Ajker Patrika

ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির অন্তর হত্যা: আরও ৩ আসামি কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬: ৫৬
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির অন্তর হত্যা: আরও ৩ আসামি কারাগারে

ঢাকায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র মো. হাবিবুল হাসান অন্তর হত্যা মামলায় তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী মো. মাইনুদ্দিন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৫ জন আসামি কারাগারে গেলেন বলেও জানান তিনি।

যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন—মনছুর, আশিক ও শাহিন হোসেন। তিনজন সাভারের আকরাইন ও খাগান গ্রামের বাসিন্দা। 

সকালে তিন আসামি আইনজীবীদের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। দুপুর আড়াইটার সময় জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

আসামিদের পক্ষে জামিন শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান। বাদীপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সীমা আক্তার, সেঁজুতি ঘোষ, মো. মাইনুদ্দীন, গাজী হাসান মাহমুদ, কাজল রায় প্রমুখ। 

এর আগে তিনজন হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করলে হাইকোর্ট তিনজনকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। 

মামলা সূত্রে ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত বছর ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যা সাতটার দিকে সাভারের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পাশে খাগান বাজারের লেগুনা স্ট্যান্ড থেকে হাসিবুল হাসান অন্তরকে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা ধরে নিয়ে যায়। খাগান গ্রামের বউবাজারের পাশে একটি বাগানে নিয়ে তার হাত-পা বেঁধে লোহার রড ও লাঠি সোঁটা দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। অন্তরকে গুরুতর আহত অবস্থায় বাগানের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা অন্তরকে উদ্ধার করে প্রথমে পাশের রাজু হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। গ্রাম থেকে অন্তরের অভিভাবকেরা এসে তাকে ২ নভেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই দিন বিকেল ৩টার সময় অন্তর মারা যান। 

অন্তরের মৃত্যুর খবর ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে পৌঁছানোর পর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ করে। ওই বিক্ষোভে ব্যাপক ভাঙচুর হয় ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আশপাশে সংঘর্ষ হয়। এক সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। 

এ দিকে গত বছর দুই নভেম্বর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সহকারী অধ্যাপক ও ডেপুটি প্রক্টর মো. বদরুজ্জামান বাদী হয়ে সাভার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় স্থানীয় রাহাত সরকার, মনছুর, আশিক, শাহিন, টুটুল ও সিফাত এবং ৭-৮ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়। 

রাহাত সরকারকে মামলা দায়েরের দিন গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি টুটুল গত ২৭ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। আজকের তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে এ মামলায় মোট পাঁচজন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুরোনো রাউটার ফেলে না দিয়ে যে কাজে ব্যবহার করতে পারেন

পাকিস্তানের সামরিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার সামনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে ভারত: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

প্রশাসনিক আদেশে জামায়াত নিষিদ্ধ ভুল, আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধ সঠিক: বিএনপি

কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন

প্রথম ভাষণে গাজা প্রসঙ্গে যা বললেন পোপ লিও চতুর্দশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত