নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে দেশব্যাপী টিকিট কালোবাজারি চক্রের মূল হোতা সেলিমসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার সকল থেকে দিনভর রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—মো. সেলিম (৪৮), মো. শাহ আলম (৩৪), মো. লিটন (৩৫), মো. আ. রশিদ ফকির (৩০) ও খোকন মিয়া (৫৮)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন রুটের ৮৮টি টিকিট,৪টি মোবাইল ফোন ও টিকিট বিক্রির নগদ ১৮ হাজার ৪৪৭ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৩ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘রাজধানীর কমলাপুর এবং বিমানবন্দর রেলস্টেশনসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রি করে আসছিল চক্রটি। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কমলাপুর রেলস্টেশনে সক্রিয়। চক্রটির মূল হোতা সেলিম। চক্রের সদস্যরা রেলস্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে এক একটি এনআইডি দিয়ে ৪টি করে টিকিট সংগ্রহ করে। এ ছাড়া অনলাইনে বিভিন্ন পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করেও টিকিট সংগ্রহ করে। এরপর সেলিমের নেতৃত্বে এক একটি ট্রেন ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগে থেকে চড়া দামে টিকিট বিক্রির তৎপরতা শুরু করে। ট্রেন ছাড়ার সময় যত ঘনাতে থাকে তাদের কাছে থাকা টিকিটের দাম তত বাড়তে থাকে। এই চক্রটি মূলত তিস্তা এক্সপ্রেস, এগারো সিন্দুর প্রভাতি, মহানগর প্রভাতি, চট্টলা এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস এবং পারাবত এক্সপ্রেস—এই সব ট্রেনের টিকিট নিত। চক্রটি কয়েক ধাপে কাজ করত। প্রতিটি ধাপে ৫ থাকে ৭ জন করে কাজ করে।’
গ্রেপ্তার টিকিট কালোবাজার চক্রের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, ‘গত সাত বছর ধরে চক্রের মূল হোতা সেলিমের নেতৃত্বে কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করত। প্রতিটি ট্রেনে যে পরিমাণ টিকিট বরাদ্দ থাকে তার মধ্যে ৫০ শতাংশ বিক্রি হয় অনলাইনে। ফলে কাউন্টারে এসে অনেকে টিকিট না পেয়ে ফিরে যান। আর এই সুযোগটিই গ্রহণ করে টিকিট কালোবাজারি চক্রের সদস্যরা। কমলাপুর রেলস্টেশনে এই কালোবাজারি চক্রটি অনেক সময় তারা রিকশাওয়ালা, কুলি, দিনমজুর এদের অল্প টাকার বিনিময়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে তাদের মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করে। সংগ্রহকৃত টিকিট নিয়ে এরা রেলস্টেশনের ভেতরে ছড়িয়ে পড়ে। এরা রেলস্টেশনে এসে টিকিট না পাওয়া যাত্রীদের নিকট তাদের কালোবাজারি টিকিট বিক্রির জন্য ঘুরতে থাকে। ট্রেন ছাড়ার ঘণ্টা দু-এক আগে যাত্রী সমাগম শুরু হলে তাদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। তাঁরা তখন দ্বিগুণ মূল্যে টিকিট বিক্রি করে থাকে। সুযোগ এবং সময় বুঝে অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা টিকিটের দাম আরও বাড়িয়ে দেয়।’
র্যাবের অধিনায়ক আরও জানান, এ ছাড়া ঈদসহ বিভিন্ন ছুটি এবং উৎসবকে কেন্দ্র করে তারা একেকটি টিকিট ৩ / ৪ গুণ বেশি দামে বিক্রি করে। তারা গত কোরবানির ঈদে ৫০০ টাকার টিকিট সর্বোচ্চ ২০০০ টাকায়ও বিক্রি করেছে। তারা প্রত্যেকে ৭ / ৮ বছর যাবৎ এই পেশার মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ এবং যাবতীয় খরচ চালায় বলে জানায়।
আরিফ মহিউদ্দিন জানান, চক্রের মূল হোতা সেলিমের বিরুদ্ধে ০৭টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। শাহ আলমের বিরুদ্ধে ৩টি, খোকনের ও লিটনের নামেও ৪টি করে মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এসব মামলায় তাঁরা প্রত্যেকে র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে জেল খেটেছে। তারপরও জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও একই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে দেশব্যাপী টিকিট কালোবাজারি চক্রের মূল হোতা সেলিমসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার সকল থেকে দিনভর রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—মো. সেলিম (৪৮), মো. শাহ আলম (৩৪), মো. লিটন (৩৫), মো. আ. রশিদ ফকির (৩০) ও খোকন মিয়া (৫৮)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন রুটের ৮৮টি টিকিট,৪টি মোবাইল ফোন ও টিকিট বিক্রির নগদ ১৮ হাজার ৪৪৭ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৩ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘রাজধানীর কমলাপুর এবং বিমানবন্দর রেলস্টেশনসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রি করে আসছিল চক্রটি। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কমলাপুর রেলস্টেশনে সক্রিয়। চক্রটির মূল হোতা সেলিম। চক্রের সদস্যরা রেলস্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে এক একটি এনআইডি দিয়ে ৪টি করে টিকিট সংগ্রহ করে। এ ছাড়া অনলাইনে বিভিন্ন পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করেও টিকিট সংগ্রহ করে। এরপর সেলিমের নেতৃত্বে এক একটি ট্রেন ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগে থেকে চড়া দামে টিকিট বিক্রির তৎপরতা শুরু করে। ট্রেন ছাড়ার সময় যত ঘনাতে থাকে তাদের কাছে থাকা টিকিটের দাম তত বাড়তে থাকে। এই চক্রটি মূলত তিস্তা এক্সপ্রেস, এগারো সিন্দুর প্রভাতি, মহানগর প্রভাতি, চট্টলা এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস এবং পারাবত এক্সপ্রেস—এই সব ট্রেনের টিকিট নিত। চক্রটি কয়েক ধাপে কাজ করত। প্রতিটি ধাপে ৫ থাকে ৭ জন করে কাজ করে।’
গ্রেপ্তার টিকিট কালোবাজার চক্রের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, ‘গত সাত বছর ধরে চক্রের মূল হোতা সেলিমের নেতৃত্বে কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করত। প্রতিটি ট্রেনে যে পরিমাণ টিকিট বরাদ্দ থাকে তার মধ্যে ৫০ শতাংশ বিক্রি হয় অনলাইনে। ফলে কাউন্টারে এসে অনেকে টিকিট না পেয়ে ফিরে যান। আর এই সুযোগটিই গ্রহণ করে টিকিট কালোবাজারি চক্রের সদস্যরা। কমলাপুর রেলস্টেশনে এই কালোবাজারি চক্রটি অনেক সময় তারা রিকশাওয়ালা, কুলি, দিনমজুর এদের অল্প টাকার বিনিময়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে তাদের মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করে। সংগ্রহকৃত টিকিট নিয়ে এরা রেলস্টেশনের ভেতরে ছড়িয়ে পড়ে। এরা রেলস্টেশনে এসে টিকিট না পাওয়া যাত্রীদের নিকট তাদের কালোবাজারি টিকিট বিক্রির জন্য ঘুরতে থাকে। ট্রেন ছাড়ার ঘণ্টা দু-এক আগে যাত্রী সমাগম শুরু হলে তাদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। তাঁরা তখন দ্বিগুণ মূল্যে টিকিট বিক্রি করে থাকে। সুযোগ এবং সময় বুঝে অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা টিকিটের দাম আরও বাড়িয়ে দেয়।’
র্যাবের অধিনায়ক আরও জানান, এ ছাড়া ঈদসহ বিভিন্ন ছুটি এবং উৎসবকে কেন্দ্র করে তারা একেকটি টিকিট ৩ / ৪ গুণ বেশি দামে বিক্রি করে। তারা গত কোরবানির ঈদে ৫০০ টাকার টিকিট সর্বোচ্চ ২০০০ টাকায়ও বিক্রি করেছে। তারা প্রত্যেকে ৭ / ৮ বছর যাবৎ এই পেশার মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ এবং যাবতীয় খরচ চালায় বলে জানায়।
আরিফ মহিউদ্দিন জানান, চক্রের মূল হোতা সেলিমের বিরুদ্ধে ০৭টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। শাহ আলমের বিরুদ্ধে ৩টি, খোকনের ও লিটনের নামেও ৪টি করে মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এসব মামলায় তাঁরা প্রত্যেকে র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে জেল খেটেছে। তারপরও জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও একই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের হারিজের মোড় থেকে ফরিদপুর গ্রাম পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কটি তিন মিটার প্রশস্ত করে কার্পেটিংয়ের (পিচ ঢালাই) কাজের জন্য চলতি বছরের মার্চে এলজিইডি দরপত্র আহ্বান করে। ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির কাজ পায় চিরিরবন্দর উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনতাজ ট্রেডার্স।
২০ মিনিট আগেরোববার রাত ৮টার দিকে ৫৮ বিজিবির অধীনস্থ গয়েশপুর বিওপির হাবিলদার শিশিরের নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্ত ইউনিয়নের পিচমোড় থেকে আটটি স্বর্ণের বার এবং ছোট একটি স্বর্ণের টুকরাসহ গয়েশপুরের তেতুল মণ্ডলের ছেলে মো. মমিনকে আটক করে। তিনি বাইসাইকেলে স্বর্ণের বারগুলো ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
৩০ মিনিট আগেইজারাদার ফরহাদ তালুকদার ও তাঁর সহযোগীরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রোববার পশুর হাট বসিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন। আমি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
৩৩ মিনিট আগেগত রমজানের শুরুতে হঠাৎ ধরা পড়ে তার ব্লাড ক্যানসার। আর্থিক সংকটে প্রাথমিক চিকিৎসার পর থেমে যায় তার চিকিৎসা কার্যক্রম। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলার মানবিক স্বেচ্ছাসেবীরা এগিয়ে আসেন। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে তারা প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকা সংগ্রহ করেন।
৩৭ মিনিট আগে