কিছুর পর কী করে শিক্ষার্থীরা তাঁর ওপর আস্থা রাখবে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফরহাদ ভূঁইয়াকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে পুরান ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলে সাধারণ মানুষের মামলা-মোকদ্দমা, জমিসংক্রান্ত বিষয়ে বিচার-সালিস করতে দেখা গেছে। আমরা এ ধরনের অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ড সমর্থন করি না। আমরা মনে করি, দেশ গঠন প্রক্রিয়ায় নতুন প্রশাসনই সব দায়িত্ব নেবে, এগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের এখতিয়ার বহির্ভূত। বরং এসব কর্মকাণ্ডে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
সমন্বয়কদের কোনো প্রকার পরামর্শ ছাড়াই ডিসি অফিসে বসে আবু বকরের মধ্যস্থতায় একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই লিয়াজোঁ কমিটির প্রয়োজনীয়তা কী? ডিসি অফিসে এ রকম লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের নজির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে অন্য কোথাও নেই। গঠনকৃত এই লিয়াজোঁ কমিটির উদ্দেশ্য ও স্বার্থ কী? আমরা মনে করি, এর মাধ্যমে কতিপয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর সুবিধাভোগ ছাড়া ফলপ্রসূ কোনো কর্মকাণ্ড সম্পাদন সম্ভব নয়।
এ ঘটনাগুলো সবাইকে ভালো করে লক্ষ করার অনুরোধ করছি। ৫ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে কোনো কর্মসূচি কি আদৌ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে গ্রহণ করা হয়েছে না কি শুধু কতিপয় গোষ্ঠীর স্বার্থে এবং প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে করা হয়েছে—সেই প্রশ্ন উত্থাপন করতে সবাইকে আহ্বান করছি।
সবশেষে বলতে চাই, মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিজয় প্রশ্নবিদ্ধ হোক, এটা আমরা কখনো চাইনি। ১৬ বছরের ভয়ের সংস্কৃতি ভেঙে সবাই যখন ক্যাম্পাসে স্বাধীনভাবে দাঁড়াতে পারছি, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সংকট দূরীকরণে সম্মিলিতভাবে কাজ করাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। যেসব ঘটনা এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাধা হয়ে এসেছে, তা সবার সামনে আমরা উত্থাপন করছি। বিচার করার দায়িত্ব সবার। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাপর সব বৈষম্যের, নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমরা সর্বদা সোচ্চার ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।
এ বিষয়ে সমন্বয়ক কিশোর সাম্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করা হয়েছে, আমরা মনে করি, এই প্ল্যাটফর্ম এসব সমর্থন করে না। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে প্ল্যাটফর্মটি গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে। তাই আমরা মনে করছি, এই সময়ে এসে এই প্ল্যাটফর্মের আর প্রয়োজনীয়তা থাকছে না। আমরা আসলে কী ঘটেছে, ঘটছে—সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে জবাবদিহির জায়গা থাকে। আর আমরা এই প্ল্যাটফর্মে থাকছি না—এটা ক্লিয়ার। কারণ, এখানে এখন পেশিশক্তির ব্যবহার হচ্ছে। যে পেশিশক্তির বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছিলাম।

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
৮ মিনিট আগে
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
১৬ মিনিট আগে
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
২০ মিনিট আগে
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।
২৪ মিনিট আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।
গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।
ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।
গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।
ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটির ১৪ জন শিক্ষার্থী অপর সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাঁরা।
১৭ আগস্ট ২০২৪
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
১৬ মিনিট আগে
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
২০ মিনিট আগে
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।
২৪ মিনিট আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
অভিযুক্ত মো. মহিবুল্লাহ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই, সশস্ত্র)। তিনি বাগেরহাট পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এর আগে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ছিলেন তিনি।
তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ (সদর-দেবহাটা) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত মো. মহিবুল্লাহ গান পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করেন।
সূত্রে জানা গেছে, পথসভাটি ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা মোড়ে ওই পথসভা হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভার মাঝপথে মো. মহিবুল্লাহ এই গান পরিবেশন করেন।
আরও জানা গেছে, পুলিশের ওই এএসআই সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকাকালে আগরদাড়ির একটি মাহফিলে ইসলামি গান পরিবেশন করেছিলেন। তাঁর সংগীতে মুগ্ধ হয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তাঁকে পুরস্কৃত করেন। বাগেরহাটে বদলি হয়ে গেলেও তিনি খোঁজ নিয়ে ওই পথসভায় আসেন।
জানতে চাইলে এএসআই মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি ইসলামি একটি সংগীত পরিবেশন করেছি’ বলেই লাইনটি কেটে দেন। পরে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি স্টেজে উঠে সংগীত পরিবেশন করতে চান। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন।’
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এমন কিছু ঘটে থাকলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
অভিযুক্ত মো. মহিবুল্লাহ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই, সশস্ত্র)। তিনি বাগেরহাট পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এর আগে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ছিলেন তিনি।
তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ (সদর-দেবহাটা) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত মো. মহিবুল্লাহ গান পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করেন।
সূত্রে জানা গেছে, পথসভাটি ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা মোড়ে ওই পথসভা হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভার মাঝপথে মো. মহিবুল্লাহ এই গান পরিবেশন করেন।
আরও জানা গেছে, পুলিশের ওই এএসআই সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকাকালে আগরদাড়ির একটি মাহফিলে ইসলামি গান পরিবেশন করেছিলেন। তাঁর সংগীতে মুগ্ধ হয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তাঁকে পুরস্কৃত করেন। বাগেরহাটে বদলি হয়ে গেলেও তিনি খোঁজ নিয়ে ওই পথসভায় আসেন।
জানতে চাইলে এএসআই মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি ইসলামি একটি সংগীত পরিবেশন করেছি’ বলেই লাইনটি কেটে দেন। পরে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি স্টেজে উঠে সংগীত পরিবেশন করতে চান। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন।’
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এমন কিছু ঘটে থাকলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটির ১৪ জন শিক্ষার্থী অপর সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাঁরা।
১৭ আগস্ট ২০২৪
বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
৮ মিনিট আগে
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
২০ মিনিট আগে
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।
২৪ মিনিট আগেমির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টাকালে ওই গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পান। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ গতকাল রাতে আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।’
এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। সন্ধ্যার পর মদ পান করে এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালান।
বাড়ির মালিক বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটের সঙ্গে যা হয়েছে, তা শতভাগ সত্য।’
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক নারী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।’

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টাকালে ওই গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পান। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ গতকাল রাতে আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।’
এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। সন্ধ্যার পর মদ পান করে এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালান।
বাড়ির মালিক বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটের সঙ্গে যা হয়েছে, তা শতভাগ সত্য।’
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক নারী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটির ১৪ জন শিক্ষার্থী অপর সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাঁরা।
১৭ আগস্ট ২০২৪
বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
৮ মিনিট আগে
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
১৬ মিনিট আগে
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।
২৪ মিনিট আগেসিলেট প্রতিনিধি

সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। শিপনের স্বজন ও পুলিশের ধারণা, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়।
শিপন আহমদ উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকধারা (গাংপাড়) গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। তাঁর একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে ভাড়ায় চালিত রেজিস্ট্রেশনবিহীন (পরীক্ষামূলক) সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হলে আর বাড়িতে ফেরেননি শিপন। রাত গভীর হলেও শিপনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আজ সকাল ৯টার দিকে ওসমানী নগরের সাদীপুর ইউনিয়নের বেগমপুর-চাতলপাড় রাস্তার পাশে কেশবখালী নদীর পাড়ে শিপনের লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, চালক শিপনকে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ অটোরিকশাটি উদ্ধার ও জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা করছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। শিপনের স্বজন ও পুলিশের ধারণা, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়।
শিপন আহমদ উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকধারা (গাংপাড়) গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। তাঁর একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে ভাড়ায় চালিত রেজিস্ট্রেশনবিহীন (পরীক্ষামূলক) সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হলে আর বাড়িতে ফেরেননি শিপন। রাত গভীর হলেও শিপনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আজ সকাল ৯টার দিকে ওসমানী নগরের সাদীপুর ইউনিয়নের বেগমপুর-চাতলপাড় রাস্তার পাশে কেশবখালী নদীর পাড়ে শিপনের লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, চালক শিপনকে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ অটোরিকশাটি উদ্ধার ও জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা করছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটির ১৪ জন শিক্ষার্থী অপর সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাঁরা।
১৭ আগস্ট ২০২৪
বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
৮ মিনিট আগে
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
১৬ মিনিট আগে
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
২০ মিনিট আগে