Ajker Patrika

পেনশনের ‘টেনশনে’ জবি শিক্ষকদের মানববন্ধন

জবি সংবাদদাতা 
আপডেট : ২৬ মে ২০২৪, ১৫: ৫৯
পেনশনের ‘টেনশনে’ জবি শিক্ষকদের মানববন্ধন

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন–সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক’ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। 

আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষক সমিতির ব্যানারে শিক্ষকেরা এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে শিক্ষকেরা বলেন, একটি জাতিকে ধ্বংস করতে পারমাণবিক বোমা দরকার নেই, শিক্ষাব্যবস্থাকে আঘাত করলেই হয়। বাংলাদেশ যখনই এগিয়ে যাচ্ছে, তখনই একটি মহল শিক্ষকদের পেছনে লাগে। সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুন্দর একটা স্কিম, কিন্তু একটি মহল অল্প কয়েকজন পেশাজীবীকে অন্তর্ভুক্ত করে নিজেদের আওতামুক্ত রেখেছে। এ ধরনের স্কিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। সর্বজনীন শব্দটার যথার্থ ব্যবহার হওয়া উচিত। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। দাবি আদায়ে তীব্র আন্দোলন করতে হবে।

মানববন্ধনে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মো. সেলিম বলেন, ‘আমরা তো শিক্ষক মানুষ, কম বুঝি হয়তো! তাই আমাদের ওপর এ পেনশন স্কিম চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। স্কিমে কন্ট্রিবিউট করলে পাবে, না হলে পেনশন পাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিটাকে হেয় করার জন্য এমনটা করা হচ্ছে। দেশে কোনো সমস্যা না থাকলে, আমলারা সমস্যা সৃষ্টি করে। দেশ যখনই শান্তিতে চলে, তখনই আমলারা নতুন সমস্যা সৃষ্টি করে।’ 

মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন, ‘সরকার যে শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছে, সে ক্ষেত্রে হলেও শিক্ষকদের দাবি মানা উচিত।’ 

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক রইছ উদ্দীন বলেন, ‘পেনশন স্কিমের উদ্যোগ যারা নিয়েছেন তারাই এর অন্তর্ভুক্ত নয়, তাহলে সর্বজনীন কীভাবে হলো? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জৌলুশ নষ্ট করার জন্য, সরকারকে ভুল বোঝানোর জন্য এই স্কিম তৈরি করা হয়েছে। আত্মমর্যাদা টিকিয়ে রাখার জন্য শিক্ষক রাজনীতির কালার চয়েজ বাদ দিয়ে সব শিক্ষককে একসঙ্গে হতে হবে।’ 

প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, ‘আমাদের উচিত দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাস না নেওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসব, কিন্তু ক্লাস নেব না।’ 

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নূরে আলম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বৈষম্যহীন সমাজ চেয়েছে। কিন্তু এ প্রত্যয় স্কিমে মাধ্যমে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এ বৈষম্য কখনই মানব না আমরা।’ 

কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হোসনে আরা জলি বলেন, ‘শিক্ষকেরা সহজে কিছু পান না। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে, কোনো অযৌক্তিক কিছু আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে পারত না। কিন্তু ঐক্যবদ্ধ না থাকায় আমাদের ওপর এই স্কিম চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কঠোর আন্দোলন করতে হবে।’ 

বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান বলেন, ‘সর্বজনীন বলতে যা বুঝি, সেখানে হয়তো গরমিল আছে আমার বোঝার। একশ্রেণিকে বাদ দিয়ে কিছু অংশকে স্কিমের আওতায় আনা কীভাবে সর্বজনীন হয়। আমি সরকারকে অনুরোধ করব, পেশাজীবীদের মধ্যে সর্বজনীনতা বজায় রাখার নিশ্চয়তা করতে হবে। কালো প্রথা চালু করার আগে সরকারকে আরেকবার ভাবার অনুরোধ করছি।’ 

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মাশরিক হাসান বলেন, ‘প্রত্যয় স্কিমে বয়সসীমা ৬০ বছর দেওয়া, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বয়সসীমা ৬৫ বছর—তাই এখানে একটি ধোঁয়াশা রয়েছে। তা ছাড়া আমলারা নিজেরা এই স্কিমের আওতাভুক্ত না হয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংযুক্ত করে বড় বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। আমাদের দাবি মানা না হলে, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী মঙ্গলবার দুই ঘণ্টার কর্মবিরতিতে যাব।’ 

জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘সরকার প্রথমে চালু করেছিল যারা পেনশন সুবিধা পান না তাদের জন্য, কিন্তু পরে কোনো এক কুচক্রীমহল এটা করেছে। পরবর্তী কর্মসূচিতে যাতে যাওয়া না লাগে, তার আগেই আশা করি সরকার আমাদের দাবি মেনে নেবে। প্রত্যয় স্কিম থেকে শিক্ষকদের বাদ দিতে হবে।’ 

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আগের চারটি স্কিমের সঙ্গে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামের একটি প্যাকেজ চালু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে সব ধরনের স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০২৪ সালের ১ জুলাই পরবর্তী সময়ে যোগ দেওয়া কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। 

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিমের’ প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তার আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সুপার গ্রেড কার্যকর এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছে দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এ সংগঠন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির কর্মী হাকিম হত্যার পরিকল্পনাকারীসহ গ্রেপ্তার ৪, নেপথ্যে বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
আবদুল হাকিম। ছবি: সংগৃহীত
আবদুল হাকিম। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার মদুনাঘাট সেতু এলাকায় রাউজানের ব্যবসায়ী ও বিএনপির কর্মী আবদুল হাকিম হত্যা (৬৫) মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যার কাজে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

বালুমহালের নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) এসব তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মদুনাঘাটে গত ৭ অক্টোবর আবদুল হাকিম হত্যা মামলার সূত্র উদ্‌ঘাটন করেছে পুলিশ। যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময় চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আব্দুল্লাহ খোকন ওরফে ল্যাংড়া খোকন, মো. মারুফ, সাকলাইন হোসেন ও জিয়াউর রহমান। সাকলাইন হোসেনকে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩১ অক্টোবর রাউজান থেকে আব্দুল্লাহ খোকন ওরফে ল্যাংড়া খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হাকিম হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে ২ নভেম্বর রাউজানের চৌধুরীহাট থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত মো. মারুফকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দেন, যা সাকলাইন হোসেনের হেফাজতে ছিল। ৪ নভেম্বর রাউজানের নোয়াপাড়ায় সাকলাইন হোসেনের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একনলা বন্দুক, একটি এলজি ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এর আগে হত্যার এ ঘটনায় এর মধ্যে জিয়াউর রহমানসহ চার আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। এ ছাড়া আরও ১০-১২ জন আসামির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ৭ অক্টোবর বিকেলে ব্যবসায়ী হাকিম নিজের গাড়িতে করে চট্টগ্রাম শহরে ফিরছিলেন। মদুনাঘাট সেতুর পশ্চিম পাশে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা অস্ত্রধারীরা তাঁর গাড়ির সামনে এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। ঘটনার পরপরই চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও হাটহাজারী থানা যৌথভাবে তদন্ত শুরু করে। হাকিম পাঁচখাইন এলাকার বাসিন্দা এবং রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী ছিলেন।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) মো. রাসেল বলেন, রাউজান এলাকার বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এই হত্যাকাণ্ডসহ জেলার অন্যান্য অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি নোয়াপাড়া, চৌধুরীহাট ও আশপাশের এলাকায় চেকপোস্ট, টহল ও রাত্রিকালীন তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লক্ষ্মীপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান শুরু, অবরুদ্ধ কর্মকর্তারা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

লক্ষ্মীপুরে শতাধিক অবৈধ ইটভাটায় অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রামগতি উপজেলার চর আফজাল এলাকা থেকে শুরু হয় এই অভিযান। দুপুর পর্যন্ত আমানত ইটভাটা, জেসমিন সারোয়ার, আবদুল ওয়াহাবসহ তিনটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

পাঁচটি ভেকু মেশিনের সাহায্যে ভাটার চুল্লি, চিমনি ও কাঁচা ইট বিনষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এরপর অন্য ইটভাটায় অভিযানে যাওয়ার সময় চৌধুরী বাজার এলাকায় রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা।

এ সময় প্রশাসনের কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ থাকেন তাঁরা।

অভিযানে অংশ নেন রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক জমির উদ্দিন, ঢাকা কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমান, লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান, রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেনসহ পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা।

রামগতি থানার ওসি মো. কবির হোসেন বলেন, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লক্ষ্মীপুরের পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান বলেন, রামগতি ও কমলনগরে ৫১টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে ৪৯টি ভাটা অবৈধ। জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় এসব ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। টানা সাত দিন অভিযান চলবে। অবৈধ ভাটা ভেঙে দেওয়ার পরেও যাতে চালু করতে না পারে, সে জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি জেলায় শতাধিক ইটভাটার কোনো কাগজপত্র নেই। এগুলো পুরোপুরি অবৈধ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, শুধু লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ৫১টি ইটভাটার মধ্যে ৪৯টি ইটভাটার কোনো কাগজপত্র নেই। এগুলো পুরোপুরি অবৈধ। তাই এসব অবৈধ ইটভাটা কোনোভাবে চলতে দেওয়া হবে না। এগুলো সব বন্ধ করে দেওয়া হবে। কোনো শক্তির কাছে মাথা নত করা হবে না।

ইউএনও মো. আমজাদ হোসেন বলেন, সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে অবৈধ তিনটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দুপুরের পর অন্য ইটভাটায় অভিযানে যাওয়ার সময় শ্রমিকেরা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের হাজতির ঢামেকে মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের হাজতির ঢামেকে মৃত্যু

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) এক হাজতির ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে কারারক্ষীরা ওই বন্দীকে কারাগার থেকে ঢামেকে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত হাজতির নাম মামুনুর রশীদ (৩৪)। তাঁর বাবার নাম শহিদুল ইসলাম।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

মো. ফারুক আরও জানান, ওই ব্যক্তি হাজতি হিসেবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর মামলার বিবরণ জানা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বুড়িমারী স্থলবন্দর: ভারতীয় ট্রাক থেকে ওষুধ ও সিসা জব্দ, চালক আটক

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় ভারতীয় একটি ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ওষুধ ও সিসা জব্দ করে বিজিবি। ছবি: আজকের পত্রিকা
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় ভারতীয় একটি ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ওষুধ ও সিসা জব্দ করে বিজিবি। ছবি: আজকের পত্রিকা

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় ভারতীয় একটি ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ওষুধ ও সিসা জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় ট্রাকচালককে আটক করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে এসব পণ্য পাচারের সময় সেগুলো জব্দ করা হয়।

আটক ট্রাকচালক সমির পালের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার চ্যাংড়াবান্ধা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম গৌরঙ্গ পাল।

বিজিবি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দরগামী ভারতীয় ট্রাকচালক সমির পাল (৩৫) খালি ট্রাক নিয়ে শূন্যরেখা সড়কপথে যাচ্ছিলেন। এ সময় তল্লাশিচৌকিতে দায়িত্বরত বুড়িমারী আইসিপি বিজিবির সদস্যদের সন্দেহ হলে তাঁরা ট্রাকটিতে তল্লাশি চালান। এতে চালকের আসনের নিচে বিশেষভাবে লুকানো অবস্থায় বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানি এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের ক্যানসার প্রতিরোধী ওষুধ ‘ওসিমার্ট’ বড়ি ১ হাজার ৫০০টি, জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালসের ‘ওসিকিন’ বড়ি ১ হাজার ৫০০টি এবং ২৭২ কেজি সিসা পাওয়া যায়।

বিজিবি জানায়, জব্দ করা ওষুধ ও ধাতব সিসার মূল্য ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ টাকা এবং ট্রাকসহ মোট মূল্য ৫৭ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ টাকা ধরা হয়েছে। এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুরের ৬১ বিজিবি (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বলেন, চোরাচালানের পণ্যসহ আটক ভারতীয় চালকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাঁকেসহ জব্দ পণ্য পাটগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত