আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
সখিনা বেগম (৮৪) নাতিনের ঘরে নাতিনের দেখা পেয়েছেন। এবার তাঁর অপেক্ষা ষষ্ঠ প্রজন্মের দেখা পাওয়ার। সখিনা বেগমের সন্তান, নাতি-নাতনি ও তাঁদের সন্তানের সংখ্যা দেড় শতাধিক। আজ শুক্রবার পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে মিলিত হয়েছিলেন তাঁরা। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের রাথুরা গ্রামের লিয়াকত আলী খানের বাড়িতে বসেছিল পারিবারিক এই মিলনমেলা।
ওই বাড়িতে গিয়ে আজ দেখা গেছে, বয়সের ভারে কিছুটা ন্যুব্জ হয়ে এলেও মনের শক্তি ও আত্মবিশ্বাসের জোরে এখনো সচল সখিনা বেগম। পাশেই বসা তাঁর মেয়ে ৬৭ বছরের খোদেজা খাতুন। এরপর রয়েছেন খোদেজার মেয়ে আমেনা খাতুন (৫০), আমেনার ছেলে ওয়ালিদ (৩২), ওয়ালিদের কোলে বসা পাঁচ বছর বয়সী ছেলে আদিয়ান।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৪ সালে ১৫ বছর বয়সে সখিনা বেগমের বিয়ে হয় তালুকনগর গ্রামের খোরশেদ আলমের সঙ্গে। ১৭ বছরে মা হন সখিনা। তাঁর বড় মেয়ে খোদেজার বিয়ে হয় ১৬ বছর বয়সে, রাথুরা গ্রামের লিয়াকত আলী খানের সঙ্গে। তাঁদের ঘরে জন্ম নেয় সাত সন্তান। বড় মেয়ে আমেনা খানমের বিয়ে হয় ১৯৮৮ সালে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। আমেনার বড় ছেলে ওয়ালিদ জাহান আকাশ ঘর বাঁধেন আফরোজার সঙ্গে। তাঁদের চার সন্তানের বড় ছেলে আদিয়ান এবার স্কুলে ভর্তি হয়েছে।
স্বামী খোরশেদ আলমের মৃত্যুর পর থেকে সখিনা বেগম তাঁর মেয়ে খোদেজার স্বামীর বাড়িতেই থাকছেন। খোদেজার বড় মেয়ে আমেনার স্বামীও মারা যান। আমেনাও তাঁর বাবার বাড়িতে থাকেন।
প্রবীণ সখিনা বেগম বলেন, ‘যাঁদের দেখে বড় হয়েছি, সমবয়সী কিংবা অনেক ছোট আপনজনের অনেকেই আর বেঁচে নেই। আল্লাহর রহমতে আমি আজও সচল। স্বচ্ছন্দেই হাঁটাচলা করি, নামাজ পড়ি। পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালো আছি। নাতনিরও নাতি দেখলাম। এদের সঙ্গে ফেলে আসা শৈশব-কৈশোরের গল্প করি। একসঙ্গে হাসি-কাঁদি। কখন যেন ভেঙে যায় সাজানো এই মেলা।’
এ পরিবারের দ্বিতীয় প্রজন্ম খোদেজা খানম বলেন, ‘আমার মা এখনো কানে শোনেন। দূরে হেঁটে যেতে পারেন। চশমা ছাড়াই ভালো দেখেন। আমি খুব সৌভাগ্যবান যে আজও আমি আমার মা, আমার মেয়ে, নাতনি নিয়ে আনন্দে দিন কাটাতে পারছি। এ জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই।’
চতুর্থ প্রজন্মের ওয়ালিদ জাহান বলেন, ‘মানুষ তো স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকে। স্মৃতির মধ্যে বসবাস করে। আমরা পাঁচ প্রজন্মের এই মিলনমেলা আল্লাহ যেন আরও দীর্ঘ করেন।’
প্রবীণ হিতৈষী সংঘের জেলা সভাপতি মফিজুল ইসলাম খান কামাল বলেন, ‘এমন পরিবার সত্যিই সৌভাগ্যের বিষয়। যেখানে চার-পাঁচ প্রজন্মের মিলনমেলা হয়। তা দেখা সত্যিই অনেক আনন্দের।’
স্থানীয় বানিয়াজুরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস আর আনসারী বিল্টু বলেন, পাঁচ প্রজন্ম তেমন চোখে পড়ে না। এই পরিবারের প্রত্যেক সদস্য নিজেদের মতো করে সুখী। একে অপরকে সুখে-দুঃখে সর্বদা সমর্থন করেন পরিবারের সদস্যরা।
সখিনা বেগম (৮৪) নাতিনের ঘরে নাতিনের দেখা পেয়েছেন। এবার তাঁর অপেক্ষা ষষ্ঠ প্রজন্মের দেখা পাওয়ার। সখিনা বেগমের সন্তান, নাতি-নাতনি ও তাঁদের সন্তানের সংখ্যা দেড় শতাধিক। আজ শুক্রবার পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে মিলিত হয়েছিলেন তাঁরা। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের রাথুরা গ্রামের লিয়াকত আলী খানের বাড়িতে বসেছিল পারিবারিক এই মিলনমেলা।
ওই বাড়িতে গিয়ে আজ দেখা গেছে, বয়সের ভারে কিছুটা ন্যুব্জ হয়ে এলেও মনের শক্তি ও আত্মবিশ্বাসের জোরে এখনো সচল সখিনা বেগম। পাশেই বসা তাঁর মেয়ে ৬৭ বছরের খোদেজা খাতুন। এরপর রয়েছেন খোদেজার মেয়ে আমেনা খাতুন (৫০), আমেনার ছেলে ওয়ালিদ (৩২), ওয়ালিদের কোলে বসা পাঁচ বছর বয়সী ছেলে আদিয়ান।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৪ সালে ১৫ বছর বয়সে সখিনা বেগমের বিয়ে হয় তালুকনগর গ্রামের খোরশেদ আলমের সঙ্গে। ১৭ বছরে মা হন সখিনা। তাঁর বড় মেয়ে খোদেজার বিয়ে হয় ১৬ বছর বয়সে, রাথুরা গ্রামের লিয়াকত আলী খানের সঙ্গে। তাঁদের ঘরে জন্ম নেয় সাত সন্তান। বড় মেয়ে আমেনা খানমের বিয়ে হয় ১৯৮৮ সালে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। আমেনার বড় ছেলে ওয়ালিদ জাহান আকাশ ঘর বাঁধেন আফরোজার সঙ্গে। তাঁদের চার সন্তানের বড় ছেলে আদিয়ান এবার স্কুলে ভর্তি হয়েছে।
স্বামী খোরশেদ আলমের মৃত্যুর পর থেকে সখিনা বেগম তাঁর মেয়ে খোদেজার স্বামীর বাড়িতেই থাকছেন। খোদেজার বড় মেয়ে আমেনার স্বামীও মারা যান। আমেনাও তাঁর বাবার বাড়িতে থাকেন।
প্রবীণ সখিনা বেগম বলেন, ‘যাঁদের দেখে বড় হয়েছি, সমবয়সী কিংবা অনেক ছোট আপনজনের অনেকেই আর বেঁচে নেই। আল্লাহর রহমতে আমি আজও সচল। স্বচ্ছন্দেই হাঁটাচলা করি, নামাজ পড়ি। পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালো আছি। নাতনিরও নাতি দেখলাম। এদের সঙ্গে ফেলে আসা শৈশব-কৈশোরের গল্প করি। একসঙ্গে হাসি-কাঁদি। কখন যেন ভেঙে যায় সাজানো এই মেলা।’
এ পরিবারের দ্বিতীয় প্রজন্ম খোদেজা খানম বলেন, ‘আমার মা এখনো কানে শোনেন। দূরে হেঁটে যেতে পারেন। চশমা ছাড়াই ভালো দেখেন। আমি খুব সৌভাগ্যবান যে আজও আমি আমার মা, আমার মেয়ে, নাতনি নিয়ে আনন্দে দিন কাটাতে পারছি। এ জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই।’
চতুর্থ প্রজন্মের ওয়ালিদ জাহান বলেন, ‘মানুষ তো স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকে। স্মৃতির মধ্যে বসবাস করে। আমরা পাঁচ প্রজন্মের এই মিলনমেলা আল্লাহ যেন আরও দীর্ঘ করেন।’
প্রবীণ হিতৈষী সংঘের জেলা সভাপতি মফিজুল ইসলাম খান কামাল বলেন, ‘এমন পরিবার সত্যিই সৌভাগ্যের বিষয়। যেখানে চার-পাঁচ প্রজন্মের মিলনমেলা হয়। তা দেখা সত্যিই অনেক আনন্দের।’
স্থানীয় বানিয়াজুরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস আর আনসারী বিল্টু বলেন, পাঁচ প্রজন্ম তেমন চোখে পড়ে না। এই পরিবারের প্রত্যেক সদস্য নিজেদের মতো করে সুখী। একে অপরকে সুখে-দুঃখে সর্বদা সমর্থন করেন পরিবারের সদস্যরা।
জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় অন্তত ৭৪টি মামলার তদন্ত করছে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট—পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এসব ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত না হওয়ায় হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা কিছুটা বিপাকে পড়ছেন।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ রুটে সফলতার পর এবার আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে নবীন ও উদীয়মান বেসরকারি এয়ারলাইনস এয়ার এ্যাস্ট্রা। এই লক্ষ্যে এয়ারবাসের চারটি উড়োজাহাজ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছে এয়ারলাইনসটি। বহরে উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়া সাপেক্ষে চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রচলিত আঞ্চলিক...
৩ ঘণ্টা আগেরংপুরের কাউনিয়ায় মরা তিস্তা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। খুঁটি নির্মাণের পর চার বছর পেরিয়ে গেলেও অর্থাভাবে সেতুর বাকি নির্মাণকাজে হাত দেওয়া হয়নি। এতে চরাঞ্চলের ছয় গ্রামের মানুষের উপজেলা সদর ও হারাগাছ পৌর এলাকায় যাতায়াতে দুর্ভোগ দূর হচ্ছে না।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রায় দেড় মাস ধরে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা নীলক্ষেতে প্রধান সড়কের এক পাশের প্রায় পুরোটা বন্ধ করে সুয়ারেজ লাইনের কাজ চলছে। বাকি অংশ দখল করে রেখেছেন হকাররা। বিপরীত সড়কে ডিভাইডার দিয়ে আলাদা লেন করলেও জনদুর্ভোগ কমেনি। এতে দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
৩ ঘণ্টা আগে