Ajker Patrika

শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী বিধি বাতিলের দাবি 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী বিধি বাতিলের দাবি 

সংশোধিত শ্রম বিধিমালা-২০২২ এ মাতৃত্বকালীন সুবিধা সংকোচনের সুযোগসহ শ্রমিক স্বার্থবিরোধী যে বিধিসমূহ যুক্ত করা হয়েছে তা বাতিল করে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন ও বিধিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। 

সংগঠনের সভাপতি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন জানান, শ্রম বিধিমালা ২০১৫ এর শ্রমিক স্বার্থবিরোধী বিধিসমূহ বাতিলের জন্য দেশের জাতীয় শ্রমিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে ৫৬টি সুপারিশ করা হয়েছিল। কয়েকটি সুপারিশ গ্রহণ করা হলেও উৎসব বোনাসের নিম্নতম সীমা নির্ধারণসহ প্রধান ৪০টি সুপারিশ উপেক্ষা করা হয়েছে। 

রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘আইনকে কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে তার ব্যাখ্যা হলো বিধিমালা। অথচ ২০১৮ সালে শ্রম আইন সংশোধনের পর সংশোধিত বিধিমালা পেতে আমাদের প্রায় ৪ বছর অপেক্ষা করতে হলো। রীতি অনুসারে শ্রমিকদের প্রাপ্যতাকে কমানো যায় না অথচ শ্রম আইন বা বিধিমালা যতবার সংশোধন করা হয়েছে প্রতিবারই শ্রমিকের সুরক্ষার পরিবর্তে কৌশলে শ্রমিকের অধিকার সংকুচিত করা হয়েছে।’ 

এ সময় তিনি আরও বলেন, সংশোধিত বিধিমালায় মাতৃত্বকালীন সুবিধা সংকুচিত করার সুযোগ রেখে মাতৃত্বকালীন সুবিধার নতুন হিসাব পদ্ধতি যুক্ত করা হয়েছে। মহিলা শ্রমিকদের প্রতি অসদাচরণের তদন্তে কমিটি গঠনের বিধানে হাইকোর্টের রায়কে লঙ্ঘন করা হয়েছে। শ্রমিকদের চাকরি অবসানে প্রাপ্য আইনানুগ পাওনা পাওয়ার ক্ষেত্রকে অনিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। 

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল বলেন, বিধিমালায় শ্রমিকদের চিকিৎসা সুবিধা, বিশ্রাম কক্ষ, ঠান্ডা পানি, ছুটির বিপরীতে অর্থনৈতিক সুবিধা, কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে শ্রমিকের নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সংকুচিত করা হয়েছে। অসদাচরণের অভিযোগ নিষ্পত্তির যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে তা শ্রম আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার বিদ্যমান অবস্থায় শ্রম আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিধিমালা শ্রমিকদের দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে দেবে। এছাড়াও বিধিমালায় শ্রমিকদের সুরক্ষার পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরসমূহের ক্ষমতায়ন এবং ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারকে অবাধ করার পরিবর্তে নিয়ন্ত্রিত করার চেষ্টা প্রতিফলিত হয়েছে। 

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সহসম্পাদক জনার্দন দত্ত নান্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, অর্থ সম্পাদক জুলফিকার আলীসহ প্রমুখ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জে ছিনতাইকারী রাজু গ্রেপ্তার

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
রাজু হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত
রাজু হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী রাজু হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ভোর ৬টার দিকে নিজ বাড়ি হতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ছিনতাইকৃত একটি মোটরসাইকেল, আইফোন, নগদ টাকা ও মালামাল উদ্ধার করা হয়।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আক্তার হোসেন জানান, গ্রেপ্তার রাজু দীর্ঘদিন ধরে চুনকুটিয়া, খেজুরবাগ, ঝিলমিল আবাসন প্রকল্প, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক ও এর আশপাশের এলাকায় ছিনতাই করে আসছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর সহযোগীদেরও শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। নতুন ঘটনায়ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

জানা গেছে, ৫ নভেম্বর ভোরে রাজু হাওলাদার তাঁর সহযোগীদের নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কেরানীগঞ্জ চুনকুটিয়া এলাকায় এক পথচারীকে লক্ষ্য করে রামদা দিয়ে আঘাত করে মোটরসাইকেল, মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেন। পরে আহত অবস্থায় ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তৎপরতা শুরু করে।

গ্রেপ্তার রাজু হাওলাদার (২৬) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার খেয়ারবাগ গ্রামের ফিরোজ হাওলাদারের ছেলে। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের খেজুরবাগ এলাকায় বসবাস করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাস উৎসবে সুন্দরবন থেকে আটক ৩২ জন কারাগারে

বাগেরহাট প্রতিনিধি
রাস উৎসবে সুন্দরবন থেকে আটক ৩২ জন কারাগারে। ছবি: সংগৃহীত
রাস উৎসবে সুন্দরবন থেকে আটক ৩২ জন কারাগারে। ছবি: সংগৃহীত

রাস উৎসবে পুণ্যার্থী সেজে সুন্দরবনে হরিণ শিকারের চেষ্টার অভিযোগে আটক ৩২ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের বাগেরহাট বন আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক বিলাশ মন্ডল আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত সোমবার দুপুর থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

বন বিভাগ জানায়, রাস পূজা চলাকালে সুন্দরবনে হরিণ শিকারিরা বেপরোয়া হয়ে ‍ওঠে। এ জন্য কয়েক বছর ধরে পুণ্যার্থী ছাড়া বাইরের লোক বনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। আর এবারই প্রথমবারের মতো কড়া নিরাপত্তাপ্রহরায় পুণ্যার্থীদের বনে নেওয়া হয়েছে। এরপরও অনেকে পরিচয় গোপন করে পুণ্যার্থী সেজে বনে প্রবেশ করেছেন।

পূজার প্রথম দিন (সোমবার) দুপুরে হরিণ শিকারের চেষ্টার সময় এক যুবককে আটক করে বন বিভাগ। তখন ওই চক্রের অন্য সদস্যরা সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় আটক তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

পরে হরিণ শিকারের যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও ৩২ জনকে আটক করে বন বিভাগ। এ সময়ে ১২০০টি হরিণ শিকারের ফাঁদ ও দুটি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। এ নিয়ে রাস পূজা চলাকালে মোট ৩৫ হরিণশিকারিকে আটক করতে সক্ষম হয় বন বিভাগ।

এ বিষয়ে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের দুবলার চর-আলোরকোলের স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তানভীর হাসান বলেন, বন্য প্রাণী শিকার রোধে এবার তাঁরা খুবই তৎপর ছিলেন। তারপরও শিকারিরা নানাভাবে চেষ্টা করেছেন। বনরক্ষীরা তল্লাশি চালিয়ে ৩৫ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। দুপুরে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বাগেরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি এস এম মাহাবুব মোর্শেদ লালন বলেন, আসামিদের আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে সুন্দরবন রক্ষা ও হরিণ শিকার রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন এই রাষ্ট্রীয় আইন কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছাত্রীদের শরীরে আবারও হাত দেওয়ার অভিযোগ সেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের বদরগঞ্জে চম্পাতলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে আবারও ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব ও শরীরে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিদ্যালয়টিতে দিনভর বিক্ষোভ করেছেন অভিভাবকেরা। বিকেলে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

অভিযোগ রয়েছে, ঘটনাটি ধাপাচাপা দিতে গতকাল বুধবার রাতে দু-একজন অভিভাবককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন প্রধান শিক্ষক।

অষ্টম ও নবম শ্রেণির দুই ছাত্রী বলে, ‘হেড স্যারের নজর ভালো নয়, সব সময়ে আমাদের বুকের দিকে তাকিয়ে থাকেন এবং সুযোগ পেলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেন। এত দিন লজ্জায় কাউকে বলতে পারিনি। ভেবেছিলাম, হেড স্যার ভালো হবেন, কিন্তু আজও তাঁর চরিত্র ভালো হয়নি।’

অভিভাবক আফজাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষকের চরিত্র ভালো নয়। বিদ্যালয়ে মেয়েরা নিরাপদ নয়। এবার তাঁকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সহকারী শিক্ষক বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেন। তিন দিন আগে দুই ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করলে আমাদের এক সহকারী শিক্ষক তা মোবাইলে ভিডিও আকারে ধারণ করেন। এ কারণে প্রধান শিক্ষকের ভাড়া করা কয়েকজন এসে সেই শিক্ষককে হুমকি দেন।’

ওই সহকারী শিক্ষক আরও বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক বারবার ছাত্রীদের সঙ্গে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর কারণে আমাদের ও স্কুলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তাঁকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা দরকার।’

আরও এক শিক্ষক বলেন, এর আগেও প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব ও শরীরে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।

এর আগে ২০২৩ সালের ১১ জুন নিজ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির সনাতন ধর্মের এক ছাত্রীকে মোবাইল ফোনে কুপ্রস্তাব দেন প্রধান শিক্ষক। ১৪ জুন কুপ্রস্তাব দেওয়া কলরেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে পরদিন ১৫ জুন অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

পরে তৎকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাশপিয়া তাসরিনের আশ্বাসে শান্ত হন অভিভাবকেরা। ওই দিন রাতে ছাত্রীর বাবা বদরগঞ্জ থানায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করলে পুলিশ রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ১৬ জুন বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করে।

এ নিয়ে আজকের পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ‘স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার’ এবং ১৭ জুন ‘স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় গ্রেপ্তার সেই প্রধান শিক্ষককে বহিষ্কার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

বিদ্যালয়ের আরও এক সহকারী শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক দিন পর আদালত থেকে জামিনে বের হন। তিনি ওই সময়কার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মমতাজ হোসেনের ভাগনি জামাই হওয়ার কারণে তাঁর বরখাস্ত আদেশ বেশি দিন থাকেনি। মামলাটি এখনো চলমান রয়েছে বলে ওই শিক্ষক জানান।

দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. আরিফ মাহফুজ বলেন, ‘আমি আজ গঙ্গাচড়া উপজেলায় অফিস করেছি। এ কারণে সেখানকার বিষয়টি আমার জানা নেই।’

বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, অভিভাবকেরা ওই বিদ্যালয়ে ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি করতে বড় ভাইয়ের মাইকিং, স্থান পানের বরজ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ২৯
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মাইকভাড়া করে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির কথা ঘোষণা করেন আব্দুল কুদ্দুস মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মাইকভাড়া করে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির কথা ঘোষণা করেন আব্দুল কুদ্দুস মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধায় ছোট ভাইয়ের সঙ্গে আগামীকাল শুক্রবার মারামারি করবেন জানিয়ে মাইকে প্রচার করেছেন আব্দুল কুদ্দুস মিয়া নামের এক বৃদ্ধ। কখন, কোন স্থানে এ মারামারি করবেন তা-ও ঘোষণা করেছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পলাশবাড়ী উপজেলায় মাইকভাড়া করে মারামারির কথা পুরো গ্রামে প্রচার করা হয়।

জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বড় ভাইয়ের এমন কাণ্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

আব্দুল কুদ্দুস জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের বৈরীহরিণমারী গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর ছোট ভাইয়ের নাম হাবিজার মিয়া।

রিকশা নিয়ে গোটা গ্রামে মাইক দিয়ে আব্দুল কুদ্দুস ঘোষণা করেন, ‘আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর ছোট ভাই হাবিজারের সঙ্গে নিজেদের পানের বরজ এলাকায় মারামারি করব।’

জানতে চাইলে আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘আমার ছোট ভাই হাবিজার দীর্ঘদিন থেকে আমার জমি মারে খাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিস হলেও, সে মানে না। তাই বাধ্য হয়ে আমার জমি বুঝে নেওয়ার জন্য মাইকভাড়া করে মাইকিং করছি।’

এ বিষয়ে হাবিজার মিয়ার মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টো আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আব্দুল কুদ্দুস মিয়াকে থানায় ডাকা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত