Ajker Patrika

নারীদের নিয়ে কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নারীকে অবমাননা, লাঞ্ছনার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
নারীকে অবমাননা, লাঞ্ছনার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

হেফাজতে ইসলামসহ নারীবিদ্বেষী বক্তব্য প্রদানকারী এবং নারীকে অবমাননা, লাঞ্ছনা ও কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র। আজ মঙ্গলবার (৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, এদেশের নারীরা প্রতিটি গণআন্দোলনে, জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে নারীরা এগিয়ে এসেছে, লড়াই করেছে। সর্বশেষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানেও নারীরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, সহযোদ্ধাদের রক্ষা করেছেন, গুলির মুখে দাঁড়িয়েছেন। মায়েরা সন্তানের হাত ধরে রাস্তায় নেমে এসে সন্তানসমদের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।

বক্তারা বলেন, এ লড়াইয়ের বিজয়ে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। ফলে অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নারীর মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত হবে এটাই সবার কাম্য ছিল।

বক্তারা বলেন, স্বাধীন দেশে সর্বপ্রথম একটি নারী সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছে, যা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। গত ১৯ এপ্রিল এই কমিশনের প্রতিবেদনে অনেকগুলো বিষয় সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা আধুনিক গণতান্ত্রিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ।

বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত বলেন, ‘বর্তমান সময়ে এসে নারী পুরুষের সমঅধিকার, সমমর্যাদা নিশ্চিত করা প্রতিটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা, যুক্তিতর্কের উপস্থাপন চলতেই পারে। মত-দ্বিমত থাকতে পারে। অথচ আমরা দেখলাম যৌক্তিক সমালোচনার পথ না ধরে হেফাজতে ইসলামসহ একদল গোষ্ঠী নারী সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট বাতিলসহ নারী কমিশনের সদস্যদের নানা কটুক্তি, ব্যঙ্গসহ নারী অবমাননাকর নানা বক্তব্য দেন ও কমিশন বাতিলের দাবি করছেন।’

তিনি বলেন,‘সমাজে নারী-পুরুষের যে স্বাভাবিক মর্যাদার সম্পর্ক সেটাকে তারা মানতে নারাজ। একইসঙ্গে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে তারা গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ করছেন। সমাজে নারী সম্পর্কিত পশ্চাৎপদ দৃষ্টিভঙ্গিকে জিইয়ে রাখার এ প্রচেষ্টা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসম্পন্ন যে কোনো মানুষ বিরোধিতা করে।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নারীমুক্তি কেন্দ্রের প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক সুস্মিতা রায় সুপ্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের অর্থ সম্পাদক নওশিন মুস্তারী সাথী, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রগতি বর্মণ তমা প্রমুখ।

তাঁরা বলেন, সারা দেশে নারীরা নানা আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। নারীদের মতপ্রকাশ, চলাফেরা, নিরাপত্তা হরণ করা হচ্ছে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নিতে আমরা দেখছি না, যা উদ্বেগজনক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত