নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা (ঢাকা)
বৃহস্পতিবার (৫ মে) ভোর ৪টা বাজে প্রায়। এমন সময় বিকট শব্দ কানে আসে। সঙ্গে সঙ্গে তাকাতেই দেখি, দুটি গাড়ি (প্রাইভেটকার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা) উড়ে এসে রাস্তার দুদিকে পড়েছে। একটি ফুটপাতের ওপর দিয়ে আমাদের টিনের দেয়ালে, অপরটি রাস্তার মাঝখানে আইল্যান্ডের ওপর। দৌড়ে গিয়ে দেখি, রাস্তার একপাশে সিএনজির যাত্রীর দম যায় যায় অবস্থা। পাশেই অচেতনভাবে পড়ে আছেন সিএনজি চালক।
উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের সিঙ্গার মোড়ে প্রাইভেটকার ও সিএনজির সংঘর্ষে দুইজন নিহতের ঘটনার বর্ণনা ঠিক এভাবেই দিচ্ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী দীপংকর। তিনি ঘটনাস্থলের পাশের টিনশেড দিয়ে ঘেরা ফাঁকা জায়গার কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করেন। ঘটনার সময় ফাঁকা সেখানকার একটি ছোট কক্ষে ছিলেন।
দীপংকর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিএনজিটি উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে হয়ে সিঙ্গার মোড়ে ডানে মোড় নিয়ে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর গোলচক্কর দিয়ে যাচ্ছিল। মোড় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরা ১৩/১৪ মোড় থেকে সাত নম্বর সেক্টরের দিকে দ্রুত গতিতে আসা প্রাইভেটকারটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজিটি উড়ে গিয়ে ৭০/৮০ ফিট দূরে রাস্তার আইলানের (আইল্যান্ড) ওপর পড়ে। প্রাইভেটকারটিও ফুটপাতে ওপর উঠে গিয়ে আমাদের টিনশেডের দেয়াল ভেঙে ঢুকে পড়ে। ফুটপাতে থাকা একটি টং দোকান প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ভেঙে যায়।’
দীপংকর বলেন, ‘দৌড়ে এসে দেখি রাস্তার ওপর গাড়ির ভাঙা কাচে ভরে রয়েছে। সিএনজির পাশেই বৃদ্ধ সিএনজি চালকের নিথর দেহ এবং ফুটপাতের পাশে যাত্রী পড়ে আছে। যাত্রীর দমও যায় যায় অবস্থা। প্রাইভেটকার চালক গাড়ি থেকে বের হয়েই সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন। ঠিক এমন সময়ই পুলিশের একটি গাড়ি এসে প্রাইভেটকার চালককে আটক করে গাড়িতে তোলেন। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে পাঠান।’
রাজধানীর উত্তরায় প্রাইভেটকার ও সিএনজি সংঘর্ষে সিএনজি চালক তৈয়ব আলী (৬০) ও যাত্রী তাইফুর রহমান সুমন (২৮) নিহতের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। প্রাইভেটকার চালক বুলবুল আহমদকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দুর্ঘটনায় নিহত সিএনজি চালকের ছেলে তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় দুপুরে মামলাটি করেন।
দুর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেটকার ও সিএনজি অটোরিকশা থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। নিহত দুইজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। প্রাইভেটকার চালক বুলবুলকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
নিহতরা হলেন— জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার রমরপাড়া গ্রামের ছেলে এবং সিএনজি চালক তৈয়ব আলী ও গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার সাইতান এলাকার মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে ও সিএনজির যাত্রী তাইফুর রহমান রাতুল। ওই সিএনজি চালক রাজধানীর ধোলাইপাড় এলাকার সাত তলা গলির মামুনের ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। আর প্রাইভেটকার চালক হলেন, তুরাগের দলিপাড়া এলাকার মৃত শামছুদ্দিন ওরফে টুনু মেম্বারের ছেলে বুলবুল আহমদ।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সিঙ্গার মোড় থেকে প্রায় ৮০ ফুট দূরে সিএনজির ভাঙা কাচ ও বিভিন্ন অংশ রাস্তায় পড়ে আছে। রাস্তার অপর পাশে জমা পানিতে রক্ত। করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সাফসুতরো করলেও রক্তের দাগ ও গাড়ির ভাঙা কাচের টুকরো তখনো ছিল।
সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহিন আল রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিএনজি চালকের ছেলে তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইনের ১০৫ ধারায় মামলা করেছেন। দুইজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। কার চালক বুলবুলকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
ওসি শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস বলেন, ‘প্রাইভেটকারের চালক বুলবুল জানিয়েছেন, তাঁর মাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁকে খোঁজার জন্য তিনি তড়িঘড়ি করে প্রাইভেটকার নিয়ে বের হয়েছিলেন। তবে বিষয়টি সত্য মনে হচ্ছে না।’ বুলবুল নেশাগ্রস্ত ছিলেন কি না এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কি না জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘এসব বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।’
আদালতে রিমান্ড না চাওয়ার ব্যাপারে ওসি আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস বলেন, ‘যেহেতু দুর্ঘটনার নিহতের ঘটনায় প্রাইভেটকার চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানার বা নতুন কোনো কিছু বের করার নেই। তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হয়নি।’
বৃহস্পতিবার (৫ মে) ভোর ৪টা বাজে প্রায়। এমন সময় বিকট শব্দ কানে আসে। সঙ্গে সঙ্গে তাকাতেই দেখি, দুটি গাড়ি (প্রাইভেটকার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা) উড়ে এসে রাস্তার দুদিকে পড়েছে। একটি ফুটপাতের ওপর দিয়ে আমাদের টিনের দেয়ালে, অপরটি রাস্তার মাঝখানে আইল্যান্ডের ওপর। দৌড়ে গিয়ে দেখি, রাস্তার একপাশে সিএনজির যাত্রীর দম যায় যায় অবস্থা। পাশেই অচেতনভাবে পড়ে আছেন সিএনজি চালক।
উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের সিঙ্গার মোড়ে প্রাইভেটকার ও সিএনজির সংঘর্ষে দুইজন নিহতের ঘটনার বর্ণনা ঠিক এভাবেই দিচ্ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী দীপংকর। তিনি ঘটনাস্থলের পাশের টিনশেড দিয়ে ঘেরা ফাঁকা জায়গার কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করেন। ঘটনার সময় ফাঁকা সেখানকার একটি ছোট কক্ষে ছিলেন।
দীপংকর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিএনজিটি উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে হয়ে সিঙ্গার মোড়ে ডানে মোড় নিয়ে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর গোলচক্কর দিয়ে যাচ্ছিল। মোড় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরা ১৩/১৪ মোড় থেকে সাত নম্বর সেক্টরের দিকে দ্রুত গতিতে আসা প্রাইভেটকারটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজিটি উড়ে গিয়ে ৭০/৮০ ফিট দূরে রাস্তার আইলানের (আইল্যান্ড) ওপর পড়ে। প্রাইভেটকারটিও ফুটপাতে ওপর উঠে গিয়ে আমাদের টিনশেডের দেয়াল ভেঙে ঢুকে পড়ে। ফুটপাতে থাকা একটি টং দোকান প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ভেঙে যায়।’
দীপংকর বলেন, ‘দৌড়ে এসে দেখি রাস্তার ওপর গাড়ির ভাঙা কাচে ভরে রয়েছে। সিএনজির পাশেই বৃদ্ধ সিএনজি চালকের নিথর দেহ এবং ফুটপাতের পাশে যাত্রী পড়ে আছে। যাত্রীর দমও যায় যায় অবস্থা। প্রাইভেটকার চালক গাড়ি থেকে বের হয়েই সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন। ঠিক এমন সময়ই পুলিশের একটি গাড়ি এসে প্রাইভেটকার চালককে আটক করে গাড়িতে তোলেন। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে পাঠান।’
রাজধানীর উত্তরায় প্রাইভেটকার ও সিএনজি সংঘর্ষে সিএনজি চালক তৈয়ব আলী (৬০) ও যাত্রী তাইফুর রহমান সুমন (২৮) নিহতের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। প্রাইভেটকার চালক বুলবুল আহমদকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দুর্ঘটনায় নিহত সিএনজি চালকের ছেলে তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় দুপুরে মামলাটি করেন।
দুর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেটকার ও সিএনজি অটোরিকশা থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। নিহত দুইজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। প্রাইভেটকার চালক বুলবুলকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
নিহতরা হলেন— জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার রমরপাড়া গ্রামের ছেলে এবং সিএনজি চালক তৈয়ব আলী ও গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার সাইতান এলাকার মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে ও সিএনজির যাত্রী তাইফুর রহমান রাতুল। ওই সিএনজি চালক রাজধানীর ধোলাইপাড় এলাকার সাত তলা গলির মামুনের ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। আর প্রাইভেটকার চালক হলেন, তুরাগের দলিপাড়া এলাকার মৃত শামছুদ্দিন ওরফে টুনু মেম্বারের ছেলে বুলবুল আহমদ।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সিঙ্গার মোড় থেকে প্রায় ৮০ ফুট দূরে সিএনজির ভাঙা কাচ ও বিভিন্ন অংশ রাস্তায় পড়ে আছে। রাস্তার অপর পাশে জমা পানিতে রক্ত। করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সাফসুতরো করলেও রক্তের দাগ ও গাড়ির ভাঙা কাচের টুকরো তখনো ছিল।
সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহিন আল রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিএনজি চালকের ছেলে তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইনের ১০৫ ধারায় মামলা করেছেন। দুইজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। কার চালক বুলবুলকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
ওসি শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস বলেন, ‘প্রাইভেটকারের চালক বুলবুল জানিয়েছেন, তাঁর মাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁকে খোঁজার জন্য তিনি তড়িঘড়ি করে প্রাইভেটকার নিয়ে বের হয়েছিলেন। তবে বিষয়টি সত্য মনে হচ্ছে না।’ বুলবুল নেশাগ্রস্ত ছিলেন কি না এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কি না জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘এসব বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।’
আদালতে রিমান্ড না চাওয়ার ব্যাপারে ওসি আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস বলেন, ‘যেহেতু দুর্ঘটনার নিহতের ঘটনায় প্রাইভেটকার চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানার বা নতুন কোনো কিছু বের করার নেই। তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হয়নি।’
খাগড়াছড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের সময় তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি মগ লিবারেশন পার্টির (এমএলপি) সদস্য বলে পুলিশ দাবি করেছে। আজ শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি সদরের শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেহান্নান মাসউদ বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান। আমি আপনাদের কাছে কখনো ভোট চাইতে আসব না। কখনো বলব না আপনারা আমাকে ভোট দেন। আপনারা যদি আমার থেকে যোগ্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে পান, তবে তাকে সবাই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। এটাতে আমার কোনো আপত্তি নাই। তবুও আমি চাইব, অবহেলিত এই হাতিয়া দ্বীপের উন্নয়ন হোক।
১ ঘণ্টা আগেসি-সেফ লাইফ গার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মী সাইফুল্লাহ সিফাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সামির চট্টগ্রামের হালিশহরের বাসিন্দা এবং পেশায় রেফ্রিজারেটর মেকানিক। সাইফুল্লাহ সিফাত জানান, সকালে সামিরসহ চার বন্ধু মিলে কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। দুপুরে সৈকতে গোসলে নামলে ঢেউয়ে ভেসে যেতে থাকেন সামির।
১ ঘণ্টা আগেসন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে। যদিও অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠান বলছেন, তিনি কখনো অস্ত্র ছুঁয়েও দেখেননি।
১ ঘণ্টা আগে