Ajker Patrika

হোটেল ওয়েস্টিনে ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করেন পাপিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হোটেল ওয়েস্টিনে ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করেন পাপিয়া

যুবলীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া। ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশত্যাগের সময় তাঁকেসহ চারজনকে আটক করে র‍্যাব-১। রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে প্রেসিডেন্ট স্যুট নিজের নামে সব সময় বুকড করে নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ চালাতেন পাপিয়া। 

হোটেলটির বারে বিল বাবদ প্রতিদিন তিনি পরিশোধ করতেন প্রায় আড়াই লাখ টাকা। ওই হোটেলের ২৬টি কক্ষ ভাড়া দিয়ে তিনি অসামাজিক কার্যকলাপ চালাতেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে তিনি ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা হোটেলের বিল পরিশোধ করেছেন। 

প্রায় ৫ কোটি টাকা অর্থ পাচারের মামলায় পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে সিআইডি। অভিযোগপত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। 

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পাপিয়া পদ-বাণিজ্য, তদবির-বাণিজ্য, চাঁদাবাজির মতো অপরাধে জড়িত ছিলেন। তাঁকে এ কাজে সহযোগিতা করেন স্বামী মফিজুর। দুজন মিলে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। 

মফিজুর-পাপিয়া দম্পতি ঢাকার তেজগাঁওয়ে কার এক্সচেঞ্জ নামের প্রতিষ্ঠানে কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। নরসিংদীতে কেএমসি এন্টারপ্রাইজ ও কেএমসি কার ওয়াশ অ্যান্ড সলিউশন নামের প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। 

অর্থ পাচারের মামলায় আরও বলা হয়, অবৈধভাবে পাঁচ কোটি টাকার মালিক হন নরসিংদীর মফিজুর রহমান। এই টাকার উৎস যাতে কেউ জানতে না পারে, সে জন্য তা ব্যাংকে রাখেননি তিনি। নিজের বাসার খাটের নিচে এই টাকা লুকিয়ে রেখেছিলেন মফিজুর। বাসায় এত টাকা রাখার তথ্য স্ত্রী শামীমা নূর ওরফে পাপিয়াকেও জানাননি তিনি। তবে মফিজুর এক সময় ভারতে চলে যান। দেশের শত্রুরা তাঁকে আক্রমণ করতে পারে এই ভয়ে তিনি ভারতে যান। যখন ভারতে অবস্থান করেন, তখন পাপিয়া বাসার খাটের নিচে টাকা থাকার তথ্য জেনে যান। এই অবৈধ টাকা পরে খরচ করেন পাপিয়া। 

 ২০২০ সালে আটকের পর দিন তাঁর গুলশানের বাসভবনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এরপরে দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, তাঁর কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় এবং অর্থপাচারের তথ্য। বৈদেশিক মুদ্রা, অস্ত্র, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের জন্য পৃথক পৃথক মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়। 

 ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুরকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় অস্ত্র মামলায়। বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা বিচারাধীন রয়েছে। 

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আলমগীর আজকের পত্রিকাকে জানান, গুলশান থানায় দায়ের করা অর্থ পাচারের মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ায় বিচারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাইপলাইনে জ্বালানি পরিবহন: ৩৪ হাজার লিটার ঘাটতি যমুনার প্রথম পার্সেলে

১টা বাজলেই আর স্কুলে থাকে না শিক্ষার্থীরা, ফটকে তালা দিয়েও ঠেকানো গেল না

চিকিৎসক হওয়ার আগেই শীর্ষ সবার শীর্ষে

আসামে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ বহাল থাকবে দুর্গাপূজা পর্যন্ত

ভিকারুননিসায় হিজাব বিতর্ক: বরখাস্ত শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত