নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ সম্মান ও আস্থা রেখে ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ এবং অটল বলে জানিয়েছে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে উপাচার্যকে দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার বিকেলে বুয়েট উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, ‘আমরা বুয়েট প্রশাসনের কাছে দাবি রাখব যে, এ বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত বিচার বিভাগে যথাযথভাবে তুলে ধরা হোক। আমাদের ক্যাম্পাস ছাত্ররাজনীতিমুক্ত করার যে দাবি, তার যৌক্তিকতা নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং অটল।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘যেই ছাত্ররাজনীতি র্যাগিং কালচারকে প্রশ্রয় দেয়, ক্ষমতার অপব্যবহারের পথ খুলে দেয়, যার বলি হতে হয় নিরীহ ছাত্রদের—তা কখনোই আমাদের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে নি, আনবেও না। এর চরম মূল্য হিসেবে আমরা কেমিকৌশল বিভাগের ৯৯ ব্যাচের সাবেকুন্নাহার সনি আপু, যন্ত্রকৌশল বিভাগের নবম ব্যাচের আরিফ রায়হান দ্বীপ ভাই এবং সর্বশেষ তড়িৎকৌশল ১৭ ব্যাচের আবরার ফাহাদ ভাইকে হারিয়েছি।’
বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থীরাও ইতিমধ্যে ক্যাম্পাস ছাত্ররাজনীতিমুক্ত রাখার মতামতের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছেন বলে জানান তাঁরা। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, ‘আমরা বুয়েটের শিক্ষার্থীরা দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ সম্মান ও আস্থা রাখি।’
বুয়েটের শিক্ষকদের প্রতি পূর্ণ ভরসা এবং আস্থা আছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, তাঁদের কাছ থেকেই আমরা শিক্ষাগ্রহণ করি, তাঁরাই আমাদের প্রতিটি ক্লাসরুম, প্রতিটি ল্যাবের নায়ক। প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, লেকচারার, যারাই আমাদের ক্লাস নিয়েছেন, আমরা গত চার বছরে শিক্ষার্থীরা এমনটা কখনো অনুভব করিনি যে, তাঁরাও ছাত্ররাজনীতির পুনরুত্থান চান।
এ সময় শিক্ষকদেরও পাশে থাকার আহ্বান জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে উপাচার্যের ওপর ভরসা আছে জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘তাঁর সদিচ্ছা সবসময় আমাদের পক্ষেই ছিল বলেই আমরা বিশ্বাস করি। গত তিন দিনব্যাপী আন্দোলনের মধ্যে তিনি আমাদের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন, বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং আমাদের কথা শোনার চেষ্টা করেন। আমরা শিক্ষার্থীরা আমাদের মাননীয় ভিসি স্যারকে এই আর্জি জানাচ্ছি, তিনি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে নিয়ে আপামর বুয়েট শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের যে আকাঙ্ক্ষা—তা সকল আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাতে পূরণ করেন।’
তাঁরা আরও বলেন, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদ ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের পর ৯ অক্টোবর বেলা সাড়ে ৩টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘‘অনেক প্রতিষ্ঠানেই তো সংগঠন করা নিষিদ্ধ আছে। বুয়েট যদি মনে করে তাঁরা সেটা নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। এটা তাঁদের ওপর’’—এরই ফলস্বরূপ, বুয়েটের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েট প্রশাসন সকল প্রকার সাংগঠনিক রাজনীতি ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করেন।
দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ সম্মান ও আস্থা রেখে ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ এবং অটল বলে জানিয়েছে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে উপাচার্যকে দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার বিকেলে বুয়েট উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, ‘আমরা বুয়েট প্রশাসনের কাছে দাবি রাখব যে, এ বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত বিচার বিভাগে যথাযথভাবে তুলে ধরা হোক। আমাদের ক্যাম্পাস ছাত্ররাজনীতিমুক্ত করার যে দাবি, তার যৌক্তিকতা নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং অটল।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘যেই ছাত্ররাজনীতি র্যাগিং কালচারকে প্রশ্রয় দেয়, ক্ষমতার অপব্যবহারের পথ খুলে দেয়, যার বলি হতে হয় নিরীহ ছাত্রদের—তা কখনোই আমাদের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে নি, আনবেও না। এর চরম মূল্য হিসেবে আমরা কেমিকৌশল বিভাগের ৯৯ ব্যাচের সাবেকুন্নাহার সনি আপু, যন্ত্রকৌশল বিভাগের নবম ব্যাচের আরিফ রায়হান দ্বীপ ভাই এবং সর্বশেষ তড়িৎকৌশল ১৭ ব্যাচের আবরার ফাহাদ ভাইকে হারিয়েছি।’
বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থীরাও ইতিমধ্যে ক্যাম্পাস ছাত্ররাজনীতিমুক্ত রাখার মতামতের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছেন বলে জানান তাঁরা। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, ‘আমরা বুয়েটের শিক্ষার্থীরা দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ সম্মান ও আস্থা রাখি।’
বুয়েটের শিক্ষকদের প্রতি পূর্ণ ভরসা এবং আস্থা আছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, তাঁদের কাছ থেকেই আমরা শিক্ষাগ্রহণ করি, তাঁরাই আমাদের প্রতিটি ক্লাসরুম, প্রতিটি ল্যাবের নায়ক। প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, লেকচারার, যারাই আমাদের ক্লাস নিয়েছেন, আমরা গত চার বছরে শিক্ষার্থীরা এমনটা কখনো অনুভব করিনি যে, তাঁরাও ছাত্ররাজনীতির পুনরুত্থান চান।
এ সময় শিক্ষকদেরও পাশে থাকার আহ্বান জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে উপাচার্যের ওপর ভরসা আছে জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘তাঁর সদিচ্ছা সবসময় আমাদের পক্ষেই ছিল বলেই আমরা বিশ্বাস করি। গত তিন দিনব্যাপী আন্দোলনের মধ্যে তিনি আমাদের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন, বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং আমাদের কথা শোনার চেষ্টা করেন। আমরা শিক্ষার্থীরা আমাদের মাননীয় ভিসি স্যারকে এই আর্জি জানাচ্ছি, তিনি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে নিয়ে আপামর বুয়েট শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের যে আকাঙ্ক্ষা—তা সকল আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাতে পূরণ করেন।’
তাঁরা আরও বলেন, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদ ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের পর ৯ অক্টোবর বেলা সাড়ে ৩টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘‘অনেক প্রতিষ্ঠানেই তো সংগঠন করা নিষিদ্ধ আছে। বুয়েট যদি মনে করে তাঁরা সেটা নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। এটা তাঁদের ওপর’’—এরই ফলস্বরূপ, বুয়েটের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েট প্রশাসন সকল প্রকার সাংগঠনিক রাজনীতি ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করেন।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
৩ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৩ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৩ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৩ ঘণ্টা আগে